আশিয়ান সিটির সব কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ হাইকোর্টের
রাজধানীর উত্তরার দক্ষিণখান মৌজায় অবস্থিত আশিয়ান সিটি আবাসিক প্রকল্পে মাটি ভরাট, প্লট বিক্রি ও যেকোনো ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচারসহ সব কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে ওই আবাসিক প্রকল্পকে দেওয়া রাজউকের অনুমোদন এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের দেওয়া অবস্থানগত ছাড়পত্রও স্থগিত করা হয়েছে। এ ছাড়া পরিবেশের ক্ষতি করায় আশিয়ান সিটিকে পরিবেশ অধিদপ্তরের করা ৫০ লাখ টাকার জরিমানা কমিয়ে পাঁচ লাখ টাকা করে মন্ত্রণালয়ের দেওয়া আদেশও স্থগিত করেছেন আদালত।
এসব নির্দেশনার পাশাপাশি আশিয়ান সিটির অনুমোদন-সংক্রান্ত যাবতীয় কাগজপত্র আদালতে জমা দিতে আশিয়ান সিটি কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ পর্যন্ত তারা কতগুলো প্লট বরাদ্দ দিয়েছে, এরও একটি তালিকা চেয়েছেন আদালত।
আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক), অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা), ব্লাস্ট, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন, ইনস্টিটিউট অব আর্কিটেক্ট বাংলাদেশ, নিজেরা করি, পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনসহ আটটি সংগঠনের করা রিট আবেদনের ওপর প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার ও বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল বুধবার এসব আদেশ দেন। গত ২২ ডিসেম্বর রিট আবেদনটি দাখিল করা হয়েছিল।
হাইকোর্ট আশিয়ান সিটি আবাসিক প্রকল্পকে পরিবেশ অধিদপ্তরের দেওয়া অবস্থানগত ছাড়পত্র ও এর নবায়ন, মন্ত্রণালয়ের জরিমানা কমানোর সিদ্ধান্ত এবং রাজউকের দেওয়া অনুমোদন কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন। এ ছাড়া সিটির জন্য উন্নয়ন করা এলাকাকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার এবং অননুমোদিত সব প্রকল্প ভরাটের কাজ, বিজ্ঞাপন প্রচার ও প্লট বিক্রি বন্ধের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। গৃহায়ণ ও গণপূর্ত, ভূমি, পরিবেশ, স্বরাষ্ট্র ও তথ্যসচিব, রাজউকের চেয়ারম্যান, ঢাকার জেলা প্রশাসক, পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক (তত্ত্বাবধায়ন ও বাস্তবায়ন) ও আশিয়ান সিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালককে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
হাইকোর্টের আদেশে বেসরকারি আবাসন প্রকল্প ভূমি উন্নয়ন নীতিমালা ২০০৪ সংশোধনের পর কতগুলো আবাসন প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, এর একটি তালিকাও আদালতে জমা দিতে রাজউকের চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আদালতে রিট আবেদনকারীদের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট এ এম আমিন উদ্দিন। তাঁকে সহায়তা করেন অ্যাডভোকেট ইকবাল কবির লিটন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আল আমিন সরকার।
আদেশের পর ইকবাল কবির লিটন সাংবাদিকদের বলেন, জলাভূমি ভরাট করবে না- এ অঙ্গীকার করে আশিয়ান সিটি ৫৫ একর জমির ওপর তাদের প্রথম অবস্থানগত ছাড়পত্র পায়। কিন্তু তারা সেটা না মেনে জলাভূমি ভরাট করে আবাসিক প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। তিনি বলেন, কাগজপত্রে ৪৩ দশমিক ১১ একর জমি দেখা গেলেও বাস্তবে ২৩০ দশমিক ৪৬ একর জমি ভরাট করা হচ্ছে।
এসব নির্দেশনার পাশাপাশি আশিয়ান সিটির অনুমোদন-সংক্রান্ত যাবতীয় কাগজপত্র আদালতে জমা দিতে আশিয়ান সিটি কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ পর্যন্ত তারা কতগুলো প্লট বরাদ্দ দিয়েছে, এরও একটি তালিকা চেয়েছেন আদালত।
আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক), অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা), ব্লাস্ট, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন, ইনস্টিটিউট অব আর্কিটেক্ট বাংলাদেশ, নিজেরা করি, পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনসহ আটটি সংগঠনের করা রিট আবেদনের ওপর প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার ও বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল বুধবার এসব আদেশ দেন। গত ২২ ডিসেম্বর রিট আবেদনটি দাখিল করা হয়েছিল।
হাইকোর্ট আশিয়ান সিটি আবাসিক প্রকল্পকে পরিবেশ অধিদপ্তরের দেওয়া অবস্থানগত ছাড়পত্র ও এর নবায়ন, মন্ত্রণালয়ের জরিমানা কমানোর সিদ্ধান্ত এবং রাজউকের দেওয়া অনুমোদন কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন। এ ছাড়া সিটির জন্য উন্নয়ন করা এলাকাকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার এবং অননুমোদিত সব প্রকল্প ভরাটের কাজ, বিজ্ঞাপন প্রচার ও প্লট বিক্রি বন্ধের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। গৃহায়ণ ও গণপূর্ত, ভূমি, পরিবেশ, স্বরাষ্ট্র ও তথ্যসচিব, রাজউকের চেয়ারম্যান, ঢাকার জেলা প্রশাসক, পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক (তত্ত্বাবধায়ন ও বাস্তবায়ন) ও আশিয়ান সিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালককে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
হাইকোর্টের আদেশে বেসরকারি আবাসন প্রকল্প ভূমি উন্নয়ন নীতিমালা ২০০৪ সংশোধনের পর কতগুলো আবাসন প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, এর একটি তালিকাও আদালতে জমা দিতে রাজউকের চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আদালতে রিট আবেদনকারীদের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট এ এম আমিন উদ্দিন। তাঁকে সহায়তা করেন অ্যাডভোকেট ইকবাল কবির লিটন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আল আমিন সরকার।
আদেশের পর ইকবাল কবির লিটন সাংবাদিকদের বলেন, জলাভূমি ভরাট করবে না- এ অঙ্গীকার করে আশিয়ান সিটি ৫৫ একর জমির ওপর তাদের প্রথম অবস্থানগত ছাড়পত্র পায়। কিন্তু তারা সেটা না মেনে জলাভূমি ভরাট করে আবাসিক প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। তিনি বলেন, কাগজপত্রে ৪৩ দশমিক ১১ একর জমি দেখা গেলেও বাস্তবে ২৩০ দশমিক ৪৬ একর জমি ভরাট করা হচ্ছে।
No comments