ধর্ষণ অপরাধের সাজা-কাল সুপারিশ জমা দেবে সরকার
ভারতের কেন্দ্রীয় নারী ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রী কৃষ্ণা তিরাথ বলেছেন, ধর্ষণ অপরাধের সাজার ব্যাপারে সরকারি সুপারিশ এখনো চূড়ান্ত করা হয়নি। এ বিষয়ে আগামীকাল শুক্রবার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। দিল্লিতে গণধর্ষণের মামলার বিচারে গতকাল বুধবার থেকে দ্রুত বিচার আদালতের কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
তিরাথ গত মঙ্গলবার হিন্দুস্তান টাইমসকে বলেন, 'জনগণ অভিযুক্তদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার দাবি করেছে। তবে এ বিষয়ে সরকার তার সুপারিশ চূড়ান্ত করবে ৪ জানুয়ারি। এর আগে আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করব। তারপর ধর্ষণের সাজাবিষয়ক আইন সংশোধনের জন্য বিচারপতি জে এস বার্মার নেতৃত্বাধীন কমিটির কাছে আমাদের সুপারিশ জমা দেব।' তিনি আরো বলেন, অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তি দেওয়ার সুপারিশ করা হবে বিচারপতি বার্মার কমিটির কাছে। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে নারী অধিকার নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে কথা বলার জন্য বিচারপতি বার্মার কাছে একটি চিঠিও দিয়েছেন মন্ত্রী।
নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতাসংক্রান্ত সব মামলার দ্রুত বিচার করতে গতকাল থেকে দক্ষিণ দিল্লির সাকেত এলাকায় দ্রুত বিচার আদালত যাত্রা শুরু করেছে। আজ বৃহস্পতিবার থেকে এ আদালতে দিল্লির 'ধর্ষণ ও হত্যা' মামলার শুনানি শুরু হবে। সাকেত ছাড়াও একই দিন দিল্লির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় উপশহর দাওয়ারকা, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চীয় উপশহর রোহিনি এবং পুরনো দিল্লির তিস হাহারি এলাকায় আরো তিনটি আদালতের কার্যক্রম শুরু হবে।
অভিযোগপত্রে ৩০ সাক্ষী রাখার কথা বলা হয়েছে। এ মামলার প্রধান সাক্ষী করা হয়েছে ঘটনার দিন ওই তরুণীর সঙ্গে থাকা ছেলে বন্ধুটিকে। এ ছাড়া ওই তরুণীর লাশের ময়নাতদন্তকারী সিঙ্গাপুরের চিকিৎসক এবং ভারতের যে মিশন তরুণীয় মৃত্যু সনদ দিয়েছে তাদেরও সাক্ষী করা হয়েছে।
অভিযুক্তদের পক্ষে ভারতীয় আইনজীবীরা লড়তে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। সাকেত জেলা আইনজীবী পরিষদের সদস্য সঞ্জয় কুমার বলেন, 'এ মামলার বিপক্ষে আইনি লড়াই করা নীতিবিরুদ্ধ। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, অভিযুক্তদের হয়ে কোনো আইনজীবী লড়বেন না।'
এদিকে, তরুণী ধর্ষণ ও হত্যা মামলার বিষয়ে জানতে গতকাল পার্লামেন্টের স্থায়ী কমিটি দিল্লি পুলিশের কর্মকর্তাদের ডেকে পাঠিয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছেন পুলিশ কমিশনার নিরাজ কুমার ও বিশেষ পুলিশ কমিশনার (আইন-শৃঙ্খলাবিষয়ক) ধর্মেন্দ্র কুমার। তাঁদের কাছে মামলার অগ্রগতি ছাড়াও দিল্লিতে নারীদের নিরাপত্তার জন্য কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে সে সম্পর্কেও জানতে চাওয়া হবে। সূত্র : জিনিইজ, হিন্দুস্তান টাইমস।
নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতাসংক্রান্ত সব মামলার দ্রুত বিচার করতে গতকাল থেকে দক্ষিণ দিল্লির সাকেত এলাকায় দ্রুত বিচার আদালত যাত্রা শুরু করেছে। আজ বৃহস্পতিবার থেকে এ আদালতে দিল্লির 'ধর্ষণ ও হত্যা' মামলার শুনানি শুরু হবে। সাকেত ছাড়াও একই দিন দিল্লির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় উপশহর দাওয়ারকা, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চীয় উপশহর রোহিনি এবং পুরনো দিল্লির তিস হাহারি এলাকায় আরো তিনটি আদালতের কার্যক্রম শুরু হবে।
অভিযোগপত্রে ৩০ সাক্ষী রাখার কথা বলা হয়েছে। এ মামলার প্রধান সাক্ষী করা হয়েছে ঘটনার দিন ওই তরুণীর সঙ্গে থাকা ছেলে বন্ধুটিকে। এ ছাড়া ওই তরুণীর লাশের ময়নাতদন্তকারী সিঙ্গাপুরের চিকিৎসক এবং ভারতের যে মিশন তরুণীয় মৃত্যু সনদ দিয়েছে তাদেরও সাক্ষী করা হয়েছে।
অভিযুক্তদের পক্ষে ভারতীয় আইনজীবীরা লড়তে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। সাকেত জেলা আইনজীবী পরিষদের সদস্য সঞ্জয় কুমার বলেন, 'এ মামলার বিপক্ষে আইনি লড়াই করা নীতিবিরুদ্ধ। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, অভিযুক্তদের হয়ে কোনো আইনজীবী লড়বেন না।'
এদিকে, তরুণী ধর্ষণ ও হত্যা মামলার বিষয়ে জানতে গতকাল পার্লামেন্টের স্থায়ী কমিটি দিল্লি পুলিশের কর্মকর্তাদের ডেকে পাঠিয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছেন পুলিশ কমিশনার নিরাজ কুমার ও বিশেষ পুলিশ কমিশনার (আইন-শৃঙ্খলাবিষয়ক) ধর্মেন্দ্র কুমার। তাঁদের কাছে মামলার অগ্রগতি ছাড়াও দিল্লিতে নারীদের নিরাপত্তার জন্য কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে সে সম্পর্কেও জানতে চাওয়া হবে। সূত্র : জিনিইজ, হিন্দুস্তান টাইমস।
No comments