প্রতিক্রিয়া-ইতিবাচক হিসেবে দেখতে চাই সরকারি দলের প্রস্তাব by লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান
তের সংখ্যাকে অনেকে দুর্ভাগ্যজনক বলে মনে করেন। অথচ আমাদের ২০১২-তে দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। ভালো যায়নি আমাদের। সরকারের কিছু সাফল্য থাকলেও সেগুলো ঢাকা পড়ে গেছে অসংখ্য ব্যর্থতার আড়ালে।
বিশ্বজিৎ হত্যা, রাজনৈতিক নেতা ইলিয়াস আলী গুম, সাংবাদিক সাগর-রুনি হত্যার মতো অসংখ্য খুনের ঘটনার মধ্য দিয়ে গেছে ২০১২। তার পরও ২০১৩-কে সামনে রেখে আমাদের আশা জাগতে পারে। ১৩ সংখ্যা নিয়ে কুসংস্কার থাকলেও পৃথিবীর বড় বড় মনীষীর অনেকেরই জন্ম এই ১৩-তে। সুতরাং সেই সৌভাগ্যসূচক সংখ্যা হিসেবেই আমরা ২০১৩-কে দেখতে চাই। আমরা দেখতে চাই, গত বছরের মতো সাংঘর্ষিক সময় কাটবে না। গণতন্ত্রের যে সংকট গেছে, সে রকম থাকবে না। মানুষ অন্তত স্বস্তির একটা রাস্তা খুঁজে পাবে।
নতুন বছরে আমরা পূর্ব দিকে চেয়ে আছি। নতুন সূর্য উঠবে নতুন আশা নিয়ে। নতুন সূর্য ওঠার আগে শাসক দল আওয়ামী লীগের সম্মেলন হয়ে গেল। শেখ হাসিনা দলের সভাপতি এবং সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হলেন। তাঁদের অভিনন্দন জানাই। কিন্তু নতুন সাধারণ সম্পাদক নতুন বছরের প্রাক্কালে আমাদের যে বক্তব্য শোনালেন, তা নিয়ে আমাদের সবারই কথা থাকতে পারে। তাঁর বক্তব্যকে বিগত সময়ের মতো দুর্ভাগ্যের এবং নতুন বছরের মতো আশার- দুইভাবেই বিশ্লেষণ করা যায়। তিনি বলেছেন, তলে তলে আলোচনা হচ্ছে। এটাকে ২০১২ সালের মতো আখ্যায়িত করা যায়। আবার ২০১২ যেমন চলে গেছে, তেমনি এই বক্তব্যাংশটুকুকেও আমরা গত করে দিতে চাই। সুতরাং এবার আমাদের আশার পথই কাঙ্ক্ষিত। অর্থাৎ তিনি সংলাপের যে আহ্বান জানিয়েছেন, তার কথাই বলছি। তাঁর এই বক্তব্য ফলপ্রসূ হোক। তিনি বলেছেন, রাজনৈতিক সংকট উত্তরণে তাঁর দল সংলাপে যাবে। এটাকে আমি ইতিবাচক হিসেবে দেখতে চাই। তাঁর এই বক্তব্যকে আমি স্বাগত জানাই। কারণ সংঘাতের বিপরীত হচ্ছে সংলাপ। তিনি বলেছেন সংলাপের কথা। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, কিসের ওপর ভিত্তি করে এই সংলাপ হবে। আমরা জানি, গণতন্ত্রের জন্য অপরিহার্য হচ্ছে নির্বাচন। যে আকাল আমাদের দেখতে হয়েছে এবং এখনো হচ্ছে, তাতে তো প্রমাণ হয়ে গেছে, এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন গ্রহণযোগ্য, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু হবে না। সে কারণেই আমরা বলে আসছি, নির্বাচন হতে হবে নিরপেক্ষ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে। আমাদের এ কথা এখন আর একটি দলের বক্তব্য নয়। এটা এখন ১৬ কোটি মানুষের কথা। সেই ১৬ কোটি মানুষের কথাকে বাস্তবায়ন করার জন্য তিনি যদি সংলাপে বসেন, তাহলে তাকে অবশ্যই আমরা স্বাগত জানাব। আলোচনা হতে পারে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার কিভাবে গঠিত হবে, তার প্রধান কে হবেন- এমন বিষয়ে।
আরেকটি বিষয়, আমরা আগেও দেখেছি, সাধারণ সম্পাদক পর্যায়ে আলোচনা করে কোনো লাভ হয়নি। এতে করে অযথা কালক্ষেপণ হয়। সুতরাং আলোচনার প্রস্তাবই শুধু নয়, তা যেন দ্রুত কার্যকর হওয়ার পথ পরিষ্কার করে দিতে পারে, সেই মানসিকতা নিয়েই এগিয়ে যেতে হবে। সে ক্ষেত্রে দুই দলকেই কিছুটা নমনীয় হতে হবে। একগুঁয়েমি কখনো সমাধান এনে দেবে না। দুই দলে ঐকমত্যে আসার কোনো বিকল্প নেই এই মুহূর্তে। আমরা মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে একটি স্বাধীন দেশ পেয়েছি। আমাদের মুক্তিযুদ্ধে প্রধান চাওয়া ছিল একটি গণতান্ত্রিক দেশ প্রতিষ্ঠা। সেই গণতান্ত্রিক দেশ প্রতিষ্ঠা করতে হলে আমি মনে করি, দুই দলের দূরত্ব কমিয়ে আনতে হবে। সে জন্য আলোচনার প্রয়োজন সর্বাগ্রে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম যদি সেই আহ্বান জানিয়ে থাকেন, তাহলে তাকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখতে হবে। আমরা প্রত্যাশা করতে পারি, ২০১৩ সাল আমাদের সেই প্রত্যাশা পূরণ করবে।
নতুন বছরে আমরা পূর্ব দিকে চেয়ে আছি। নতুন সূর্য উঠবে নতুন আশা নিয়ে। নতুন সূর্য ওঠার আগে শাসক দল আওয়ামী লীগের সম্মেলন হয়ে গেল। শেখ হাসিনা দলের সভাপতি এবং সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হলেন। তাঁদের অভিনন্দন জানাই। কিন্তু নতুন সাধারণ সম্পাদক নতুন বছরের প্রাক্কালে আমাদের যে বক্তব্য শোনালেন, তা নিয়ে আমাদের সবারই কথা থাকতে পারে। তাঁর বক্তব্যকে বিগত সময়ের মতো দুর্ভাগ্যের এবং নতুন বছরের মতো আশার- দুইভাবেই বিশ্লেষণ করা যায়। তিনি বলেছেন, তলে তলে আলোচনা হচ্ছে। এটাকে ২০১২ সালের মতো আখ্যায়িত করা যায়। আবার ২০১২ যেমন চলে গেছে, তেমনি এই বক্তব্যাংশটুকুকেও আমরা গত করে দিতে চাই। সুতরাং এবার আমাদের আশার পথই কাঙ্ক্ষিত। অর্থাৎ তিনি সংলাপের যে আহ্বান জানিয়েছেন, তার কথাই বলছি। তাঁর এই বক্তব্য ফলপ্রসূ হোক। তিনি বলেছেন, রাজনৈতিক সংকট উত্তরণে তাঁর দল সংলাপে যাবে। এটাকে আমি ইতিবাচক হিসেবে দেখতে চাই। তাঁর এই বক্তব্যকে আমি স্বাগত জানাই। কারণ সংঘাতের বিপরীত হচ্ছে সংলাপ। তিনি বলেছেন সংলাপের কথা। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, কিসের ওপর ভিত্তি করে এই সংলাপ হবে। আমরা জানি, গণতন্ত্রের জন্য অপরিহার্য হচ্ছে নির্বাচন। যে আকাল আমাদের দেখতে হয়েছে এবং এখনো হচ্ছে, তাতে তো প্রমাণ হয়ে গেছে, এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন গ্রহণযোগ্য, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু হবে না। সে কারণেই আমরা বলে আসছি, নির্বাচন হতে হবে নিরপেক্ষ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে। আমাদের এ কথা এখন আর একটি দলের বক্তব্য নয়। এটা এখন ১৬ কোটি মানুষের কথা। সেই ১৬ কোটি মানুষের কথাকে বাস্তবায়ন করার জন্য তিনি যদি সংলাপে বসেন, তাহলে তাকে অবশ্যই আমরা স্বাগত জানাব। আলোচনা হতে পারে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার কিভাবে গঠিত হবে, তার প্রধান কে হবেন- এমন বিষয়ে।
আরেকটি বিষয়, আমরা আগেও দেখেছি, সাধারণ সম্পাদক পর্যায়ে আলোচনা করে কোনো লাভ হয়নি। এতে করে অযথা কালক্ষেপণ হয়। সুতরাং আলোচনার প্রস্তাবই শুধু নয়, তা যেন দ্রুত কার্যকর হওয়ার পথ পরিষ্কার করে দিতে পারে, সেই মানসিকতা নিয়েই এগিয়ে যেতে হবে। সে ক্ষেত্রে দুই দলকেই কিছুটা নমনীয় হতে হবে। একগুঁয়েমি কখনো সমাধান এনে দেবে না। দুই দলে ঐকমত্যে আসার কোনো বিকল্প নেই এই মুহূর্তে। আমরা মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে একটি স্বাধীন দেশ পেয়েছি। আমাদের মুক্তিযুদ্ধে প্রধান চাওয়া ছিল একটি গণতান্ত্রিক দেশ প্রতিষ্ঠা। সেই গণতান্ত্রিক দেশ প্রতিষ্ঠা করতে হলে আমি মনে করি, দুই দলের দূরত্ব কমিয়ে আনতে হবে। সে জন্য আলোচনার প্রয়োজন সর্বাগ্রে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম যদি সেই আহ্বান জানিয়ে থাকেন, তাহলে তাকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখতে হবে। আমরা প্রত্যাশা করতে পারি, ২০১৩ সাল আমাদের সেই প্রত্যাশা পূরণ করবে।
No comments