উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগে চাই সূর্যালোক by ড. মো. রিজওয়ানুল ইসলাম
উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগ বিষয়ে সাম্প্রতিককালে পত্রপত্রিকায় অনেক লেখালেখি হচ্ছে। আমরা মোটা দাগে বলতে পারি, এসব লেখায় বিশেষজ্ঞরা মূলত নিয়োগপ্রক্রিয়ায় স্বজনপ্রীতি, নিম্ন আদালতের বিচারকদের উচ্চ আদালতে নিয়োগের ক্ষেত্রে জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন, প্রধান বিচারপতির সুপারিশ উপেক্ষা বা সুপারিশ-প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতার অভাব, সুনির্দিষ্ট আইন বা নীতিমালার অনুপস্থিতি,
রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগ, উচ্চ আদালতের বিচারক পদে নিম্ন আদালতের বিচারকদের লক্ষণীয় অনুপস্থিতি, বিচারকদের কোনো সুনির্দিষ্ট সংখ্যার অভাব ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং প্রাজ্ঞ মতামত দিয়েছেন। এ লেখক এসব বিষয়ের গুরুত্ব সম্পর্কে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে একমত। কিন্তু এ লেখকের জানা মতে, এসব লেখায় বিচারক নিয়োগের প্রক্রিয়ায় গণসম্পৃক্ততার প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে তেমন কিছুই বলা হয়নি। এ উপেক্ষিত বিষয়ে দু-চারটি সরল কথা বলার জন্যই এ লেখার অবতারণা।
প্রধান বিচারপতি, আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিরা, আইনজীবী নেতাদের সমন্বয়ে গঠিত একটি কমিটি দ্বারা সুনির্দিষ্ট আইন বা নীতিমালার ভিত্তিতে বিচারপতি নিয়োগ অবশ্যই কাম্য এবং আশু প্রয়োজন। আইন-আদালত বিষয়ে তাঁদের জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতার দরুন তাঁরা এ বিষয়ে যোগ্য। তবে এটিই যোগ্য বিচারপতি নিয়োগের জন্য যথেষ্ট হবে কি না তা নিয়ে সন্দেহের অবকাশ রয়েছে। এমনকি জনগণের অগোচরে, নিভৃতে এ প্রক্রিয়া যদি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবেও সম্পন্ন হয়, তবুও এ নিয়ে প্রশ্ন ওঠার সমূহ সম্ভাবনা থাকবে। তাই এ বিষয়ে এ লেখকের দাবি 'সূর্যালোক'। আমরা আমজনতা রাজনীতিবিদদের স্বেচ্ছাচারিতার নিত্য ভুক্তভোগী এবং এর সমালোচনায় নানাভাবে কম-বেশি সোচ্চার। এ দেশের পত্রপত্রিকায় প্রতিনিয়ত তাঁদের কাজকর্ম নিয়ে লেখালেখি হচ্ছে, কার্টুন ছাপা হচ্ছে, ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় আলোচনা চলছে। কিন্তু এ কথা অনস্বীকার্য যে এ দেশে স্বেচ্ছাচারিতার ক্ষেত্রে রাজনীতিবিদরা মোটেই অনন্য নন। দুর্ভাগ্যজনকভাবে এ ক্ষেত্রে সামরিক, বেসামরিক আমলা বা বিচার বিভাগ- কেউই ধোয়া তুলসীপাতা নন। অনির্বাচিত হওয়ায় এ বিষয়ে অন্যরা বরং ক্ষেত্রবিশেষে রাজনীতিবিদদের চেয়ে আরো অনেক বেশি সুবিধাভোগী এবং প্রায়শই লোকচক্ষুর অন্তরালে থাকেন। আমাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে আমরা রাজনীতিবিদদের প্রত্যাখ্যান করতে পারি, কিন্তু বিচার বিভাগের বেলায় আমরা পুরোপুরি অপারগ। আমরা যেমন নির্বাচিত রাজনীতিবিদদের স্বেচ্ছাচারিতা চাই না, আমরা একইভাবে অনির্বাচিতদের স্বেচ্ছাচারিতাও কোনোভাবেই দেখতে চাইব না। আমরা চাই না যে বিচারক নিয়োগ কখনো কোনো ক্ষুদ্র কোটারি স্বার্থের বেড়াজালে বন্দি হোক। আমাদের অবশ্যই মনে রাখতে হবে, আদালত শুধু বিচারক বা আইনজীবীদের জন্য নয়, এটি সর্বস্তরের জনগণের প্রতিষ্ঠান। তাই আমাদের দাবি জানানো উচিত, বিচারক নিয়োগ হবেন জনগণের সজাগ দৃষ্টির সামনে। আমরা চাইব, প্রধান বিচারপতি, আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিরা, আইনজীবী নেতাদের সমন্বয়ে গঠিত কমিটি সুনির্দিষ্ট আইন বা নীতিমালার ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক ব্যক্তিকে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করবেন। সংসদের আইন, সংসদ ও বিচার বিভাগীয় মন্ত্রণালয়-সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটি একটি উন্মুক্ত শুনানির মাধ্যমে সুপারিশকৃতদের সুচারুভাবে যাচাই-বাছাই করবে। চূড়ান্তভাবে সংসদে ভোটাভুটির মাধ্যমে মনোনীত ব্যক্তিরা বিচারপতি পদে আসীন হওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে।
প্রশ্ন উঠতে পারে, এ রকম গণসম্পৃক্ততার ফলে উদ্ভূত সুস্পষ্ট রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা পুরো নিয়োগপ্রক্রিয়াটি আরো কলুষিত, বিতর্কিত বা বিভক্ত করবে কি না- এ জাতীয় আশঙ্কা অমূলক বলেই মনে হয়। এবং বর্তমানে এ নিয়োগপ্রক্রিয়া যতটা সমালোচিত ও বিতর্কিত, এর থেকে আর অশুভ কী হতে পারে তা ভাবা কঠিন। তা ছাড়া রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে জবাবদিহিতার ঘাটতির সমাধান বিরাজনৈতিকীকরণ নয়।
যাঁরা আমাদের দণ্ডমুণ্ডের হর্তাকর্তা, আমাদের নির্বাচিত সংসদের পাস করা আইন যাঁরা অসাংবিধানিক বলে বাতিল ঘোষণা করতে পারেন, আমাদের অবশ্যই তাঁদের জ্ঞানগরিমা, সততা, পেশাগত যোগ্যতা সম্পর্কে সবিস্তারে জানার অধিকার আছে। উচ্চ আদালতে আইনের ব্যাখ্যা দানের সময় বিদ্যমান আইনের কোনো অস্পষ্ট বিধানাবলি কিভাবে তাঁরা ব্যাখ্যা করবেন, তা জনগণের জানার অধিকার থাকা উচিত। তদুপরি মিডিয়ার অনুসন্ধানী রিপোর্টের মাধ্যমে কমিটির সদস্যরা এবং সংসদ সদস্যরাও নিয়োগপ্রার্থীর ধ্যান-ধারণা, শিক্ষা-দীক্ষা, রাজনৈতিক সংস্রব, রাজনৈতিক দর্শন প্রভৃতি বিষয়ে সহজে ওয়াকিবহাল হতে পারবেন- যা তাঁদের সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়তা করবে। যদি এ রকম একটি পদ্ধতির প্রচলন থাকত, তাহলে আমরা সার্টিফিকেট জালিয়াতির বিচারকের লজ্জা থেকে রেহাই পেতাম। এ প্রস্তাবিত প্রক্রিয়ার বাস্তবায়ন দেশের গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিকে আরো সমৃদ্ধ করতে ভূমিকা রাখবে। এরূপ একটি প্রক্রিয়া অনুসৃত হলে জনমনে বিচার বিভাগের প্রতি আস্থা বৃদ্ধি পাবে।
স্বচ্ছতার গুরুত্ব সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারপতি Louis Brandies-এর উক্তি প্রণিধানযোগ্য, �Sunlight is the best disinfectant.� প্রকৃতপক্ষে আমাদের দেশে তথা পৃথিবীর প্রায় সব সভ্য দেশে বিচারকাজ যে সাধারণত জনসমক্ষে করা হয়, তাও প্রকৃতপক্ষে স্বচ্ছতার গুরুত্বকেই নির্দেশ করে। আমরা তা-ই চাই, উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগ হবেন দিনের উদ্ভাসিত আলোয়, রাতের অন্ধকারের কোনো বিশেষ নির্দেশে বা মুষ্টিমেয় ব্যক্তির সুবিবেচনায় নয়। আমরা তাঁদের নিয়োগপ্রক্রিয়ায় কেবল প্রেস নোট এবং জীবনবৃত্তান্তের তথ্যে সন্তুষ্ট থাকতে চাই না। আমরা সাধারণ জনগণ জানতে চাই, বুঝতে চাই- কারা, কেন, কিভাবে আমাদের বিচারক হচ্ছেন। প্রজাতন্ত্রের সব ক্ষমতার অধিকারী হিসেবে এটি আমাদের প্রতি শাসন বিভাগের অনুকম্পা নয়, এটি আমাদের ন্যায্য অধিকার।
লেখক : সহকারী অধ্যাপক, স্কুল অব ল, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়
rizwanuli@alumni.nus.edu.sg / rizwanul@bracu.ac.bd
প্রধান বিচারপতি, আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিরা, আইনজীবী নেতাদের সমন্বয়ে গঠিত একটি কমিটি দ্বারা সুনির্দিষ্ট আইন বা নীতিমালার ভিত্তিতে বিচারপতি নিয়োগ অবশ্যই কাম্য এবং আশু প্রয়োজন। আইন-আদালত বিষয়ে তাঁদের জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতার দরুন তাঁরা এ বিষয়ে যোগ্য। তবে এটিই যোগ্য বিচারপতি নিয়োগের জন্য যথেষ্ট হবে কি না তা নিয়ে সন্দেহের অবকাশ রয়েছে। এমনকি জনগণের অগোচরে, নিভৃতে এ প্রক্রিয়া যদি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবেও সম্পন্ন হয়, তবুও এ নিয়ে প্রশ্ন ওঠার সমূহ সম্ভাবনা থাকবে। তাই এ বিষয়ে এ লেখকের দাবি 'সূর্যালোক'। আমরা আমজনতা রাজনীতিবিদদের স্বেচ্ছাচারিতার নিত্য ভুক্তভোগী এবং এর সমালোচনায় নানাভাবে কম-বেশি সোচ্চার। এ দেশের পত্রপত্রিকায় প্রতিনিয়ত তাঁদের কাজকর্ম নিয়ে লেখালেখি হচ্ছে, কার্টুন ছাপা হচ্ছে, ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় আলোচনা চলছে। কিন্তু এ কথা অনস্বীকার্য যে এ দেশে স্বেচ্ছাচারিতার ক্ষেত্রে রাজনীতিবিদরা মোটেই অনন্য নন। দুর্ভাগ্যজনকভাবে এ ক্ষেত্রে সামরিক, বেসামরিক আমলা বা বিচার বিভাগ- কেউই ধোয়া তুলসীপাতা নন। অনির্বাচিত হওয়ায় এ বিষয়ে অন্যরা বরং ক্ষেত্রবিশেষে রাজনীতিবিদদের চেয়ে আরো অনেক বেশি সুবিধাভোগী এবং প্রায়শই লোকচক্ষুর অন্তরালে থাকেন। আমাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে আমরা রাজনীতিবিদদের প্রত্যাখ্যান করতে পারি, কিন্তু বিচার বিভাগের বেলায় আমরা পুরোপুরি অপারগ। আমরা যেমন নির্বাচিত রাজনীতিবিদদের স্বেচ্ছাচারিতা চাই না, আমরা একইভাবে অনির্বাচিতদের স্বেচ্ছাচারিতাও কোনোভাবেই দেখতে চাইব না। আমরা চাই না যে বিচারক নিয়োগ কখনো কোনো ক্ষুদ্র কোটারি স্বার্থের বেড়াজালে বন্দি হোক। আমাদের অবশ্যই মনে রাখতে হবে, আদালত শুধু বিচারক বা আইনজীবীদের জন্য নয়, এটি সর্বস্তরের জনগণের প্রতিষ্ঠান। তাই আমাদের দাবি জানানো উচিত, বিচারক নিয়োগ হবেন জনগণের সজাগ দৃষ্টির সামনে। আমরা চাইব, প্রধান বিচারপতি, আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিরা, আইনজীবী নেতাদের সমন্বয়ে গঠিত কমিটি সুনির্দিষ্ট আইন বা নীতিমালার ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক ব্যক্তিকে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করবেন। সংসদের আইন, সংসদ ও বিচার বিভাগীয় মন্ত্রণালয়-সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটি একটি উন্মুক্ত শুনানির মাধ্যমে সুপারিশকৃতদের সুচারুভাবে যাচাই-বাছাই করবে। চূড়ান্তভাবে সংসদে ভোটাভুটির মাধ্যমে মনোনীত ব্যক্তিরা বিচারপতি পদে আসীন হওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে।
প্রশ্ন উঠতে পারে, এ রকম গণসম্পৃক্ততার ফলে উদ্ভূত সুস্পষ্ট রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা পুরো নিয়োগপ্রক্রিয়াটি আরো কলুষিত, বিতর্কিত বা বিভক্ত করবে কি না- এ জাতীয় আশঙ্কা অমূলক বলেই মনে হয়। এবং বর্তমানে এ নিয়োগপ্রক্রিয়া যতটা সমালোচিত ও বিতর্কিত, এর থেকে আর অশুভ কী হতে পারে তা ভাবা কঠিন। তা ছাড়া রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে জবাবদিহিতার ঘাটতির সমাধান বিরাজনৈতিকীকরণ নয়।
যাঁরা আমাদের দণ্ডমুণ্ডের হর্তাকর্তা, আমাদের নির্বাচিত সংসদের পাস করা আইন যাঁরা অসাংবিধানিক বলে বাতিল ঘোষণা করতে পারেন, আমাদের অবশ্যই তাঁদের জ্ঞানগরিমা, সততা, পেশাগত যোগ্যতা সম্পর্কে সবিস্তারে জানার অধিকার আছে। উচ্চ আদালতে আইনের ব্যাখ্যা দানের সময় বিদ্যমান আইনের কোনো অস্পষ্ট বিধানাবলি কিভাবে তাঁরা ব্যাখ্যা করবেন, তা জনগণের জানার অধিকার থাকা উচিত। তদুপরি মিডিয়ার অনুসন্ধানী রিপোর্টের মাধ্যমে কমিটির সদস্যরা এবং সংসদ সদস্যরাও নিয়োগপ্রার্থীর ধ্যান-ধারণা, শিক্ষা-দীক্ষা, রাজনৈতিক সংস্রব, রাজনৈতিক দর্শন প্রভৃতি বিষয়ে সহজে ওয়াকিবহাল হতে পারবেন- যা তাঁদের সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়তা করবে। যদি এ রকম একটি পদ্ধতির প্রচলন থাকত, তাহলে আমরা সার্টিফিকেট জালিয়াতির বিচারকের লজ্জা থেকে রেহাই পেতাম। এ প্রস্তাবিত প্রক্রিয়ার বাস্তবায়ন দেশের গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিকে আরো সমৃদ্ধ করতে ভূমিকা রাখবে। এরূপ একটি প্রক্রিয়া অনুসৃত হলে জনমনে বিচার বিভাগের প্রতি আস্থা বৃদ্ধি পাবে।
স্বচ্ছতার গুরুত্ব সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারপতি Louis Brandies-এর উক্তি প্রণিধানযোগ্য, �Sunlight is the best disinfectant.� প্রকৃতপক্ষে আমাদের দেশে তথা পৃথিবীর প্রায় সব সভ্য দেশে বিচারকাজ যে সাধারণত জনসমক্ষে করা হয়, তাও প্রকৃতপক্ষে স্বচ্ছতার গুরুত্বকেই নির্দেশ করে। আমরা তা-ই চাই, উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগ হবেন দিনের উদ্ভাসিত আলোয়, রাতের অন্ধকারের কোনো বিশেষ নির্দেশে বা মুষ্টিমেয় ব্যক্তির সুবিবেচনায় নয়। আমরা তাঁদের নিয়োগপ্রক্রিয়ায় কেবল প্রেস নোট এবং জীবনবৃত্তান্তের তথ্যে সন্তুষ্ট থাকতে চাই না। আমরা সাধারণ জনগণ জানতে চাই, বুঝতে চাই- কারা, কেন, কিভাবে আমাদের বিচারক হচ্ছেন। প্রজাতন্ত্রের সব ক্ষমতার অধিকারী হিসেবে এটি আমাদের প্রতি শাসন বিভাগের অনুকম্পা নয়, এটি আমাদের ন্যায্য অধিকার।
লেখক : সহকারী অধ্যাপক, স্কুল অব ল, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়
rizwanuli@alumni.nus.edu.sg / rizwanul@bracu.ac.bd
No comments