আশিয়ান সিটি প্রকল্পে মাটি ভরাট ও প্লট বিক্রি বন্ধের নির্দেশ
রাজধানীর উত্তরায় আশিয়ান সিটি প্রকল্পের (দক্ষিণখান, আশকোনা ও শিয়ালকাটা) মাটি ভরাট, প্লট বিক্রিসহ যেকোনো আঙ্গিকে এর বিজ্ঞাপন প্রচার অবিলম্বে বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সেই সঙ্গে রাজউকের অননুমোদিত আবাসন প্রকল্পের মাটি ভরাট, বিজ্ঞাপন প্রচার ও প্লট বিক্রি বন্ধে ব্যবস্থা নিতে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গতকাল বুধবার বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার ও বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আটটি সংস্থার পক্ষে করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন আদেশের পাশাপাশি রুলও জারি করেন।
রুলে রাজউকের অননুমোদিত সব প্রকল্পের মাটি ভরাট কার্যক্রম, বিজ্ঞাপন প্রচার ও প্লট বিক্রি বন্ধের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। আশিয়ান সিটি প্রকল্প এলাকা পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা-ও জানতে চাওয়া হয়েছে। গৃহায়ণসচিব, ভূমিসচিব, পরিবেশসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, তথ্যসচিব, রাজউকের চেয়ারম্যান, ঢাকার জেলা প্রশাসক, পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক (তত্ত্বাবধান ও বাস্তবায়ন) এবং আসিয়ান সিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালককে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আইন অনুসরণ না করে প্রকল্পের কার্যক্রম পরিচালনার অভিযোগে জনস্বার্থে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক), অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (এএলআরডি), বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা), বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট), বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), ইনস্টিটিউট অব আর্কিটেক্ট বাংলাদেশ (আইএবি), নিজেরা করি ও পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) গত ২২ ডিসেম্বর রিট আবেদনটি করে।
গতকাল আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিন ও ইকবাল কবির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আল আমিন সরকার। প্রাথমিক শুনানির পর আদালত আদেশ দেন।
আদালত পরিবেশ অধিদপ্তরের দেওয়া আসিয়ান সিটির অবস্থানগত ছাড়পত্র, এর নবায়ন, আসিয়ান সিটির উত্তরা আবাসিক প্রকল্পকে রাজউকের দেওয়া অনুমোদন এবং আসিয়ান সিটিকে অধিদপ্তরের জরিমানা কমিয়ে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের দেওয়া আদেশও স্থগিত করেন।
রিট আবেদন থেকে জানা যায়, জলাশয় ভরাটের অভিযোগে পরিবেশ মন্ত্রণালয় গত বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি আসিয়ান সিটিকে করা অধিদপ্তরের ৫০ লাখ টাকা জরিমানা কমিয়ে পাঁচ লাখ টাকা নির্ধারণ করে।
রুলে ওই প্রকল্পকে দেওয়া অবস্থানগত ছাড়পত্র, এর নবায়ন, জরিমানা হ্রাস এবং রাজউকের দেওয়া অনুমোদন কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা-ও জানতে চাওয়া হয়েছে।
একই সঙ্গে আসিয়ান সিটির ওই প্রকল্পের অনুমোদনসংক্রান্ত কাগজপত্র আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে। এ পর্যন্ত কতগুলো প্ল্লট বিক্রি করা হয়েছে, সে-সংক্রান্ত তালিকাও আদালতে দাখিল করতে বলা হয়। এ ছাড়া বেসরকারি আবাসিক প্রকল্প ও ভূমি উন্নয়ন বিধিমালা, ২০০৪ সংশোধনের পর কতগুলো আবাসন প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, সে-সংক্রান্ত তালিকাও দাখিল করতে বলা হয়েছে।
ইকবাল কবির প্রথম আলোকে বলেন, আদালত আসিয়ান সিটি প্রকল্পের মাটি ভরাট, প্লট বিক্রি এবং যেকোনো আঙ্গিকে এর বিজ্ঞাপন প্রচার-প্রকাশসহ সব কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন। চার সপ্তাহের রুল জারি করা হয়েছে। রুল বিচারাধীন থাকা পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন এই আদেশ দেওয়া হয়েছে।
গতকাল বুধবার বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার ও বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আটটি সংস্থার পক্ষে করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন আদেশের পাশাপাশি রুলও জারি করেন।
রুলে রাজউকের অননুমোদিত সব প্রকল্পের মাটি ভরাট কার্যক্রম, বিজ্ঞাপন প্রচার ও প্লট বিক্রি বন্ধের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। আশিয়ান সিটি প্রকল্প এলাকা পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা-ও জানতে চাওয়া হয়েছে। গৃহায়ণসচিব, ভূমিসচিব, পরিবেশসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, তথ্যসচিব, রাজউকের চেয়ারম্যান, ঢাকার জেলা প্রশাসক, পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক (তত্ত্বাবধান ও বাস্তবায়ন) এবং আসিয়ান সিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালককে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আইন অনুসরণ না করে প্রকল্পের কার্যক্রম পরিচালনার অভিযোগে জনস্বার্থে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক), অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (এএলআরডি), বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা), বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট), বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), ইনস্টিটিউট অব আর্কিটেক্ট বাংলাদেশ (আইএবি), নিজেরা করি ও পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) গত ২২ ডিসেম্বর রিট আবেদনটি করে।
গতকাল আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিন ও ইকবাল কবির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আল আমিন সরকার। প্রাথমিক শুনানির পর আদালত আদেশ দেন।
আদালত পরিবেশ অধিদপ্তরের দেওয়া আসিয়ান সিটির অবস্থানগত ছাড়পত্র, এর নবায়ন, আসিয়ান সিটির উত্তরা আবাসিক প্রকল্পকে রাজউকের দেওয়া অনুমোদন এবং আসিয়ান সিটিকে অধিদপ্তরের জরিমানা কমিয়ে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের দেওয়া আদেশও স্থগিত করেন।
রিট আবেদন থেকে জানা যায়, জলাশয় ভরাটের অভিযোগে পরিবেশ মন্ত্রণালয় গত বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি আসিয়ান সিটিকে করা অধিদপ্তরের ৫০ লাখ টাকা জরিমানা কমিয়ে পাঁচ লাখ টাকা নির্ধারণ করে।
রুলে ওই প্রকল্পকে দেওয়া অবস্থানগত ছাড়পত্র, এর নবায়ন, জরিমানা হ্রাস এবং রাজউকের দেওয়া অনুমোদন কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা-ও জানতে চাওয়া হয়েছে।
একই সঙ্গে আসিয়ান সিটির ওই প্রকল্পের অনুমোদনসংক্রান্ত কাগজপত্র আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে। এ পর্যন্ত কতগুলো প্ল্লট বিক্রি করা হয়েছে, সে-সংক্রান্ত তালিকাও আদালতে দাখিল করতে বলা হয়। এ ছাড়া বেসরকারি আবাসিক প্রকল্প ও ভূমি উন্নয়ন বিধিমালা, ২০০৪ সংশোধনের পর কতগুলো আবাসন প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, সে-সংক্রান্ত তালিকাও দাখিল করতে বলা হয়েছে।
ইকবাল কবির প্রথম আলোকে বলেন, আদালত আসিয়ান সিটি প্রকল্পের মাটি ভরাট, প্লট বিক্রি এবং যেকোনো আঙ্গিকে এর বিজ্ঞাপন প্রচার-প্রকাশসহ সব কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন। চার সপ্তাহের রুল জারি করা হয়েছে। রুল বিচারাধীন থাকা পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন এই আদেশ দেওয়া হয়েছে।
No comments