পুতিনের পক্ষে-বিপক্ষে বিক্ষোভ-তীব্র হিমেও উত্তপ্ত মস্কো
রাশিয়াসহ ইউরোপে এখন তীব্র শীত। তাপমাত্রা হিমাঙ্কের অনেক নিচে। এই হিমশীতল ঠান্ডার মধ্যেও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাশিয়ার রাজনীতি। গতকাল শনিবার মস্কোয় প্রধানমন্ত্রী ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে হাজার হাজার মানুষ। অবশ্য তাঁর পক্ষেও সমর্থকদের মিছিল হয়েছে।
গত ডিসেম্বরের পার্লামেন্ট নির্বাচন বাতিল করে নতুন করে নির্বাচন ও পুতিনের বিদায়সহ বিভিন্ন দাবিতে বিক্ষোভ করছে মানুষ। তবে পুতিন জানিয়ে দিয়েছেন, বিক্ষোভকারীদের দাবির মুখে তিনি নতি স্বীকার করবেন না।
মাস খানেক পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। দুই মেয়াদের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী পুতিন নির্বাচনে জয়ী হয়ে আবার ক্রেমলিনের ক্ষমতায় ফিরতে চাইছেন। কিন্তু গত ডিসেম্বরে পার্লামেন্ট নির্বাচনে পুতিনের ক্ষমতাসীন দল ইউনাইটেড রাশিয়া জয়ী হলেও সন্তোষজনক ফল করতে পারেনি। ওই নির্বাচনে বড় ধরনের জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে ক্ষমতাসীনদের বিরুদ্ধে। এরপর থেকে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। গতকাল মস্কোয় তৃতীয়বারের মতো বড় ধরনের বিক্ষোভ হয়েছে। এতে বোঝা যাচ্ছে, পুতিনের সামনে কঠিন পরীক্ষা অপেক্ষা করছে।
মস্কো থেকে বিবিসির সাংবাদিক ড্যানিয়েল স্টান্ডফোর্ড জানান, পুতিনবিরোধীদের এবারের বিক্ষোভেও গতবারের মতো লোক হয়েছে। আয়োজকেরা গতবার জানিয়েছিল, তাদের বিক্ষোভে অংশ নেয় এক লাখ ২০ হাজার মানুষ। তবে মস্কোর পুলিশ জানায়, গতকালের বিক্ষোভে মাত্র ২৩ হাজার মানুষ যোগ দেয়।
বিক্ষোভকারীরা তাদের বিক্ষোভের নাম দিয়েছে ‘নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য’ বিক্ষোভ। সাদা বেলুন নিয়ে ও মাথায় সাদা ফিতা বেঁধে গতকাল তারা বিক্ষোভে যোগ দেয়। তারা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে মস্কোর কালুঝকায়া স্কয়ার থেকে বলোতনায়া স্কয়ার পর্যন্ত যায়। এ সময় ‘পুতিন বিদায় নাও’, ‘পুতিনমুক্ত রাশিয়া চাই’—এসব স্লোগান দেয় তারা। ব্যানারে লেখা ছিল ‘পুতিন একজন নির্লজ্জ ও বিবেকহীন মানুষ’।
একজন বিক্ষোভকারী বলেন, ‘এখানে সবাই এসেছে নিজেদের ইচ্ছায়।’ তবে তিনি অভিযোগ করেন, ‘আমার অনেক বন্ধুকে জোর করে বিক্ষোভে নিয়ে গেছে পুতিন-সমর্থকেরা। না গেলে তাদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়।’
পুতিন-সমর্থকেরা সমাবেশ করে মস্কোর পশ্চিমাংশে। বিরোধী পক্ষের বিক্ষোভের বিরুদ্ধে তারা ওই সমাবেশ করে। পুলিশ জানায়, এ বিক্ষোভে যোগ দেয় প্রায় ৯০ হাজার মানুষ। কিন্তু বিভিন্ন গণমাধ্যম জানিয়েছে, এ সংখ্যা আরও কম হবে।
বিক্ষোভের আগের দিন গত শুক্রবার পুতিন তাঁর সমর্থকদের ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, ‘আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ এবং তাদের মতো একইভাবে চিন্তা করি।’
গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের পুতিনপন্থীদের মিছিল-সমাবেশে যোগ দেওয়ার জন্য কয়েক দিন ধরে নগদ অর্থ দেওয়া হয় বা সরকারি নির্দেশ দেওয়া হয়। একনকি পার্লামেন্ট সদস্য ও তাঁদের সহযোগীদের মিছিলে অংশ নিতে বাধ্য করা হয় বলে জানায় বিরোধীদের একটি সংবাদপত্র।
বিশিষ্ট গোয়েন্দা কাহিনি লেখক ও বিরোধী কর্মী বরিস অকিন বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘আমাদের আত্মসম্মান ও স্বাধীনতাবোধ কতটা প্রখর, পুতিনবিরোধদের বিক্ষোভ থেকে তা প্রমাণিত হয়েছে।’
অন্যদিকে, ক্ষমতাসীন দল ইউনাইটেড রাশিয়ার একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, ‘আমি আমার দেশবাসীকে বলতে চাই, রাশিয়ার ভবিষ্যৎ এবং আপনাদের সন্তানদের বিষয়টি যদি আপনাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হয় তাহলে সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীদের থেকে দূরে থাকুন।’ এএফপি, বিবিসি।
মাস খানেক পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। দুই মেয়াদের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী পুতিন নির্বাচনে জয়ী হয়ে আবার ক্রেমলিনের ক্ষমতায় ফিরতে চাইছেন। কিন্তু গত ডিসেম্বরে পার্লামেন্ট নির্বাচনে পুতিনের ক্ষমতাসীন দল ইউনাইটেড রাশিয়া জয়ী হলেও সন্তোষজনক ফল করতে পারেনি। ওই নির্বাচনে বড় ধরনের জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে ক্ষমতাসীনদের বিরুদ্ধে। এরপর থেকে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। গতকাল মস্কোয় তৃতীয়বারের মতো বড় ধরনের বিক্ষোভ হয়েছে। এতে বোঝা যাচ্ছে, পুতিনের সামনে কঠিন পরীক্ষা অপেক্ষা করছে।
মস্কো থেকে বিবিসির সাংবাদিক ড্যানিয়েল স্টান্ডফোর্ড জানান, পুতিনবিরোধীদের এবারের বিক্ষোভেও গতবারের মতো লোক হয়েছে। আয়োজকেরা গতবার জানিয়েছিল, তাদের বিক্ষোভে অংশ নেয় এক লাখ ২০ হাজার মানুষ। তবে মস্কোর পুলিশ জানায়, গতকালের বিক্ষোভে মাত্র ২৩ হাজার মানুষ যোগ দেয়।
বিক্ষোভকারীরা তাদের বিক্ষোভের নাম দিয়েছে ‘নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য’ বিক্ষোভ। সাদা বেলুন নিয়ে ও মাথায় সাদা ফিতা বেঁধে গতকাল তারা বিক্ষোভে যোগ দেয়। তারা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে মস্কোর কালুঝকায়া স্কয়ার থেকে বলোতনায়া স্কয়ার পর্যন্ত যায়। এ সময় ‘পুতিন বিদায় নাও’, ‘পুতিনমুক্ত রাশিয়া চাই’—এসব স্লোগান দেয় তারা। ব্যানারে লেখা ছিল ‘পুতিন একজন নির্লজ্জ ও বিবেকহীন মানুষ’।
একজন বিক্ষোভকারী বলেন, ‘এখানে সবাই এসেছে নিজেদের ইচ্ছায়।’ তবে তিনি অভিযোগ করেন, ‘আমার অনেক বন্ধুকে জোর করে বিক্ষোভে নিয়ে গেছে পুতিন-সমর্থকেরা। না গেলে তাদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়।’
পুতিন-সমর্থকেরা সমাবেশ করে মস্কোর পশ্চিমাংশে। বিরোধী পক্ষের বিক্ষোভের বিরুদ্ধে তারা ওই সমাবেশ করে। পুলিশ জানায়, এ বিক্ষোভে যোগ দেয় প্রায় ৯০ হাজার মানুষ। কিন্তু বিভিন্ন গণমাধ্যম জানিয়েছে, এ সংখ্যা আরও কম হবে।
বিক্ষোভের আগের দিন গত শুক্রবার পুতিন তাঁর সমর্থকদের ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, ‘আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ এবং তাদের মতো একইভাবে চিন্তা করি।’
গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের পুতিনপন্থীদের মিছিল-সমাবেশে যোগ দেওয়ার জন্য কয়েক দিন ধরে নগদ অর্থ দেওয়া হয় বা সরকারি নির্দেশ দেওয়া হয়। একনকি পার্লামেন্ট সদস্য ও তাঁদের সহযোগীদের মিছিলে অংশ নিতে বাধ্য করা হয় বলে জানায় বিরোধীদের একটি সংবাদপত্র।
বিশিষ্ট গোয়েন্দা কাহিনি লেখক ও বিরোধী কর্মী বরিস অকিন বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘আমাদের আত্মসম্মান ও স্বাধীনতাবোধ কতটা প্রখর, পুতিনবিরোধদের বিক্ষোভ থেকে তা প্রমাণিত হয়েছে।’
অন্যদিকে, ক্ষমতাসীন দল ইউনাইটেড রাশিয়ার একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, ‘আমি আমার দেশবাসীকে বলতে চাই, রাশিয়ার ভবিষ্যৎ এবং আপনাদের সন্তানদের বিষয়টি যদি আপনাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হয় তাহলে সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীদের থেকে দূরে থাকুন।’ এএফপি, বিবিসি।
No comments