সাক্ষাৎকারে হেকমতিয়ার-'বিদেশি সেনা চলে গেলে গৃহযুদ্ধ বাধবে'
আফগানিস্তান থেকে বিদেশি সেনা প্রত্যাহারের পর সেখানে বিশৃঙ্খল ও অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে। সম্প্রতি ব্রিটিশ পত্রিকা দ্য টেলিগ্রাফকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেছেন আফগানিস্তানের ইসলামপন্থী দল হেজব-ই-ইসলামি গুলবুদ্দিনের (এইচআইজি) নেতা গুলবুদ্দিন হেকমতিয়ার।
তাঁর মতে, আশির দশকে রাশিয়ার সেনা প্রত্যাহারের পর আফগানিস্তানে যে গৃহযুদ্ধ দেখা দেয়, এবারেও তেমনটাই হবে। ব্রিটিশ প্রিন্স হ্যারিকে তিনি 'শিয়াল' বলেও অভিহিত করেছেন।
হেকমতিয়ার বলেন, 'আফগান সরকার সব দিক দিয়েই ব্যর্থ। তারা জনগণের আস্থা অর্জন করতেও সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। বিদেশিরা চলে গেলে দেশের অভ্যন্তরেই তারা গুরুতর সমস্যার সম্মুখীন হবে। আফগানিস্তানের সংকট নিরসনে বিদেশি বাহিনীও ব্যর্থ হয়েছে। দিনকে দিন পরিস্থিতি আরো খারাপের দিকে যাচ্ছে। ২০১৪ সালে তারা চলে গেলে আফগানিস্তানকে এমন ভয়াবহ পরিস্থিতিতে পড়তে হবে যা আমাদের কল্পনায়ও নেই।' তবে তিনি আফগানিস্তানের গণতন্ত্রের পথে শান্তিপূর্ণ উত্তরণের আশাবাদও ব্যক্ত করেছেন।
১৯৯৩ থেকে ১৯৯৪ সাল এবং পরে ১৯৯৬ সালে আফগানিস্তানে গৃহযুদ্ধকালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য প্রধানমন্ত্রী ছিলেন হেকমতিয়ার। গত ১১ বছর ধরে তিনি পলাতক। ২০০১ সালে আফগানিস্তানে তালেবান সরকারের পতনের পর তোরাবোরা পার্বত্য এলাকা থেকে আল কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেনের পালানোয় তিনি সহায়তা করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ২০০৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র তাঁকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী তালিকাভুক্ত করে। আর হামিদ কারজাইয়ের সরকার তাঁর বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ আনে।
অজ্ঞাত স্থান থেকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হেকমতিয়ার বলেন, 'আমার মতে, হোয়াইট হাউসকে খুশি করতেই অনৈতিক ও নৃশংস এ যুদ্ধ চালাচ্ছে ব্রিটেন। সম্পদ ও স্বজন হারানো ছাড়া আফগানিস্তান থেকে ব্রিটিশ সেনারা কিছুই অর্জন করতে পারেনি। আমেরিকার জেনারেলদের নির্দেশে ব্রিটিশরা কিভাবে তাদের সন্তানদের আফগান যুদ্ধে পাঠাচ্ছে সেটা আমার বোধগম্য নয়।' তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, 'সোভিয়েত ইউনিয়নের সেনা প্রত্যাহারের এক বছর আগে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল আফগানিস্তানের, বর্তমান পরিস্থিতি ঠিক তেমনই। আমেরিকা ও তাদের মিত্ররা লড়াই করার চেষ্টা করছে। তবে তাদের পক্ষে যুদ্ধের ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতের ভার বহন করা সম্ভব হচ্ছে না। কাজেই সেনা প্রত্যাহার করা ছাড়া তাদের সামনে আর কোনো পথ খোলা নেই।' ২০১৪ সালের শেষ নাগাদ বিদেশি সেনা প্রত্যাহারের আগে যত বেশি সম্ভব ব্রিটিশ সেনা হত্যা করার ইচ্ছাও প্রকাশ করেছেন তিনি।
হেকমতিয়ার ব্রিটিশ প্রিন্স হ্যারি সম্পর্কে বলেন, 'মাতাল অবস্থায় নির্দোষ আফগানদের হত্যা করতে ব্রিটিশ যুবরাজ এখানে এসেছেন। তিনি তাঁর হেলিকপ্টার দিয়ে মুজাহেদিনদের মারতে চান। কিন্তু আফগান সিংহ ও ঈগলদের শিকার সহজ নয়_এ সোজাসাপটা কথা হ্যারি বুঝতে পারছেন না। শেয়ালের পক্ষে সিংহ শিকার করা কখনই সম্ভব নয়। মুজাহেদিনরা যখন আমেরিকার ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছিল তখন হ্যারি বিষয়টি বুঝতে পেরেছিলেন। নিজেকে লুকিয়ে রাখার জন্য গর্ত খুঁজছিলেন।'
পাকিস্তানি তালেবানের নারী শিক্ষাবিরোধী নীতির সমর্থন করেন কি না_ এমন প্রশ্নের জবাবে হেকমতিয়ার বলেন, 'আফগানিস্তান, পাকিস্তান কিংবা বিশ্বের যেকোনো দেশে স্কুল-কলেজ এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠান উড়িয়ে দেওয়ার পক্ষে নই আমি। ছেলেমেয়ে উভয়ের জন্যই শিক্ষার প্রয়োজন আছে।' পাকিস্তানি তালেবানের সঙ্গে তাদের কোনো ধরনের যোগসাজশ থাকার কথা অস্বীকার করেন তিনি।
গতবছর ব্রিটিশ সেনাদের রকেট হামলায় আফগানিস্তানের একই পরিবারের ছয় সদস্য নিহত হয়। নিহতের পরিবারকে ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্প্রতি ক্ষতিপূরণ হিসেবে পাঁচ লাখ ৩৭ হাজার ৬৪৮ পাউন্ড দিয়েছে। ব্রিটিশ পত্রিকা গার্ডিয়ান এ কথা জানিয়েছে।
হেকমতিয়ার বলেন, 'আফগান সরকার সব দিক দিয়েই ব্যর্থ। তারা জনগণের আস্থা অর্জন করতেও সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। বিদেশিরা চলে গেলে দেশের অভ্যন্তরেই তারা গুরুতর সমস্যার সম্মুখীন হবে। আফগানিস্তানের সংকট নিরসনে বিদেশি বাহিনীও ব্যর্থ হয়েছে। দিনকে দিন পরিস্থিতি আরো খারাপের দিকে যাচ্ছে। ২০১৪ সালে তারা চলে গেলে আফগানিস্তানকে এমন ভয়াবহ পরিস্থিতিতে পড়তে হবে যা আমাদের কল্পনায়ও নেই।' তবে তিনি আফগানিস্তানের গণতন্ত্রের পথে শান্তিপূর্ণ উত্তরণের আশাবাদও ব্যক্ত করেছেন।
১৯৯৩ থেকে ১৯৯৪ সাল এবং পরে ১৯৯৬ সালে আফগানিস্তানে গৃহযুদ্ধকালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য প্রধানমন্ত্রী ছিলেন হেকমতিয়ার। গত ১১ বছর ধরে তিনি পলাতক। ২০০১ সালে আফগানিস্তানে তালেবান সরকারের পতনের পর তোরাবোরা পার্বত্য এলাকা থেকে আল কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেনের পালানোয় তিনি সহায়তা করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ২০০৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র তাঁকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী তালিকাভুক্ত করে। আর হামিদ কারজাইয়ের সরকার তাঁর বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ আনে।
অজ্ঞাত স্থান থেকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হেকমতিয়ার বলেন, 'আমার মতে, হোয়াইট হাউসকে খুশি করতেই অনৈতিক ও নৃশংস এ যুদ্ধ চালাচ্ছে ব্রিটেন। সম্পদ ও স্বজন হারানো ছাড়া আফগানিস্তান থেকে ব্রিটিশ সেনারা কিছুই অর্জন করতে পারেনি। আমেরিকার জেনারেলদের নির্দেশে ব্রিটিশরা কিভাবে তাদের সন্তানদের আফগান যুদ্ধে পাঠাচ্ছে সেটা আমার বোধগম্য নয়।' তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, 'সোভিয়েত ইউনিয়নের সেনা প্রত্যাহারের এক বছর আগে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল আফগানিস্তানের, বর্তমান পরিস্থিতি ঠিক তেমনই। আমেরিকা ও তাদের মিত্ররা লড়াই করার চেষ্টা করছে। তবে তাদের পক্ষে যুদ্ধের ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতের ভার বহন করা সম্ভব হচ্ছে না। কাজেই সেনা প্রত্যাহার করা ছাড়া তাদের সামনে আর কোনো পথ খোলা নেই।' ২০১৪ সালের শেষ নাগাদ বিদেশি সেনা প্রত্যাহারের আগে যত বেশি সম্ভব ব্রিটিশ সেনা হত্যা করার ইচ্ছাও প্রকাশ করেছেন তিনি।
হেকমতিয়ার ব্রিটিশ প্রিন্স হ্যারি সম্পর্কে বলেন, 'মাতাল অবস্থায় নির্দোষ আফগানদের হত্যা করতে ব্রিটিশ যুবরাজ এখানে এসেছেন। তিনি তাঁর হেলিকপ্টার দিয়ে মুজাহেদিনদের মারতে চান। কিন্তু আফগান সিংহ ও ঈগলদের শিকার সহজ নয়_এ সোজাসাপটা কথা হ্যারি বুঝতে পারছেন না। শেয়ালের পক্ষে সিংহ শিকার করা কখনই সম্ভব নয়। মুজাহেদিনরা যখন আমেরিকার ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছিল তখন হ্যারি বিষয়টি বুঝতে পেরেছিলেন। নিজেকে লুকিয়ে রাখার জন্য গর্ত খুঁজছিলেন।'
পাকিস্তানি তালেবানের নারী শিক্ষাবিরোধী নীতির সমর্থন করেন কি না_ এমন প্রশ্নের জবাবে হেকমতিয়ার বলেন, 'আফগানিস্তান, পাকিস্তান কিংবা বিশ্বের যেকোনো দেশে স্কুল-কলেজ এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠান উড়িয়ে দেওয়ার পক্ষে নই আমি। ছেলেমেয়ে উভয়ের জন্যই শিক্ষার প্রয়োজন আছে।' পাকিস্তানি তালেবানের সঙ্গে তাদের কোনো ধরনের যোগসাজশ থাকার কথা অস্বীকার করেন তিনি।
গতবছর ব্রিটিশ সেনাদের রকেট হামলায় আফগানিস্তানের একই পরিবারের ছয় সদস্য নিহত হয়। নিহতের পরিবারকে ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্প্রতি ক্ষতিপূরণ হিসেবে পাঁচ লাখ ৩৭ হাজার ৬৪৮ পাউন্ড দিয়েছে। ব্রিটিশ পত্রিকা গার্ডিয়ান এ কথা জানিয়েছে।
No comments