বনভান্তেকে শ্রদ্ধা জানাতে মানুষের ঢল অব্যাহত
খ্যাতিমান বৌদ্ধধর্মীয় সাধক ‘বনভান্তে’খ্যাত সাধনানন্দ মহাস্থবিরের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে মানুষের ঢল অব্যাহত রয়েছে। বনভান্তের দর্শন পেতে গতকাল শনিবারও পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজার হাজার মানুষ রাঙামাটির রাজবন বিহারে ছুটে আসেন। তাঁরা ফুল নিয়ে বিহারে প্রবেশ করেন এবং বনভান্তের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এদিকে ফুল নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদনের কারণে রাজবন বিহার এলাকায় ফুল বিক্রি বেড়ে গেছে। বিহারের পাশের সড়কগুলোতে বসেছে ফুল বিক্রির শতাধিক অস্থায়ী দোকান। সেখানে প্রতিটি দোকানে প্রতিদিন ১০ হাজার থেকে ১২ হাজার টাকার ফুল বিক্রি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। সেই হিসাবে প্রতিদিন বিক্রি হচ্ছে দশ লক্ষাধিক টাকার ফুল।
গত সোমবার বেলা চারটার দিকে রাজধানীর একটি হাসপাতালে বনভান্তের মহাপ্রয়াণ হয়। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে তাঁর মরদেহ রাঙামাটির রাজবন বিহার মাঠে আনা হয়। তখন থেকে তাঁকে একনজর দেখতে ও শ্রদ্ধা জানাতে মানুষের ঢল নামে। বনভান্তের মহাপ্রয়াণ উপলক্ষে আয়োজিত ধর্মীয় অনুষ্ঠানে গতকালও রাজবন বিহার ছিল লোকে লোকারণ্য।
চট্টগ্রামের কয়েকটি ফুলের দোকানির সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলে জানা গেছে, প্রতিটি ফুলের দোকান থেকে এ কদিন ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকার ফুল রাঙামাটিতে নেওয়া হয়েছে। সেখানে ফুলের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় চট্টগ্রামের বিভিন্ন দোকানে দেখা দিয়েছে ফুলের সংকট।
চট্টগ্রাম শহরের চেরাগী পাহাড় এলাকার শিবলী ফুল বিতানের মালিক রূপম বড়ুয়া বলেন, তাঁর দোকান থেকে এ পর্যন্ত অন্তত ২০ লাখ টাকার ফুল রাঙামাটিতে নেওয়া হয়েছে। ফুলের এমন চাহিদা তিনি জীবনেও দেখেননি বলে উল্লেখ করেন।
চট্টগ্রামের ফুলের দোকানিরা বলেন, হঠাৎ ফুলের চাহিদা বাড়ায় পাঁচ থেকে ছয় টাকা দামের গ্লাডিওলাস ফুল ১০-১২ টাকা দরে, দেড় থেকে দুই টাকার রজনীগন্ধা তিন থেকে চার টাকা এবং এক টাকা দামের প্রতিটি গোলাপ দুই টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আর সাধারণ বুকেট ৫০ থেকে ৬০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।
কিন্তু রাঙামাটিতে প্রতিটি গ্লাডিওলাস ৩০ থেকে ৪০ টাকা, রজনীগন্ধা ২০ থেকে ২৫, প্রতিটি গোলাপ ১০ থেকে ১২ ও সাধারণ বুকেট ১২৫ থেকে ১৫০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, রাজবন বিহারের সঙ্গে সংযুক্ত কে কে রায় সড়ক ও কারিগরি প্রশিক্ষণকেন্দ্র সড়কে বসানো হয়েছে ফুল বিক্রির শতাধিক অস্থায়ী দোকান। এসব দোকানে সবচেয়ে বেশি দেখা গেছে লাল, হলুদ, কমলা ও সাদা রঙের গ্লাডিওলাস, লাল গোলাপ ও রজনীগন্ধা ফুল এবং হলুদ গাঁদা ফুলের মালা। এ ছাড়া প্লাস্টিকে মোড়ানো ফুলের বুকেট ও পদ্মফুলও দেখা গেছে।
কারিগরি প্রশিক্ষণকেন্দ্র সড়কের মুখে কয়েকজন আদিবাসী বন্ধুর সঙ্গে ফুল বিক্রি করছিলেন চট্টগ্রাম থেকে আসা রাবেয়া সুলতানা। তিনি বলেন, বনভান্তের প্রতি ধনী-দরিদ্র, ছোট-বড়, নারী-পুরুষ সবার অগাধ শ্রদ্ধা। কেউই ফুল ছাড়া বনভান্তেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করছেন না। প্রত্যেকে অন্তত একটি করে ফুল কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। তিনি শুধু শুক্রবার ৩০ হাজার টাকার ফুল বিক্রি করেছেন বলে জানান রাবেয়া।
কে কে রায় সড়কের ফুল বিক্রেতা মো. রাজু ও সমীরণ চাকমা বলেন, তাঁরা প্রতিদিন ১০ হাজার থেকে ১২ হাজার টাকার ফুল বিক্রি করছেন। এখন চট্টগ্রাম থেকে চাহিদামতো ফুল পাচ্ছেন না বলে তাঁরা জানান।
গত সোমবার বেলা চারটার দিকে রাজধানীর একটি হাসপাতালে বনভান্তের মহাপ্রয়াণ হয়। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে তাঁর মরদেহ রাঙামাটির রাজবন বিহার মাঠে আনা হয়। তখন থেকে তাঁকে একনজর দেখতে ও শ্রদ্ধা জানাতে মানুষের ঢল নামে। বনভান্তের মহাপ্রয়াণ উপলক্ষে আয়োজিত ধর্মীয় অনুষ্ঠানে গতকালও রাজবন বিহার ছিল লোকে লোকারণ্য।
চট্টগ্রামের কয়েকটি ফুলের দোকানির সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলে জানা গেছে, প্রতিটি ফুলের দোকান থেকে এ কদিন ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকার ফুল রাঙামাটিতে নেওয়া হয়েছে। সেখানে ফুলের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় চট্টগ্রামের বিভিন্ন দোকানে দেখা দিয়েছে ফুলের সংকট।
চট্টগ্রাম শহরের চেরাগী পাহাড় এলাকার শিবলী ফুল বিতানের মালিক রূপম বড়ুয়া বলেন, তাঁর দোকান থেকে এ পর্যন্ত অন্তত ২০ লাখ টাকার ফুল রাঙামাটিতে নেওয়া হয়েছে। ফুলের এমন চাহিদা তিনি জীবনেও দেখেননি বলে উল্লেখ করেন।
চট্টগ্রামের ফুলের দোকানিরা বলেন, হঠাৎ ফুলের চাহিদা বাড়ায় পাঁচ থেকে ছয় টাকা দামের গ্লাডিওলাস ফুল ১০-১২ টাকা দরে, দেড় থেকে দুই টাকার রজনীগন্ধা তিন থেকে চার টাকা এবং এক টাকা দামের প্রতিটি গোলাপ দুই টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আর সাধারণ বুকেট ৫০ থেকে ৬০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।
কিন্তু রাঙামাটিতে প্রতিটি গ্লাডিওলাস ৩০ থেকে ৪০ টাকা, রজনীগন্ধা ২০ থেকে ২৫, প্রতিটি গোলাপ ১০ থেকে ১২ ও সাধারণ বুকেট ১২৫ থেকে ১৫০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, রাজবন বিহারের সঙ্গে সংযুক্ত কে কে রায় সড়ক ও কারিগরি প্রশিক্ষণকেন্দ্র সড়কে বসানো হয়েছে ফুল বিক্রির শতাধিক অস্থায়ী দোকান। এসব দোকানে সবচেয়ে বেশি দেখা গেছে লাল, হলুদ, কমলা ও সাদা রঙের গ্লাডিওলাস, লাল গোলাপ ও রজনীগন্ধা ফুল এবং হলুদ গাঁদা ফুলের মালা। এ ছাড়া প্লাস্টিকে মোড়ানো ফুলের বুকেট ও পদ্মফুলও দেখা গেছে।
কারিগরি প্রশিক্ষণকেন্দ্র সড়কের মুখে কয়েকজন আদিবাসী বন্ধুর সঙ্গে ফুল বিক্রি করছিলেন চট্টগ্রাম থেকে আসা রাবেয়া সুলতানা। তিনি বলেন, বনভান্তের প্রতি ধনী-দরিদ্র, ছোট-বড়, নারী-পুরুষ সবার অগাধ শ্রদ্ধা। কেউই ফুল ছাড়া বনভান্তেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করছেন না। প্রত্যেকে অন্তত একটি করে ফুল কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। তিনি শুধু শুক্রবার ৩০ হাজার টাকার ফুল বিক্রি করেছেন বলে জানান রাবেয়া।
কে কে রায় সড়কের ফুল বিক্রেতা মো. রাজু ও সমীরণ চাকমা বলেন, তাঁরা প্রতিদিন ১০ হাজার থেকে ১২ হাজার টাকার ফুল বিক্রি করছেন। এখন চট্টগ্রাম থেকে চাহিদামতো ফুল পাচ্ছেন না বলে তাঁরা জানান।
No comments