খোলা চোখে-আবারও নকশালবাড়ি by হাসান ফেরদৌস

শুনেছেন হয়তো যে কানু সান্যাল মারা গেছেন। স্বাভাবিক মৃত্যু নয়, আত্মহৎযা। ষাট ও সত্তরের দশকে পশ্চিম বাংলা ও বিহারে যে নকশালবাড়ি আন্দোলন দাউদাউ করে জ্বলে ওঠে, কানু সান্যাল ছিলেন তার অন্যতম প্রধান স্থপতি। নকশাল নেতা হিসেবে চারু মজুমদার সাধারণ্যে অধিক পরিচিত; প্রধানত তাঁর তাত্ত্বিক বাগ্মিতার জন্য।


জোতদার খতম করার স্লোগান তাঁরই আবিষ্কার। কিন্তু কানু সান্যাল ছিলেন সে আন্দোলনের প্রধান সংগঠক, তার ইঞ্জিন। বয়স হয়েছিল, রোগ-শোকে ভুগছিলেন দীর্ঘদিন। নকশালবাড়ির কাছে হাতিঘিসা গ্রামে ছোট এক মাটির ছাপরা ঘরে একা থাকতেন। সম্ভবত এক ভাগনে তাঁর দেখাশোনা করত। কলকাতায় তাঁর পুরোনো বন্ধুবান্ধব এখন রাজনৈতিক ক্ষমতার কেন্দ্রে। তাঁদের কেউ কেউ বলেছিলেন, কলকাতায় এলে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা যাবে। তিনি রাজি হননি। তাঁর সব অজ্ঞাত দুঃখ ও ক্রোধ নিজের মনের মধ্যে পুষে রাখতে রাখতে একসময় যখন আর জীবনধারণ তাঁর পক্ষে সম্ভব হচ্ছিল না, তখন কানু বাবু গলায় ফাঁস লাগিয়ে মরে গেলেন।
না, কানু সান্যালকে ‘গ্লোরিফাই’ করার কোনো উদ্দেশ্য নিয়ে আমি কলম ধরিনি। ষাট ও সত্তরের দশকে এই কানু বাবুরা যে তাণ্ডব ঘটিয়েছিলেন, তার ঘা এখনো শুকায়নি। মুক্তির কথা বলে অসংখ্য যুবক-যুবতীকে তাঁরা রাজনীতিতে টেনে এনেছিলেন, কিন্তু শেষ পর্যন্ত রাজনীতির নামে তাঁরা যে পথ বেছে নেন তা ছিল স্রেফ সন্ত্রাস। ‘খতম করো’—এই ডাক দিয়ে যে বিপ্লব তাঁরা শুরু করেছিলেন, তার ফলে নিরপরাধ মানুষ বলি হয়েছে। মহিলা, এমনকি শিশুরাও বাদ যায়নি। শুধু খুনোখুনি নয়, ডাকাতির ঘটনাও ঘটে এন্তার। একাত্তরে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময়ে এই কানু বাবুরাই আমাদের প্রাণপণ বিরোধিতা করেছেন। এমনকি রবীন্দ্রনাথও তাঁদের কোপানল থেকে নিস্তার পাননি।
না, তার জন্য বাড়তি কোনো চোখের জল আমার নেই। কানু বাবুকে মনে পড়ার কারণ, তিনি বা চারু মজুমদার না থাকলেও ভারতের পূর্বাঞ্চলে নকশাল আন্দোলন এখন ফের তুঙ্গে। শুধু পূর্বাঞ্চল বলছি কেন, ভারতজুড়েই এই আন্দোলন এক সশস্ত্র বিদ্রোহ হিসেবে ছড়িয়ে পড়েছে। খোদ প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং স্বীকার করেছেন, নকশাল তৎপরতার কারণে সমগ্র ভারতের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েছে। তাঁর সাড়ে ছয় দশকের ইতিহাসে এত বড় অভ্যন্তরীণ হুমকির মুখোমুখি হতে হয়নি ভারতকে, এ ভারতের প্রধানমন্ত্রীরই কথা। সরকারি সূত্রে স্বীকার করা হয়েছে, ছত্তিশগড় ও পশ্চিম বাংলা ছাড়াও আসাম, উত্তর প্রদেশ, বিহার ও উত্তরাঞ্চলে এই বিদ্রোহ ছড়িয়ে পড়েছে। দিল্লি ও মুম্বাইয়ের মতো শহরেও নকশালবাদীদের আস্তানার খোঁজ মিলেছে। এক হিসাবে দেখেছি, ভারতের এক-চতুর্থাংশ এলাকাই নাকি এখন কমবেশি নকশালবাড়ি-ধাঁচের মাওবাদী বিপ্লবের কোপানলে পড়েছে। খোদ কেন্দ্রীয় সরকারই স্বীকার করেছে, ভারতের ৬০৪টি জেলার মধ্যে কম করে হলেও ২২৩টি জেলায় এখন মাওবাদী বা নকশালপন্থীরা তৎপর। পাঁচ বছর আগেও এই সংখ্যা ছিল ৭০টি জেলায়। ব্যাপারটি কেন্দ্রীয় সরকারের জন্য এতটাই মাথাব্যথার কারণ হয়ে ওঠে যে কিছুদিন আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী চিদাম্বরমের নেতৃত্বে দেশজুড়ে নকশাল খেদাও অভিযানের এক নীলনকশা তৈরি করা হয়। বেশ জোরেশোরে সেই অভিযান শুরুও হয়েছিল। কিন্তু এরই মধ্যে ছত্তিশগড়ে ঘটল ভয়াবহ এক ঘটনা। সেখানে ৬ এপ্রিল নকশালদের হাতে সম্মুখযুদ্ধে খুন হলেন কেন্দ্রীয় রিজার্ভ পুলিশের ৭৬ জন সদস্য, যা রীতিমতো অভাবনীয় ঘটনা। এর আগে নকশালরা কখনোই এত বড় রকমের সামরিক বিজয় অর্জন করেনি। ব্যাপারটা একদিকে ভয়ের, অন্যদিকে চিন্তার। শুধু ভারতের জন্য নয়, আমাদেরও। এই আগুন যদি আরও ছড়িয়ে পড়ে, আমরাও তার তাপ থেকে রক্ষা পাব না।
১৯৬৭ সালে জ্যোতি বসুদের সিপিএম ভেঙে কানু সান্যালরা বেরিয়ে গিয়ে যখন সিপিআই (মার্ক্সবাদী-লেনিনবাদী) দল গড়ে তোলেন, এক ধরনের বিপ্লবী মনোচেতনা তাদের অবশ্যই ছিল। পশ্চিম বাংলা ও বিহারে তো বটেই, ভারতের সর্বত্রই গ্রামাঞ্চল, আগাগোড়াই অবহেলিত, বৈষম্যপীড়িত। সিপিএম নিজেও সেই বৈষম্যকে ব্যবহার করে ক্ষমতা দখল করেছে—অবশ্যই নিয়মতান্ত্রিক পথে এবং গত আড়াই দশক ক্ষমতা ধরেও রেখেছে। শ্রেণীশত্রু নির্মূলের নামে সিপিআই-এমএল যে সশস্ত্র আন্দোলন গড়ে তোলে, তার এক প্রধান লক্ষ্য ছিল গ্রাম ও শহরের মধ্যে ক্রমবর্ধমান বৈষম্য রোধ। কানু সান্যাল নিজে একসময় সিপিএমের জেলা পর্যায়ের সংগঠক ছিলেন। কিন্তু ১৯৬৭ সালের সিএমএমকে নিয়ে পশ্চিম বাংলা যুক্তফ্রন্ট সরকার গঠনের পর তার পথ বদলে যায়। ১৯৬৭ সালে নকশালবাড়িতে জোতদারবিরোধী এক অভিযানের নেতৃত্ব দেন কানু সান্যাল। স্থানীয় এক কংগ্রেসপন্থী জোতদার তাঁর জমি থেকে এক বর্গাশ্রমিককে বহিষ্কার করলে শুরু হয় ভূমি দখল অভিযান। কলকাতায় রাইটার্স বিল্ডিং তখন বাম ফ্রন্টের দখলে। আর সে সরকারের নির্দেশেই কৃষকদের ওপর গুলি চালানো হয়। ফলে নিহত হয় ১১ জন গ্রামবাসী, তাদের অধিকাংশই আদিবাসী সম্প্রদায়ের। সেই থেকে শুরু নকশালবাড়ি আন্দোলন। জ্যোতি বসুদের কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে নকশালপন্থীদের চূড়ান্ত বিভাজনও সম্পন্ন হলো সেই ঘটনার ভেতর দিয়ে।
একাত্তরে বাংলাদেশের জন্ম ও ভারতের হাতে পাকিস্তানের বেধড়ক পরাজয়ের ফলে একদিকে ইন্দিরা গান্ধী ও কংগ্রেসের নাটকীয় উত্থান ঘটে, অন্যদিকে সামরিক প্রতিরোধের মুখে ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ে নকশাল আন্দোলন। জেলে যেতে হয় চারু মজুমদার ও কানু সান্যালকে। ১৯৭২ সালে জেলে মারা যান চারু মজুমদার, একলা রয়ে যান কানু সান্যাল। দুজনের মত ও পথের যে ভিন্নতা ছিল, সেই প্রথম আমরা জানতে পারি। চারু মজুমদারের কাছে নকশাল আন্দোলন ছিল খোদ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে, কিন্তু কানু সান্যালের দাবি ছিল, এই আন্দোলন কৃষক বিদ্রোহ, যার লক্ষ্য কৃষকদের আর্থসামাজিক মুক্তি। অর্থাৎ ভারতীয় রাষ্ট্রীয় কাঠামোর ভেতরেই সেই আর্থসামাজিক পরিবর্তন সম্ভব। ১৯৭৭ সালে জ্যোতি বসুর সিপিএম ফের ক্ষমতায় ফিরে এলে তাঁর ব্যক্তিগত উদ্যোগে কানু সান্যালকে জেল থেকে মুক্তি দেওয়া হয়। তারপর কানু সান্যাল বাম রাজনীতি করার চেষ্টা করেছেন বটে, কিন্তু নকশালবাড়ির পথে ফিরে যাননি। ওই পথ সঠিক ছিল না, এমন কথাও তিনি বলেছেন বলে শোনা যায়। এমনকি সিপিএমের নির্বাচনী রাজনীতিকেও তিনি ক্রমশ সমর্থন দান করেন—এমন দাবিও কারও কারও মুখে শোনা গেছে।
চারু মজুমদার বা কানু সান্যাল কেউ না থাকলেও মাত্র আড়াই-তিন দশকের ব্যবধানে সেই নকশালবাড়ি আন্দোলন, সেই জ্বালাও পোড়াও খতম কর—আবার চাড়া দিয়ে উঠেছে। তার কারণ সেই আন্দোলনের মূল যৌক্তিক ভিত্তি এখনো অটুট। নকশালবাড়ির পথটা হয়তো ভুল ছিল, কিন্তু তার লক্ষ্য পুরোপুরি ভুল ছিল বলে মনে হয় না। সামন্তবাদী অর্থনীতির কোপানল ভারতের সব প্রান্তিক শ্রেণীর মানুষই কমবেশি ভোগ করে, কিন্তু আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষের ক্ষেত্রে এই বৈষম্য ও নিবর্তন একটি পাকাপোক্ত ব্যবস্থা। সে ব্যবস্থায় বিন্দুমাত্র আঁচড় লাগেনি। বস্তুত, অসাম্য ও সামন্ত শ্রেণীর নিবর্তন গত ৩০ বছরে ভারতের কোথাও কমেনি বরং বেড়েছে। ভারত এখন একটি আঞ্চলিক পরাশক্তি, তার অর্থনীতি দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে সবল। কিন্তু শহরভিত্তিক এই অর্থনৈতিক প্রশাসন থেকে লাভ হয়েছে এমন মানুষের সংখ্যা খুবই কম। বড় বড় রাস্তাঘাট কোঠাবাড়ির অভাব হয়তো নেই, ঝাঁ-চকচকে মোটরগাড়িও সর্বত্র। কিন্তু গ্রামাঞ্চলে কৃষকদের মন্দ ভাগ্য সামান্যই বদলেছে। একদিকে কৃষিপণ্যের দাম ক্রমাগত নিম্নমুখী, অন্যদিকে কৃষিক্ষেত্রে ক্রমাগত ব্যয়বৃদ্ধি। ফলে কৃষকদের অনেকেই ঋণের বোঝা নিয়ে কোণঠাসা। ১৯৯৭ থেকে এ পর্যন্ত ঋণের বোঝা থেকে মুক্তি পেতে ভারতে আত্মহৎযা করেছে এমন কৃষকের সংখ্যা দুই লাখেরও বেশি।
মনমোহন সিংয়ের কেন্দ্রীয় সরকার কৃষকদের কল্যাণে আগ্রহী। এ ব্যাপারে তাঁর দায়বদ্ধতাও হয়তো আছে। কিন্তু সত্যি কথাটা হলো, এই মনমোহন সিংয়ের নেতৃত্বে যে খোলাবাজার অর্থনীতিকে ভারত জড়িয়ে ধরেছে, তার ফলে লাভ হয়েছে তাদের, যাদের আঙুল আগে থেকেই ফুলে ঢোল। গত ২০ বছরে সেই আঙুল এখন কলাগাছ হওয়ার দশা হয়েছে। ভারতের প্রবৃদ্ধি বছরে গড়ে ৭ শতাংশ। এক দশকজুড়েই ভারত এই হার ধরে রাখতে পেরেছে। একমাত্র চীনের সঙ্গে তুলনা চলে এই অভাবনীয় সমৃদ্ধির। অথচ তার পরও ভারতের এক-তৃতীয়াংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে। ভারতে শিল্পের বিস্তর উন্নতি হয়েছে, অথচ দেশের মোট জনসংখ্যার ৬০ শতাংশ এখনো কৃষি খাতে কর্মরত। সবাই এ কথা মানেন, সরকারের সদিচ্ছা সত্ত্বেও ভারতের কৃষি খাত মোটেও এগোয়নি। গ্রামাঞ্চলে, যেখানে অধিকাংশ কৃষিজীবীর বাস, এখনো অধিকাংশ নাগরিকের সুযোগ-সুবিধা নেই। পর্যাপ্ত স্কুল নেই, ফলে দেশের প্রায় অর্ধেক মানুষ নিরক্ষর বা প্রায়-নিরক্ষর। পর্যাপ্ত ভালো ডাক্তারখানা নেই, প্রযুক্তির যত্নের ব্যবস্থা নেই, ফলে শিশুমৃত্যুর হার অস্বাভাবিক রকম বেশি। প্রায় আট কোটি গ্রামীণ মানুষের ঘরে বিদ্যুৎ নেই, সুপেয় জল নেই।
এমন দেশে নিরুপায় অভাবী মানুষ হয় দড়ির ফাঁস পরায় নিজের গলায়, অথবা ছুরি তুলে নেয় ক্ষমতাবান শাসকের বিরুদ্ধে।
সোজা কথায়, নকশালবাড়ির মতো আরেক আন্দোলনের জন্য ভারত প্রস্তুত। সে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, মাওবাদী বিদ্রোহ ঠেকাতে তাঁর সরকার সব রকম ব্যবস্থা নেবে। সব ব্যবস্থা নেওয়া মানে হয় সেনা মোতায়েন, নয়তো পুলিশি চৌকির ব্যবস্থা। দিল্লি ঘোষণা করেছে তারা বিদ্রোহ ঠেকাতে ৫০ হাজার আধাসামরিক সেনা নামাবে। কিন্তু এ করে যে গ্যাংগ্রিন ঠেকাতে বড়জোর ব্যান্ডেজ লাগানো হবে, সমস্যার সমাধান হবে না, এ কথা আক্কেলমন্দ মাত্রই জানে। ভারতের প্রতিবেশী নেপালে মাওবাদী আন্দোলন ওই নকশালবাড়ির কায়দায় বছরের পর বছর লড়াই করে শেষ পর্যন্ত জয়ী হয়েছে। অল্প সময়ের জন্য তারা ক্ষমতাও দখল করেছিল। নেপালের মাওবাদীরা ভারতের পূর্বাঞ্চলের মাওবাদীদের সঙ্গে পুরোনো বন্ধুত্বে আবদ্ধ, নতুন বিদ্রোহে তারা মদদ দেবে সে তো জানা কথা। অনেকের ধারণা, হিমালয়ের ওপারে বসে চীন কেবল তাকিয়ে তাকিয়ে এসব ঘটনা দেখবে, আর কিছু করবে না, তাও মনে হয় না। এশিয়ায় তাদের অর্থনৈতিক ও সামরিক আধিপত্যে একমাত্র চ্যালেঞ্জ করার ক্ষমতা রয়েছে এই ভারতের। সেই ভারতকে তার নিজ ঘরের বিভীষণ দিয়েই ঘায়েল করা যায়, সে কথা জেনেও চীন হাত গুটিয়ে বসে থাকবে, তা বিশ্বাস করা কিছুটা কঠিন বইকি!
নকশালবাড়ি ফের জেগে উঠেছে, এ কথা কানু সান্যাল জানতেন। কিন্তু জ্বালাও পোড়াওয়ের যে পথে মাওবাদীরা এগোচ্ছে, তাতে তার সায় ছিল না। সামান্য মতভেদের কারণে নকশালপন্থীদের হাতে সহযোদ্ধা নিহত হয়েছে। সহযোগিতা করতে অস্বীকার করলে সাধারণ গ্রামবাসীও তাদের আক্রোশ থেকে নিস্তার পায়নি। প্রধানত গ্রামের গরিব-নিঃস্বদের কাছ থেকে জোর করে চাঁদা তুলেই নকশালপন্থী আন্দোলন টিকে আছে। ভারত সরকারের হিসাব অনুসারে, অস্ত্রের জোরে প্রতিবছর ১৪০ কোটি টাকা তুলছে এই মাওবাদীরা। আমরা শুনেছি, কানু সান্যালের এসবের কিছুতেই সম্মতি ছিল না। সম্ভবত তাঁর মনোভঙ্গের সেটাই আসল কারণ। তিনি আত্মহৎযা করেছেন, এ কথা অসম্ভব দাবি করে তাঁর একসময়ের সহকর্মী আজিজুল হক বলেছেন, ‘আত্মহৎযা নয়, আসলে আমরাই কানুদাকে মেরে ফেলেছি।’
এ কথার অর্থ, নকশালপন্থীদের হাতে আরও একটি জীবন গেল। আরও কত জীবন যাবে, তার হিসাব কে দেবে!
১৩ এপ্রিল ২০১০, নিউইয়র্ক
হাসান ফেরদৌস: প্রাবন্ধিক ও কলাম লেখক।

No comments

Powered by Blogger.