নতুন বইয়ের উৎসব-নিশ্চিত করতে হবে শিক্ষার মান
নতুন বছরের প্রথম দিনটি শিক্ষার্থীদের জন্য যথার্থ অর্থেই একটি আনন্দের দিন ছিল। নতুন বই হাতে পাওয়ার উচ্ছ্বাস নিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে বাড়িতে ফিরেছে শিক্ষার্থীরা। অভিভাবকদের জন্যও দিনটি ছিল আনন্দের। কয়েক বছর আগেও শিক্ষার্থীদের বই সংগ্রহ করতে অভিভাবকদের গলদঘর্ম হতে হতো।
অনেক কষ্টে সে বই সংগ্রহ করা গেলেও অনেক ক্ষেত্রে অসাধু পুস্তক ব্যবসায়ীদের অন্যায় আচরণও মেনে নিতে হতো। পাঠ্য বইয়ের সঙ্গে বাধ্যতামূলকভাবেই নিতে হতো নোট বই। আবার যে পাঠ্যপুস্তক পাওয়া যেত, তার মধ্যে অনেক বইয়ের মানও ভালো ছিল না। অস্পষ্ট ছাপা, নিম্নমানের কাগজ ব্যবহার করা হতো। কিন্তু এবার যে ঝকঝকে ছাপা রঙিন বইগুলো শিক্ষার্থীরা পেয়েছে, তাতে পাঠের আনন্দ বহুগুণ বেড়ে যাবে।
শিক্ষার্থীদের জন্য লেখাপড়ার ব্যবস্থা এমন হওয়া উচিত, যাতে পাঠের ভেতর দিয়ে শিক্ষার্থীরা আনন্দ খুঁজে পায়। শিক্ষার্থীদের হাতে এমন একটি নতুন বই তুলে দিতে হবে, যে বইটি আকর্ষণীয় হবে। শিক্ষার্থীর জন্য চিত্তাকর্ষক একটি বই উপহার দেওয়া গেলে শিক্ষার্থী বই পাঠের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠবে। কাজেই বয়স অনুযায়ী বই হতে হবে শিক্ষার্থীদের জন্য আকর্ষণীয়। যে বইয়ের ভেতর দিয়ে আনন্দের সন্ধান পাবে একজন নবীন শিক্ষার্থীও। আমাদের দেশের বই বিপণন নিয়ে নানা ঘটনা ঘটেছে। বিনা মূল্যে বিতরণের বই কালোবাজারে বিক্রি, পাঠ্য বইয়ের সঙ্গে নোট বই কিনতে অভিভাবকদের বাধ্য করার মতো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পাশাপাশি বইয়ের বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে এক সময় নিম্নমানের বইও বিক্রি করা হয়েছে। কিন্তু সদিচ্ছা থাকলে যেসব অন্তরায় দূর করা যায়, সেটা প্রমাণ করেছে সরকার। সমন্বিত চেষ্টায় গত কয়েক বছরের প্রথম দিনেই বই চলে যাচ্ছে শিক্ষার্থীদের হাতে। নতুন বছরের প্রথম দিনে দেশের সব শিক্ষার্থীর হাতে বই পৌঁছে দেওয়ার মতো ঘটনা যে বাংলাদেশে ঘটতে পারে, কয়েক বছর আগে এটা কল্পনাও করা যেত না। শিক্ষামন্ত্রী এই বই বিতরণকে বলেছেন নববর্ষের উপহার। দিনটিকে বই উৎসব হিসেবে দেখা হচ্ছে। কিন্তু এই উৎসব সেদিনই অর্থবহ হবে, যেদিন শিক্ষার আলো ঘরে ঘরে পৌঁছে যাবে।
বছরের প্রথম দিনে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দিতে পারা আমাদের একটি সাফল্য। এই সাফল্যকে ধরে রাখতে চাইলে আমাদের শিক্ষার মান নিশ্চিত করতে হবে। নিশ্চিত করতে হবে মানসম্মত শিক্ষা। এখন থেকে সেই লক্ষ্যে কাজ করতে হবে। শিক্ষার মান নিশ্চিত করতে মানসম্মত শিক্ষকের বিকল্প নেই।
শিক্ষার মান নিশ্চিত করা এখন সরকারের জন্য আরেকটি বড় চ্যালেঞ্জ। পরিবর্তনশীল বিশ্ব পরিস্থিতি ও সময়ের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় আগামী দিনের নাগরিকদের তৈরি করতে হলে শিক্ষার মান নিশ্চিত করতে হবে। আমরা মনে করি, মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে সরকার প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
শিক্ষার্থীদের জন্য লেখাপড়ার ব্যবস্থা এমন হওয়া উচিত, যাতে পাঠের ভেতর দিয়ে শিক্ষার্থীরা আনন্দ খুঁজে পায়। শিক্ষার্থীদের হাতে এমন একটি নতুন বই তুলে দিতে হবে, যে বইটি আকর্ষণীয় হবে। শিক্ষার্থীর জন্য চিত্তাকর্ষক একটি বই উপহার দেওয়া গেলে শিক্ষার্থী বই পাঠের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠবে। কাজেই বয়স অনুযায়ী বই হতে হবে শিক্ষার্থীদের জন্য আকর্ষণীয়। যে বইয়ের ভেতর দিয়ে আনন্দের সন্ধান পাবে একজন নবীন শিক্ষার্থীও। আমাদের দেশের বই বিপণন নিয়ে নানা ঘটনা ঘটেছে। বিনা মূল্যে বিতরণের বই কালোবাজারে বিক্রি, পাঠ্য বইয়ের সঙ্গে নোট বই কিনতে অভিভাবকদের বাধ্য করার মতো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পাশাপাশি বইয়ের বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে এক সময় নিম্নমানের বইও বিক্রি করা হয়েছে। কিন্তু সদিচ্ছা থাকলে যেসব অন্তরায় দূর করা যায়, সেটা প্রমাণ করেছে সরকার। সমন্বিত চেষ্টায় গত কয়েক বছরের প্রথম দিনেই বই চলে যাচ্ছে শিক্ষার্থীদের হাতে। নতুন বছরের প্রথম দিনে দেশের সব শিক্ষার্থীর হাতে বই পৌঁছে দেওয়ার মতো ঘটনা যে বাংলাদেশে ঘটতে পারে, কয়েক বছর আগে এটা কল্পনাও করা যেত না। শিক্ষামন্ত্রী এই বই বিতরণকে বলেছেন নববর্ষের উপহার। দিনটিকে বই উৎসব হিসেবে দেখা হচ্ছে। কিন্তু এই উৎসব সেদিনই অর্থবহ হবে, যেদিন শিক্ষার আলো ঘরে ঘরে পৌঁছে যাবে।
বছরের প্রথম দিনে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দিতে পারা আমাদের একটি সাফল্য। এই সাফল্যকে ধরে রাখতে চাইলে আমাদের শিক্ষার মান নিশ্চিত করতে হবে। নিশ্চিত করতে হবে মানসম্মত শিক্ষা। এখন থেকে সেই লক্ষ্যে কাজ করতে হবে। শিক্ষার মান নিশ্চিত করতে মানসম্মত শিক্ষকের বিকল্প নেই।
শিক্ষার মান নিশ্চিত করা এখন সরকারের জন্য আরেকটি বড় চ্যালেঞ্জ। পরিবর্তনশীল বিশ্ব পরিস্থিতি ও সময়ের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় আগামী দিনের নাগরিকদের তৈরি করতে হলে শিক্ষার মান নিশ্চিত করতে হবে। আমরা মনে করি, মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে সরকার প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
No comments