আলীমের বিরুদ্ধে মামলা ‘বাবাকে ধরে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘরে লুকিয়ে দেখেছি
বিএনপির নেতা ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী আবদুল আলীমের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের অষ্টম সাক্ষী বিউটি খানমকে গতকাল বুধবার জেরা শেষ করেছে আসামিপক্ষ। জেরায় এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তাঁর বাবাকে ধরে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা তিনি ঘরে লুকিয়ে থেকে দেখেছেন।
বিউটি খানম জবানবন্দিতে বলেছিলেন, একাত্তরে জয়পুরহাটে আবদুল আলীমের নির্দেশে তাঁর বাবা জব্বল হোসেনকে হত্যা করা হয়। বাবাকে বাঁচাতে তাঁর মা আলীমের পা ধরে কান্নাকাটি করেছিলেন। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি।
বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এ বিউটি খানমকে গতকাল জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী আহসানুল হক ও খলিলুর রহমান। শারীরিক কারণে জামিনে থাকা আলীম এ সময় ট্রাইব্যুনালে হাজির ছিলেন।
একাত্তরে আলীম কোন দল করতেন—আসামিপক্ষের আইনজীবীর এ প্রশ্নের জবাবে সাক্ষী বলেন, কনভেনশন মুসলিম লীগ। আপনার বাবাকে (জব্বল) ধরে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা কীভাবে দেখেছেন—এ প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘ঘরে লুকিয়ে থেকে দেখেছি।’
আরও যাঁরা ওই ঘটনা দেখেছিলেন, তাঁদের কেউ কি বেঁচে আছেন—এ প্রশ্নের জবাবে বিউটি বলেন, না। নাজিমুদ্দিন কি বেঁচে আছেন—এর জবাবে তিনি বলেন, নাজিমুদ্দিন বেঁচে নেই, তবে তাঁর স্ত্রী ও সন্তানেরা বেঁচে আছেন। জব্বলকে ধরে নিয়ে যাওয়ার সময় নাজিমুদ্দিনের স্ত্রী কোথায় ছিলেন—এ প্রশ্নে তিনি বলেন, ঘরে ছিলেন।
একাত্তরের কোন মাসে আপনারা নাজিমুদ্দিনের বাড়িতে আসেন—এর জবাবে বিউটি খানম বলেন, মে মাসের শেষ দিকে। আপনার বাবাকে ধরে নিয়ে যাওয়ার পর আপনাদের মহল্লার আর কে কে এসেছিলেন—এ প্রশ্নে তিনি বলেন, অনেকে এসেছিলেন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন মদন, বকর, আবুল। এই ব্যক্তিদের কেউ কি বেঁচে আছেন—এ প্রশ্নে তিনি বলেন, আবুল মারা গেছেন বলে তিনি জানেন। মদন ও বকর বেঁচে আছেন কি না, তিনি বলতে পারবেন না।
জেরায় আসামিপক্ষের দুই আইনজীবী বেশ কয়েকবার একই প্রশ্ন করলে সাক্ষী অসন্তোষ প্রকাশ করেন। এ সময় ট্রাইব্যুনাল আসামিপক্ষের আইনজীবীদের বলেন, ‘আপনারা নিজেদের মধ্যে ঠিক করে নেবেন, কে কোন প্রশ্ন করবেন।’
জেরার শেষ পর্যায়ে আইনজীবী মত (সাজেশন) দেন, সাক্ষী রাষ্ট্রপক্ষের শেখানোমতে আলীমকে জড়িয়ে মিথ্যা সাক্ষ্য দিলেন। এ সময় বিউটি খানম বলেন, এটা সত্য নয়।
জেরা শেষ হলে আসামিপক্ষের আইনজীবীদের সময়ের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ১৫ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল।
বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এ বিউটি খানমকে গতকাল জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী আহসানুল হক ও খলিলুর রহমান। শারীরিক কারণে জামিনে থাকা আলীম এ সময় ট্রাইব্যুনালে হাজির ছিলেন।
একাত্তরে আলীম কোন দল করতেন—আসামিপক্ষের আইনজীবীর এ প্রশ্নের জবাবে সাক্ষী বলেন, কনভেনশন মুসলিম লীগ। আপনার বাবাকে (জব্বল) ধরে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা কীভাবে দেখেছেন—এ প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘ঘরে লুকিয়ে থেকে দেখেছি।’
আরও যাঁরা ওই ঘটনা দেখেছিলেন, তাঁদের কেউ কি বেঁচে আছেন—এ প্রশ্নের জবাবে বিউটি বলেন, না। নাজিমুদ্দিন কি বেঁচে আছেন—এর জবাবে তিনি বলেন, নাজিমুদ্দিন বেঁচে নেই, তবে তাঁর স্ত্রী ও সন্তানেরা বেঁচে আছেন। জব্বলকে ধরে নিয়ে যাওয়ার সময় নাজিমুদ্দিনের স্ত্রী কোথায় ছিলেন—এ প্রশ্নে তিনি বলেন, ঘরে ছিলেন।
একাত্তরের কোন মাসে আপনারা নাজিমুদ্দিনের বাড়িতে আসেন—এর জবাবে বিউটি খানম বলেন, মে মাসের শেষ দিকে। আপনার বাবাকে ধরে নিয়ে যাওয়ার পর আপনাদের মহল্লার আর কে কে এসেছিলেন—এ প্রশ্নে তিনি বলেন, অনেকে এসেছিলেন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন মদন, বকর, আবুল। এই ব্যক্তিদের কেউ কি বেঁচে আছেন—এ প্রশ্নে তিনি বলেন, আবুল মারা গেছেন বলে তিনি জানেন। মদন ও বকর বেঁচে আছেন কি না, তিনি বলতে পারবেন না।
জেরায় আসামিপক্ষের দুই আইনজীবী বেশ কয়েকবার একই প্রশ্ন করলে সাক্ষী অসন্তোষ প্রকাশ করেন। এ সময় ট্রাইব্যুনাল আসামিপক্ষের আইনজীবীদের বলেন, ‘আপনারা নিজেদের মধ্যে ঠিক করে নেবেন, কে কোন প্রশ্ন করবেন।’
জেরার শেষ পর্যায়ে আইনজীবী মত (সাজেশন) দেন, সাক্ষী রাষ্ট্রপক্ষের শেখানোমতে আলীমকে জড়িয়ে মিথ্যা সাক্ষ্য দিলেন। এ সময় বিউটি খানম বলেন, এটা সত্য নয়।
জেরা শেষ হলে আসামিপক্ষের আইনজীবীদের সময়ের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ১৫ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল।
No comments