সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে মন্ত্রীর ‘নিষ্ঠুর’ বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি
সড়ক দুর্ঘটনার বিষয়ে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের বক্তব্যকে ‘নিষ্ঠুর’ এবং দুর্ঘটনায় নিহতদের প্রতি ‘নির্মম পরিহাস’ বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্ট কলাম লেখক সৈয়দ আবুল মকসুদ।
গতকাল শনিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের সড়কের ফুটপাতে প্রতীকী অবস্থান কর্মসূচিতে আবুল মকসুদ এ মন্তব্য করেন। তিনি মন্ত্রীর এ ‘নিষ্ঠুর’ বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি জানান।
গতকাল শনিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের সড়কের ফুটপাতে প্রতীকী অবস্থান কর্মসূচিতে আবুল মকসুদ এ মন্তব্য করেন। তিনি মন্ত্রীর এ ‘নিষ্ঠুর’ বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি জানান।
গত ২ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফ বলেছিলেন, ‘সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেলে প্রতিবাদ জানানোর কিছু নেই, অ্যাকসিডেন্ট ইজ অ্যাকসিডেন্ট।’
মন্ত্রীর এ বক্তব্যের প্রতিবাদে আবুল মকসুদ গতকাল এই প্রতীকী অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। বেলা সোয়া ১১টা থেকে দুপুর পৌনে ১২টা পর্যন্ত তিনি প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান নেন। প্রবীণ রাজনীতিক ও বিশিষ্ট আইনজীবী ড. কামাল হোসেনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও নাগরিক সংগঠনের নেতা-কর্মীরা এই কর্মসূচির প্রতি সংহতি প্রকাশ করেন।
ড. কামাল বলেন, সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থেকে স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর এ ধরনের বক্তব্য দেওয়া শোভা পায় না।
আবুল মকসুদ বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে সত্য আগেই চলে গেছে, এখন দেখছি দয়া, করুণা, সমবেদনার লেশমাত্রও নেই।’ তিনি বলেন, গত তিন বছরে যে ১৭-১৮ হাজার মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন, মন্ত্রীর এই উক্তি তাঁদের আত্মার প্রতি চরম অবমাননার শামিল এবং নিহতদের প্রতি নির্মম পরিহাস।
আবুল মকসুদ বলেন, সব দুর্ঘটনা নিছক দুর্ঘটনা নয়। যোগাযোগ ক্ষেত্রে সীমাহীন অব্যবস্থা, দুর্নীতি, ট্রাফিক আইন অমান্য করা, বেপরোয়া গাড়ি চালানো, পরিবহন ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য, অপরাধীকে শাস্তির আওতায় না আনা প্রভৃতি কারণে দুর্ঘটনা রোধ করা যাচ্ছে না। তিনি বলেন, ‘আমরা সরকারকে সহায়তা করতে চেয়েছি। কিন্তু সরকার এদিকে গুরুত্ব না দেওয়ায় এবং প্রকাশ্যে প্রশ্রয় দেওয়ায় মালিক-চালকেরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন।’
দুর্ঘটনারোধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে আবুল মকসুদ বলেন, না হয় তাঁরা কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলতে বাধ্য হবেন।
সিপিবির নেতা রুহিন হোসেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর বক্তব্যের উল্লেখ করে বলেন, ‘যিনি এ ধরনের কথা বলেন, তিনি হত্যাকারীর সহযোগী।’
মন্ত্রীর এ বক্তব্যের প্রতিবাদে আবুল মকসুদ গতকাল এই প্রতীকী অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। বেলা সোয়া ১১টা থেকে দুপুর পৌনে ১২টা পর্যন্ত তিনি প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান নেন। প্রবীণ রাজনীতিক ও বিশিষ্ট আইনজীবী ড. কামাল হোসেনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও নাগরিক সংগঠনের নেতা-কর্মীরা এই কর্মসূচির প্রতি সংহতি প্রকাশ করেন।
ড. কামাল বলেন, সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থেকে স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর এ ধরনের বক্তব্য দেওয়া শোভা পায় না।
আবুল মকসুদ বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে সত্য আগেই চলে গেছে, এখন দেখছি দয়া, করুণা, সমবেদনার লেশমাত্রও নেই।’ তিনি বলেন, গত তিন বছরে যে ১৭-১৮ হাজার মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন, মন্ত্রীর এই উক্তি তাঁদের আত্মার প্রতি চরম অবমাননার শামিল এবং নিহতদের প্রতি নির্মম পরিহাস।
আবুল মকসুদ বলেন, সব দুর্ঘটনা নিছক দুর্ঘটনা নয়। যোগাযোগ ক্ষেত্রে সীমাহীন অব্যবস্থা, দুর্নীতি, ট্রাফিক আইন অমান্য করা, বেপরোয়া গাড়ি চালানো, পরিবহন ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য, অপরাধীকে শাস্তির আওতায় না আনা প্রভৃতি কারণে দুর্ঘটনা রোধ করা যাচ্ছে না। তিনি বলেন, ‘আমরা সরকারকে সহায়তা করতে চেয়েছি। কিন্তু সরকার এদিকে গুরুত্ব না দেওয়ায় এবং প্রকাশ্যে প্রশ্রয় দেওয়ায় মালিক-চালকেরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন।’
দুর্ঘটনারোধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে আবুল মকসুদ বলেন, না হয় তাঁরা কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলতে বাধ্য হবেন।
সিপিবির নেতা রুহিন হোসেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর বক্তব্যের উল্লেখ করে বলেন, ‘যিনি এ ধরনের কথা বলেন, তিনি হত্যাকারীর সহযোগী।’
No comments