ভোটার তালিকা হালনাগাদ- নারী ভোটার অস্বাভাবিক কমে গেছে by হারুন আল রশীদ
হালনাগাদ করা ভোটার তালিকায় নারী ভোটারের সংখ্যা অস্বাভাবিক হারে কমে গেছে। নতুন নিবন্ধিতদের মধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা প্রায় ১৩ লাখ বেশি। খসড়া আকারে প্রকাশিত এই তালিকা চূড়ান্ত হওয়ার পর নারীর চেয়ে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা বেড়ে যাবে।
কমে যাওয়ার এই হার ২০০৮ সালের ভোটার তালিকা, ২০১০ সালের হালনাগাদ এবং জনসংখ্যার হিসাবের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। নির্বাচন কমিশনও নারী ভোটার কমে যাওয়ার বিষয়টি অস্বাভাবিক বলে মনে করছে।
কমিশন সচিবালয়-সংশ্লিষ্টদের ধারণা, ভোটার তালিকা থেকে নারী ভোটারদের অনেকেই বাদ পড়েছেন। অন্যদিকে পুরুষ ভোটারদের অনেকেই দ্বিতীয়বারের মতো ভোটার হয়েছেন। এ কারণে পুরুষ ভোটার বেড়ে গেছে।
তথ্য সংগ্রহ শেষে গতকাল বুধবার সারা দেশে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এতে দেখা গেছে, মোট ৬৯ লাখ ৩০ হাজার ৩০৩ জন নতুন ভোটার অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে নারী ভোটারের সংখ্যা ২৮ লাখ ১৮ হাজার ৬৩৮ এবং পুরুষ ৪১ লাখ ১১ হাজার ৬৬৫ জন। অর্থাৎ নারীর চেয়ে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ১২ লাখ ৯৩ হাজার ২৭ জন বেশি।
জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার জাবেদ আলী প্রথম আলোকে বলেন, ‘নারী ভোটারের সংখ্যা কেন কমে গেল, সেই প্রশ্ন আমারও। এটা স্পষ্ট যে, নারী ভোটারদের অনেকেই বাদ পড়েছেন। তবে তালিকা চূড়ান্ত করতে এখনো ১৫ দিন সময় আছে। সে জন্য আমরা অনুরোধ করব, যাঁরা বাদ পড়েছেন, তাঁরা যেন এ সময়ের মধ্যে ভোটার হয়ে যান।’ জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন ও ভোটার তালিকা প্রকল্পের মহাপরিচালক আখতারোজ্জামান সিদ্দিকী বলেছেন, নারী ভোটার কেন এতটা কমে গেল, সেটা মাঠপর্যায়ে খতিয়ে দেখতে হবে।
এর আগে ২০০৮ সালে প্রথমবারের মতো তৈরি হওয়া ছবিসহ ভোটার তালিকায় পুরুষের চেয়ে নারী ভোটারের সংখ্যা বেশি ছিল। মোট ভোটার ছিলেন আট কোটি ১০ লাখ ৫৮ হাজার ৬৯৮ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার চার কোটি ১২ লাখ ৩৬ হাজার ১৪৯ এবং পুরুষ ভোটার ছিলেন তিন কোটি ৯৮ লাখ ২২ হাজার ৫৪৯ জন। নারী ভোটাদের সংখ্যা ১৪ লাখ ১৩ হাজার ৬০০ জন বেশি ছিল। এরপর ২০১০ সালের হালনাগাদে ভোটার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় আট কোটি ৫৭ লাখে। সেবার মোট ভোটার বাড়ে ৪৭ লাখের মতো। এর মধ্যে নারী ভোটার ছিল ২১ লাখ এবং পুরুষ ভোটার ২৬ লাখের মতো। নিবন্ধিত নতুন ভোটারের মধ্যে নারীর চেয়ে পুরুষের সংখ্যা পাঁচ লাখ বেশ ছিল। সব মিলিয়ে মোট ভোটারের মধ্যে নারীর সংখ্যা ছিল চার কোটি ৩৩ লাখ এবং পুরুষ ছিল চার কোটি ২৩ লাখের মতো।
এবারের হালনাগাদ করা তালিকা চূড়ান্ত হলে নারী ভোটারের সংখ্যা হবে চার কোটি ৬১ লাখ, আর পুরুষ হবে চার কোটি ৬৪ লাখ।
সাবেক নির্বাচন কমিশনার এম সাখাওয়াত হোসেন এ বিষয়ে প্রথম আলোকে বলেন, দেশের জনসংখ্যায় নারী-পুরুষের হার প্রায় সমান। তাই হালনাগাদে নারী ও পুরুষ ভোটারের ব্যবধান ১৩ লাখ গ্রহণযোগ্য নয়। তাঁর মতে, হতে পারে তথ্য সংগ্রহকারীরা বাড়ি বাড়ি যাননি, এ জন্য অনেক নারী ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন। এমনও হতে পারে, পুরুষেরা আগ্রহ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো (দুই জায়গায়) ভোটার হয়েছেন।
জনসংখ্যার হিসাবের দিক থেকেও হালনাগাদের এই তথ্য গ্রহণযোগ্য নয় বলে কমিশন সচিবালয়-সংশ্লিষ্টদের অনেকে মনে করছেন। ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী, দেশের মোট জনসংখ্যা ১৪ কোটি ৯৬ লাখের বেশি। এর মধ্যে নারী সাত কোটি ৪৭ লাখ এবং পুরুষ সাত কোটি ৪৯ লাখ। পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসাব অনুযায়ী, বাংলাদেশের নারীদের গড় আয়ু পুরুষের চেয়ে বেশি। এই হিসাবে বর্তমান ভোটার তালিকায় পুরুষের চেয়ে নারীর সংখ্যা বেশি হওয়ার কথা।
কমিশন গত বছরের ১০ মার্চ থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে সারা দেশে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করে। কমিশন সচিবালয় থেকে জানানো হয়েছে, খসড়া ভোটার তালিকার ব্যাপারে দাবি-আপত্তি জমা দেওয়া যাবে ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত। আপত্তি নিষ্পত্তি করা হবে ২২ জানুয়ারির মধ্যে। চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে ৩১ জানুয়ারি।
কমিশন সচিবালয়-সংশ্লিষ্টদের ধারণা, ভোটার তালিকা থেকে নারী ভোটারদের অনেকেই বাদ পড়েছেন। অন্যদিকে পুরুষ ভোটারদের অনেকেই দ্বিতীয়বারের মতো ভোটার হয়েছেন। এ কারণে পুরুষ ভোটার বেড়ে গেছে।
তথ্য সংগ্রহ শেষে গতকাল বুধবার সারা দেশে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এতে দেখা গেছে, মোট ৬৯ লাখ ৩০ হাজার ৩০৩ জন নতুন ভোটার অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে নারী ভোটারের সংখ্যা ২৮ লাখ ১৮ হাজার ৬৩৮ এবং পুরুষ ৪১ লাখ ১১ হাজার ৬৬৫ জন। অর্থাৎ নারীর চেয়ে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ১২ লাখ ৯৩ হাজার ২৭ জন বেশি।
জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার জাবেদ আলী প্রথম আলোকে বলেন, ‘নারী ভোটারের সংখ্যা কেন কমে গেল, সেই প্রশ্ন আমারও। এটা স্পষ্ট যে, নারী ভোটারদের অনেকেই বাদ পড়েছেন। তবে তালিকা চূড়ান্ত করতে এখনো ১৫ দিন সময় আছে। সে জন্য আমরা অনুরোধ করব, যাঁরা বাদ পড়েছেন, তাঁরা যেন এ সময়ের মধ্যে ভোটার হয়ে যান।’ জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন ও ভোটার তালিকা প্রকল্পের মহাপরিচালক আখতারোজ্জামান সিদ্দিকী বলেছেন, নারী ভোটার কেন এতটা কমে গেল, সেটা মাঠপর্যায়ে খতিয়ে দেখতে হবে।
এর আগে ২০০৮ সালে প্রথমবারের মতো তৈরি হওয়া ছবিসহ ভোটার তালিকায় পুরুষের চেয়ে নারী ভোটারের সংখ্যা বেশি ছিল। মোট ভোটার ছিলেন আট কোটি ১০ লাখ ৫৮ হাজার ৬৯৮ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার চার কোটি ১২ লাখ ৩৬ হাজার ১৪৯ এবং পুরুষ ভোটার ছিলেন তিন কোটি ৯৮ লাখ ২২ হাজার ৫৪৯ জন। নারী ভোটাদের সংখ্যা ১৪ লাখ ১৩ হাজার ৬০০ জন বেশি ছিল। এরপর ২০১০ সালের হালনাগাদে ভোটার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় আট কোটি ৫৭ লাখে। সেবার মোট ভোটার বাড়ে ৪৭ লাখের মতো। এর মধ্যে নারী ভোটার ছিল ২১ লাখ এবং পুরুষ ভোটার ২৬ লাখের মতো। নিবন্ধিত নতুন ভোটারের মধ্যে নারীর চেয়ে পুরুষের সংখ্যা পাঁচ লাখ বেশ ছিল। সব মিলিয়ে মোট ভোটারের মধ্যে নারীর সংখ্যা ছিল চার কোটি ৩৩ লাখ এবং পুরুষ ছিল চার কোটি ২৩ লাখের মতো।
এবারের হালনাগাদ করা তালিকা চূড়ান্ত হলে নারী ভোটারের সংখ্যা হবে চার কোটি ৬১ লাখ, আর পুরুষ হবে চার কোটি ৬৪ লাখ।
সাবেক নির্বাচন কমিশনার এম সাখাওয়াত হোসেন এ বিষয়ে প্রথম আলোকে বলেন, দেশের জনসংখ্যায় নারী-পুরুষের হার প্রায় সমান। তাই হালনাগাদে নারী ও পুরুষ ভোটারের ব্যবধান ১৩ লাখ গ্রহণযোগ্য নয়। তাঁর মতে, হতে পারে তথ্য সংগ্রহকারীরা বাড়ি বাড়ি যাননি, এ জন্য অনেক নারী ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন। এমনও হতে পারে, পুরুষেরা আগ্রহ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো (দুই জায়গায়) ভোটার হয়েছেন।
জনসংখ্যার হিসাবের দিক থেকেও হালনাগাদের এই তথ্য গ্রহণযোগ্য নয় বলে কমিশন সচিবালয়-সংশ্লিষ্টদের অনেকে মনে করছেন। ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী, দেশের মোট জনসংখ্যা ১৪ কোটি ৯৬ লাখের বেশি। এর মধ্যে নারী সাত কোটি ৪৭ লাখ এবং পুরুষ সাত কোটি ৪৯ লাখ। পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসাব অনুযায়ী, বাংলাদেশের নারীদের গড় আয়ু পুরুষের চেয়ে বেশি। এই হিসাবে বর্তমান ভোটার তালিকায় পুরুষের চেয়ে নারীর সংখ্যা বেশি হওয়ার কথা।
কমিশন গত বছরের ১০ মার্চ থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে সারা দেশে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করে। কমিশন সচিবালয় থেকে জানানো হয়েছে, খসড়া ভোটার তালিকার ব্যাপারে দাবি-আপত্তি জমা দেওয়া যাবে ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত। আপত্তি নিষ্পত্তি করা হবে ২২ জানুয়ারির মধ্যে। চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে ৩১ জানুয়ারি।
No comments