ডিসিসিতে দুর্নীতি-কর্তৃপক্ষের দায় এড়ানোর পথ নেই
দুর্নীতির বিরুদ্ধে দেশের মানুষ এত উচ্চকণ্ঠ হওয়া সত্ত্বেও দুর্নীতি নামক রাহু এখনো আমাদের অনেক সম্ভাবনা, অর্জন ও প্রত্যাশার অপমৃত্যু ঘটাচ্ছে। দারিদ্র্যপীড়িত জনগোষ্ঠীর অর্থ লুটে নিয়ে কিছু স্বেচ্ছাচারী, ক্ষমতাবান ও অসাধু ব্যক্তির উদরপূর্তির পাঁয়তারা অব্যাহত রয়েছে।
এর বিরূপ প্রভাবে জনজীবনে নানা রকম ভোগান্তির চিত্র প্রকট হয়ে উঠলেও সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের অনেকেই নিজ নিজ ক্ষেত্রে দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছেন। স্বেচ্ছাচারীরা ক্রমেই যেন অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠছে এবং সমাজের চিত্র বিবর্ণ হচ্ছে। বাড়ছে জনবিড়ম্বনা। ২২ আগস্ট 'মশার ওষুধের নামে ৫০০ ড্রাম পানি' এবং ২৭ আগস্ট 'দরপত্র ছাপা হয় পত্রিকার একটি কপিতে' শিরোনামে কালের কণ্ঠে প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলোতে যে চিত্র ফুটে উঠেছে, তাতে প্রতীয়মান হয়, ডিসিসিতে লুটপাটের মহোৎসব চলছে। অখ্যাত ও নামসর্বস্ব পাঁচটি পত্রিকায় সম্প্রতি ডিসিসির তিনটি ঠিকাদারি কাজের দরপত্র বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। বিস্ময়কর হলো, ওই বিজ্ঞপ্তিগুলো প্রতিটি পত্রিকারই শুধু একটি কপিতে প্রকাশিত হয়। খুব সহজেই অনুমান করা যায়, একটি চক্র কিভাবে এই কারসাজি করে ফায়দা লুটতে চেয়েছে। নগরবাসীর করের দেওয়া অর্থ লুটেপুটে খাচ্ছে একটি চক্র। করের বিনিময়ে নগরবাসী পেয়েছে দুর্বিষহ জীবন। এই জীবনচিত্রের দায়ভার নিশ্চয়ই ডিসিসি এড়াতে পারে না।
১৬ আগস্ট নগর ভবনে মশার ওষুধের মান পরীক্ষা করতে গিয়ে কেঁচো খুঁড়তে সাপের সন্ধান মেলে। বিপুল অর্থ ব্যয়ে ক্রয় করা ৫০০ ড্রাম মশার ওষুধের বদলে পানি বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। ডিসিসির কর্মকর্তাদের সামনে মশারিতে মশা বন্দি করে ওষুধ প্রয়োগের পর ধরা পড়ে ওষুধ নয়, এর সবই পানি। ডিসিসির প্রধান ভাণ্ডার ও ক্রয় কর্মকর্তা, যিনি ওষুধ কেনার দায়িত্বে ছিলেন, তাঁর অজ্ঞাতসারে এমন অপকর্ম ঘটেছে তা মনে করার কোনো যৌক্তিক কারণই নেই। যদিও ইতিমধ্যে তথাকথিত এসব মশার ওষুধ জব্দ করা হয়েছে। মশার ওষুধ সরবরাহকারী যে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি এমন কাণ্ড ঘটিয়েছে, তাদের হাত অনেক লম্বা_এটিই প্রতীয়মান হয়। অভিযোগ আছে, ডিসিসিতে মশার ওষুধ ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ক্রয়ের নামে ভয়াবহ দুর্নীতি চলে আসছে। দরপত্র বিজ্ঞপ্তি থেকে শুরু করে পুরো প্রক্রিয়া নিয়েই আছে বিস্তর অভিযোগ। ধরা পড়া ভেজাল মশার ওষুধ খণ্ডিত দৃষ্টান্ত মাত্র। ডিসিসির সামগ্রিক কর্মকাণ্ড জনকল্যাণে কিংবা জনসেবা প্রদানে কতটা ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে চলেছে, এর বিস্তর নজির সামনেই রয়েছে।
ডিসিসি একটি প্রতিষ্ঠান। নগরবাসীর সেবা নিশ্চিত করার দায় ডিসিসির। যথাযথ সেবাপ্রাপ্তির লক্ষ্যে নগরবাসী করও প্রদান করে। কিন্তু জনসেবা নিশ্চিত না করে ব্যক্তি বা মহলবিশেষ উদরপূর্তির পাঁয়তারা চালাবে, আর পক্ষান্তরে কিছুই করার থাকবে না কারো_তা তো চলতে পারে না। খুব জোরালো অভিযোগ রয়েছে যে ডিসিসির স্তরে স্তরে অসাধু ব্যক্তিদের চক্র জেঁকে বসে আছে। এসব ব্যর্থতার দায় নগরপিতার ওপরও বর্তায়। এই মহানগরীর ড্রেনেজ-ব্যবস্থা, রাস্তাঘাটসহ প্রায় প্রতিটি সেবা খাতের যে বিবর্ণ চিত্র পরিলক্ষিত হচ্ছে, তা নগরজীবনকে দুর্বিষহ করে তুলছে। মশার ওষুধ ক্রয়ে যে দুর্নীতির চিত্র উন্মোচিত হলো, এর যথাযথ প্রতিকারের পাশাপাশি নগরবাসীর সেবা নিশ্চিত করতে ডিসিসিকে অবশ্যই যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে। ডিসিসির দায় ও কর্তব্য নতুন করে স্মরণ করিয়ে দেওয়া নিষ্প্রয়োজন। ডিসিসিতে অবশ্যই শুদ্ধি অভিযান চালানো দরকার। অসাধু চক্রের মূলোৎপাটন ভিন্ন এই মহানগরীর হতাশাব্যঞ্জক চিত্র মুছে ফেলার আশা দুরাশারই নামান্তর।
১৬ আগস্ট নগর ভবনে মশার ওষুধের মান পরীক্ষা করতে গিয়ে কেঁচো খুঁড়তে সাপের সন্ধান মেলে। বিপুল অর্থ ব্যয়ে ক্রয় করা ৫০০ ড্রাম মশার ওষুধের বদলে পানি বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। ডিসিসির কর্মকর্তাদের সামনে মশারিতে মশা বন্দি করে ওষুধ প্রয়োগের পর ধরা পড়ে ওষুধ নয়, এর সবই পানি। ডিসিসির প্রধান ভাণ্ডার ও ক্রয় কর্মকর্তা, যিনি ওষুধ কেনার দায়িত্বে ছিলেন, তাঁর অজ্ঞাতসারে এমন অপকর্ম ঘটেছে তা মনে করার কোনো যৌক্তিক কারণই নেই। যদিও ইতিমধ্যে তথাকথিত এসব মশার ওষুধ জব্দ করা হয়েছে। মশার ওষুধ সরবরাহকারী যে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি এমন কাণ্ড ঘটিয়েছে, তাদের হাত অনেক লম্বা_এটিই প্রতীয়মান হয়। অভিযোগ আছে, ডিসিসিতে মশার ওষুধ ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ক্রয়ের নামে ভয়াবহ দুর্নীতি চলে আসছে। দরপত্র বিজ্ঞপ্তি থেকে শুরু করে পুরো প্রক্রিয়া নিয়েই আছে বিস্তর অভিযোগ। ধরা পড়া ভেজাল মশার ওষুধ খণ্ডিত দৃষ্টান্ত মাত্র। ডিসিসির সামগ্রিক কর্মকাণ্ড জনকল্যাণে কিংবা জনসেবা প্রদানে কতটা ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে চলেছে, এর বিস্তর নজির সামনেই রয়েছে।
ডিসিসি একটি প্রতিষ্ঠান। নগরবাসীর সেবা নিশ্চিত করার দায় ডিসিসির। যথাযথ সেবাপ্রাপ্তির লক্ষ্যে নগরবাসী করও প্রদান করে। কিন্তু জনসেবা নিশ্চিত না করে ব্যক্তি বা মহলবিশেষ উদরপূর্তির পাঁয়তারা চালাবে, আর পক্ষান্তরে কিছুই করার থাকবে না কারো_তা তো চলতে পারে না। খুব জোরালো অভিযোগ রয়েছে যে ডিসিসির স্তরে স্তরে অসাধু ব্যক্তিদের চক্র জেঁকে বসে আছে। এসব ব্যর্থতার দায় নগরপিতার ওপরও বর্তায়। এই মহানগরীর ড্রেনেজ-ব্যবস্থা, রাস্তাঘাটসহ প্রায় প্রতিটি সেবা খাতের যে বিবর্ণ চিত্র পরিলক্ষিত হচ্ছে, তা নগরজীবনকে দুর্বিষহ করে তুলছে। মশার ওষুধ ক্রয়ে যে দুর্নীতির চিত্র উন্মোচিত হলো, এর যথাযথ প্রতিকারের পাশাপাশি নগরবাসীর সেবা নিশ্চিত করতে ডিসিসিকে অবশ্যই যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে। ডিসিসির দায় ও কর্তব্য নতুন করে স্মরণ করিয়ে দেওয়া নিষ্প্রয়োজন। ডিসিসিতে অবশ্যই শুদ্ধি অভিযান চালানো দরকার। অসাধু চক্রের মূলোৎপাটন ভিন্ন এই মহানগরীর হতাশাব্যঞ্জক চিত্র মুছে ফেলার আশা দুরাশারই নামান্তর।
No comments