যেহেতু কিছু করার নেই,তবে পদত্যাগ করুন by মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ
সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বর্তমানে জোট সরাকারের স্থানীয় সরকার মন্ত্রী, ক্ষমাতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও প্রধান মুখপাত্র এবং বাংলাদেশের প্রথম সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামের পুত্র। যার এত গুন, এত পরিচয়,তিনি কেন এত অসহায়? কেন তার সৌর্য বীর্যের অভাব?
সৈয়দ আশরাফ সীমান্তে ভারতীয় বিএসএফের হত্যা ও নির্যাতনের ব্যাপারে ২০শে জানুয়ারী বলেছেন, “সীমান্তে যা কিছু ঘটছে, তা নিয়ে রাষ্ট্র চিন্তিত নয়। সব কাজ ফেলে, সব কাজ ফেলে শুধু এদিকে দৃষ্টি দেয়ার প্রয়োজনীয়তা আছে বলেও সরকার মনে করে না। সীমান্তে যা কিছু ঘটছে তা বিচার যোগ্য নয়।” বাংলাদেশী যুবক হাবিবুরকে উলঙ্গ করে নির্যাতন করার ফুটেজ ভারতীয় টেলিভিশন এনডিটিভিতে প্রচার হওয়ার পরে খোদ ভারতের সুশীল সমাজ ও শক্তিশালী দৈনিক “দি হিন্দু” ভারত সরকারকে মা চাওয়ার আহবান জানিয়েছে। ভারতীয় মানবাধিকার কমিশন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের ওপর রুল জারি করেছে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা এ্যামনেষ্টি ও হিউম্যান রাইটস এ ঘটনার বিচার দাবী করেছে। যেখানে আমাদের মন্ত্রী বাহাদুর ও মাতাসীন আওয়ামীলীগের মুখপাত্র সৈয়দ আশরাফ বললেন, সীমান্তে যা ঘটছে, তা নিয়ে সরকার চিন্তিত নয়। কি বিচিত্র এদেশ!
যে কোন দেশের সীমান্তে দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতীক, স্বাধীনতার প্রতীক। আমাদের সীমান্ত অধিকার যখন লংঘিত হয়, তথাকথিত বন্ধু ভারতীয় বিএসএফের গুলিতে যখন আমাদের জনগনের মৃত্যু হয়, বিএসএফের প্রত্যো সহোযোগিতায় যখন ভারতীয়রা আমার দেশের ফসল কেটে নেয়, বাংলাদেশী ফালানীকে হত্যা করে কাঁটা তারে ঝুলিয়ে রাখে,হাবিবুরকে উলঙ্গ করে বিশেষ অংগে পেটায় তখন সরকারী দলের মুখপাত্রের মুখে “সরকার চিন্তিত নয়” এমন বক্তব্য শুনলে মনে হয় না আমরা কোন স্বাধীন রাষ্ট্রের নাগরিক। সবচেয়ে মজার বিষয় আমাদের বন্ধু ভারতের চির শত্র“ পাকিস্তান সীমান্তে ভারতীয় বিএসএফ এত মানুষ খুন করে না,বাংলাদেশ সীমান্তে যত মানুষ খুন করে গুলি করে, পাথর ছুড়ে। কারন পরিস্কার পাকিস্তান সীমান্তে ভারত একটা গুলি করলে পাকিস্তান দশটা গুলি করে এর জবাব দেয়। কিন্তু আমাদের নতজানু পররাষ্ট্রনীতি ও বন্ধুত্বের নেশায় বুদ হয়ে থাকা সরকার কোন প্রতিবাদ কিংবা প্রতিকার না করায় প্রতি সপ্তাহেই বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশী নিহত হয়। এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে পৃথিবীর সবচেয়ে সংঘাতময় ইসরাইল-প্যালেস্টাইন সীমান্তেও এত মানুষ খুন হয় না, যতটা হয় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে। তাও আবার এক তরফা।
বন্ধুত্বের জন্য আমাদের এক তরফা জীবন দান, বাঁধ দিয়ে নদী হত্যা, বিনা রাজস্বতে ট্রানজিট সুবিধা প্রদান, কত কিছুইনা করতে হচ্ছে। তার বিপরীতে আমাদের ন্যায্য হিস্যা তিস্তার পানি থেকে আমরা বঞ্চিত হবো, স্বাধীন রাষ্ট্রের,প্রতিবেশীর সম মর্যাদা পাবো না। উপরুন্ত বিএসএফের সক্রিয় সহযোগিতায় ভারতীয় ফেনসিডিল আমাদের দেশে পাচার হয়ে যুব সমাজকে ধংস করছে। সব কিছু দেখে শুনে মনে হয় লেন্দুপ দর্জির সিমলার কথা। যে স্বাধীন সিমলাকে লেন্দুপ দর্জি তুলে দিয়েছিলেন ভারতের হাতে।
সৈয়দ আশরাফ ২রা ফেব্র“য়ারী মহান সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছেন, “অ্যাকসিডেন্ট ইজ অ্যাকসিডেন্ট, সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে প্রতিবাদ করার কিছু নেই।” বিশেষজ্ঞরা মনে করেন ভালো রাস্তা,ত্র“টিমুক্ত যানবাহন, পরিতি চালক ও ট্রাফিক আইনের যথাযথ প্রয়োগ থাকলে অধিকাংশ দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব। ইলিয়াস কাঞ্চন ও তারানা হালিমের মতো তারকা খ্যাতির মানুষরা সহ সারা দেশের মানুষ প্রতিবাদ করছে তো ভালো রাস্তা, ত্র“টিহীন গাড়ী ও পরিতি চালকের জন্য। এই দাবী গুলিতো যুক্তি সংগত। তবে এগুলো বাস্তবায়ন করতে সমস্যা কোথায়? নাকি সৈয়দ আশরাফ ও বাস মালিক-শ্রমিকদের পয়সা পান তার সহকর্মী শাহজাহান খানের মতো?
সীমান্ত হত্যা বন্ধ, স্বার্বভৌমত্ব রা,দুর্ঘটনা এড়ানো কোন কিছুতেই যেহেতু সরকারের কিছু করার নেই, দেখার মত সময় নেই, তবে আল্লাহর ওয়াস্তে পদত্যাগ করুন। তবু দেশের মানুষ বুঝবে আপনার মধ্যে মানুষত্ব আছে, বিবেক আছে।
মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ
-সাধারন সম্পাদক, নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদল
-১৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর,নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন
মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ
-সাধারন সম্পাদক, নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদল
-১৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর,নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন
No comments