আস্সালামু আলাইকা ইয়া রাসুলুল্লাহ (সা.) by মাওলানা শাহ আবদুস সাত্তার
রাহ্মাতুল্লিল আল-আমিন হজরত রাসুলে মকবুল (সা.) মহান ১২ রবিউল আউয়াল এই বিশ্ব ভূমণ্ডলে আগমন করেন। আস্সালামু আলাইকা ইয়া রাসুলাল্লাহ (সা.)। এবং এই তারিখেই তিনি তিরোধান লাভ করেন। অতএব, দিবসটি বিশ্ব মুসলিমের কাছে খুব তাৎপর্যবহ ও মহিমান্বিত।
শুধু তা-ই নয়, আমাদের প্রিয় মাতৃভূমিসহ সারা বিশ্বের মুসলমানরা মিলাদুন্নবী ও সিরাতুন্নবী (সা.)-এর মাধ্যমে নবী (সা.)-এর আবির্ভাব ও তিরোধান দিবস উদ্যাপন করে থাকেন। আল্লাহর পিয়ারা হাবিব হজরত রাসুলে মকবুল (সা.) সারা বিশ্বের জুলুম, নির্মম অত্যাচার, ফিত্না-ফ্যাসাদ ও পৈশাচিক কর্মকাণ্ডের মূলোৎপাটন ঘটিয়ে সত্য ও ন্যায় ইনসাফভিত্তিক রাজত্ব কায়েম করে বিশ্বমানবতার কল্যাণ প্রতিষ্ঠার এক অনন্য দৃষ্টান্ত তুলে ধরেছিলেন। এ কথা মহা সত্য যে মানবজাতির সঠিক পথনির্দেশনায় হজরত রাসুলে মকবুল (সা.)-এর মতো অন্য কোনো ধর্মপ্রবক্তা, নবী-পয়গম্বর বিশ্বজনীন আহ্বান রাখতে পারেননি, তাঁরা নিজ নিজ সীমিত পরিসরে ধর্ম প্রচার করেছিলেন, আমরা নিজ নিজ পরিসরে ঐকান্তিক হৃদয় মহানবী (সা.)-এর শানে, মানে মিলাদুন্নবী (সা.) সিরাত আলোচনা, আল্লাহর রাসুল (সা.)-এর জীবনের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে তুলে ধরে মানুষের মধ্যে প্রচারে আত্মনিবেদিত হয়ে কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছি_শুধু তা-ই নয়, নিজেদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে তা বাস্তবায়নের প্রচেষ্টা করছি।
কাজেই আল্লাহ রাব্বুল আল-আমিনের সন্তুষ্টি, নৈকট্য অর্জন এবং অশেষ সাওয়াব হাসিলের জন্য আমাদের পরম প্রিয় বাংলাদেশেই নয়, বিশ্বের শত শত কোটি মুসলমান মিলাদুন্নবী (সা.)-সিরাতুন্নবী (সা.)-এর মাধ্যমে আল্লাহর প্রিয় রাসুল (সা.)-এর সিরাত-জীবনাদর্শ নিজ নিজ জীবনে বাস্তবায়নে সচেষ্ট হই। মিলাদুন্নবী-সিরাতুন্নবী (সা.) একটি মহাপ্রশিক্ষণ মাধ্যম। আল্লাহর পিয়ারা হাবিব হজরত রাসুলে করিম (সা.)-কে স্মরণ ও বরণ করে তাঁর আদর্শ, শিক্ষা ও নীতিমালা নিজের জীবনে অক্ষরে অক্ষরে প্রতিপালনের অঙ্গীকার করে সারা বছরই যেন একইভাবে বাস্তবায়ন করতে পারি।
অতএব আসুন, শুধু ইয়া নবী সালামু আলাইকা ইয়া রাসুল সালামু- আলাইকা, দরুদ, সালাম ও মোনাজাত-ফরিয়াদের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে মহানবী (সা.)-এর প্রতি পরম ভক্তি, শ্রদ্ধা, ভালোবাসা রেখে তাঁর নীতি, আদর্শ, শিক্ষা তথা আল্লাহ পাকের প্রদত্ত আল-কোরআনের বিধানগুলো, সেই সঙ্গে হাদিসে রাসুল (সা.)-এর দিকনির্দেশনা ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র, জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে তাঁর সুন্নত, আদর্শ, নীতিমালা পালনে আত্মনিয়োগ করি। রবিউল আউয়ালের এই রহমত, বরকত ও নিয়ামতের মাসে গ্রামগঞ্জ, শহর-বন্দর, পাড়া-মহল্লাসহ সর্বত্র মিলাদুন্নবী (সা.) এবং সিরাতুন্নবী (সা.)-এর ওপর ব্যাপক অনুষ্ঠান করে ভাবগম্ভীর পরিবেশে উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে অতিবাহিত করা আমার, আপনার এবং সব মুসলমানেরই উচিত। আল্লাহ পাকের খাসদরবারে আস্সালামু আলাইকা ইয়া রাসুলাল্লাহ (সা.)-এর এই দরুদ তিনি কবুল করুন।
লেখক : সভাপতি, বাংলাদেশ সিরাত মিশন
কাজেই আল্লাহ রাব্বুল আল-আমিনের সন্তুষ্টি, নৈকট্য অর্জন এবং অশেষ সাওয়াব হাসিলের জন্য আমাদের পরম প্রিয় বাংলাদেশেই নয়, বিশ্বের শত শত কোটি মুসলমান মিলাদুন্নবী (সা.)-সিরাতুন্নবী (সা.)-এর মাধ্যমে আল্লাহর প্রিয় রাসুল (সা.)-এর সিরাত-জীবনাদর্শ নিজ নিজ জীবনে বাস্তবায়নে সচেষ্ট হই। মিলাদুন্নবী-সিরাতুন্নবী (সা.) একটি মহাপ্রশিক্ষণ মাধ্যম। আল্লাহর পিয়ারা হাবিব হজরত রাসুলে করিম (সা.)-কে স্মরণ ও বরণ করে তাঁর আদর্শ, শিক্ষা ও নীতিমালা নিজের জীবনে অক্ষরে অক্ষরে প্রতিপালনের অঙ্গীকার করে সারা বছরই যেন একইভাবে বাস্তবায়ন করতে পারি।
অতএব আসুন, শুধু ইয়া নবী সালামু আলাইকা ইয়া রাসুল সালামু- আলাইকা, দরুদ, সালাম ও মোনাজাত-ফরিয়াদের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে মহানবী (সা.)-এর প্রতি পরম ভক্তি, শ্রদ্ধা, ভালোবাসা রেখে তাঁর নীতি, আদর্শ, শিক্ষা তথা আল্লাহ পাকের প্রদত্ত আল-কোরআনের বিধানগুলো, সেই সঙ্গে হাদিসে রাসুল (সা.)-এর দিকনির্দেশনা ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র, জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে তাঁর সুন্নত, আদর্শ, নীতিমালা পালনে আত্মনিয়োগ করি। রবিউল আউয়ালের এই রহমত, বরকত ও নিয়ামতের মাসে গ্রামগঞ্জ, শহর-বন্দর, পাড়া-মহল্লাসহ সর্বত্র মিলাদুন্নবী (সা.) এবং সিরাতুন্নবী (সা.)-এর ওপর ব্যাপক অনুষ্ঠান করে ভাবগম্ভীর পরিবেশে উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে অতিবাহিত করা আমার, আপনার এবং সব মুসলমানেরই উচিত। আল্লাহ পাকের খাসদরবারে আস্সালামু আলাইকা ইয়া রাসুলাল্লাহ (সা.)-এর এই দরুদ তিনি কবুল করুন।
লেখক : সভাপতি, বাংলাদেশ সিরাত মিশন
No comments