বেসরকারি সংস্থা ভাড়া করে গণমাধ্যম নজরদারি!
পশ্চিমবঙ্গে গণমাধ্যমের ওপর নজরদারিতে বেসরকারি সংস্থা ভাড়া করবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার। এ সংস্থার মূল কাজ হবে পত্রিকা, রেডিও-টিভি ও অনলাইন পোর্টালগুলোর পরিবেশিত সংবাদের ওপর নজর রাখা।
বাদ পড়বে না অনলাইনে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোও। এসব মাধ্যম থেকে সংগ্রহ করা সংবাদ প্রতিবেদন আকারে পাঠানো হবে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। সংবাদগুলোর সুবিন্যস্ত তালিকা তৈরি করে ভবিষ্যতে ব্যবহারের জন্য গুছিয়ে রাখাও সংস্থার দায়িত্বের মধ্যেই পড়বে।
তৃণমূল কংগ্রেসের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নেতা এ প্রসঙ্গে বলেন, 'গণমাধ্যমের ওপর সরকারের নজর রাখা প্রয়োজন। আজকাল টিভি চ্যানেল আর পত্রিকার ছড়াছড়ি। এর ওপর আছে টুইটার ও ফেসবুকের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। এসব মাধ্যমে নানা বিষয়ে প্রচুর লেখালেখি হচ্ছে। আমরা চাই, কোনো পেশাদার সংস্থা এগুলোর ওপর নজরদারি করবে। একই সঙ্গে প্রতিবেদন দেবে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে।' দলের আরেক জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, 'প্রতিদিন বিকেল সাড়ে ৩টার মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তাঁরা পত্রিকার কাটিং এবং অডিও-ভিডিও ক্লিপিংসহ প্রতিবেদন জমা দেবেন। ফলে মুখ্যমন্ত্রী জানতে পারবেন, কে-কী বলেছেন।'
গণমাধ্যমের ওপর ২৪ ঘণ্টা নজরদারির জন্য এ ধরনের একটি সংস্থার খোঁজে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এ সংস্থাকে সংবাদ ধারণ ও নজরদারির জন্য সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের সুযোগ দেওয়া হবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রাজ্য সরকারের এক মন্ত্রী বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রী বা সরকারের জন্য অসম্মানজনক নানা কথাবার্তা হয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এগুলোর প্রমাণ সংগ্রহে আমাদের অনেক সময় নষ্ট হয়। আমরা এ ধরনের তৎপরতার প্রমাণগুলো তৈরি রাখতে চাই।' বিশ্লেষকদের ধারণা, গণমাধ্যমের ওপর নজরদারির এ সিদ্ধান্ত নেওয়ার অন্য কারণও রয়েছে। অনেক সময় সরকারি দলের মন্ত্রী বা জ্যেষ্ঠ সদস্যরাও অনেক বেফাঁস মন্তব্য করেন। সেগুলোকেও নজরদারির আওতায় নিয়ে আসতে চান মমতা।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে অশ্লীল নাচ : তৃণমূল কংগ্রেসের ১৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ছিল গত মঙ্গলবার। এ উপলক্ষে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙরে অশ্লীল নাচ-গানের জলসার আয়োজন করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। দলের জেলা পরিষদের সদস্য মীর তাহের আলীর এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। তৃণমূলের স্থানীয় পর্যায়ের নেতারাও এতে উপস্থিত ছিলেন। এই জলসায় অশ্লীল নাচ-গান ও টাকা ছড়ানোর মতো ঘটনা ঘটেছে। তবে তৃণমূলের দাবি, এটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এরই মধ্যে মীর তাহের আলীসহ এ ঘটনায় জড়িত তৃণমূল কর্মীদের সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। সূত্র : জিনিউজ, হিন্দুস্তান টাইমস।
তৃণমূল কংগ্রেসের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নেতা এ প্রসঙ্গে বলেন, 'গণমাধ্যমের ওপর সরকারের নজর রাখা প্রয়োজন। আজকাল টিভি চ্যানেল আর পত্রিকার ছড়াছড়ি। এর ওপর আছে টুইটার ও ফেসবুকের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। এসব মাধ্যমে নানা বিষয়ে প্রচুর লেখালেখি হচ্ছে। আমরা চাই, কোনো পেশাদার সংস্থা এগুলোর ওপর নজরদারি করবে। একই সঙ্গে প্রতিবেদন দেবে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে।' দলের আরেক জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, 'প্রতিদিন বিকেল সাড়ে ৩টার মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তাঁরা পত্রিকার কাটিং এবং অডিও-ভিডিও ক্লিপিংসহ প্রতিবেদন জমা দেবেন। ফলে মুখ্যমন্ত্রী জানতে পারবেন, কে-কী বলেছেন।'
গণমাধ্যমের ওপর ২৪ ঘণ্টা নজরদারির জন্য এ ধরনের একটি সংস্থার খোঁজে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এ সংস্থাকে সংবাদ ধারণ ও নজরদারির জন্য সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের সুযোগ দেওয়া হবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রাজ্য সরকারের এক মন্ত্রী বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রী বা সরকারের জন্য অসম্মানজনক নানা কথাবার্তা হয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এগুলোর প্রমাণ সংগ্রহে আমাদের অনেক সময় নষ্ট হয়। আমরা এ ধরনের তৎপরতার প্রমাণগুলো তৈরি রাখতে চাই।' বিশ্লেষকদের ধারণা, গণমাধ্যমের ওপর নজরদারির এ সিদ্ধান্ত নেওয়ার অন্য কারণও রয়েছে। অনেক সময় সরকারি দলের মন্ত্রী বা জ্যেষ্ঠ সদস্যরাও অনেক বেফাঁস মন্তব্য করেন। সেগুলোকেও নজরদারির আওতায় নিয়ে আসতে চান মমতা।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে অশ্লীল নাচ : তৃণমূল কংগ্রেসের ১৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ছিল গত মঙ্গলবার। এ উপলক্ষে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙরে অশ্লীল নাচ-গানের জলসার আয়োজন করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। দলের জেলা পরিষদের সদস্য মীর তাহের আলীর এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। তৃণমূলের স্থানীয় পর্যায়ের নেতারাও এতে উপস্থিত ছিলেন। এই জলসায় অশ্লীল নাচ-গান ও টাকা ছড়ানোর মতো ঘটনা ঘটেছে। তবে তৃণমূলের দাবি, এটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এরই মধ্যে মীর তাহের আলীসহ এ ঘটনায় জড়িত তৃণমূল কর্মীদের সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। সূত্র : জিনিউজ, হিন্দুস্তান টাইমস।
No comments