অর্থের বিনিময়ে নাশকতা-জামায়াত-শিবিরের অপচেষ্টা প্রতিহত করুন
টাকার বিনিময়ে দরিদ্র শ্রমজীবী মানুষকে নাশকতার কাজে লাগাচ্ছে জামায়াত-শিবির। নাশকতা করার সময় পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরাই এমন তথ্য দিয়েছে। এটি জামায়াত-শিবিরের নাশকতার পরিকল্পনায় নতুন একটি মাত্রা যোগ করেছে।
আর এর পরিণতি যে কতটা ভয়ংকর হতে পারে, তার ভূরি ভূরি নজির রয়েছে বর্তমান পাকিস্তানে। সেখানে অর্থের বিনিময়ে দরিদ্র শ্রেণীর লোকজনকে আত্মঘাতী হামলায়ও ব্যবহার করা হচ্ছে। প্রতি দিনই ঘটছে বহু বোমা হামলার ঘটনা। নিরীহ লোকজনের রক্তে ভাসছে সে দেশের মাটি। এখনই উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া না গেলে এ দেশটিও যে পাকিস্তানের পথ অনুসরণ করবে, তার লক্ষণই এরই মধ্যে স্পষ্ট হতে শুরু করেছে।
জামায়াত-শিবিরের হাতে অর্থের অভাব নেই। এক সময় মুসলিম দেশগুলোর উগ্রপন্থী বিভিন্ন সংগঠন থেকে ব্যাপক অর্থ পাওয়া জামায়াতি রাজনীতি এখন দেশেও বেশ ভালো অবস্থান তৈরি করে নিয়েছে। দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যেও জামায়াত-অনুসারীদের বড় ধরনের আধিপত্য রয়েছে। সেই সঙ্গে বিদেশি উগ্রপন্থী গোষ্ঠীগুলোর অর্থ সহযোগিতা তো আছেই। সেই অর্থের একটি অংশও যদি এ ধরনের নাশকতার পেছনে ব্যয় করা হয়, তাহলে তার পরিণতি যে ভয়াবহ হবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কারণ এ দেশে দরিদ্র ও বেকার যুবকের সংখ্যার কোনো কমতি নেই। জামায়াতি অর্থের ফাঁদে তারা সহজেই ধরা দেবে। গোয়েন্দা পুলিশের তথ্যের ভিত্তিতে কালের কণ্ঠে বুধবার যে খবরটি প্রকাশিত হয়েছে, তা খুবই আশঙ্কাজনক। প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, দেশে বড় ধরনের ধ্বংসাত্মক তৎপরতা চালানোর সব প্রস্তুতি তারা নিয়ে রেখেছে। কেন্দ্রীয় কমান্ডের তত্ত্বাবধানে ইউনিয়ন-ওয়ার্ড পর্যন্ত হামলা পরিচালনার জন্য দায়িত্ব বণ্টন করা হয়েছে। তাদের হাতে অস্ত্র-গোলাবারুদেরও যথেষ্ট মজুদ রয়েছে। পুলিশ, বিচারক, গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা ব্যক্তিরাসহ কাদের ওপর হামলা পরিচালনা করবে, সেই তালিকা পর্যন্ত তারা তৈরি করে রেখেছে। এ রকম তালিকাও গোয়েন্দাদের হাতে এসেছে। মূলত যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচাল করাই তাদের প্রধান উদ্দেশ্য। আর সে লক্ষ্যে পুলিশের ওপর বারবার হামলা চালিয়ে ও নাশকতার মাধ্যমে এরই মধ্যে তারা তাদের সক্ষমতার কিছু প্রমাণও রেখেছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের বিরুদ্ধে থাকা মামলার রায় ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে তারা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠবে।
যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার একটি গণদাবি। বলা যায়, এই গণদাবি থেকেই মহাজোট সরকার নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে। কাজেই তাদের এই বিচার অনুষ্ঠান থেকে পিছিয়ে যাওয়ার কোনো উপায় নেই। পাশাপাশি এটিও মনে রাখতে হবে, স্বাধীনতার চার দশক ধরে যে বিচারকাজ নানাভাবে ঠেকিয়ে রাখা হয়েছে, সে কাজটি করা মোটেও সহজ কোনো বিষয় নয়। এ জন্য মহাজোট সরকারকে যে ধরনের নৈতিক মান বজায় রাখা উচিত ছিল, যে ধরনের ধৈর্য ও সহনশীলতার পরিচয় দেওয়া উচিত ছিল, দুঃখজনক হলেও সত্য, তারা তা করতে অনেকাংশেই ব্যর্থ হয়েছে। তার পরও বর্তমান সরকারের কাছে মানুষের প্রত্যাশা অনেক। আর সে প্রত্যাশার বিষয়টি বিবেচনায় রেখেই তাদের বাকি সময়টা পার করতে হবে। যেকোনো মূল্যে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্ভাব্য দ্রুততম সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে। প্রতিহিংসামূলক সব কর্মকাণ্ড বাদ দিয়ে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় বিরোধী দলের আস্থা অর্জনের চেষ্টা করতে হবে। পাশাপাশি স্বাধীনতাবিরোধীদের সব চক্রান্ত সাহসিকতা ও বিচক্ষণতার সঙ্গে মোকাবিলা করতে হবে। নৈতিকতা, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও রাজনৈতিক বিচক্ষণতার পরিচয় দিতে পারলে জনগণ যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে শেষ পর্যন্ত অবশ্যই এই সরকারের পাশে থাকবে।
জামায়াত-শিবিরের হাতে অর্থের অভাব নেই। এক সময় মুসলিম দেশগুলোর উগ্রপন্থী বিভিন্ন সংগঠন থেকে ব্যাপক অর্থ পাওয়া জামায়াতি রাজনীতি এখন দেশেও বেশ ভালো অবস্থান তৈরি করে নিয়েছে। দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যেও জামায়াত-অনুসারীদের বড় ধরনের আধিপত্য রয়েছে। সেই সঙ্গে বিদেশি উগ্রপন্থী গোষ্ঠীগুলোর অর্থ সহযোগিতা তো আছেই। সেই অর্থের একটি অংশও যদি এ ধরনের নাশকতার পেছনে ব্যয় করা হয়, তাহলে তার পরিণতি যে ভয়াবহ হবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কারণ এ দেশে দরিদ্র ও বেকার যুবকের সংখ্যার কোনো কমতি নেই। জামায়াতি অর্থের ফাঁদে তারা সহজেই ধরা দেবে। গোয়েন্দা পুলিশের তথ্যের ভিত্তিতে কালের কণ্ঠে বুধবার যে খবরটি প্রকাশিত হয়েছে, তা খুবই আশঙ্কাজনক। প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, দেশে বড় ধরনের ধ্বংসাত্মক তৎপরতা চালানোর সব প্রস্তুতি তারা নিয়ে রেখেছে। কেন্দ্রীয় কমান্ডের তত্ত্বাবধানে ইউনিয়ন-ওয়ার্ড পর্যন্ত হামলা পরিচালনার জন্য দায়িত্ব বণ্টন করা হয়েছে। তাদের হাতে অস্ত্র-গোলাবারুদেরও যথেষ্ট মজুদ রয়েছে। পুলিশ, বিচারক, গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা ব্যক্তিরাসহ কাদের ওপর হামলা পরিচালনা করবে, সেই তালিকা পর্যন্ত তারা তৈরি করে রেখেছে। এ রকম তালিকাও গোয়েন্দাদের হাতে এসেছে। মূলত যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচাল করাই তাদের প্রধান উদ্দেশ্য। আর সে লক্ষ্যে পুলিশের ওপর বারবার হামলা চালিয়ে ও নাশকতার মাধ্যমে এরই মধ্যে তারা তাদের সক্ষমতার কিছু প্রমাণও রেখেছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের বিরুদ্ধে থাকা মামলার রায় ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে তারা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠবে।
যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার একটি গণদাবি। বলা যায়, এই গণদাবি থেকেই মহাজোট সরকার নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে। কাজেই তাদের এই বিচার অনুষ্ঠান থেকে পিছিয়ে যাওয়ার কোনো উপায় নেই। পাশাপাশি এটিও মনে রাখতে হবে, স্বাধীনতার চার দশক ধরে যে বিচারকাজ নানাভাবে ঠেকিয়ে রাখা হয়েছে, সে কাজটি করা মোটেও সহজ কোনো বিষয় নয়। এ জন্য মহাজোট সরকারকে যে ধরনের নৈতিক মান বজায় রাখা উচিত ছিল, যে ধরনের ধৈর্য ও সহনশীলতার পরিচয় দেওয়া উচিত ছিল, দুঃখজনক হলেও সত্য, তারা তা করতে অনেকাংশেই ব্যর্থ হয়েছে। তার পরও বর্তমান সরকারের কাছে মানুষের প্রত্যাশা অনেক। আর সে প্রত্যাশার বিষয়টি বিবেচনায় রেখেই তাদের বাকি সময়টা পার করতে হবে। যেকোনো মূল্যে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্ভাব্য দ্রুততম সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে। প্রতিহিংসামূলক সব কর্মকাণ্ড বাদ দিয়ে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় বিরোধী দলের আস্থা অর্জনের চেষ্টা করতে হবে। পাশাপাশি স্বাধীনতাবিরোধীদের সব চক্রান্ত সাহসিকতা ও বিচক্ষণতার সঙ্গে মোকাবিলা করতে হবে। নৈতিকতা, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও রাজনৈতিক বিচক্ষণতার পরিচয় দিতে পারলে জনগণ যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে শেষ পর্যন্ত অবশ্যই এই সরকারের পাশে থাকবে।
No comments