বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ২০ মে গণ-অনশন-কড়া নিরাপত্তার মধ্যে ঢিলেঢালা হরতাল
বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের ডাকা গতকাল সকাল-সন্ধ্যা হরতাল দলের এক কেন্দ্রীয় নেতাকে গ্রেপ্তার, কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ছাড়া মোটামুটি শান্তিপূর্ণভাবে পালিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার হরতাল চলাকালে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা খায়রুল কবির খোকনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
সকাল থেকে রাজধানীর সড়কগুলোর নিয়ন্ত্রণ নেন পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। এ অবস্থায় হরতাল-সমর্থকেরা খুব একটা পিকেটিং করতে পারেনি। তবে হরতালের সমর্থনে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় একাধিক মিছিল হয়েছে। এসব মিছিল থেকে ২০ জনকে আটক করে পুলিশ।
কারাগারে আটক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ জোটের ৩৩ জন নেতার মুক্তির দাবিতে ১৮ দলীয় জোট এই হরতাল আহ্বান করে। ২৯ এপ্রিল রাতে গাড়ি পোড়ানোর মামলায় আদালতের নির্দেশে এসব নেতাকে বুধবার কারাগারে পাঠানো হয়।
সকাল সোয়া নয়টার দিকে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে হরতালের সমর্থনে মিছিল করার চেষ্টা করলে পুলিশ দলের শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক খায়রুল কবিরকে গ্রেপ্তার করে। এরপর তাঁকে আগের একটি হরতালে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ। ২২ মে রিমান্ড শুনানির তারিখ ধার্য করে তাঁকে কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। খায়রুল কবিরকে গ্রেপ্তারের সময় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মিজানুর রহমান মিনু পুলিশের হাতে লাঞ্ছিত হন। তাঁর পাঞ্জাবি ছিঁড়ে যায়।
গতকাল বৃহস্পতিবার হরতাল শেষে রাতে চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে ১৮ দলীয় জোটের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় জোট নতুন কোনো কর্মসূচি ঘোষণা করেনি। পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ২০ মে রোববার রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে গণ-অনশন কর্মসূচি পালন করা হবে। এ ছাড়া ২৩ মে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর স্মারকলিপি প্রদান এবং ২৭ মে সারা দেশে বিক্ষোভ সমাবেশ করবে ১৮ দলীয় জোট।
দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের বলেন, যেখানে জায়গা পাওয়া যায়, সেখানেই গণ-অনশন কর্মসূচি পালন করা হবে। কোথাও জায়গা না পেলে দলীয় কার্যালয়ের সামনে পালন করা হবে ওই কর্মসূচি।
পুলিশ বরাবরের মতো গতকালও বিএনপির কার্যালয় ঘেরাও করে রেখেছিল। আশপাশের এলাকায়ও বিপুলসংখ্যক পুলিশ ও র্যাব মোতায়েন করা হয়। গতকাল বিএনপিদলীয় সাংসদেরা সংসদ ভবন এলাকায় অবস্থান না নিয়ে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অবস্থান নিয়েছিলেন।
গতকাল সকাল থেকেই দলীয় কার্যালয়ে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক, বরকত উল্লাসহ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা। বিএনপির নেতারা কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ তাঁদের বাধা দেয়। পরে তাঁরা কার্যালয়ের ভেতরেই অবস্থান নেন। কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে চারজনকে আটক করে পুলিশ।
মিরপুর সরকারি বাঙলা কলেজের সামনে সকালে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা বিআরটিসির একটি বাস ভাঙচুরের চেষ্টা চালান। এ সময় পুলিশ তাঁদের ধাওয়া দিয়ে লাঠিপেটা করে। এতে কলেজ ছাত্রদল শাখার সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আবু হাসানসহ তিনজন আহত হন।
হরতালের মধ্যেও রাজধানীর সড়কগুলোতে কিছু যাত্রীবাহী বাস ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলতে দেখা গেছে। তবে আন্তজেলা বাস টার্মিনালগুলো থেকে দূরপাল্লার কোনো বাস ছাড়েনি। ট্রেন ও বিমান চলাচল স্বাভাবিক ছিল।
মিরপুরে জার্মান টেকনিক্যাল সেন্টারের কাছে সকাল সাতটায় পর পর পাঁচটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। এতে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খিলগাঁও রেলক্রসিয়ের কাছে বিএনপির কর্মীরা অতর্কিতে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও কয়েকটি ইজিবাইকে ইটপাটকেল ছুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করেন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মহাখালী এলাকায় ছাত্রদলের ১০-১২ জন নেতা-কর্মী একটি মিছিল বের করলেও কয়েক মিনিট পরই পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তাঁরা পালিয়ে যান। মতিঝিলে হরতাল-সমর্থকেরা একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ভাঙচুর করে।
বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতাল শেষে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের বলেছেন, যাঁরা নব্বইয়ে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন করেছেন, তাঁরা এখন কারাবন্দী। আর যাঁরা স্বৈরাচার, তাঁরা রয়েছেন জেলের বাইরে। এ সময় দলের পক্ষ থেকে নতুন কোনো কর্মসূচি দেওয়া হয়নি। ব্রিফিংয়ে আরও জানানো হয়, কাল শনিবার বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা প্রতীকী অনশন করবেন। জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজার সড়কের সামনে ইলিয়াস আলীকে ফেরত দেওয়ার দাবিতে এই অনশন করা হবে।
হরতালের সমর্থনে জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবির গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মিছিল করেছে। এ সময় পুলিশ শিবিরের কর্মী সন্দেহে ১৩ জনকে আটক করে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল সাতটায় কাজলার পাড় থেকে একটি মিছিল বের করে যাত্রাবাড়ী মোড় পর্যন্ত এলে পুলিশ ধাওয়া দিয়ে তা ছত্রভঙ্গ করে দেয়। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ শিবিরের কর্মী সন্দেহে নয়জনকে আটক করে। সকাল ছয়টায় খিলগাঁও এলাকার তালতলা মার্কেটের কাছ থেকে শিবির আরেকটি মিছিল বের করলে পুলিশ চারজনকে আটক করে। রাজধানীর গ্রিন রোড ও মিরপুরের সনি সিনেমা হলের কাছ থেকেও শিবির মিছিল বের করে।
দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শমরিতা হাসপাতালের দিক থেকে হরতাল-সমর্থকদের একটি মিছিল বের হয়। গ্রিন রোড-পান্থপথের মোড়ে এসে মিছিল থেকে রাস্তায় চলাচলকারী স্কুটারের ওপর ইটপাটকেল ছোড়া হয়। মিছিলকারীরা একপর্যায়ে মোড়ে কর্তব্যরত পুলিশের ওপর ইটের টুকরো নিক্ষেপ করতে থাকে। তারা পুলিশের এক সদস্যের বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট টেনেহিচঁড়ে নিয়ে যায়।
খবর পেয়ে কিছুক্ষণ পর অতিরিক্ত পুলিশ ও ছাত্রলীগের ২০-৩০ জনের একটি দল সেখানে আসে। ছাত্রলীগের কর্মীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে পুলিশের সহযোগিতায় হরতাল-সমর্থকদের ধাওয়া দেন। তাঁরা এ সময় এক যুবককে ধরে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন। পরে তাঁরা হরতালবিরোধী মিছিল করেন।
‘আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নিত করলেও ব্যবস্থা’: স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু বলেছেন, সরকারের কাজ জনস্বার্থ রক্ষা করা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সেই দায়িত্ব পালন করছে। এটা হার্ড লাইন বা নরম লাইনের বিষয় নয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন। বিএনপিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, যারাই আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নিত করবে, তাদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে হরতালে কাউকে অহেতুক বাধা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেই। হরতালে পুলিশের কঠোর অবস্থান সম্পর্কে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, অপরাধীকে চাপে রাখার জন্য এটা করা হয়েছে।
বিএনপির কারাবন্দী নেতাদের সম্পর্কে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এঁরা হলো হুকুমের আসামি। এঁদের হুকুম ছাড়া দলের কর্মীরা এ রকম অরাজক কাজ করতে পারে না। এর দায় তাঁদের নিতে হবে।
কারাগারে আটক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ জোটের ৩৩ জন নেতার মুক্তির দাবিতে ১৮ দলীয় জোট এই হরতাল আহ্বান করে। ২৯ এপ্রিল রাতে গাড়ি পোড়ানোর মামলায় আদালতের নির্দেশে এসব নেতাকে বুধবার কারাগারে পাঠানো হয়।
সকাল সোয়া নয়টার দিকে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে হরতালের সমর্থনে মিছিল করার চেষ্টা করলে পুলিশ দলের শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক খায়রুল কবিরকে গ্রেপ্তার করে। এরপর তাঁকে আগের একটি হরতালে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ। ২২ মে রিমান্ড শুনানির তারিখ ধার্য করে তাঁকে কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। খায়রুল কবিরকে গ্রেপ্তারের সময় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মিজানুর রহমান মিনু পুলিশের হাতে লাঞ্ছিত হন। তাঁর পাঞ্জাবি ছিঁড়ে যায়।
গতকাল বৃহস্পতিবার হরতাল শেষে রাতে চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে ১৮ দলীয় জোটের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় জোট নতুন কোনো কর্মসূচি ঘোষণা করেনি। পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ২০ মে রোববার রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে গণ-অনশন কর্মসূচি পালন করা হবে। এ ছাড়া ২৩ মে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর স্মারকলিপি প্রদান এবং ২৭ মে সারা দেশে বিক্ষোভ সমাবেশ করবে ১৮ দলীয় জোট।
দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের বলেন, যেখানে জায়গা পাওয়া যায়, সেখানেই গণ-অনশন কর্মসূচি পালন করা হবে। কোথাও জায়গা না পেলে দলীয় কার্যালয়ের সামনে পালন করা হবে ওই কর্মসূচি।
পুলিশ বরাবরের মতো গতকালও বিএনপির কার্যালয় ঘেরাও করে রেখেছিল। আশপাশের এলাকায়ও বিপুলসংখ্যক পুলিশ ও র্যাব মোতায়েন করা হয়। গতকাল বিএনপিদলীয় সাংসদেরা সংসদ ভবন এলাকায় অবস্থান না নিয়ে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অবস্থান নিয়েছিলেন।
গতকাল সকাল থেকেই দলীয় কার্যালয়ে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক, বরকত উল্লাসহ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা। বিএনপির নেতারা কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ তাঁদের বাধা দেয়। পরে তাঁরা কার্যালয়ের ভেতরেই অবস্থান নেন। কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে চারজনকে আটক করে পুলিশ।
মিরপুর সরকারি বাঙলা কলেজের সামনে সকালে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা বিআরটিসির একটি বাস ভাঙচুরের চেষ্টা চালান। এ সময় পুলিশ তাঁদের ধাওয়া দিয়ে লাঠিপেটা করে। এতে কলেজ ছাত্রদল শাখার সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আবু হাসানসহ তিনজন আহত হন।
হরতালের মধ্যেও রাজধানীর সড়কগুলোতে কিছু যাত্রীবাহী বাস ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলতে দেখা গেছে। তবে আন্তজেলা বাস টার্মিনালগুলো থেকে দূরপাল্লার কোনো বাস ছাড়েনি। ট্রেন ও বিমান চলাচল স্বাভাবিক ছিল।
মিরপুরে জার্মান টেকনিক্যাল সেন্টারের কাছে সকাল সাতটায় পর পর পাঁচটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। এতে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খিলগাঁও রেলক্রসিয়ের কাছে বিএনপির কর্মীরা অতর্কিতে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও কয়েকটি ইজিবাইকে ইটপাটকেল ছুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করেন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মহাখালী এলাকায় ছাত্রদলের ১০-১২ জন নেতা-কর্মী একটি মিছিল বের করলেও কয়েক মিনিট পরই পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তাঁরা পালিয়ে যান। মতিঝিলে হরতাল-সমর্থকেরা একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ভাঙচুর করে।
বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতাল শেষে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের বলেছেন, যাঁরা নব্বইয়ে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন করেছেন, তাঁরা এখন কারাবন্দী। আর যাঁরা স্বৈরাচার, তাঁরা রয়েছেন জেলের বাইরে। এ সময় দলের পক্ষ থেকে নতুন কোনো কর্মসূচি দেওয়া হয়নি। ব্রিফিংয়ে আরও জানানো হয়, কাল শনিবার বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা প্রতীকী অনশন করবেন। জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজার সড়কের সামনে ইলিয়াস আলীকে ফেরত দেওয়ার দাবিতে এই অনশন করা হবে।
হরতালের সমর্থনে জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবির গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মিছিল করেছে। এ সময় পুলিশ শিবিরের কর্মী সন্দেহে ১৩ জনকে আটক করে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল সাতটায় কাজলার পাড় থেকে একটি মিছিল বের করে যাত্রাবাড়ী মোড় পর্যন্ত এলে পুলিশ ধাওয়া দিয়ে তা ছত্রভঙ্গ করে দেয়। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ শিবিরের কর্মী সন্দেহে নয়জনকে আটক করে। সকাল ছয়টায় খিলগাঁও এলাকার তালতলা মার্কেটের কাছ থেকে শিবির আরেকটি মিছিল বের করলে পুলিশ চারজনকে আটক করে। রাজধানীর গ্রিন রোড ও মিরপুরের সনি সিনেমা হলের কাছ থেকেও শিবির মিছিল বের করে।
দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শমরিতা হাসপাতালের দিক থেকে হরতাল-সমর্থকদের একটি মিছিল বের হয়। গ্রিন রোড-পান্থপথের মোড়ে এসে মিছিল থেকে রাস্তায় চলাচলকারী স্কুটারের ওপর ইটপাটকেল ছোড়া হয়। মিছিলকারীরা একপর্যায়ে মোড়ে কর্তব্যরত পুলিশের ওপর ইটের টুকরো নিক্ষেপ করতে থাকে। তারা পুলিশের এক সদস্যের বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট টেনেহিচঁড়ে নিয়ে যায়।
খবর পেয়ে কিছুক্ষণ পর অতিরিক্ত পুলিশ ও ছাত্রলীগের ২০-৩০ জনের একটি দল সেখানে আসে। ছাত্রলীগের কর্মীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে পুলিশের সহযোগিতায় হরতাল-সমর্থকদের ধাওয়া দেন। তাঁরা এ সময় এক যুবককে ধরে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন। পরে তাঁরা হরতালবিরোধী মিছিল করেন।
‘আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নিত করলেও ব্যবস্থা’: স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু বলেছেন, সরকারের কাজ জনস্বার্থ রক্ষা করা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সেই দায়িত্ব পালন করছে। এটা হার্ড লাইন বা নরম লাইনের বিষয় নয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন। বিএনপিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, যারাই আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নিত করবে, তাদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে হরতালে কাউকে অহেতুক বাধা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেই। হরতালে পুলিশের কঠোর অবস্থান সম্পর্কে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, অপরাধীকে চাপে রাখার জন্য এটা করা হয়েছে।
বিএনপির কারাবন্দী নেতাদের সম্পর্কে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এঁরা হলো হুকুমের আসামি। এঁদের হুকুম ছাড়া দলের কর্মীরা এ রকম অরাজক কাজ করতে পারে না। এর দায় তাঁদের নিতে হবে।
No comments