প্রবাসে থেকেও by একরামুল হক শামীম
বার্তা সংস্থা এএফপির মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক একটি খবর আমরা জানতে পেরেছি। সংবাদটি দেশের বেশকিছু সংবাদপত্রেও প্রকাশিত হয়েছে। দেশের অর্থনীতির হাল নিয়ে সরকারের নানামুখী সমালোচনা রয়েছে। বিশ্ব অর্থনীতিতেও মন্দা। এ সময়ে জানুয়ারিতে বাংলাদেশে রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স এসেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের বরাত দিয়ে এএফপি জানায়, জানুয়ারিতে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স এসেছে এক দশমিক ২২ বিলিয়ন ডলার। গত ডিসেম্বরে এর পরিমাণ ছিল এক দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলার। গত বছরের জানুয়ারির তুলনায় এ বছরের জানুয়ারিতে ২৫ শতাংশের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে। এর আগে কোনো মাসেই এত রেমিট্যান্স আসেনি। এ সময়ে রেমিট্যান্স বৃদ্ধির ইতিবাচক ধারা দেশের অর্থনীতির জন্য মঙ্গলজনক। বর্তমানে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে লেনদেনের ভারসাম্যের যে সমস্যা রয়েছে তার কিছুটা হলেও কাটবে রেমিট্যান্স বৃদ্ধির ফলে। এর প্রধান কৃতিত্ব প্রবাসে থাকা বাংলাদেশিদের। তাদের বেশির ভাগ সাধারণ পরিবারের।
রেমিট্যান্স বৃদ্ধির তাৎক্ষণিক ইতিবাচক ফল দেখা গেছে। মাসখানেক আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৯০০ কোটি ডলারের নিচে। রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় বর্তমানে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৯৪২ কোটি ডলার হয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধি নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক খবর। গত অর্থবছরে প্রবাসী শ্রমিকরা ১১ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে আশা করা হচ্ছে, বর্তমান অর্থবছরে তা ১২ বিলিয়ন ডলার পেরিয়ে যাবে। রেমিট্যান্স বৃদ্ধির ফলে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে বলে ধারণা করা যায়।
বছরের শুরুর দিকে কয়েক অর্থনীতিবিদ আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন, চলতি বছরে রেমিট্যান্স প্রবাহ কমে যাবে। এর ভয়াবহ নেতিবাচক প্রভাব পড়বে দেশের অর্থনীতির ওপর। কিন্তু বছরের শুরুর মাসেই ওই আশঙ্কা ভুল প্রমাণিত হলো। এখন রেমিট্যান্স প্রবাহের ইতিবাচক ধারা ধরে রাখার জন্য কাজ করতে হবে সরকারকে। প্রবাসী শ্রমিকরা যাতে বৈধ চ্যানেলে টাকা পাঠাতে আগ্রহী থাকেন তা নিশ্চিত করতে হবে। এক অর্থনীতিবিদ জানুয়ারিতে রেমিট্যান্স বৃদ্ধি পাওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে বলেন, টাকার বিপরীতে ডলারের দাম অনেক বেড়ে যাওয়ায় প্রবাসীরা এখন দেশে তাদের পরিবার-পরিজনের কাছে বেশি অর্থ পাঠাচ্ছেন। তবে গুরুত্বপূর্ণ হলো, প্রবাসীরা বর্তমানে হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাঠানোর চেয়ে ব্যাংকগুলোকে বেছে নিয়েছেন। প্রবাসীদের মধ্যে যে প্রবণতা বর্তমানে লক্ষ্য করা যাচ্ছে তা ধরে রাখতে হবে। বাংলাদেশ সরকারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী বিদেশে ৭০ লাখের বেশি বাংলাদেশি শ্রমিক কাজ করছেন। তবে বেসরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী এ সংখ্যা ৯০ লাখের বেশি।
এএফপির প্রতিবেদনে মতামত ব্যক্ত করা হয়েছে, রেমিট্যান্স বাংলাদেশে দারিদ্র্য বিমোচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। দীর্ঘদিন ধরে প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির কথা বলা হলেও তা বাস্তবায়নের বেলায় তেমন জোরালো পদক্ষেপ পরিলক্ষিত হয় না। প্রবাসের দূতাবাসগুলোর বিরুদ্ধে প্রায়ই অসহযোগিতার অভিযোগ শোনা যায়। দেশের বিমানবন্দরে প্রবাসী শ্রমিকদের হেনস্তার খবরও পাওয়া যায়। এ ছাড়া প্রবাসে দক্ষ শ্রমিক পাঠানোর ব্যাপারটিও নিশ্চিত করতে হবে। যে প্রবাসী শ্রমিকরা দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধি করে চলেছেন তাদের সুযোগ-সুবিধার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনায় রাখতে হবে।
রেমিট্যান্স বৃদ্ধির তাৎক্ষণিক ইতিবাচক ফল দেখা গেছে। মাসখানেক আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৯০০ কোটি ডলারের নিচে। রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় বর্তমানে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৯৪২ কোটি ডলার হয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধি নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক খবর। গত অর্থবছরে প্রবাসী শ্রমিকরা ১১ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে আশা করা হচ্ছে, বর্তমান অর্থবছরে তা ১২ বিলিয়ন ডলার পেরিয়ে যাবে। রেমিট্যান্স বৃদ্ধির ফলে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে বলে ধারণা করা যায়।
বছরের শুরুর দিকে কয়েক অর্থনীতিবিদ আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন, চলতি বছরে রেমিট্যান্স প্রবাহ কমে যাবে। এর ভয়াবহ নেতিবাচক প্রভাব পড়বে দেশের অর্থনীতির ওপর। কিন্তু বছরের শুরুর মাসেই ওই আশঙ্কা ভুল প্রমাণিত হলো। এখন রেমিট্যান্স প্রবাহের ইতিবাচক ধারা ধরে রাখার জন্য কাজ করতে হবে সরকারকে। প্রবাসী শ্রমিকরা যাতে বৈধ চ্যানেলে টাকা পাঠাতে আগ্রহী থাকেন তা নিশ্চিত করতে হবে। এক অর্থনীতিবিদ জানুয়ারিতে রেমিট্যান্স বৃদ্ধি পাওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে বলেন, টাকার বিপরীতে ডলারের দাম অনেক বেড়ে যাওয়ায় প্রবাসীরা এখন দেশে তাদের পরিবার-পরিজনের কাছে বেশি অর্থ পাঠাচ্ছেন। তবে গুরুত্বপূর্ণ হলো, প্রবাসীরা বর্তমানে হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাঠানোর চেয়ে ব্যাংকগুলোকে বেছে নিয়েছেন। প্রবাসীদের মধ্যে যে প্রবণতা বর্তমানে লক্ষ্য করা যাচ্ছে তা ধরে রাখতে হবে। বাংলাদেশ সরকারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী বিদেশে ৭০ লাখের বেশি বাংলাদেশি শ্রমিক কাজ করছেন। তবে বেসরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী এ সংখ্যা ৯০ লাখের বেশি।
এএফপির প্রতিবেদনে মতামত ব্যক্ত করা হয়েছে, রেমিট্যান্স বাংলাদেশে দারিদ্র্য বিমোচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। দীর্ঘদিন ধরে প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির কথা বলা হলেও তা বাস্তবায়নের বেলায় তেমন জোরালো পদক্ষেপ পরিলক্ষিত হয় না। প্রবাসের দূতাবাসগুলোর বিরুদ্ধে প্রায়ই অসহযোগিতার অভিযোগ শোনা যায়। দেশের বিমানবন্দরে প্রবাসী শ্রমিকদের হেনস্তার খবরও পাওয়া যায়। এ ছাড়া প্রবাসে দক্ষ শ্রমিক পাঠানোর ব্যাপারটিও নিশ্চিত করতে হবে। যে প্রবাসী শ্রমিকরা দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধি করে চলেছেন তাদের সুযোগ-সুবিধার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনায় রাখতে হবে।
No comments