নতুন বছরের প্রত্যাশা by বেলাল হোসাইন রাহাত
আনন্দ আর বেদনার বৈপরীত্যের মাঝেই মানুষের জীবন- নৌকা উজান বায়। সেখানে অনেক স্বপ্ন আর স্বপ্নের সমাধি মাখামাখি। এ কারণেই এক একটি জীবন কখনও কখনও একাঙ্কিকা আবার কখনও কখনও পরিপূর্ণ নাটকে পরিণতি লাভ করে। সময়ের পরিক্রমায় বদলে যায় বাস্তবতা।
আর বাস্তবতাকে অস্বীকার করে জীবন পরিপূর্ণ অবয়ব পায় না। তবে এই বাস্তবকে ধরার চেষ্টার মধ্যেও মানুষের মনে বাস করা স্বপ্ন তাকে নেশাগ্রস্তের মতো ব্যাপৃত করে অসাধ্যকে সাধ্য করার সাধনায়। তাই সবসময় নতুনের আহ্বান মানবমনে এক অদ্ভুত দ্যোতনা সৃষ্টি করে। দেখতে দেখতে কালের অতল গর্ভে হারিয়ে যায় একটি বছর। দরজায় কড়া নাড়ে নতুন বছর। নতুনকে পাওয়ার অফুরন্ত প্রত্যাশা আর পুরনো অতীতকে স্মৃতির মণিকোঠায় ঠাঁই দিতে প্রস্তুত হয় মর্ত্যবাসী। এবার ইংরেজি নববর্ষ এমন সময় এলো যখন দেশের উত্তরাঞ্চলের মানুষ এক টুকরো গরম কাপড়ের আশায় পথ চেয়ে আছে শীতার্ত মানুষ। কেবল উত্তরাঞ্চল নয়, ঢাকা শহরেই তো পথের ধারে আশ্রয় খুঁজে নেওয়া অসংখ্য মানুষ শীতের প্রকোপে কাঁপছে। গুটি কয়েক সংগঠন এদের গরম কাপড় দেওয়ার মাধ্যমে সাহায্যে এগিয়ে এলেও তাতে এ বৃহৎ জনগোষ্ঠীর চাহিদা মিটছে না। সমাজের বিত্তবান থেকে শুরু করে সবাই যদি আমরা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিই, সেই মানুষের মুখে প্রত্যাশিত হাসিটি দেখতে পাব। সেও কম কী।
আমাদের সবচেয়ে দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো, স্বাধীনতার চার দশক পরও ক্ষমতাসীন সরকার ও বিরোধী দলের রাজনীতিকদের মধ্যে কাঙ্ক্ষিত গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি গড়ে ওঠেনি। এখন পর্যন্ত তারা দলের চেয়ে দেশকে বড় করে সবার ওপর তুলে ধরার নজির সৃষ্টি করতে পারেনি। ফলে দেশের মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নতি এখনও কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে গতিশীল হতে পারেনি। ফলে অর্থনৈতিক অনগ্রসরতা, পশ্চাৎপদতা, অভাব-অনটন, ক্ষুধা-দারিদ্র্য এখনও এ দেশের সাধারণ মানুষের নিত্যসঙ্গী। বর্তমান সময়ে রাজনৈতিক উত্তাপ আস্তে আস্তে বেড়েই চলেছে। বিশেষ করে নতুন বছরের শুরুতেই দাবদাহে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বিরোধী দল সরকারকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফিরিয়ে নিয়ে আসার জন্য একটির পর একটি আলটিমেটাম দিয়েছে। কিন্তু সরকার কোনো ফর্মুলা মানতে নারাজ। ফলে গোটা ২০১৩ সাল কেমন কাটবে তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। ২০১২ সাল আমাদের কাছে আজ অতীত। যদিও আওয়ামী লীগ দাবি করছে, এ সরকারের সফলতা অনেক বেশি; কিন্তু সেই সফলতা তো পদ্মা সেতু, হলমার্ক, সাগর-রুনি, ডেসটিনি, শেয়ারবাজার, রেলে দুর্নীতি, ছাত্রলীগের তাণ্ডব, শিক্ষাঙ্গনে অস্থিরতা ও সর্বশেষ বিশ্বজিৎ হত্যার কারণে মিইয়ে গেছে। তারপরও সফলতা যে নেই তা নয়। সব সমস্যা-সংকটের অবসানে দেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক অঙ্গনে কল্যাণমুখী গতিময় বিকাশ ঘটাতে হবে। সুস্থ রাজনীতি, সুস্থির অর্থনীতি এবং সুষম সামাজিক উন্নয়নে দেশকে সামনে এগিয়ে নিতে হবে। আসলে আমাদের আশা অনেক, সামর্থ্য কম। সাধ ও সাধ্যের মধ্যে রয়েছে বিস্তর ফারাক। তবু স্বপ্ন দেখতে হবে, স্বপ্ন দেখাতে হবে। কেননা সে স্বপ্নই হয়তোবা নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পেঁৗছে দেবে আমাদের। বিদায় বছরের দুঃখ, বেদনাকে দূরে ঠেলে নতুন বছরের প্রতিটি দিনই যেন সবাই ভালো ও শুভ কাজের মাধ্যমে দেশ এবং মানুষের কল্যাণে উৎসর্গ করতে পারি সে প্রত্যাশা হোক আমাদের সবার।
য়বেলাল হোসাইন রাহাত শিক্ষার্থী, নৃবিজ্ঞান বিভাগ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
ৎধযধঃলঁ৬৪@মসধরষ.পড়স
আমাদের সবচেয়ে দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো, স্বাধীনতার চার দশক পরও ক্ষমতাসীন সরকার ও বিরোধী দলের রাজনীতিকদের মধ্যে কাঙ্ক্ষিত গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি গড়ে ওঠেনি। এখন পর্যন্ত তারা দলের চেয়ে দেশকে বড় করে সবার ওপর তুলে ধরার নজির সৃষ্টি করতে পারেনি। ফলে দেশের মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নতি এখনও কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে গতিশীল হতে পারেনি। ফলে অর্থনৈতিক অনগ্রসরতা, পশ্চাৎপদতা, অভাব-অনটন, ক্ষুধা-দারিদ্র্য এখনও এ দেশের সাধারণ মানুষের নিত্যসঙ্গী। বর্তমান সময়ে রাজনৈতিক উত্তাপ আস্তে আস্তে বেড়েই চলেছে। বিশেষ করে নতুন বছরের শুরুতেই দাবদাহে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বিরোধী দল সরকারকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফিরিয়ে নিয়ে আসার জন্য একটির পর একটি আলটিমেটাম দিয়েছে। কিন্তু সরকার কোনো ফর্মুলা মানতে নারাজ। ফলে গোটা ২০১৩ সাল কেমন কাটবে তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। ২০১২ সাল আমাদের কাছে আজ অতীত। যদিও আওয়ামী লীগ দাবি করছে, এ সরকারের সফলতা অনেক বেশি; কিন্তু সেই সফলতা তো পদ্মা সেতু, হলমার্ক, সাগর-রুনি, ডেসটিনি, শেয়ারবাজার, রেলে দুর্নীতি, ছাত্রলীগের তাণ্ডব, শিক্ষাঙ্গনে অস্থিরতা ও সর্বশেষ বিশ্বজিৎ হত্যার কারণে মিইয়ে গেছে। তারপরও সফলতা যে নেই তা নয়। সব সমস্যা-সংকটের অবসানে দেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক অঙ্গনে কল্যাণমুখী গতিময় বিকাশ ঘটাতে হবে। সুস্থ রাজনীতি, সুস্থির অর্থনীতি এবং সুষম সামাজিক উন্নয়নে দেশকে সামনে এগিয়ে নিতে হবে। আসলে আমাদের আশা অনেক, সামর্থ্য কম। সাধ ও সাধ্যের মধ্যে রয়েছে বিস্তর ফারাক। তবু স্বপ্ন দেখতে হবে, স্বপ্ন দেখাতে হবে। কেননা সে স্বপ্নই হয়তোবা নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পেঁৗছে দেবে আমাদের। বিদায় বছরের দুঃখ, বেদনাকে দূরে ঠেলে নতুন বছরের প্রতিটি দিনই যেন সবাই ভালো ও শুভ কাজের মাধ্যমে দেশ এবং মানুষের কল্যাণে উৎসর্গ করতে পারি সে প্রত্যাশা হোক আমাদের সবার।
য়বেলাল হোসাইন রাহাত শিক্ষার্থী, নৃবিজ্ঞান বিভাগ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
ৎধযধঃলঁ৬৪@মসধরষ.পড়স
No comments