যুবদলের সমাবেশে তরিকুল সংলাপের নামে সময়ক্ষেপণ জনগণ মানবে না



সরকার সংলাপের কথা বলে অনর্থক উত্তাপ ছড়িয়ে বিদ্যমান সংকটের বরফ গলানোর চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও দলের সমন্বয়ক তরিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, সংলাপের উত্তাপ ছড়িয়ে কোনো লাভ হবে না। সংলাপের নামে সময়ক্ষেপণের নতুন কোনো ষড়যন্ত্র জনগণ মেনে নেবে না।
গতকাল বুধবার সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয়তাবাদী যুবদলের এক বিক্ষোভ সমাবেশে তরিকুল ইসলাম এই মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘সংকট নিরসনের ফর্মুলা একটাই—সংবিধান সংশোধন করা এবং নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দেওয়া। আজ হোক কাল হোক, তত্ত্বাবধায়কের দাবি মানতেই হবে। এই দাবি মানা ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই।’
তরিকুল অভিযোগ করেন, সরকার বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছে। এ জন্য এক কোটি টাকা লাইসেন্স ফি ও রাজনৈতিক দলের সদস্যদের লাইসেন্স না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আওয়ামী লীগের লোকেরা সব লাইসেন্স নেওয়ার পর এখন যাতে অন্যরা আর না পায়, সে জন্য এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ক ম মোজাম্মেল হকের মুক্তি এবং দলের যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে এ সমাবেশ হয়।
যুবদলের সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন, নগর বিএনপির সদস্যসচিব আবদুস সালাম, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোনায়েম, ছাত্রদলের সভাপতি আবদুল কাদের ভূঁইয়া প্রমুখ।
সরকারকে মন পরিষ্কার করে বলতে হবে: গতকাল সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য মওদুদ আহমদ বলেন, ‘কোনো দলীয় বা বহুদলীয় সরকার অথবা এই রাষ্ট্রপতির অধীনে আমরা কোনো নির্বাচনে অংশ নেব না। জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার জন্য সরকার আলোচনার কথা বলছে। অনেক সংবাদপত্র বলা শুরু করেছে, মনে হয় সমঝোতার দ্বার উন্মুক্ত হয়ে গেছে।’ তিনি আরও বলেন, আগে সরকারকে মন পরিষ্কার করে বলতে হবে, তারা সংবিধান সংশোধন করে একটি নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ব্যবস্থা করবেন। এ ঘোষণার পরই কেবল আলোচনা বা সমঝোতার প্রশ্ন আসে।
মওদুদ আহমদ আরও বলেন, ‘আমরা তো আলোচনা করতে চাই। কিন্তু তার আগে আপনাদের (সরকার) ঘোষণা দিতে হবে, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তন করতে রাজি আছেন। এ ঘোষণা দিলে অবশ্যই আমরা আলোচনায় অংশগ্রহণ করব।’
বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরাম নামে একটি সংগঠন এই আলোচনার আয়োজন করে।

No comments

Powered by Blogger.