নৌপথে চলার অযোগ্য লঞ্চ-ঘরমুখো মানুষের আরেক ঝুঁকি
ঈদ আসছে। বাড়ছে ঘরমুখো মানুষের ভিড়। দেশের দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের চলাচলের প্রধান মাধ্যমই হচ্ছে নৌযান। পাশাপাশি দেশের হাওরাঞ্চলেরও চলাচলের প্রধান মাধ্যম নৌযান। ঈদের সময় যাত্রী পরিবহন বেড়ে যায়। দুর্ঘটনাও ঘটে। ঘটে প্রাণহানি। ঝুঁকিপূর্ণ নৌপথে প্রতিবছর বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে নৌপথে প্রাণহানির ঘটনা বাড়ছে। এতে সম্পদহানির পাশাপাশি নৌযাত্রীদের জীবনও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ছে। ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে দেশের অভ্যন্তরীণ নৌপথ।
এই নৌপথে চলছে অনুমোদনহীন নৌযান। বিশেষ করে দেশের হাওরাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চলে চলাচল করছে অনুমোদনহীন লঞ্চ, আর তার পাশাপাশি চলছে ডি ক্যাটাগরির লঞ্চ। ঈদ সামনে রেখে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী পুরনো লঞ্চ রং করে নৌপথে নামাচ্ছে। এসব লঞ্চে ভ্রমণ অত্যন্ত বিপজ্জনক। কিন্তু ঈদে ঘরে ফেরার তাড়া সবারই। এ সুযোগটাই নিয়ে থাকে অসাধু লঞ্চ ব্যবসায়ীরা। এদিকে সরকারি নৌপরিবহন তো বেহাল। সরকারি নৌপরিবহনে এবার ঈদে যাত্রীসেবার অবস্থা লেজেগোবরে। তিনটি রুটের দুটি প্রায় বন্ধ। অন্যটিতে নেই প্রয়োজনীয় নৌযান।
সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তর, বিআইডাবি্লউটিএ এবং বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার জরিপ থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। আবার রাজধানীর চারপাশের নদীগুলোতে যাতায়াতকারী লঞ্চের ৭৫ শতাংশেরই ফিটনেস সার্টিফিকেট নেই। ঈদ উপলক্ষে শত শত নৌযান চলছে ফিটনেস ছাড়াই। ৮০ শতাংশ লঞ্চের তৈরি অবকাঠামোর সঙ্গে মূল নকশার মিল নেই। জানা যায়, ৯৫ শতাংশ ক্ষেত্রেই সংশ্লিষ্ট তদারকি সংস্থার কর্মকর্তারা সরেজমিনে তদন্ত না করেই মোটা অঙ্কের উৎকোচের বিনিময়ে সার্ভে সনদ দিয়ে থাকেন। যাদের সার্ভে সনদ নেই, তারাও টাকার বিনিময়ে মাসিক বা বার্ষিক ভিত্তিতে টোকেন সংগ্রহ করে লঞ্চ পরিচালনা করে। ঝুঁকিপূর্ণ এসব লঞ্চ দিনের পর দিন বাড়িয়ে দিচ্ছে নৌপথের ঝুঁকি। এরই মধ্যে দেখা গেছে, কেরানীগঞ্জের ডকইয়ার্ডে ব্যস্ততা বেড়েছে। সেখানে পুরনো লক্কড়ঝক্কড় লঞ্চ রং করে নতুন করা হচ্ছে।
এক জরিপ থেকে জানা গেছে, স্বাধীনতার পর এ পর্যন্ত নৌদুর্ঘটনাজনিত কারণে হতাহত হয়েছে কমপক্ষে অর্ধলক্ষাধিক; ক্ষতিগ্রস্তদের বেশির ভাগকেই ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়নি। নদীপথে পর্যাপ্ত তদারকির অভাব, নৌ-ট্রাফিক সিগন্যাল ব্যবস্থার নাজুক অবস্থা, যাত্রী পরিবহনে মাত্রাতিরিক্ত অনিয়ম-বিশৃঙ্খলা, ধারণক্ষমতার চেয়ে সাত-আট গুণ বেশি যাত্রী ও পণ্য পরিবহন ইত্যাদি কারণে লঞ্চ দুর্ঘটনা ঘটে। এসব দেখা বা তদারকির জন্য একটি সংস্থা থাকলেও সেই সংস্থা কতটা কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারছে, সে ব্যাপারে সন্দেহের যথেষ্ট অবকাশ আছে। এবারও ঈদ সামনে রেখে অসাধু লঞ্চ ব্যবসায়ী চক্রটি সক্রিয়।
আমরা চাইব, এবার যেন কোনো লক্কড়ঝক্কড় লঞ্চ নৌপথে চলতে না পারে, সেদিকে কর্তৃপক্ষের সজাগ দৃষ্টি থাকবে। ঈদের আনন্দ যেন বিষাদে পরিণত না হয়।
সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তর, বিআইডাবি্লউটিএ এবং বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার জরিপ থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। আবার রাজধানীর চারপাশের নদীগুলোতে যাতায়াতকারী লঞ্চের ৭৫ শতাংশেরই ফিটনেস সার্টিফিকেট নেই। ঈদ উপলক্ষে শত শত নৌযান চলছে ফিটনেস ছাড়াই। ৮০ শতাংশ লঞ্চের তৈরি অবকাঠামোর সঙ্গে মূল নকশার মিল নেই। জানা যায়, ৯৫ শতাংশ ক্ষেত্রেই সংশ্লিষ্ট তদারকি সংস্থার কর্মকর্তারা সরেজমিনে তদন্ত না করেই মোটা অঙ্কের উৎকোচের বিনিময়ে সার্ভে সনদ দিয়ে থাকেন। যাদের সার্ভে সনদ নেই, তারাও টাকার বিনিময়ে মাসিক বা বার্ষিক ভিত্তিতে টোকেন সংগ্রহ করে লঞ্চ পরিচালনা করে। ঝুঁকিপূর্ণ এসব লঞ্চ দিনের পর দিন বাড়িয়ে দিচ্ছে নৌপথের ঝুঁকি। এরই মধ্যে দেখা গেছে, কেরানীগঞ্জের ডকইয়ার্ডে ব্যস্ততা বেড়েছে। সেখানে পুরনো লক্কড়ঝক্কড় লঞ্চ রং করে নতুন করা হচ্ছে।
এক জরিপ থেকে জানা গেছে, স্বাধীনতার পর এ পর্যন্ত নৌদুর্ঘটনাজনিত কারণে হতাহত হয়েছে কমপক্ষে অর্ধলক্ষাধিক; ক্ষতিগ্রস্তদের বেশির ভাগকেই ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়নি। নদীপথে পর্যাপ্ত তদারকির অভাব, নৌ-ট্রাফিক সিগন্যাল ব্যবস্থার নাজুক অবস্থা, যাত্রী পরিবহনে মাত্রাতিরিক্ত অনিয়ম-বিশৃঙ্খলা, ধারণক্ষমতার চেয়ে সাত-আট গুণ বেশি যাত্রী ও পণ্য পরিবহন ইত্যাদি কারণে লঞ্চ দুর্ঘটনা ঘটে। এসব দেখা বা তদারকির জন্য একটি সংস্থা থাকলেও সেই সংস্থা কতটা কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারছে, সে ব্যাপারে সন্দেহের যথেষ্ট অবকাশ আছে। এবারও ঈদ সামনে রেখে অসাধু লঞ্চ ব্যবসায়ী চক্রটি সক্রিয়।
আমরা চাইব, এবার যেন কোনো লক্কড়ঝক্কড় লঞ্চ নৌপথে চলতে না পারে, সেদিকে কর্তৃপক্ষের সজাগ দৃষ্টি থাকবে। ঈদের আনন্দ যেন বিষাদে পরিণত না হয়।
No comments