করবহির্ভূত রাজস্ব হার বাড়ানো হচ্ছে by জাহাঙ্গীর শাহ
করবহির্ভূত রাজস্ব বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ জন্য করবহির্ভূত রাজস্ব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বহির্ভূত রাজস্ব হার বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়েছে। নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প, স্ট্যাম্প ভেন্ডার নিবন্ধন ফি বা মাশুল, রেভিনিউ স্ট্যাম্প ও এর লেনদেনমূল্য, পাওয়ার অব অ্যাটর্নি বা আমমোক্তারনামা শুল্ক, এফিডেভিট বা হলফনামা ফি বা মাশুল, একাধিক দলিলের গ্রহীতার স্ট্যাম্প শুল্ক হার বাড়ানো হবে।
১৭ জানুয়ারি অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের (আইআরডি) এক সভায় নতুন এ হার সুপারিশ করা হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন আইআরডির যুগ্ম সচিব এ এম এম আজহার।
ইতিমধ্যে আইআরডির সচিব নাসিরউদ্দিন আহমেদের কাছে সুপারিশ করা নতুন হার পর্যালোচনার জন্য পাঠানো হয়েছে। পর্যালোচনা শেষে শিগগিরই অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ বৈঠকে করবহির্ভূত রাজস্বের চূড়ান্ত করা হবে। নতুন হার আগামী অর্থবছর থেকে কার্যকর করা হতে পারে।
সাবেক ইআরডি সচিব ও এনবিআর চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মজিদ প্রথম আলোকে জানান, ‘এটা অবশ্যই ভালো উদ্যোগ। তবে হঠাৎ করে না বাড়িয়ে ধারাবাহিকভাবে এই রাজস্ব হার বাড়াতে হবে। এতে মানুষকে অভ্যন্ত করতে হবে। আর সরকারের হাতে এসব করবহির্ভূত খাতে রাজস্ব আদায় ব্যবস্থাপনা পর্যবেক্ষণ করার মতো কৌশলও নেই।’
জানা গেছে, ১৮৯৯ সালের স্ট্যাম্প আইন দিয়ে নন রেভিনিউ জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পের দাম নির্ধারণ করা হয়। দীর্ঘদিন ধরে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয় না। বর্তমানে দুই, আড়াই, তিন, পাঁচ, ১০, ২০, ২৫, ৩০, ৪০, ৫০, ৬০, ৭৫ ও ১০০ টাকার নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প পাওয়া যায়।
এই প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ সুপারিশ করেছে, নন রেভিনিউ জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পের দাম যৌক্তিক হারে বহু গুণ বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে।
অন্যদিকে কোনো নিবন্ধন করা দলিলের একাধিক গ্রহীতা থাকলে প্রত্যেককে মূল কপি সরবরাহের ক্ষেত্রে স্ট্যাম্প শুল্কবাবদ মাত্র তিন টাকা রাখা হয়। ১৯৭৩ সালে এই হার নির্ধারণ করা হয়েছিল। এই শুল্ক হার বহু গুণ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
অন্যদিকে হলফনামার ক্ষেত্রে ফি হিসেবে এখন রাখা হচ্ছে ৫০ টাকা। এই হার দ্বিগুণ করে ১০০ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। আমমোক্তারনামা দেওয়ার ক্ষেত্রে বর্তমানে ২০০ টাকা মাশুল দিতে হয়। কিন্ত এই ফি আনুপাতিক হারে বাড়ানোর প্রস্তাব রয়েছে।
রেভিনিউ স্ট্যাম্পের মূল্য পাঁচ টাকার স্থলে ১০ টাকা নির্ধারণ করার সুপারিশ করা হয়েছে। এ ছাড়া রেভিনিউ স্ট্যাম্প লেনদেন মূল্য ৪০০ টাকা করার প্রস্তাব রয়েছে। বর্তমানে এই লেনদেনমূল্য ২০০ টাকা।
স্ট্যাম্প ভেন্ডার লাইসেন্স মাশুল এক হাজার টাকা করার প্রস্তাব করেছে আইআরডি। বর্তমানে এই লাইসেন্স মাশুল মাত্র ৭৫০ টাকা। নবায়ন মাশুল বাড়ানোর প্রস্তাবও করা হয়েছে।
চলতি অর্থবছরে এনবিআরবহির্ভূত খাতে তিন হাজার ৯১৫ কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য ধরা হয়েছে। এর মধ্যে নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প বিক্রি বাবদ দুই হাজার ৩০০ কোটি টাকা পাওয়ার লক্ষ্য রয়েছে।
পাসপোর্ট, লাইসেন্স, দলিল নিবন্ধন, ট্রেডমার্ক, বিবাহ নিবন্ধনসহ ২৫ ধরনের কর ব্যতীত রাজস্ব পাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা এ বছর দুই হাজার ৮৮৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে সিংহভাগই আসে দলিল নিবন্ধন থেকে।
ইআরডির কর্মকর্তারা জানান, সাদা কাগজে অনেক লেনদেন হচ্ছে, যা বন্ধ করা যাচ্ছে না। অধিক মানুষকে যাতে এসব স্ট্যাম্প ব্যবহারে সচেতন করা যায় সে জন্য সহনশীল রাজস্ব হার করতে হবে।
এনবিআর কর্মকর্তারা জানান, রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্র ক্রমশ কমে আসায় অভ্যন্তরীণ সম্পদ জোগান বৃদ্ধিতে করবহির্ভূত রাজস্ব আদায়ের দিকে মনোযোগী হচ্ছে সরকার। এত রাজস্ব আদায়ের কিছু ক্ষেত্র বাড়বে। এ ছাড়া করবহির্ভূত খাতে রাজস্ব আদায় সাধারণত নির্ধারিত হারে করা হয়। অথচ দীর্ঘদিন ধরে তা পুনর্নির্ধারণ করা হয় না। এটাও সময়োপযোগী করার প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।
ইতিমধ্যে আইআরডির সচিব নাসিরউদ্দিন আহমেদের কাছে সুপারিশ করা নতুন হার পর্যালোচনার জন্য পাঠানো হয়েছে। পর্যালোচনা শেষে শিগগিরই অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ বৈঠকে করবহির্ভূত রাজস্বের চূড়ান্ত করা হবে। নতুন হার আগামী অর্থবছর থেকে কার্যকর করা হতে পারে।
সাবেক ইআরডি সচিব ও এনবিআর চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মজিদ প্রথম আলোকে জানান, ‘এটা অবশ্যই ভালো উদ্যোগ। তবে হঠাৎ করে না বাড়িয়ে ধারাবাহিকভাবে এই রাজস্ব হার বাড়াতে হবে। এতে মানুষকে অভ্যন্ত করতে হবে। আর সরকারের হাতে এসব করবহির্ভূত খাতে রাজস্ব আদায় ব্যবস্থাপনা পর্যবেক্ষণ করার মতো কৌশলও নেই।’
জানা গেছে, ১৮৯৯ সালের স্ট্যাম্প আইন দিয়ে নন রেভিনিউ জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পের দাম নির্ধারণ করা হয়। দীর্ঘদিন ধরে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয় না। বর্তমানে দুই, আড়াই, তিন, পাঁচ, ১০, ২০, ২৫, ৩০, ৪০, ৫০, ৬০, ৭৫ ও ১০০ টাকার নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প পাওয়া যায়।
এই প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ সুপারিশ করেছে, নন রেভিনিউ জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পের দাম যৌক্তিক হারে বহু গুণ বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে।
অন্যদিকে কোনো নিবন্ধন করা দলিলের একাধিক গ্রহীতা থাকলে প্রত্যেককে মূল কপি সরবরাহের ক্ষেত্রে স্ট্যাম্প শুল্কবাবদ মাত্র তিন টাকা রাখা হয়। ১৯৭৩ সালে এই হার নির্ধারণ করা হয়েছিল। এই শুল্ক হার বহু গুণ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
অন্যদিকে হলফনামার ক্ষেত্রে ফি হিসেবে এখন রাখা হচ্ছে ৫০ টাকা। এই হার দ্বিগুণ করে ১০০ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। আমমোক্তারনামা দেওয়ার ক্ষেত্রে বর্তমানে ২০০ টাকা মাশুল দিতে হয়। কিন্ত এই ফি আনুপাতিক হারে বাড়ানোর প্রস্তাব রয়েছে।
রেভিনিউ স্ট্যাম্পের মূল্য পাঁচ টাকার স্থলে ১০ টাকা নির্ধারণ করার সুপারিশ করা হয়েছে। এ ছাড়া রেভিনিউ স্ট্যাম্প লেনদেন মূল্য ৪০০ টাকা করার প্রস্তাব রয়েছে। বর্তমানে এই লেনদেনমূল্য ২০০ টাকা।
স্ট্যাম্প ভেন্ডার লাইসেন্স মাশুল এক হাজার টাকা করার প্রস্তাব করেছে আইআরডি। বর্তমানে এই লাইসেন্স মাশুল মাত্র ৭৫০ টাকা। নবায়ন মাশুল বাড়ানোর প্রস্তাবও করা হয়েছে।
চলতি অর্থবছরে এনবিআরবহির্ভূত খাতে তিন হাজার ৯১৫ কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য ধরা হয়েছে। এর মধ্যে নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প বিক্রি বাবদ দুই হাজার ৩০০ কোটি টাকা পাওয়ার লক্ষ্য রয়েছে।
পাসপোর্ট, লাইসেন্স, দলিল নিবন্ধন, ট্রেডমার্ক, বিবাহ নিবন্ধনসহ ২৫ ধরনের কর ব্যতীত রাজস্ব পাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা এ বছর দুই হাজার ৮৮৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে সিংহভাগই আসে দলিল নিবন্ধন থেকে।
ইআরডির কর্মকর্তারা জানান, সাদা কাগজে অনেক লেনদেন হচ্ছে, যা বন্ধ করা যাচ্ছে না। অধিক মানুষকে যাতে এসব স্ট্যাম্প ব্যবহারে সচেতন করা যায় সে জন্য সহনশীল রাজস্ব হার করতে হবে।
এনবিআর কর্মকর্তারা জানান, রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্র ক্রমশ কমে আসায় অভ্যন্তরীণ সম্পদ জোগান বৃদ্ধিতে করবহির্ভূত রাজস্ব আদায়ের দিকে মনোযোগী হচ্ছে সরকার। এত রাজস্ব আদায়ের কিছু ক্ষেত্র বাড়বে। এ ছাড়া করবহির্ভূত খাতে রাজস্ব আদায় সাধারণত নির্ধারিত হারে করা হয়। অথচ দীর্ঘদিন ধরে তা পুনর্নির্ধারণ করা হয় না। এটাও সময়োপযোগী করার প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।
No comments