এই মুহূর্তে পাকিস্তানে-জাতিসংঘ প্রতিবেদন কি থলের বেড়াল বের করবে? by মাহফুজার রহমান
জঙ্গি হামলায় নিহত পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টো হঠাৎ করেই আবার খবরের শিরোনাম হলেন। তাঁর হত্যাকাণ্ডের তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে দেশটির রাজনীতিতে ছোটখাটো একটি আলোড়ন তুলেছে জাতিসংঘ তদন্ত কমিশন।
জাতিসংঘের প্রতিবেদনে তখনকার পারভেজ মোশাররফ সরকারের সমালোচনা করে বলা হয়, প্রয়োজনীয় নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হলে এই হত্যাকাণ্ড এড়ানো যেত। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অগোচরে এ ঘটনা ঘটেনি।
প্রতিবেদনের বিষয়বস্তু পাকিস্তানের জনগণ বা বেনজিরের দল পিপিপিকে অবাক করেনি। কেননা সবার ধারণা মোটামুটি এমনই ছিল। অনেকেরই বিশ্বাস, দেশটির সত্যিকার ক্ষমতাধরেরা চান না বেনজির হত্যাকাণ্ডের আসল তথ্য বেরিয়ে আসুক। আর পিপিপি তো হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই এর পেছনে সেনাশাসক মোশাররফের হাত আছে বলে অভিযোগ করে আসছিল।
বেনজিরের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত অনেকেরই নাম প্রতিবেদনে এসেছে, হামলার সময় যাদের ভূমিকা ছিল প্রশ্নবিদ্ধ।
প্রতিবেদন প্রকাশের এক দিন পর প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি ও প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানির উপস্থিতিতে পিপিপির শীর্ষনেতারা এক সভায় মিলিত হন। এতে প্রতিবেদনের আলোকে জেনারেল মোশাররফসহ সংশ্লিষ্ট সবার বিরুদ্ধে ‘সঠিক আইনি ব্যবস্থা’ গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতেই সভার এক দিন পর বরখাস্ত হন পুলিশসহ সাত কর্মকর্তা। একজনের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করা হয়।
জাতিসংঘ প্রতিবেদনে হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী, মূল পরিকল্পনাকারী ও অর্থ জোগানদাতাদের চিহ্নিত করতে নতুন করে তদন্তের সুপারিশ করা হয়েছে। এ ছাড়া হত্যাকাণ্ডের তদন্ত ভিন্ন খাতে নিতে পুলিশকে প্রভাবিত করার অভিযোগ তুলে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর কঠোর সমালোচনা করা হয়। সমালোচিত হয় পিপিপির কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় নেতার ভূমিকাও।
স্বাভাবিকভাবেই প্রতিবেদনে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন প্রেসিডেন্ট ও বেনজিরের স্বামী আসিফ জারদারি। জারদারি দাবি করেছেন, জাতিসংঘের প্রতিবেদনে মোশাররফের জড়িত থাকার বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে।
তবে বেনজিরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তাঁর দল পিপিপির কথিত ব্যর্থতার বিষয়টি প্রতিবেদনে এলেও এ বিষয়ে কিছুই বলেননি জারদারি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঘটনার দিন বেনজিরকে সমাবেশস্থলে রেখে বুলেটপ্রুফ মার্সিডিজ বেঞ্জ গাড়িতে চলে যান পিপিপির নেতা ফারহাতুল্লাহ বাবর (বর্তমানে প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র), বাবর আওয়ান (বর্তমানে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী), রেহমান মালিক (বর্তমানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী) ও জেনারেল (অব.) তৌকির জিয়া। গাড়িতে করে ২০ মিনিটের পথ চলার পর তাঁরা বেনজিরের ওপর হামলার খবর পান। প্রতিবেদনে বলা হয়, বিস্ফোরণ ও গুলির ঘটনা বোঝার সঙ্গে সঙ্গেই তাঁদের গাড়ি থামিয়ে বেনজির ও তাঁর গাড়ির অবস্থা সম্পর্কে খোঁজখবর নেওয়া উচিত ছিল।
পিপিপির সভায় অংশ নেওয়া দলের তথ্যসচিব ফাওজিয়া ওয়াহাব বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে ইতিমধ্যে নতুন করে মামলা করা হয়েছে। তবে আইনজ্ঞদের মাধ্যমে জাতিসংঘের প্রতিবেদন খতিয়ে দেখার পর তাতে পরিবর্তন আনা হতে পারে। পাশাপাশি ওই সময়ে দলের যাঁরা বেনজিরের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন, তাঁদের শনাক্ত করতে একটি কমিটি গঠনেরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
পাকিস্তানের জনগণ চায় বেনজির হত্যার জন্য দায়ী সবার বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হোক। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে চিহ্নিত করা হোক এর হোতাদের। কিন্তু দায়ী সাব্যস্ত হলেও জেনারেল মোশাররফ বা পিপিপির প্রভাবশালী শীর্ষস্থানীয় নেতাদের বিরুদ্ধে কি শেষ পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নিতে পারবে পাকিস্তান সরকার? এখন সেটাই দেখার অপেক্ষা। সূত্র: দ্য ডন, বিবিসি।
প্রতিবেদনের বিষয়বস্তু পাকিস্তানের জনগণ বা বেনজিরের দল পিপিপিকে অবাক করেনি। কেননা সবার ধারণা মোটামুটি এমনই ছিল। অনেকেরই বিশ্বাস, দেশটির সত্যিকার ক্ষমতাধরেরা চান না বেনজির হত্যাকাণ্ডের আসল তথ্য বেরিয়ে আসুক। আর পিপিপি তো হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই এর পেছনে সেনাশাসক মোশাররফের হাত আছে বলে অভিযোগ করে আসছিল।
বেনজিরের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত অনেকেরই নাম প্রতিবেদনে এসেছে, হামলার সময় যাদের ভূমিকা ছিল প্রশ্নবিদ্ধ।
প্রতিবেদন প্রকাশের এক দিন পর প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি ও প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানির উপস্থিতিতে পিপিপির শীর্ষনেতারা এক সভায় মিলিত হন। এতে প্রতিবেদনের আলোকে জেনারেল মোশাররফসহ সংশ্লিষ্ট সবার বিরুদ্ধে ‘সঠিক আইনি ব্যবস্থা’ গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতেই সভার এক দিন পর বরখাস্ত হন পুলিশসহ সাত কর্মকর্তা। একজনের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করা হয়।
জাতিসংঘ প্রতিবেদনে হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী, মূল পরিকল্পনাকারী ও অর্থ জোগানদাতাদের চিহ্নিত করতে নতুন করে তদন্তের সুপারিশ করা হয়েছে। এ ছাড়া হত্যাকাণ্ডের তদন্ত ভিন্ন খাতে নিতে পুলিশকে প্রভাবিত করার অভিযোগ তুলে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর কঠোর সমালোচনা করা হয়। সমালোচিত হয় পিপিপির কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় নেতার ভূমিকাও।
স্বাভাবিকভাবেই প্রতিবেদনে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন প্রেসিডেন্ট ও বেনজিরের স্বামী আসিফ জারদারি। জারদারি দাবি করেছেন, জাতিসংঘের প্রতিবেদনে মোশাররফের জড়িত থাকার বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে।
তবে বেনজিরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তাঁর দল পিপিপির কথিত ব্যর্থতার বিষয়টি প্রতিবেদনে এলেও এ বিষয়ে কিছুই বলেননি জারদারি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঘটনার দিন বেনজিরকে সমাবেশস্থলে রেখে বুলেটপ্রুফ মার্সিডিজ বেঞ্জ গাড়িতে চলে যান পিপিপির নেতা ফারহাতুল্লাহ বাবর (বর্তমানে প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র), বাবর আওয়ান (বর্তমানে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী), রেহমান মালিক (বর্তমানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী) ও জেনারেল (অব.) তৌকির জিয়া। গাড়িতে করে ২০ মিনিটের পথ চলার পর তাঁরা বেনজিরের ওপর হামলার খবর পান। প্রতিবেদনে বলা হয়, বিস্ফোরণ ও গুলির ঘটনা বোঝার সঙ্গে সঙ্গেই তাঁদের গাড়ি থামিয়ে বেনজির ও তাঁর গাড়ির অবস্থা সম্পর্কে খোঁজখবর নেওয়া উচিত ছিল।
পিপিপির সভায় অংশ নেওয়া দলের তথ্যসচিব ফাওজিয়া ওয়াহাব বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে ইতিমধ্যে নতুন করে মামলা করা হয়েছে। তবে আইনজ্ঞদের মাধ্যমে জাতিসংঘের প্রতিবেদন খতিয়ে দেখার পর তাতে পরিবর্তন আনা হতে পারে। পাশাপাশি ওই সময়ে দলের যাঁরা বেনজিরের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন, তাঁদের শনাক্ত করতে একটি কমিটি গঠনেরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
পাকিস্তানের জনগণ চায় বেনজির হত্যার জন্য দায়ী সবার বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হোক। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে চিহ্নিত করা হোক এর হোতাদের। কিন্তু দায়ী সাব্যস্ত হলেও জেনারেল মোশাররফ বা পিপিপির প্রভাবশালী শীর্ষস্থানীয় নেতাদের বিরুদ্ধে কি শেষ পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নিতে পারবে পাকিস্তান সরকার? এখন সেটাই দেখার অপেক্ষা। সূত্র: দ্য ডন, বিবিসি।
No comments