পেশিশক্তি প্রদর্শনের ফল কারও জন্য ভালো হবে না-ভোলা উপনির্বাচন
২৪ এপ্রিল অনুষ্ঠেয় ভোলা উপনির্বাচন নিয়ে জাতীয় রাজনীতি উত্তপ্ত হওয়া যেমন অস্বাভাবিক, তেমনি অনাকাঙ্ক্ষিত। কোনো আসন শূন্য হলে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করা বাধ্যতামূলক। উচ্চ আদালতে বিজয়ী প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করায় সেখানে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
বর্তমান সরকারের আমলে এর আগেও কয়েকটি আসনে উপনির্বাচন হয়ে গেছে, যেগুলো নিয়ে এভাবে আলোচনার ঝড় বয়ে যায়নি।
কিন্তু ভোলা-৩ আসনের উপনির্বাচনের তারিখ যতই এগিয়ে আসছে, নেতাদের বাগিবতণ্ডার পাশাপাশি প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘাত-সংঘর্ষের ঘটনা বাড়ছে। ভারী হচ্ছে পাল্টাপাল্টি অভিযোগের পাল্লাও। নির্বাচনী ফল নিজেদের পক্ষে নিয়ে যাওয়ার জন্য সরকার স্থানীয় প্রশাসনকে কাজে লাগাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের দাবি, বিরোধী দল নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে।
দুই দলই নির্বাচনকে নিয়েছে মর্যাদার লড়াই হিসেবে। গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জয়ী হয়েছিলেন, অন্যদিকে বিএনপির প্রার্থী আগে বেশ কটি নির্বাচনে জিতেছেন। কোনো আসনের নির্বাচনকে মর্যাদার লড়াই হিসেবে দেখা অন্যায় কিছু নয়। কিন্তু প্রতিপক্ষকে নির্বাচনী প্রচারে বাধা দেওয়া কিংবা জোরজবরদস্তি অত্যন্ত গর্হিত কাজ। ভোলার উপনির্বাচনে প্রচার নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে যে অসুস্থ প্রতিযোগিতা চলছে, তা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নিলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। পেশিশক্তির প্রদর্শন শুধু অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের অন্তরায় নয়, গণতন্ত্রের জন্যও বড় বাধা। নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। নির্বাচনের সময় স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে তাদের হুকুম তামিল করতে হবে। ইতিমধ্যে দুজন পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে যা যা প্রয়োজন, আশা করি নির্বাচন কমিশন তা করতে দ্বিধা করবে না। নির্বাচনের সময় সেখানে সেনা মোতায়েন করা না-করা নিয়েও বিতর্ক উঠেছে।
বিরোধী দল সেনা মোতায়েনের দাবি করলেও নির্বাচন কমিশন বলেছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় তার প্রয়োজন নেই। ইতিমধ্যে সেখানে পুলিশের পাশাপাশি র্যাব মোতায়েন করা হয়েছে। নির্বাচনের এখনো কয়েক দিন বাকি। পরিস্থিতি বিবেচনা করেই নির্বাচন কমিশনকে পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে হবে। জয়-পরাজয় ভোটারদের হাতে ছেড়ে দেওয়াই শ্রেয়।
নির্বাচন কমিশন, সরকার ও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সবার দায়িত্ব নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করা, যাতে ভোটাররা নির্বিঘ্নে ও নির্ভয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন। ইতিমধ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, জোরজবরদস্তিভাবে কেউ ফল নিজের পক্ষে নিলে নির্বাচন বাতিল করা হবে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বা তাঁদের সমর্থকেরা এই হুঁশিয়ারি আমলে নিলে নির্বাচন কমিশনকে সেই কঠিন ও অনাকাঙ্ক্ষিত সিদ্ধান্ত নিতে হবে না। ভোলা-৩ আসনের নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হোক, সেটাই প্রত্যাশিত।
কিন্তু ভোলা-৩ আসনের উপনির্বাচনের তারিখ যতই এগিয়ে আসছে, নেতাদের বাগিবতণ্ডার পাশাপাশি প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘাত-সংঘর্ষের ঘটনা বাড়ছে। ভারী হচ্ছে পাল্টাপাল্টি অভিযোগের পাল্লাও। নির্বাচনী ফল নিজেদের পক্ষে নিয়ে যাওয়ার জন্য সরকার স্থানীয় প্রশাসনকে কাজে লাগাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের দাবি, বিরোধী দল নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে।
দুই দলই নির্বাচনকে নিয়েছে মর্যাদার লড়াই হিসেবে। গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জয়ী হয়েছিলেন, অন্যদিকে বিএনপির প্রার্থী আগে বেশ কটি নির্বাচনে জিতেছেন। কোনো আসনের নির্বাচনকে মর্যাদার লড়াই হিসেবে দেখা অন্যায় কিছু নয়। কিন্তু প্রতিপক্ষকে নির্বাচনী প্রচারে বাধা দেওয়া কিংবা জোরজবরদস্তি অত্যন্ত গর্হিত কাজ। ভোলার উপনির্বাচনে প্রচার নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে যে অসুস্থ প্রতিযোগিতা চলছে, তা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নিলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। পেশিশক্তির প্রদর্শন শুধু অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের অন্তরায় নয়, গণতন্ত্রের জন্যও বড় বাধা। নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। নির্বাচনের সময় স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে তাদের হুকুম তামিল করতে হবে। ইতিমধ্যে দুজন পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে যা যা প্রয়োজন, আশা করি নির্বাচন কমিশন তা করতে দ্বিধা করবে না। নির্বাচনের সময় সেখানে সেনা মোতায়েন করা না-করা নিয়েও বিতর্ক উঠেছে।
বিরোধী দল সেনা মোতায়েনের দাবি করলেও নির্বাচন কমিশন বলেছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় তার প্রয়োজন নেই। ইতিমধ্যে সেখানে পুলিশের পাশাপাশি র্যাব মোতায়েন করা হয়েছে। নির্বাচনের এখনো কয়েক দিন বাকি। পরিস্থিতি বিবেচনা করেই নির্বাচন কমিশনকে পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে হবে। জয়-পরাজয় ভোটারদের হাতে ছেড়ে দেওয়াই শ্রেয়।
নির্বাচন কমিশন, সরকার ও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সবার দায়িত্ব নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করা, যাতে ভোটাররা নির্বিঘ্নে ও নির্ভয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন। ইতিমধ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, জোরজবরদস্তিভাবে কেউ ফল নিজের পক্ষে নিলে নির্বাচন বাতিল করা হবে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বা তাঁদের সমর্থকেরা এই হুঁশিয়ারি আমলে নিলে নির্বাচন কমিশনকে সেই কঠিন ও অনাকাঙ্ক্ষিত সিদ্ধান্ত নিতে হবে না। ভোলা-৩ আসনের নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হোক, সেটাই প্রত্যাশিত।
No comments