ওই তরুণীর নামে আইন হলে আপত্তি নেই পরিবারের
ভারতে ধর্ষণবিরোধী নতুন আইনটি দিল্লিতে গণধর্ষণের শিকার নিহত তরুণীর নামে করা হলে তাঁর পরিবারের আপত্তি নেই। কেন্দ্রীয় মানবসম্পদবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী শশী থারুর গত মঙ্গলবার নতুন আইনটি ওই তরুণীর নামে করে তাঁর প্রতি সম্মান জানানোর প্রস্তাব করেন।
এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল বুধবার তাঁর পরিবারের সদস্যরা জানান, এমন কারণে তাঁর (তরুণীর) নাম প্রকাশ হলে তাঁদের আপত্তির কিছু নেই।
ভারতীয় দণ্ডবিধির ২২৮-ক ধারা অনুযায়ী, ধর্ষণের শিকার নারীর নাম-পরিচয় প্রকাশ করা দণ্ডনীয় অপরাধ। তবে ধর্ষণের শিকার নারী নিজে যদি চান, তাহলে নিজের নাম প্রকাশ করতে পারেন।
গত ১৬ ডিসেম্বর দিল্লিতে একটি বাসে গণধর্ষণের শিকার ২৩ বছরের ওই তরুণী গত শনিবার মারা যান। এ ঘটনায় ভারতজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখা দেয়। ধর্ষণকারীদের কঠোর শাস্তিসহ নারীদের সুরক্ষায় শক্তিশালী আইন প্রণয়নের দাবি ওঠে।
গণধর্ষণে জড়িত সন্দেহে আটক পাঁচজনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে আজ বৃহস্পতিবার আদালতে অভিযোগপত্র দাখিলের আশা করা হচ্ছে। হাজার পাতার বেশি এ অভিযোগপত্রে হত্যাসহ অপহরণ, দলগতভাবে ধর্ষণ ইত্যাদি বেশ কয়েকটি অভিযোগ আনা হবে। সন্দেহভাজন ষষ্ঠজনের বয়স ১৮-এর কম বলা হচ্ছে। সেই অনুযায়ী তাকে হয়তো কিশোরদের বিচারে গঠিত আদালতে তোলা হতে পারে। তবে হাড়ের গঠন পরীক্ষার (বোন টেস্ট) মাধ্যমে তার সঠিক বয়স প্রমাণের নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ। অভিযোগ প্রমাণিত হলে সবার মৃত্যুদণ্ড হতে পারে।
পুলিশ মঙ্গলবার জানায়, গণধর্ষণের পর ওই তরুণীকে রাস্তায় ফেলে তাঁর ওপর দিয়ে বাস তুলে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল ধর্ষণকারীরা। তরুণীর সঙ্গে থাকা তাঁর বন্ধু এ কথা নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, তাঁদের দুজনকে আহত অবস্থায় রাস্তায় ফেলে দেওয়ার পর বাসটি পেছন দিকে এসে চাপা দেওয়ার চেষ্টা করে। তবে শেষ মুহূর্তে তরুণীটিকে সরিয়ে নিতে সক্ষম হন তিনি। ঘটনার দিন এই বন্ধুটিও ধর্ষণকারীদের হাতে ব্যাপক মার খান। তিনি জানান, ধর্ষণকারীদের প্রতিরোধ করার চেষ্টা করেন ওই তরুণী। এতে ধর্ষণকারীদের তিনজন তাঁকে লোহার রড দিয়ে প্রচণ্ড প্রহার করে। বন্ধুটির এ বক্তব্যের সপক্ষে সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের শরীরের আঘাত, রক্ত, চুল ইত্যাদির ফরেনসিক প্রমাণের প্রতিবেদনেও এর সত্যতা পেয়েছে পুলিশ।
আইন অনুযায়ী ধর্ষণের শিকার নারীর নাম-পরিচয় প্রকাশের নিয়ম না থাকায় শশীর মন্তব্য নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক শুরু হয়েছে। যদিও তিনি বলেন, 'তরুণীর পরিবারের আপত্তি না থাকলেই কেবল আইনের নামকরণ করা যায়।' তবে এর পরও এমন স্পর্শকাতর বিষয়ে তাঁর মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। প্রধান বিরোধী দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) একে 'দুঃখজনক' বলে এ ধরনের 'প্রস্তাবের বিরোধিতা করার' ঘোষণা দেয়। দলটির অভিযোগ, 'ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করছে কংগ্রেস। তরুণীটির নাম প্রকাশ করে তাঁকে আরো কলঙ্কিত করার চেষ্টা এটি।' বিজেপির বক্তব্য, কঠোর আইন প্রণয়ন করাই এখন প্রধান কাজ। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, শশীর মন্তব্য তাঁর ব্যক্তিগত। সরকারের এ রকম কোনো পরিকল্পনা নেই। কারো নামে আইন হবে না।
তবে সমাজকর্মী কিরণ বেদী প্রস্তাবটি সমর্থন করে বলেন, 'তরুণীর লড়াইকে অমর করে রাখতে এটা সাধু প্রস্তাব।' তিনি জানান, আমেরিকায় মহিলা ও শিশুদের ওপর অত্যাচার-সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি আইন ভুক্তভোগীর নামে করা হয়েছে। যেমন_ব্র্যাডি, মেগান, জেসিকা, কার্লি ইত্যাদি।
গতকাল ওই তরুণীর বাবা এবং ভাইও বার্তা সংস্থা পিটিআইকে জানান, 'ধর্ষণবিরোধী নতুন আইনটির নাম যদি তাঁর (তরুণীর) নামে করা হয়, তবে তাঁদের আপত্তি থাকবে না। এর মাধ্যমে তাঁকে সম্মানিত করা হবে।' এদিকে দিল্লিতে যে বাসে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছিল সেই বাসের মালিকে গতকাল গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নিবন্ধনের ভুয়া দলিল জমা দেওয়ায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সূত্র : এএফপি, বিবিসি।
ভারতীয় দণ্ডবিধির ২২৮-ক ধারা অনুযায়ী, ধর্ষণের শিকার নারীর নাম-পরিচয় প্রকাশ করা দণ্ডনীয় অপরাধ। তবে ধর্ষণের শিকার নারী নিজে যদি চান, তাহলে নিজের নাম প্রকাশ করতে পারেন।
গত ১৬ ডিসেম্বর দিল্লিতে একটি বাসে গণধর্ষণের শিকার ২৩ বছরের ওই তরুণী গত শনিবার মারা যান। এ ঘটনায় ভারতজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখা দেয়। ধর্ষণকারীদের কঠোর শাস্তিসহ নারীদের সুরক্ষায় শক্তিশালী আইন প্রণয়নের দাবি ওঠে।
গণধর্ষণে জড়িত সন্দেহে আটক পাঁচজনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে আজ বৃহস্পতিবার আদালতে অভিযোগপত্র দাখিলের আশা করা হচ্ছে। হাজার পাতার বেশি এ অভিযোগপত্রে হত্যাসহ অপহরণ, দলগতভাবে ধর্ষণ ইত্যাদি বেশ কয়েকটি অভিযোগ আনা হবে। সন্দেহভাজন ষষ্ঠজনের বয়স ১৮-এর কম বলা হচ্ছে। সেই অনুযায়ী তাকে হয়তো কিশোরদের বিচারে গঠিত আদালতে তোলা হতে পারে। তবে হাড়ের গঠন পরীক্ষার (বোন টেস্ট) মাধ্যমে তার সঠিক বয়স প্রমাণের নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ। অভিযোগ প্রমাণিত হলে সবার মৃত্যুদণ্ড হতে পারে।
পুলিশ মঙ্গলবার জানায়, গণধর্ষণের পর ওই তরুণীকে রাস্তায় ফেলে তাঁর ওপর দিয়ে বাস তুলে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল ধর্ষণকারীরা। তরুণীর সঙ্গে থাকা তাঁর বন্ধু এ কথা নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, তাঁদের দুজনকে আহত অবস্থায় রাস্তায় ফেলে দেওয়ার পর বাসটি পেছন দিকে এসে চাপা দেওয়ার চেষ্টা করে। তবে শেষ মুহূর্তে তরুণীটিকে সরিয়ে নিতে সক্ষম হন তিনি। ঘটনার দিন এই বন্ধুটিও ধর্ষণকারীদের হাতে ব্যাপক মার খান। তিনি জানান, ধর্ষণকারীদের প্রতিরোধ করার চেষ্টা করেন ওই তরুণী। এতে ধর্ষণকারীদের তিনজন তাঁকে লোহার রড দিয়ে প্রচণ্ড প্রহার করে। বন্ধুটির এ বক্তব্যের সপক্ষে সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের শরীরের আঘাত, রক্ত, চুল ইত্যাদির ফরেনসিক প্রমাণের প্রতিবেদনেও এর সত্যতা পেয়েছে পুলিশ।
আইন অনুযায়ী ধর্ষণের শিকার নারীর নাম-পরিচয় প্রকাশের নিয়ম না থাকায় শশীর মন্তব্য নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক শুরু হয়েছে। যদিও তিনি বলেন, 'তরুণীর পরিবারের আপত্তি না থাকলেই কেবল আইনের নামকরণ করা যায়।' তবে এর পরও এমন স্পর্শকাতর বিষয়ে তাঁর মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। প্রধান বিরোধী দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) একে 'দুঃখজনক' বলে এ ধরনের 'প্রস্তাবের বিরোধিতা করার' ঘোষণা দেয়। দলটির অভিযোগ, 'ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করছে কংগ্রেস। তরুণীটির নাম প্রকাশ করে তাঁকে আরো কলঙ্কিত করার চেষ্টা এটি।' বিজেপির বক্তব্য, কঠোর আইন প্রণয়ন করাই এখন প্রধান কাজ। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, শশীর মন্তব্য তাঁর ব্যক্তিগত। সরকারের এ রকম কোনো পরিকল্পনা নেই। কারো নামে আইন হবে না।
তবে সমাজকর্মী কিরণ বেদী প্রস্তাবটি সমর্থন করে বলেন, 'তরুণীর লড়াইকে অমর করে রাখতে এটা সাধু প্রস্তাব।' তিনি জানান, আমেরিকায় মহিলা ও শিশুদের ওপর অত্যাচার-সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি আইন ভুক্তভোগীর নামে করা হয়েছে। যেমন_ব্র্যাডি, মেগান, জেসিকা, কার্লি ইত্যাদি।
গতকাল ওই তরুণীর বাবা এবং ভাইও বার্তা সংস্থা পিটিআইকে জানান, 'ধর্ষণবিরোধী নতুন আইনটির নাম যদি তাঁর (তরুণীর) নামে করা হয়, তবে তাঁদের আপত্তি থাকবে না। এর মাধ্যমে তাঁকে সম্মানিত করা হবে।' এদিকে দিল্লিতে যে বাসে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছিল সেই বাসের মালিকে গতকাল গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নিবন্ধনের ভুয়া দলিল জমা দেওয়ায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সূত্র : এএফপি, বিবিসি।
No comments