ঐতিহ্য রক্ষা করুন by এমএন সালেহ বায়েজীদ
বাংলাদেশে একসময় ছিল বারো ভূঁইয়ার শাসন। ছিল জমিদারদের জমিদারি। বাংলাদেশে বর্তমানে শিক্ষানগরী বলা হয় ময়মনসিংহকে। সেই ময়মনসিংহেরই একটি থানা গৌরীপুর। ময়মনসিংহ শহর থেকে ট্রেনে অথবা বাসে যাওয়া যায় গৌরীপুর।
গৌরীপুরে রয়েছে কিছু জমিদার বাড়ি। যেগুলোর বয়স প্রায় দেড়শ' বছর হবে। কালের স্রোতে এসব পুরনো ভবন আজ বিলুপ্তির পথে। কী সুন্দর কারুকার্যময় এসব দালানকোঠা। আজ থেকে অনেক বছর আগে আমাদের এ উপমহাদেশে এমন সুন্দর নকশাদার ইঞ্জিনিয়ার ছিল। গৌরীপুর সরকারি কলেজ আজও কালের সাক্ষী। কিছু কিছু ভবন অবশ্য এমনিতেই ব্যবহৃত হচ্ছে সরকারি বিভিন্ন দফতর হিসেবে। তাছাড়া জমিদাররা অনেকেই ছিলেন সনাতন ধর্মের, ফলে তারা নির্মাণ করেছিলেন গগনচুম্বী উপাসনালয়। সেখানে আজ সর্প আর পরগাছার বাস। দেয়ালের ফাঁকে বেড়ে উঠেছে নাম না জানা কত রকম বৃক্ষ। অথচ এক সময় সকাল-সন্ধ্যা এখানে পূজা হতো। এ ছাড়াও নরসিংদীর মনোহরদী থানার হাতিরদিয়া গ্রামে এমন জমিদার বাড়ি আছে, যা আজ কালের স্রোতে হারিয়ে যেতে বসেছে। এসব ভবন কতটা মজবুত তা তাদের গঠনশৈলী দেখেই বোঝা যায়। গৌরীপুর অথবা হাতিরদিয়া গ্রাম ছাড়াও বাংলাদেশের বহু জায়গায় এমন অসংখ্য ভবন রয়েছে, যা সংরক্ষণ আর যত্নের অভাবে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। অথচ এসব ভবন আর নির্মাণশৈলী যদি সঠিকভাবে সংরক্ষণ আর মেরামত করা হয়, তবে তা হবে সরকারের আয়ের অন্যতম উৎস। বহুবার বিভিন্ন মহল এসব সংরক্ষণের পদক্ষেপ নিয়েও পরবর্তী সময়ে আর কাজ করতে দেখা যায়নি। অথচ কী সুন্দর, নিখুঁত গাঁথুনি আর জমকালো মার্বেল পাথরের কাজ সেগুলো। আজকের দিনে আমরা যেসব নির্মাণ করছি তা ওই ভবনগুলোর মতো মজবুত নয়।
প্রকৃতির সঙ্গে প্রাচীন এ জমিদার বাড়িগুলো পর্যটকদের জন্য একটি উত্তম জায়গা। এ ছাড়া বাংলাদেশের বহু প্রান্তরে এমনি করে বহু পুরনো ভবন রয়েছে, যা আজ সঠিক সংরক্ষণ আর যত্নের অভাবে কালের ধুলোয় মিশে যাচ্ছে। একজন মানুষ নিজের মাতৃভূমির সৌন্দর্য দেখতে চাইলে এসব পুরনো জমিদার বাড়ি হতে পারে আদর্শ স্থান।
আমরা বিদেশ ভ্রমণ করার আগে যদি বাংলা মার সৌন্দর্য উপভোগ করি তা হবে আমাদের জন্য আশীর্বাদ। জসীমউদ্দীনের ভাষায় বলতে হয়_ 'তুমি যাবে ভাই যাবে মোর সাথে, আমাদের ছোট গাঁয়...।' আসলে আমরা যদি একটু সচেতন হই, আমাদের পুরনো ঐতিহ্য ভবনগুলোকে যদি সংরক্ষণ করি, তাহলে পরবর্তী প্রজন্মকে আর বইয়ের পাতায় ছবি দেখে ইতিহাস শিখতে হবে না। তাই গৌরীপুরের মতো পুরো বাংলাদেশের পুরনো ভবনগুলো মেরামত করে আমরা আমাদের ঐতিহ্য আর পরিচয় ধরে রাখতে সংশ্লিষ্ট মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
য়এমএন সালেহ বায়েজীদ
শিক্ষার্থী, মাস্টার্স, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ
প্রকৃতির সঙ্গে প্রাচীন এ জমিদার বাড়িগুলো পর্যটকদের জন্য একটি উত্তম জায়গা। এ ছাড়া বাংলাদেশের বহু প্রান্তরে এমনি করে বহু পুরনো ভবন রয়েছে, যা আজ সঠিক সংরক্ষণ আর যত্নের অভাবে কালের ধুলোয় মিশে যাচ্ছে। একজন মানুষ নিজের মাতৃভূমির সৌন্দর্য দেখতে চাইলে এসব পুরনো জমিদার বাড়ি হতে পারে আদর্শ স্থান।
আমরা বিদেশ ভ্রমণ করার আগে যদি বাংলা মার সৌন্দর্য উপভোগ করি তা হবে আমাদের জন্য আশীর্বাদ। জসীমউদ্দীনের ভাষায় বলতে হয়_ 'তুমি যাবে ভাই যাবে মোর সাথে, আমাদের ছোট গাঁয়...।' আসলে আমরা যদি একটু সচেতন হই, আমাদের পুরনো ঐতিহ্য ভবনগুলোকে যদি সংরক্ষণ করি, তাহলে পরবর্তী প্রজন্মকে আর বইয়ের পাতায় ছবি দেখে ইতিহাস শিখতে হবে না। তাই গৌরীপুরের মতো পুরো বাংলাদেশের পুরনো ভবনগুলো মেরামত করে আমরা আমাদের ঐতিহ্য আর পরিচয় ধরে রাখতে সংশ্লিষ্ট মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
য়এমএন সালেহ বায়েজীদ
শিক্ষার্থী, মাস্টার্স, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ
No comments