মালামাল লুট, গ্রেপ্তার ৬-ভুয়া পরিচয়ে উচ্ছেদ অভিযান
কথিত উচ্ছেদ অভিযানের নামে একদল দুর্বৃত্ত গতকাল শনিবার রাজধানীর অদূরে আশুলিয়ার গৌরীপুর বি বাংলা এলাকার একটি বাড়িতে হানা দিয়ে ১৫টি ঘর ভেঙে স্বর্ণালংকার, নগদ অর্থ, আসবাবসহ অন্যান্য মালামাল লুটে নিয়ে যায়।
লুটপাট শেষে দুর্বৃত্তরা চলে যাওয়ার সময় এলাকাবাসীর সন্দেহ হয়।
লুটপাট শেষে দুর্বৃত্তরা চলে যাওয়ার সময় এলাকাবাসীর সন্দেহ হয়।
পরে জনতা ছয়জনকে ধরে পিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন: ভুয়া ম্যাজিস্ট্রেট আবদুস ছালাম, ভুয়া র্যাব কর্মকর্তা আসাদ, ভুয়া গোয়েন্দা কর্মকর্তা মতিউর রহমান, পরিবেশ ও সামাজিক উন্নয়ন সংস্থা এবং মানবাধিকার বাস্তবায়ন কমিটির চেয়ারম্যান নূর হাকিম, কথিত মানবাধিকারকর্মী জুলেখা বেগম ও মাইক্রোবাসের চালক নূর কাশেম।
সূত্র জানায়, গতকাল সকাল নয়টার দিকে কমপক্ষে ২৫ ব্যক্তি গৌরীপুর গ্রামের চাঁন মিয়ার বাড়িতে যায়। তাদের মধ্যে কয়েকজন নিজেদের ম্যাজিস্ট্রেট, র্যাব ও গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সদস্য, সাংবাদিক ও মানবাধিকারকর্মী পরিচয় দিয়ে বলেন, ‘আপনারা বাড়িটি জোর করে দখল করে আছেন। আমরা আদালতের নির্দেশে উচ্ছেদ অভিযান চালাতে এসেছি।’ এ সময় তারা অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে চাঁন মিয়ার ১৫টি আধাপাকা ঘর ভেঙে দেয়। পরে তারা ঘরের বেড়া ও চালা, স্বর্ণালংকার, নগদ অর্থ ও আসবাবসহ অন্যান্য মালামাল তিনটি ট্রাকে তুলে অন্যত্র পাঠিয়ে দেয়। কয়েকজন ছাড়া অন্যরা ট্রাকে করে চলে যায়।
এলাবাবাসী জানায়, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ‘উচ্ছেদ অভিযান’ শেষে প্রতারকেরা মাইক্রোবাসযোগে চলে যাওয়ার সময় এক প্রতিবেশীর সন্দেহ হয়। পরে স্থানীয় জনতা ছয়জনকে ধরে পিটুনি দেয়। পরে আশুলিয়া থানার পুলিশ তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান।
চাঁন মিয়া বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই এসব প্রতারক মিথ্যা অভিযোগ তুলে নানা পরিচয়ে তাঁর কাছে চাঁদা দাবি করে আসছিল। তিনি চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় তারা ঘরবাড়ি ভেঙে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকাসহ প্রায় ছয় লাখ টাকার মালামাল লুটে নিয়ে যায়। তিনি বলেন, এটা তাঁর নিজের বাড়ি। ১৯৮০ সাল থেকে তাঁরা এই বাড়িতে বসবাস করছেন। চাঁন মিয়ার ছেলে মো. মোমিন এই ঘটনায় গতকাল আশুলিয়া থানায় মামলা করেছেন।
থানা হেফাজতে থাকা নূর হাকিম বলেন, তাঁর পরিচিত এক ব্যক্তি ওই বাড়িটির মালিকানা দাবি করে তাঁদের বাড়িটি দখলমুক্ত করে দিতে বলেছেন। এ কারণেই তাঁরা গতকাল সেখানে ‘অভিযান’ চালান।
আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মোস্তফা কামাল বলেন, ভুয়া পরিচয়ে একদল দুর্বৃত্ত কথিত উচ্ছেদ অভিযানের নামে ঘরবাড়ি ভেঙে লুটপাট চালিয়েছে।
সূত্র জানায়, গতকাল সকাল নয়টার দিকে কমপক্ষে ২৫ ব্যক্তি গৌরীপুর গ্রামের চাঁন মিয়ার বাড়িতে যায়। তাদের মধ্যে কয়েকজন নিজেদের ম্যাজিস্ট্রেট, র্যাব ও গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সদস্য, সাংবাদিক ও মানবাধিকারকর্মী পরিচয় দিয়ে বলেন, ‘আপনারা বাড়িটি জোর করে দখল করে আছেন। আমরা আদালতের নির্দেশে উচ্ছেদ অভিযান চালাতে এসেছি।’ এ সময় তারা অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে চাঁন মিয়ার ১৫টি আধাপাকা ঘর ভেঙে দেয়। পরে তারা ঘরের বেড়া ও চালা, স্বর্ণালংকার, নগদ অর্থ ও আসবাবসহ অন্যান্য মালামাল তিনটি ট্রাকে তুলে অন্যত্র পাঠিয়ে দেয়। কয়েকজন ছাড়া অন্যরা ট্রাকে করে চলে যায়।
এলাবাবাসী জানায়, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ‘উচ্ছেদ অভিযান’ শেষে প্রতারকেরা মাইক্রোবাসযোগে চলে যাওয়ার সময় এক প্রতিবেশীর সন্দেহ হয়। পরে স্থানীয় জনতা ছয়জনকে ধরে পিটুনি দেয়। পরে আশুলিয়া থানার পুলিশ তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান।
চাঁন মিয়া বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই এসব প্রতারক মিথ্যা অভিযোগ তুলে নানা পরিচয়ে তাঁর কাছে চাঁদা দাবি করে আসছিল। তিনি চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় তারা ঘরবাড়ি ভেঙে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকাসহ প্রায় ছয় লাখ টাকার মালামাল লুটে নিয়ে যায়। তিনি বলেন, এটা তাঁর নিজের বাড়ি। ১৯৮০ সাল থেকে তাঁরা এই বাড়িতে বসবাস করছেন। চাঁন মিয়ার ছেলে মো. মোমিন এই ঘটনায় গতকাল আশুলিয়া থানায় মামলা করেছেন।
থানা হেফাজতে থাকা নূর হাকিম বলেন, তাঁর পরিচিত এক ব্যক্তি ওই বাড়িটির মালিকানা দাবি করে তাঁদের বাড়িটি দখলমুক্ত করে দিতে বলেছেন। এ কারণেই তাঁরা গতকাল সেখানে ‘অভিযান’ চালান।
আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মোস্তফা কামাল বলেন, ভুয়া পরিচয়ে একদল দুর্বৃত্ত কথিত উচ্ছেদ অভিযানের নামে ঘরবাড়ি ভেঙে লুটপাট চালিয়েছে।
No comments