সাংসদ তাপসের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা খুন-পরিবারের দাবি, হত্যার কারণ দলীয় কোন্দল
সাংসদ ফজলে নূর তাপসের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা শাহেদ-উদ-দৌলা দলীয় কোন্দলে খুন হতে পারেন বলে তাঁর পরিবার ধারণা করছে। পুলিশও খুনের বিষয়টি উড়িয়ে দিচ্ছে না। তবে স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে কি না, তা নিয়েও তদন্ত করছে পুলিশ।
গত শুক্রবার রাজধানীর সেগুনবাগিচার চট্টলা আবাসিক হোটেলের একটি কক্ষ থেকে শাহেদ-উদ-দৌলার লাশ উদ্ধার করা হয়। পরিবারের অভিযোগ, শাহেদের শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল। তাঁকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার পর নিহত শাহেদ-উদ-দৌলার বড় ভাই আরিফ-উদ-দৌলা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে রমনা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় শাহেদ-উদ-দৌলাকে সাংসদের প্রধান সমন্বয়কারী বলে উল্লেখ করা হয়।
আরিফ-উদ-দৌলা প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা মনে করছেন, দলীয় কোন্দলের জের ধরে শাহেদকে হত্যা করা হয়েছে। শাহেদ সাংসদের সমন্বয়কারীর পাশাপাশি রাজনৈতিক উপদেষ্টা ছিলেন। তিনি সাংসদের খুবই ঘনিষ্ঠজন। সম্প্রতি ঢাকা কলেজের ছাত্রলীগের কমিটি গঠনের দায়িত্ব পড়ে শাহেদের ওপর। তাঁর সমর্থিত কমিটিই চূড়ান্ত হওয়ার পথে। ফলে কমিটিতে ঠাঁই না পাওয়া অনেকেই তাঁর বিপক্ষে চলে যান।
আরিফ-উদ-দৌলা বলেন, শাহেদ সব সময় সুস্থ রাজনীতির চর্চা করতেন। ছাত্রজীবন থেকে ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। পরে যুবলীগ হয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত হন। চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজিসহ তিনি বিভিন্ন সন্ত্রাসমূলক কাজের ঘোর বিরোধী ছিলেন। এসব থেকে দলকে মুক্ত করতে চাইতেন। এ কারণে দলের সুবিধাবাদী কিছু লোকের সঙ্গে তাঁর বিরোধের সৃষ্টি হয়। অপরদিকে আগামী নির্বাচনে বগুড়া-৫ আসন থেকে মনোনয়ন পাওয়ার চেষ্টা করছিলেন শাহেদ। এ নিয়েও নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বিরোধ হওয়া অসম্ভব নয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও রমনা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুর রউফ বলেন, সিআইডির একটি দল গতকাল হোটেলের কক্ষ থেকে ভিটামিন জাতীয় ওষুধ, মদের বোতলসহ কিছু আলামত উদ্ধার করেছে। ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, অতিরিক্ত মদ্যপান বা হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু হয়েছে কি না, তা বলা যাচ্ছে না।
হত্যার অভিযোগের ব্যাপারে তিনি বলেন, খাট থেকে পড়ে গেলে যে ধরনের ক্ষত হয়, তা শাহেদের শরীরে ছিল। তার পরও খুনের বিষয়টি উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না। বাইরে থেকে কেউ কিছু খাইয়েও তাঁকে হত্যা করতে পারে। পারিবারিক সূত্র জানায়, গতকাল শনিবার বাদ জোহর জানাজা শেষে লাশ বগুড়ার শেরপুর উপজেলার ধনকুণ্ডি গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
আরিফ-উদ-দৌলা প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা মনে করছেন, দলীয় কোন্দলের জের ধরে শাহেদকে হত্যা করা হয়েছে। শাহেদ সাংসদের সমন্বয়কারীর পাশাপাশি রাজনৈতিক উপদেষ্টা ছিলেন। তিনি সাংসদের খুবই ঘনিষ্ঠজন। সম্প্রতি ঢাকা কলেজের ছাত্রলীগের কমিটি গঠনের দায়িত্ব পড়ে শাহেদের ওপর। তাঁর সমর্থিত কমিটিই চূড়ান্ত হওয়ার পথে। ফলে কমিটিতে ঠাঁই না পাওয়া অনেকেই তাঁর বিপক্ষে চলে যান।
আরিফ-উদ-দৌলা বলেন, শাহেদ সব সময় সুস্থ রাজনীতির চর্চা করতেন। ছাত্রজীবন থেকে ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। পরে যুবলীগ হয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত হন। চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজিসহ তিনি বিভিন্ন সন্ত্রাসমূলক কাজের ঘোর বিরোধী ছিলেন। এসব থেকে দলকে মুক্ত করতে চাইতেন। এ কারণে দলের সুবিধাবাদী কিছু লোকের সঙ্গে তাঁর বিরোধের সৃষ্টি হয়। অপরদিকে আগামী নির্বাচনে বগুড়া-৫ আসন থেকে মনোনয়ন পাওয়ার চেষ্টা করছিলেন শাহেদ। এ নিয়েও নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বিরোধ হওয়া অসম্ভব নয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও রমনা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুর রউফ বলেন, সিআইডির একটি দল গতকাল হোটেলের কক্ষ থেকে ভিটামিন জাতীয় ওষুধ, মদের বোতলসহ কিছু আলামত উদ্ধার করেছে। ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, অতিরিক্ত মদ্যপান বা হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু হয়েছে কি না, তা বলা যাচ্ছে না।
হত্যার অভিযোগের ব্যাপারে তিনি বলেন, খাট থেকে পড়ে গেলে যে ধরনের ক্ষত হয়, তা শাহেদের শরীরে ছিল। তার পরও খুনের বিষয়টি উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না। বাইরে থেকে কেউ কিছু খাইয়েও তাঁকে হত্যা করতে পারে। পারিবারিক সূত্র জানায়, গতকাল শনিবার বাদ জোহর জানাজা শেষে লাশ বগুড়ার শেরপুর উপজেলার ধনকুণ্ডি গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
No comments