প্রাথমিক শিক্ষকদের মূল্য দিন by তাসফিয়া শাহরীন
শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড এবং একটা দেশের ভিত্তিপ্রস্তর। আর সেই ভিতই যদি গড়ে ওঠে দুর্বলভাবে, তবে জাতির উন্নয়ন যে ব্যাহত হবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আমরা জানি, শিক্ষকতা হচ্ছে মহৎ পেশা। কিন্তু আমাদের দেশে সেই মহত্ত্ব প্রদর্শন করতে আগ্রহী মানুষ খুব কমই দেখা যায়।
ব্যতিক্রম শুধু বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকতার ক্ষেত্রে। আমরা দেখতে পাই, আমাদের দেশে প্রাইমারি স্কুলে শিক্ষিকা নিয়োগ করার ক্ষেত্রে এসএসসি বা সমমান পরীক্ষার সার্টিফিকেটই যথেষ্ট। অথচ একজন ছাত্র বা ছাত্রীর ভিত্তি গড়ে ওঠে প্রাইমারি স্কুলে। আমি বলছি না, একজন প্রাইমারি পর্যায়ের ছাত্র বা ছাত্রীকে পড়ানোর যোগ্যতা তাদের নেই; কিন্তু সেই শিক্ষার মান সম্পর্কে সন্দেহ পোষণ কি সমুচিত নয়? অবশ্য শিক্ষানীতি বলেছে, মেয়েদের যোগ্যতাও স্নাতক হতে হবে। সরকার এ নিয়ে আইন করার কথা।
আমাদের দেশের মতো একটি উন্নয়নশীল দেশের সাধারণ মানুষের পক্ষে কি সম্ভব তাদের সন্তানকে কিন্ডারগার্টেনে পাঠানো, বিশেষত যারা মফস্বল বা গ্রামে থাকে? দেশের স্বার্থে এ মহৎ পেশায় মানুষকে উৎসাহিত করার জন্য সরকারের কি উচিত নয় প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষকদের সম্মান এবং বেতনভাতা বৃদ্ধি করা? যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের স্কেল ১৩ হাজার টাকা, সেখানে প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষকদের স্কেল মাত্র চার হাজার টাকা। এখানে সামাজিক অবমূল্যায়নও লক্ষ্য করা যায়। এমনকি ১১ ধরনের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে এমন কিছু বিদ্যালয় রয়েছে, যেখানে শিক্ষকরা আরও কম বেতন পান। কখনও কখনও তারা নিয়মিত বেতন পান না, এমনকি বেতনের জন্য রাস্তায় নামার ঘটনাও ঘটেছে।
অথচ অন্যান্য দেশে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ও প্রাইমারি শিক্ষকের বেতনের মধ্যে এ রকম আকাশ-পাতাল ফারাক নেই। বেতন কম বলেই হয়তো, শুধু বেকার নামক অভিশাপ ঘোচাতে সার্টিফিকেটধারীরা এখানে আসে এবং ক্লাসে পাঠদানে মনোযোগ না দিয়ে তারা গৃহশিক্ষকতার আশ্রয় নেন। অথচ একজন ছাত্র বা ছাত্রীর মূল ভিতই গড়ে ওঠে প্রাইমারি পর্যায়ে। তাহলে একজন সর্বোচ্চ গ্র্যাজুয়েটধারী কেন আগ্রহী হবেন প্রাইমারি স্কুলে শিক্ষকতা করার জন্য? উন্নত দেশগুলো থেকে কি আমরা শিক্ষা নিতে পারি না? সেখানে প্রাইমারি শিক্ষকতা যদি সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠের শিক্ষকতার সঙ্গে একইভাবে মূল্যবান এবং সম্মানজনক পেশা হয়, আমাদের দেশে হবে না কেন। জাতির স্বাথেই তাদের সম্মান দিতে হবে। প্রাথমিক শিক্ষা যেহেতু শিক্ষার ভিত, সেহেতু এই ভিতকে শক্তভাবে গড়ে তোলার জন্য উদ্যোগী হতে হবে সরকারকে।
য়তাসফিয়া শাহরীন :শিক্ষার্থী
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া
আমাদের দেশের মতো একটি উন্নয়নশীল দেশের সাধারণ মানুষের পক্ষে কি সম্ভব তাদের সন্তানকে কিন্ডারগার্টেনে পাঠানো, বিশেষত যারা মফস্বল বা গ্রামে থাকে? দেশের স্বার্থে এ মহৎ পেশায় মানুষকে উৎসাহিত করার জন্য সরকারের কি উচিত নয় প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষকদের সম্মান এবং বেতনভাতা বৃদ্ধি করা? যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের স্কেল ১৩ হাজার টাকা, সেখানে প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষকদের স্কেল মাত্র চার হাজার টাকা। এখানে সামাজিক অবমূল্যায়নও লক্ষ্য করা যায়। এমনকি ১১ ধরনের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে এমন কিছু বিদ্যালয় রয়েছে, যেখানে শিক্ষকরা আরও কম বেতন পান। কখনও কখনও তারা নিয়মিত বেতন পান না, এমনকি বেতনের জন্য রাস্তায় নামার ঘটনাও ঘটেছে।
অথচ অন্যান্য দেশে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ও প্রাইমারি শিক্ষকের বেতনের মধ্যে এ রকম আকাশ-পাতাল ফারাক নেই। বেতন কম বলেই হয়তো, শুধু বেকার নামক অভিশাপ ঘোচাতে সার্টিফিকেটধারীরা এখানে আসে এবং ক্লাসে পাঠদানে মনোযোগ না দিয়ে তারা গৃহশিক্ষকতার আশ্রয় নেন। অথচ একজন ছাত্র বা ছাত্রীর মূল ভিতই গড়ে ওঠে প্রাইমারি পর্যায়ে। তাহলে একজন সর্বোচ্চ গ্র্যাজুয়েটধারী কেন আগ্রহী হবেন প্রাইমারি স্কুলে শিক্ষকতা করার জন্য? উন্নত দেশগুলো থেকে কি আমরা শিক্ষা নিতে পারি না? সেখানে প্রাইমারি শিক্ষকতা যদি সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠের শিক্ষকতার সঙ্গে একইভাবে মূল্যবান এবং সম্মানজনক পেশা হয়, আমাদের দেশে হবে না কেন। জাতির স্বাথেই তাদের সম্মান দিতে হবে। প্রাথমিক শিক্ষা যেহেতু শিক্ষার ভিত, সেহেতু এই ভিতকে শক্তভাবে গড়ে তোলার জন্য উদ্যোগী হতে হবে সরকারকে।
য়তাসফিয়া শাহরীন :শিক্ষার্থী
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া
No comments