রুপালির এগিয়ে যাওয়ার গল্প by মেখ্যাইউ মারমা
রুপালি আকতার। বয়স ১৩। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দম ফেলার ফুরসত থাকে না। খুব সকালে কাজের জন্য তাকে ছুটতে হয় অন্যের বাসায়। চা-নাশতা বানানো, তরকারি কুটা-বাছা, কাপড় ধোয়সহ সব কাজ শেষে গৃহকর্ত্রীর তত্ত্বাবধানে বসে যেত পড়ার টেবিলে। কিছুক্ষণ পড়াশোনার পরই ছুটি।
তারপর বিদ্যালয়ে যাওয়া। সেখান থেকে ফিরে সারতে হয় নিজের বাসার কাজকর্ম। তারপর পড়তে বসা। তবে এতকিছুর পরও কখনো দমে যায়নি। লেখাপড়ার প্রতি টানটা ছিল ঠিকই। কষ্ট সফল হয়েছে এই খুদে শিক্ষার্থীর।
এবারের প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় (পিএসসি) নগরের চন্দনপুরা এমদাদ আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে রুপালি। গত রোববার কথা হয় তার সঙ্গে।
চট্টগ্রাম নগরের চকবাজার পোস্ট অফিসের সামনে হক কলোনির বস্তিতে পাঁচ বোন, এক ভাই ও মা-বাবাকে নিয়ে থাকে রুপালি আকতার। ছয় ভাইবোনের মধ্যে রুপালি তৃতীয়। মা লায়লা বেগম বাসা-বাড়িতে কাজ করেন, বাবা হেলাল দিনমজুর।
বদলে যাওয়ার গল্প: হাজী মুহাম্মদ মুহসিন কলেজের দর্শন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ওসমান গণির বাসায় কাজ করত রুপালির মা লায়লা বেগম। অভাবের সংসার। ভালো বেতনের আরেকটি বাসায় কাজ পাওয়ায় তিনি চলে যান সেখান থেকে। তাঁর জায়গায় দিয়ে যান বড় মেয়ে রাশেদাকে। কিছুদিন পর রাশেদাও পোশাক কারখানায় কাজ পেয়ে চলে যায়। এবার মেজো মেয়ে রুপালিকে অধ্যাপকের বাসায় রেখে যান। শুরু হয় সেখান থেকেই।
গৃহকর্ত্রী পিয়ারা বেগম জানতে পারলেন রুপালির পড়াশোনার আগ্রহের কথা। বিদ্যালয়ের পরীক্ষায়ও প্রথম অথবা দ্বিতীয় স্থানে থাকে। দেখলেন শান্ত স্বভাবের মেয়ে রুপালি মেধাবীও। তিনি রুপালিকে কাজ করার পাশাপাশি নিজের মেয়ের সঙ্গে পড়াতে শুরু করেন। বেতনের বাইরে তিনি কিনে দেন বই, খাতা, কলম ইত্যাদি।
গৃহকর্ত্রী পিয়ারা বেগম প্রথম আলোকে বলেন, ‘ওকে (রুপালি) নিজের মেয়ের মতোই আমরা দেখি। ওর মা (লায়লা বগম) অনেকবার কাজ থেকে ছাড়িয়ে নিতে চেয়েছেন পোশাক কারখানায় দেওয়ার জন্য। আমি বাধা দিয়ে নিজের মেয়ের সঙ্গে পড়াশোনা করিয়েছি।’
গত রোববার হক কলোনি বস্তিতে রুপালিদের বাসায় গিয়ে দেখা গেছে, ছোট আরও তিন বোন রয়েছে তার। তারাও ওই বিদ্যালয়ে বিভিন্ন শ্রেণীতে পড়ে। বড় ভাই সেলুনে কাজ করে। জিপিএ-৫ পাওয়ার অনুভূতি জানতে চাইলে চোখ পানিতে ভরে যায় রুপালির। রুপালির স্বপ্ন লেখাপড়া করে বড় হয়ে সে চিকিৎসক হবে। পরিবারের দুঃখ-দুর্দশা দূর করবে। রুপালি ষষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তির জন্য পরীক্ষা দিয়েছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন পরিচালিত গুল এজার বেগম সিটি করপোরেশন বালক-বালিকা বিদ্যালয়ে। কিন্তু রুপালির মায়ের আশঙ্কা, অর্থের অভাবে কখন তার পড়ালেখা বন্ধ হয়ে যায়।
চন্দনপুরা এমদাদ আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহফুজা বেগম প্রথম আলোকে বলেন, ‘মেয়েটি পড়ালেখায় অনেক মনোযোগী। আমরা আশাবাদী ছিলাম, রুপালি সমাপনী পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাবে। সঠিকভাবে দেখভাল করলে সে অনেক ভালো অবস্থানে যেতে পারবে।’
এবারের প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় (পিএসসি) নগরের চন্দনপুরা এমদাদ আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে রুপালি। গত রোববার কথা হয় তার সঙ্গে।
চট্টগ্রাম নগরের চকবাজার পোস্ট অফিসের সামনে হক কলোনির বস্তিতে পাঁচ বোন, এক ভাই ও মা-বাবাকে নিয়ে থাকে রুপালি আকতার। ছয় ভাইবোনের মধ্যে রুপালি তৃতীয়। মা লায়লা বেগম বাসা-বাড়িতে কাজ করেন, বাবা হেলাল দিনমজুর।
বদলে যাওয়ার গল্প: হাজী মুহাম্মদ মুহসিন কলেজের দর্শন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ওসমান গণির বাসায় কাজ করত রুপালির মা লায়লা বেগম। অভাবের সংসার। ভালো বেতনের আরেকটি বাসায় কাজ পাওয়ায় তিনি চলে যান সেখান থেকে। তাঁর জায়গায় দিয়ে যান বড় মেয়ে রাশেদাকে। কিছুদিন পর রাশেদাও পোশাক কারখানায় কাজ পেয়ে চলে যায়। এবার মেজো মেয়ে রুপালিকে অধ্যাপকের বাসায় রেখে যান। শুরু হয় সেখান থেকেই।
গৃহকর্ত্রী পিয়ারা বেগম জানতে পারলেন রুপালির পড়াশোনার আগ্রহের কথা। বিদ্যালয়ের পরীক্ষায়ও প্রথম অথবা দ্বিতীয় স্থানে থাকে। দেখলেন শান্ত স্বভাবের মেয়ে রুপালি মেধাবীও। তিনি রুপালিকে কাজ করার পাশাপাশি নিজের মেয়ের সঙ্গে পড়াতে শুরু করেন। বেতনের বাইরে তিনি কিনে দেন বই, খাতা, কলম ইত্যাদি।
গৃহকর্ত্রী পিয়ারা বেগম প্রথম আলোকে বলেন, ‘ওকে (রুপালি) নিজের মেয়ের মতোই আমরা দেখি। ওর মা (লায়লা বগম) অনেকবার কাজ থেকে ছাড়িয়ে নিতে চেয়েছেন পোশাক কারখানায় দেওয়ার জন্য। আমি বাধা দিয়ে নিজের মেয়ের সঙ্গে পড়াশোনা করিয়েছি।’
গত রোববার হক কলোনি বস্তিতে রুপালিদের বাসায় গিয়ে দেখা গেছে, ছোট আরও তিন বোন রয়েছে তার। তারাও ওই বিদ্যালয়ে বিভিন্ন শ্রেণীতে পড়ে। বড় ভাই সেলুনে কাজ করে। জিপিএ-৫ পাওয়ার অনুভূতি জানতে চাইলে চোখ পানিতে ভরে যায় রুপালির। রুপালির স্বপ্ন লেখাপড়া করে বড় হয়ে সে চিকিৎসক হবে। পরিবারের দুঃখ-দুর্দশা দূর করবে। রুপালি ষষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তির জন্য পরীক্ষা দিয়েছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন পরিচালিত গুল এজার বেগম সিটি করপোরেশন বালক-বালিকা বিদ্যালয়ে। কিন্তু রুপালির মায়ের আশঙ্কা, অর্থের অভাবে কখন তার পড়ালেখা বন্ধ হয়ে যায়।
চন্দনপুরা এমদাদ আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহফুজা বেগম প্রথম আলোকে বলেন, ‘মেয়েটি পড়ালেখায় অনেক মনোযোগী। আমরা আশাবাদী ছিলাম, রুপালি সমাপনী পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাবে। সঠিকভাবে দেখভাল করলে সে অনেক ভালো অবস্থানে যেতে পারবে।’
No comments