গাজীপুর-৪ আসনের উপনির্বাচন- তিনজনের প্রার্থিতা বহাল

মনোনয়নপত্রে সংযুক্ত কাগজপত্রে ত্রুটি থাকায় গাজীপুর-৪ (কাপাসিয়া) আসনের উপনির্বাচনে আটজনের মধ্যে পাঁচজনের প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে। গতকাল বুধবার সকালে গাজীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইকালে ওই ত্রুটি ধরা পড়ে।


ত্রুটিমুক্ত থাকায় আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী সিমিন হোসেন রিমি, তাঁর চাচা স্বতন্ত্র প্রার্থী আফসার উদ্দীন আহমেদখান ও বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) প্রার্থী মোহাম্মদ আসাদুল্লাহর প্রার্থিতা বহাল রয়েছে।
জেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপনির্বাচনে ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আটজন তাঁদের মনোনয়নপত্র জমা দেন। গতকাল যাচাই-বাছাইকালে পাঁচজনের মনোনয়নপত্রে ত্রুটি পাওয়া যায়। এঁদের মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী মীর এনায়েত হোসেন, মো. মোস্তাফিজুর রহমান, মো. বজলুল হক ও গণফ্রন্টের মো. সারওয়ারের মোট ভোটারের ১ শতাংশের সমর্থনের পক্ষে প্রয়োজনীয় প্রমাণপত্র ছিল না।
আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী বেগম হাফিজা জামান নিজেই নিজের প্রস্তাব ও সমর্থনকারী হওয়ায় তাঁরও মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। এ ছাড়া মোস্তাফিজুর রহমান বেসরকারি সিটি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে ঋণখেলাপি। নিজের এফিডেভিটের কাগজ নিজেই সত্যায়ন করেছেন বজলুল হক। গণফ্রন্টের সারওয়ার দলীয় প্রমাণপত্র দিতে পারেননি।
এসব কারণে প্রার্থী হিসেবে যোগ্যতার শর্ত পূরণ না করায় পাঁচজনের প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপনির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মিহির সারওয়ার মোর্শেদ। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, প্রার্থীরা চাইলে আগামী তিন দিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ নির্বাচন কমিশনে আপিল করতে পারবেন।
বাছাই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. নুরুল ইসলাম, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও গাজীপুর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামন, কাপাসিয়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আলতাফ হোসেন প্রমুখ।
২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাজীপুর-৪ আসন থেকে নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের ছেলে তানজিম আহমদ সোহেল তাজ। গত ৭ জুলাই তিনি সংসদ সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করলে আসনটি শূন্য হয়। ৩০ সেপ্টেম্বর ওই আসনের উপনির্বাচনে ভোট নেওয়া হবে। এর আগে ১৩ সেপ্টেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন। পরদিন ১৪ সেপ্টেম্বর প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে।
কাপাসিয়া উপজেলা নিয়ে গঠিত গাজীপুর-৪ আসনে মোট ভোটার দুই লাখ ১১ হাজার ৮৮৪ জন। সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ১০২ ও ভোটকক্ষের সংখ্যা ৪৭২।

No comments

Powered by Blogger.