সাহারা-বিসিসিআই সম্পর্ক ছিল ‘একপক্ষীয় ভালোবাসা’ !
ব্যাপারটি নাকি এত দিন ছিল একপক্ষীয় ভালোবাসার মতো। সাহারা ইন্ডিয়া ও ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের মধ্যকার সম্পর্কটা নাকি ছিল একপক্ষীয় ভালোবাসা। কিন্তু সাহারার মনোভাবটি এবার বেশ কঠোর। অনেক হয়েছে আর না! অনেকটা অভিমান করেই সেই একপক্ষীয় ভালোবাসায় ইতি টানল ভারতের অন্যতম শীর্ষ এই করপোরেট প্রতিষ্ঠানটি।
সম্পর্ক বলতে ভারতীয় ক্রিকেট দলের পৃষ্ঠপোষকতা ও আইপিএলে পুনে ওয়ারিয়র্স নামের একটি ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকানা। বিসিসিআইয়ের সামন্তবাদী চিন্তা-চেতনা ও সিদ্ধান্তের বেড়াজালে অতিষ্ঠ সাহারা ইন্ডিয়া এবার সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেলেছে তারা ভারতীয় ক্রিকেট দলকে আর পৃষ্ঠপোষকতা দেবে না। এই সিদ্ধান্তে ইতি ঘটেছে ২০০২ সাল থেকে চলে আসা এক অম্ল-মধুর সম্পর্কের।
সাহারা ইন্ডিয়ার মালিক সুব্রত রায়ের ছেলে সুশান্ত রায় বলেছে, ‘ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কটা ছিল আবেগময়। কিন্তু একপক্ষীয় আবেগ। তাই সেই আবেগকে টেনে নিয়ে যাওয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব হলো না।’ তিনি জানান, পুনে ওয়ারিয়র্সের মূল খেলোয়াড় যুবরাজ সিংয়ের অসুস্থতার কারণে তাঁর পরিবর্তে অন্য খেলোয়াড় নেওয়ার দাবি বিসিসিআই প্রত্যাখ্যান করেছে।
ফুসফুসের অসুস্থতা যুবরাজ সিংকে এবারের আইপিএল থেকে দূরেই রাখবে। সাহারা ইন্ডিয়ার মালিকানাধীন ফ্র্যাঞ্চাইজি পুনে ওয়ারিয়র্সের দাবি ছিল গতকাল শুরু হওয়া নিলামের আগেই এ ব্যাপারে বিসিসিআইয়ের সিদ্ধান্ত। সাহারা বিসিসিআইকে অনুরোধ করেছিল, তারা যেন যুবরাজ সিংয়ের বদলে অন্য কোনো খেলোয়াড়কে দলে নেওয়ার অনুমতি প্রদান করে। কিন্তু পুরো রাত বাক-বিতণ্ডার পর বিসিসিআই সেই অনুরোধ প্রত্যাখ্যানই করে।
সঙ্গে সঙ্গে সাহারা বিসিসিআইয়ের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছেদ করার সিদ্ধান্ত নিয়ে নেয়। পুনে ওয়ারিয়র্সের মালিকানাও একই সঙ্গে ছেড়ে দেওয়ার কথা জানিয়ে দেয় সাহারা।
এত দিন আড়ালেই ছিল ব্যাপারটি। সম্পর্কহানির পর জানা গেল, ২০০৮ সালে আইপিএল শুরুর বছরে সাহারা একটি ফ্র্যাঞ্চাইজি কিনতে চেয়েও বিসিসিআইয়ের অনুমতি পায়নি। অথচ সাহারা তখনো ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রধান পৃষ্ঠপোষক। জাতীয় ক্রিকেট দলকে দীর্ঘদিন ধরে সেবা করে যাওয়া একটি প্রতিষ্ঠান আইপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজি কিনতে চেয়েও ব্যর্থ হওয়াকে সুশান্ত রায় বিসিসিআইয়ের চরম স্বেচ্ছাচারিতা হিসেবেই বর্ণনা করেছেন।
সাহারা ক্রিকেটের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করলেও ভারতের অন্যান্য ক্রীড়ার সঙ্গে নিজেদের জড়িত রাখবে। বিভিন্ন প্রদেশে অত্যাধুনিক ক্রীড়া একাডেমি, দুস্থ ক্রীড়াবিদদের সাহায্যার্থে তহবিল গঠন প্রভৃতির সঙ্গে জড়িয়ে থেকে সাহারা খেলাধুলার সেবা করে যাবে বলেই জানিয়েছে।
এদিকে আইপিএল থেকে বিতারিত কমিশনার লোলিত মোদি কাল সাহারা ও বিসিসিআইয়ের সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ার পর মুখ খুলেছেন সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট টুইটারে। সেখানে মোদি লিখেছেন, সাহারার ব্যাপারটি আরও একটি উদাহরণ যে বিভিন্ন স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে বিসিসিআই কী ধরনের আচরণ করে। এটা নির্দেশ করছে, স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে বিসিসিআইয়ের সম্পর্কটা কোন পর্যায়ের। টিএনএন।
সাহারা ইন্ডিয়ার মালিক সুব্রত রায়ের ছেলে সুশান্ত রায় বলেছে, ‘ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কটা ছিল আবেগময়। কিন্তু একপক্ষীয় আবেগ। তাই সেই আবেগকে টেনে নিয়ে যাওয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব হলো না।’ তিনি জানান, পুনে ওয়ারিয়র্সের মূল খেলোয়াড় যুবরাজ সিংয়ের অসুস্থতার কারণে তাঁর পরিবর্তে অন্য খেলোয়াড় নেওয়ার দাবি বিসিসিআই প্রত্যাখ্যান করেছে।
ফুসফুসের অসুস্থতা যুবরাজ সিংকে এবারের আইপিএল থেকে দূরেই রাখবে। সাহারা ইন্ডিয়ার মালিকানাধীন ফ্র্যাঞ্চাইজি পুনে ওয়ারিয়র্সের দাবি ছিল গতকাল শুরু হওয়া নিলামের আগেই এ ব্যাপারে বিসিসিআইয়ের সিদ্ধান্ত। সাহারা বিসিসিআইকে অনুরোধ করেছিল, তারা যেন যুবরাজ সিংয়ের বদলে অন্য কোনো খেলোয়াড়কে দলে নেওয়ার অনুমতি প্রদান করে। কিন্তু পুরো রাত বাক-বিতণ্ডার পর বিসিসিআই সেই অনুরোধ প্রত্যাখ্যানই করে।
সঙ্গে সঙ্গে সাহারা বিসিসিআইয়ের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছেদ করার সিদ্ধান্ত নিয়ে নেয়। পুনে ওয়ারিয়র্সের মালিকানাও একই সঙ্গে ছেড়ে দেওয়ার কথা জানিয়ে দেয় সাহারা।
এত দিন আড়ালেই ছিল ব্যাপারটি। সম্পর্কহানির পর জানা গেল, ২০০৮ সালে আইপিএল শুরুর বছরে সাহারা একটি ফ্র্যাঞ্চাইজি কিনতে চেয়েও বিসিসিআইয়ের অনুমতি পায়নি। অথচ সাহারা তখনো ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রধান পৃষ্ঠপোষক। জাতীয় ক্রিকেট দলকে দীর্ঘদিন ধরে সেবা করে যাওয়া একটি প্রতিষ্ঠান আইপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজি কিনতে চেয়েও ব্যর্থ হওয়াকে সুশান্ত রায় বিসিসিআইয়ের চরম স্বেচ্ছাচারিতা হিসেবেই বর্ণনা করেছেন।
সাহারা ক্রিকেটের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করলেও ভারতের অন্যান্য ক্রীড়ার সঙ্গে নিজেদের জড়িত রাখবে। বিভিন্ন প্রদেশে অত্যাধুনিক ক্রীড়া একাডেমি, দুস্থ ক্রীড়াবিদদের সাহায্যার্থে তহবিল গঠন প্রভৃতির সঙ্গে জড়িয়ে থেকে সাহারা খেলাধুলার সেবা করে যাবে বলেই জানিয়েছে।
এদিকে আইপিএল থেকে বিতারিত কমিশনার লোলিত মোদি কাল সাহারা ও বিসিসিআইয়ের সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ার পর মুখ খুলেছেন সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট টুইটারে। সেখানে মোদি লিখেছেন, সাহারার ব্যাপারটি আরও একটি উদাহরণ যে বিভিন্ন স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে বিসিসিআই কী ধরনের আচরণ করে। এটা নির্দেশ করছে, স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে বিসিসিআইয়ের সম্পর্কটা কোন পর্যায়ের। টিএনএন।
No comments