বেসরকারি প্রাথমিকের শিক্ষকরা আবার আন্দোলনে
চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষকরা গত বুধবার রাতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী আফসারুল আমিনের আশ্বাসে কর্মসূচি স্থগিত ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু এই ঘোষণার ২৪ ঘণ্টা পার হওয়ার আগেই নতুন কর্মসূচি দিয়েছে বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক ঐক্য পরিষদ।
গতকাল বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি শেষে সংগঠনের নেতারা আগামী ৩১ মের মধ্যে চাকরি স্থায়ী করা না হলে ১৬ জুন থেকে স্কুলে তালা ঝুলিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট ডাকা হবে বলে সরকারকে 'আলটিমেটাম' দিয়েছেন। এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো স্কুলে তালা ঝোলানোর কর্মসূচি দিলেন প্রাথমিকের শিক্ষকরা। এর আগে গত ১৫ ও ১৬ জানুয়ারি দেশের সব বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে ধর্মঘট পালন করেন শিক্ষকরা। এ ছাড়া ১৭ থেকে ১৯ জানুয়ারি পালন করেন কর্মবিরতি।
বাংলাদেশ বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক ঐক্য পরিষদের কো-চেয়ারম্যান শেখ আবদুস সালাম মিয়া কালের কণ্ঠকে বলেন, সব শিক্ষকের সমর্থন নিয়েই নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। ৩১ মের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে আমাদের দাবি মেনে নেওয়া না হলে ১৬ জুন থেকে দেশের সব বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হবে। গত বুধবার মন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার পর আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দেওয়ার পর গতকাল নতুন কর্মসূচি দেওয়ার বিষয়ে এই শিক্ষক নেতা বলেন, সাধারণ শিক্ষকদের আপত্তির মুখে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করতে হয়েছে। তিনি বলেন, বেসরকারি বিদ্যালয়ে প্রায় ৫০ লাখ শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে। আন্দোলনের কারণে তাদের ক্ষতি হলে তার দায় সরকারকেই নিতে হবে।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, দেশে বর্তমানে ২৪ হাজার বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ে প্রায় ৯৬ হাজার শিক্ষক কর্মরত রয়েছেন। এই শিক্ষকরাই চাকরি জাতীয়করণের জন্য আন্দোলন করছেন। এসব বিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৫০ লাখ।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক ঐক্যপরিষদের ব্যানারে বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা চাকরি সরকারিকরণের দাবিতে গত সোমবার দ্বিতীয় দফা আন্দোলন শুরু করেন। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে পদযাত্রা করতে গিয়ে শাহবাগে পুলিশের বাধায় পড়েন তাঁরা। এ সময় পুলিশের লাঠিপেটায় আহত হন কয়েকজন শিক্ষক। তাদের মধ্যে আজিজুর রহমান নামে জামালপুরের আহত এক শিক্ষক মঙ্গলবার ঢাকা মেডিক্যালে চিকিৎসা নিয়ে রাতে বাড়ির ফেরার পর মারা যান। এরপর শিক্ষকরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান নিলে বুধবার বিকেলে আলোচনার প্রস্তাব নিয়ে সেখানে যান প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রীর একান্ত সচিব রূপন কান্তি শীল। সন্ধ্যায় সচিবালয়ে মন্ত্রীর দপ্তরে আলোচনায় বসেন আন্দোলনরত শিক্ষক নেতারা। ওই আলোচনাকে 'ফলপ্রসূ' উল্লেখ করে শিক্ষক নেতারা আন্দোলন কর্মসূচি স্থগিতের ঘোষণা দিলেও সাধারণ শিক্ষকরা তাতে আপত্তি জানান। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে তাঁরা আবার শহীদ মিনারে অবস্থান নেন।
একই দাবিতে গত ২১ থেকে ২৭ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশ, অবস্থান ধর্মঘট, অনশনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেন বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কয়েক হাজার শিক্ষক।
বাংলাদেশ বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক ঐক্য পরিষদের কো-চেয়ারম্যান শেখ আবদুস সালাম মিয়া কালের কণ্ঠকে বলেন, সব শিক্ষকের সমর্থন নিয়েই নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। ৩১ মের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে আমাদের দাবি মেনে নেওয়া না হলে ১৬ জুন থেকে দেশের সব বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হবে। গত বুধবার মন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার পর আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দেওয়ার পর গতকাল নতুন কর্মসূচি দেওয়ার বিষয়ে এই শিক্ষক নেতা বলেন, সাধারণ শিক্ষকদের আপত্তির মুখে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করতে হয়েছে। তিনি বলেন, বেসরকারি বিদ্যালয়ে প্রায় ৫০ লাখ শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে। আন্দোলনের কারণে তাদের ক্ষতি হলে তার দায় সরকারকেই নিতে হবে।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, দেশে বর্তমানে ২৪ হাজার বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ে প্রায় ৯৬ হাজার শিক্ষক কর্মরত রয়েছেন। এই শিক্ষকরাই চাকরি জাতীয়করণের জন্য আন্দোলন করছেন। এসব বিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৫০ লাখ।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক ঐক্যপরিষদের ব্যানারে বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা চাকরি সরকারিকরণের দাবিতে গত সোমবার দ্বিতীয় দফা আন্দোলন শুরু করেন। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে পদযাত্রা করতে গিয়ে শাহবাগে পুলিশের বাধায় পড়েন তাঁরা। এ সময় পুলিশের লাঠিপেটায় আহত হন কয়েকজন শিক্ষক। তাদের মধ্যে আজিজুর রহমান নামে জামালপুরের আহত এক শিক্ষক মঙ্গলবার ঢাকা মেডিক্যালে চিকিৎসা নিয়ে রাতে বাড়ির ফেরার পর মারা যান। এরপর শিক্ষকরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান নিলে বুধবার বিকেলে আলোচনার প্রস্তাব নিয়ে সেখানে যান প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রীর একান্ত সচিব রূপন কান্তি শীল। সন্ধ্যায় সচিবালয়ে মন্ত্রীর দপ্তরে আলোচনায় বসেন আন্দোলনরত শিক্ষক নেতারা। ওই আলোচনাকে 'ফলপ্রসূ' উল্লেখ করে শিক্ষক নেতারা আন্দোলন কর্মসূচি স্থগিতের ঘোষণা দিলেও সাধারণ শিক্ষকরা তাতে আপত্তি জানান। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে তাঁরা আবার শহীদ মিনারে অবস্থান নেন।
একই দাবিতে গত ২১ থেকে ২৭ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশ, অবস্থান ধর্মঘট, অনশনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেন বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কয়েক হাজার শিক্ষক।
No comments