চট্টগ্রাম বিভাগের ১০৬ উপজেলার সব বিদ্যালয়ে বই পৌঁছানো হয়েছে- শীতের সকালে অন্য রকম উৎসব by নিজাম সিদ্দিকী
বাবার হাত ধরে বই নিতে এসেছে প্রথম শ্রেণীর ছাত্র সাজ্জাদ হোসেন। বই হাতে পেয়ে অন্য রকম আনন্দ ফুটে ওঠে সাজ্জাদের চোখেমুখে। বলল, ‘খুব ভালো লাগছে।’ শিশু শ্রেণী থেকে প্রথম হয়ে প্রথম শ্রেণীতে উঠেছে সে। বাবা ছাতা সারানোর কাজ করেন।
পাঠ্যপুস্তক উৎসব উপলক্ষে গত মঙ্গলবার শীতের সকালে সুপারিওয়ালাপাড়া বাসা থেকে নগরের পাঠানটুলী খান সাহেব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বই নিতে আসে সাজ্জাদ। একটি শ্রেণীকক্ষে বসানো হয়েছে শিশু শ্রেণী থেকে পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের। শীতের আড়ষ্টতাকে জয় করে মা-বাবার হাত ধরে সবাই হাজির হয়েছে উৎসবে। সবার হাতে রয়েছে পাঠোন্নোয়ন প্রতিবেদন। নতুন বই হাতে নিয়েই হইহুল্লোড় করে বেরিয়ে পড়ে ছেলেমেয়েরা।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাফিসা বানু জানালেন, ‘বইয়ের কোনো সমস্যা নেই। সুষ্ঠুভাবে বই বিতরণ করা হয়েছে। আজ যারা আসতে পারেনি, তারা যখনই আসবে, তখনই তাদের হাতে বই তুলে দেওয়া হবে।’
অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেন প্রধান অতিথি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় উপপরিচালক শাহ সুফী মোহাম্মদ আলী রেজা। উপস্থিত ছিলেন ডবলমুরিং থানা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. তসলিম হোসেনসহ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্যরা।
একই দিন দুপুরে মিউনিসিপ্যাল মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেন জেলা প্রশাসক মো. আবদুল মান্নান। একজন শিশু শিক্ষার্থীর অভিভাবক ফাতেমা বেগম বলেন, ‘ভোর থেকেই আমার ছেলে স্কুলে আসার জন্য তাড়া দিতে থাকে। তার উৎসাহ দেখেই মনে হয়েছে, ওদের জন্য এটা একটা নতুন উৎসব।’
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও উন্নয়ন) মো. সাঈদুর রহমান, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাসরিন সুলতানা, থানা শিক্ষা কর্মকর্তা মুনিরা ইসলাম, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. ছুরত জামাল প্রমুখ। এদিকে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ উৎসব ঘিরে কলেজিয়েট সরকারি বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ ও এর আশপাশ সাজানো হয় বিভিন্ন ব্যানার, ফেস্টুন দিয়ে। এখানে মাধ্যমিক স্তরের (ষষ্ঠ থেকে নবম) বই বিতরণ করেন জেলা প্রশাসক। শিক্ষার্থীরা গানে গানে বই বিতরণ উৎসব আয়োজনে প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর অবদান তুলে ধরেন।
এ ছাড়া জেলা প্রশাসক নগরের চট্টগ্রাম সরকারি উচ্চবিদ্যালয় এবং ডা. খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়েও উৎসবমুখর আয়োজনে বই বিতরণ করেন। পাঠ্যপুস্তক উৎসব প্রসঙ্গে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) চট্টগ্রাম অঞ্চলের উপপরিচালক মোহাম্মদ আজিজ উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি নগরসহ বিভিন্ন উপজেলায় খোঁজ নিয়ে দেখেছি কোথাও কোনো সমস্যা হয়নি। সবাই বই পেয়েছে। তা ছাড়া নতুন পাঠ্যক্রমে জ্ঞানবিজ্ঞান, তথ্যপ্রযুক্তির যুগোপযোগী সন্নিবেশ শিক্ষক, অভিভাবক, শিক্ষার্থী সবাইকে অভিভূত করেছে।’
এদিকে মঙ্গলবার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় উপপরিচালক শাহ সুফী মোহাম্মদ আলী রেজা নগরের চান্দগাঁও থানার এখলাছুর রহমান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পাঁচলাইশ থানার হামজারবাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পাহাড়তলী থানার দক্ষিণ কাট্টলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং কোতোয়ালি থানার ন্যাশনাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বই বিতরণ করেন। এ ছাড়া, তিনি বন্দর থানার দরবেশিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বই বিতরণ কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।
পাঠ্যপুস্তক উৎসব সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমরা প্রস্তুত ছিলাম যাতে ১ জানুয়ারি সবার হাতে বই তুলে দেওয়া যায়। আমাদের সে প্রচেষ্টা সফল হয়েছে। আমরা গত ২৮ ডিসেম্বরের মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগের ১০৬ উপজেলার সব বিদ্যালয়ে বই পৌঁছে দিয়েছি।’
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাফিসা বানু জানালেন, ‘বইয়ের কোনো সমস্যা নেই। সুষ্ঠুভাবে বই বিতরণ করা হয়েছে। আজ যারা আসতে পারেনি, তারা যখনই আসবে, তখনই তাদের হাতে বই তুলে দেওয়া হবে।’
অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেন প্রধান অতিথি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় উপপরিচালক শাহ সুফী মোহাম্মদ আলী রেজা। উপস্থিত ছিলেন ডবলমুরিং থানা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. তসলিম হোসেনসহ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্যরা।
একই দিন দুপুরে মিউনিসিপ্যাল মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেন জেলা প্রশাসক মো. আবদুল মান্নান। একজন শিশু শিক্ষার্থীর অভিভাবক ফাতেমা বেগম বলেন, ‘ভোর থেকেই আমার ছেলে স্কুলে আসার জন্য তাড়া দিতে থাকে। তার উৎসাহ দেখেই মনে হয়েছে, ওদের জন্য এটা একটা নতুন উৎসব।’
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও উন্নয়ন) মো. সাঈদুর রহমান, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাসরিন সুলতানা, থানা শিক্ষা কর্মকর্তা মুনিরা ইসলাম, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. ছুরত জামাল প্রমুখ। এদিকে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ উৎসব ঘিরে কলেজিয়েট সরকারি বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ ও এর আশপাশ সাজানো হয় বিভিন্ন ব্যানার, ফেস্টুন দিয়ে। এখানে মাধ্যমিক স্তরের (ষষ্ঠ থেকে নবম) বই বিতরণ করেন জেলা প্রশাসক। শিক্ষার্থীরা গানে গানে বই বিতরণ উৎসব আয়োজনে প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর অবদান তুলে ধরেন।
এ ছাড়া জেলা প্রশাসক নগরের চট্টগ্রাম সরকারি উচ্চবিদ্যালয় এবং ডা. খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়েও উৎসবমুখর আয়োজনে বই বিতরণ করেন। পাঠ্যপুস্তক উৎসব প্রসঙ্গে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) চট্টগ্রাম অঞ্চলের উপপরিচালক মোহাম্মদ আজিজ উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি নগরসহ বিভিন্ন উপজেলায় খোঁজ নিয়ে দেখেছি কোথাও কোনো সমস্যা হয়নি। সবাই বই পেয়েছে। তা ছাড়া নতুন পাঠ্যক্রমে জ্ঞানবিজ্ঞান, তথ্যপ্রযুক্তির যুগোপযোগী সন্নিবেশ শিক্ষক, অভিভাবক, শিক্ষার্থী সবাইকে অভিভূত করেছে।’
এদিকে মঙ্গলবার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় উপপরিচালক শাহ সুফী মোহাম্মদ আলী রেজা নগরের চান্দগাঁও থানার এখলাছুর রহমান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পাঁচলাইশ থানার হামজারবাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পাহাড়তলী থানার দক্ষিণ কাট্টলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং কোতোয়ালি থানার ন্যাশনাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বই বিতরণ করেন। এ ছাড়া, তিনি বন্দর থানার দরবেশিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বই বিতরণ কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।
পাঠ্যপুস্তক উৎসব সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমরা প্রস্তুত ছিলাম যাতে ১ জানুয়ারি সবার হাতে বই তুলে দেওয়া যায়। আমাদের সে প্রচেষ্টা সফল হয়েছে। আমরা গত ২৮ ডিসেম্বরের মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগের ১০৬ উপজেলার সব বিদ্যালয়ে বই পৌঁছে দিয়েছি।’
No comments