মতলবে খবির হোসেন হত্যা-সন্দেহের তীর এমপি পরিবারের দিকে
চাঁদপুর-২ (মতলব উত্তর ও দক্ষিণ) আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মো. রফিকুল ইসলামের পরিবারের সদস্যদের ছত্রচ্ছায়ায় তাঁর ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) খবির হোসেনকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন নিহত ব্যক্তির মা-বাবা। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় অভিযুক্ত ৯ আসামির মধ্যে দুজন এমপির ভাতিজা।
গত ২৯ আগস্ট সন্ত্রাসীদের হামলায় আহত খবির হোসেন গত মঙ্গলবার ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান। খবির স্থানীয় যুবলীগেরও নেতা ছিলেন। তাঁর বাড়ি মতলব দক্ষিণ উপজেলার নওগাঁও গ্রামে।
জানা গেছে, খবিরের মৃত্যুর আগের দিন সোমবার এমপি রফিকুল ইসলামের চাচাতো ভাই, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বজলুর রহমান দেওয়ান এমপির কথা বলে খবিরের স্ত্রী ফাতেমা খাতুনের মতলব বাজার শাখা অগ্রণী ব্যাংকের সঞ্চয়ী হিসাব থেকে ২০ লাখ ৪৪ হাজার টাকা তুলে নিয়ে যান। এমপির পক্ষে খবির ওই টাকা স্ত্রীর অ্যাকাউন্টে জমা রেখেছিলেন বলে জানা যায়। ধারণা করা হচ্ছে, মতলব ফেরিঘাটের কাছে সরকারি জমিতে দোকান বরাদ্দের জন্য বিভিন্নজনের কাছ থেকে অবৈধভাবে নেওয়া এ টাকা নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরেই খবিরকে হত্যা করা হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৯ আগস্ট রাতে বাড়িতে ফেরার সময় মতলবের টিঅ্যান্ডটি এলাকায় একদল সন্ত্রাসী খবিরকে কুপিয়ে আহত করে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। রাজধানীর গ্রিন লাইফ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার সকালে তাঁর মৃত্যু হয়।
এদিকে খবির হোসেনের ওপর হামলার ঘটনায় তাঁর বড় ভাই মোশারফ হোসেন গত ৩০ আগস্ট ৯ জনকে অভিযুক্ত করে মতলব দক্ষিণ থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলার আসামিরা হচ্ছেন এমপি রফিকুল ইসলামের ভাতিজা সাগর দেওয়ান ও মেহেদী দেওয়ানসহ আবুল বাশার, জুয়েল, সাগর (২), সোহরাব, হেলাল, সোহেল সরকার ও নজরুল ইসলাম। তাঁদের মধ্যে পুলিশ নজরুল ইসলাম ও সন্দেহভাজন হিসেবে নুরুন্নবী নবী নামে দুই যুবককে আটক করেছে।
মতলব দক্ষিণ থানা পুলিশ জানায়, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বিভিন্ন স্থানে বিপুলসংখ্যক পুলিশ ও র্যাব মোতায়েন করা হয়। মতলব দক্ষিণ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এইচ এম গিয়াসউদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক বি এইচ কবির আহমেদ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন। তাঁরা বলেন, ঘটনার সঙ্গে যারাই জড়িত থাকুক না কেন, তাদের দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। নয়তো মতলবের আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি ঘটার আশঙ্কা রয়েছে।
খবিরের বড় ভাই এবং মামলার বাদী হুমায়ুন কবিরের অভিযোগ, এলাকার সংসদ সদস্য রফিকুল ইসলামের ছোট ভাই তৌফিক, ভাতিজা দুলাল দেওয়ান, বজলু দেওয়ানসহ সন্ত্রাসীরা খবিরকে হত্যা করেছে।
স্থানীয় একটি সূত্র জানিয়েছে, গত সোমবার খবিরের স্ত্রীর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে এমপির কথা বলে বজলুর রহমান দেওয়ান ২০ লাখ ৪৪ হাজার টাকা তুলে নিয়ে যান। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মতলব ফেরিঘাটের কাছে সরকারি ভূমিতে দোকান বরাদ্দের জন্য বিভিন্নজনের কাছ থেকে যে টাকা তোলা হয়েছিল, তা খবিরের স্ত্রীর অ্যাকাউন্টে জমা রাখা হয়। এ নিয়ে এমপির ঘনিষ্ঠরা ক্ষুব্ধ ছিলেন। এ কারণেই খবিরকে প্রাণ দিতে হয়েছে বলে অনেকের ধারণা।
খবিরের বাবা শামছুল হক ও মা আফিয়া খাতুনের অভিযোগ, এমপি রফিকুল ইসলামের ছত্রচ্ছায়ায় তাঁর ছোট ভাই তৌফিক, ভাতিজা দুলাল দেওয়ান ও বজলু দেওয়ানসহ সন্ত্রাসীরা খবিরকে হত্যা করেছে। তাঁরা এ ঘটনায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
মতলব দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এরফান হোসেন জানান, খবির হোসেনের ওপর হামলার বিষয় প্রথমে যে মামলা হয়েছিল, তা এখন হত্যা মামলা হিসেবে গণ্য হবে। এরই মধ্যে আটক দুজনের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য পাওয়া গেছে।
চাঁদপুরের সহকারী পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন বলেন, হত্যাকারী যে-ই হোক, তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।
এ ব্যাপারে গতকাল বুধবার বিকেল থেকে এমপি রফিকুল ইসলামের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।
দাফন সম্পন্ন : গতকাল দুপুরে ঢাকা থেকে খবির হোসেনের মরদেহ মতলব নিউ হোস্টেল মাঠে নিয়ে আসা হয়। সেখানে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে এমপি মো. রফিকুল ইসলামসহ কয়েক হাজার মানুষ খবিরের জানাজায় অংশ নেন। জানাজার পরই এমপি পুলিশ প্রহরায় মতলব ত্যাগ করেন। বিকেলে খবিরের দাফন সম্পন্ন হয়।
জানা গেছে, খবিরের মৃত্যুর আগের দিন সোমবার এমপি রফিকুল ইসলামের চাচাতো ভাই, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বজলুর রহমান দেওয়ান এমপির কথা বলে খবিরের স্ত্রী ফাতেমা খাতুনের মতলব বাজার শাখা অগ্রণী ব্যাংকের সঞ্চয়ী হিসাব থেকে ২০ লাখ ৪৪ হাজার টাকা তুলে নিয়ে যান। এমপির পক্ষে খবির ওই টাকা স্ত্রীর অ্যাকাউন্টে জমা রেখেছিলেন বলে জানা যায়। ধারণা করা হচ্ছে, মতলব ফেরিঘাটের কাছে সরকারি জমিতে দোকান বরাদ্দের জন্য বিভিন্নজনের কাছ থেকে অবৈধভাবে নেওয়া এ টাকা নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরেই খবিরকে হত্যা করা হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৯ আগস্ট রাতে বাড়িতে ফেরার সময় মতলবের টিঅ্যান্ডটি এলাকায় একদল সন্ত্রাসী খবিরকে কুপিয়ে আহত করে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। রাজধানীর গ্রিন লাইফ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার সকালে তাঁর মৃত্যু হয়।
এদিকে খবির হোসেনের ওপর হামলার ঘটনায় তাঁর বড় ভাই মোশারফ হোসেন গত ৩০ আগস্ট ৯ জনকে অভিযুক্ত করে মতলব দক্ষিণ থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলার আসামিরা হচ্ছেন এমপি রফিকুল ইসলামের ভাতিজা সাগর দেওয়ান ও মেহেদী দেওয়ানসহ আবুল বাশার, জুয়েল, সাগর (২), সোহরাব, হেলাল, সোহেল সরকার ও নজরুল ইসলাম। তাঁদের মধ্যে পুলিশ নজরুল ইসলাম ও সন্দেহভাজন হিসেবে নুরুন্নবী নবী নামে দুই যুবককে আটক করেছে।
মতলব দক্ষিণ থানা পুলিশ জানায়, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বিভিন্ন স্থানে বিপুলসংখ্যক পুলিশ ও র্যাব মোতায়েন করা হয়। মতলব দক্ষিণ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এইচ এম গিয়াসউদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক বি এইচ কবির আহমেদ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন। তাঁরা বলেন, ঘটনার সঙ্গে যারাই জড়িত থাকুক না কেন, তাদের দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। নয়তো মতলবের আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি ঘটার আশঙ্কা রয়েছে।
খবিরের বড় ভাই এবং মামলার বাদী হুমায়ুন কবিরের অভিযোগ, এলাকার সংসদ সদস্য রফিকুল ইসলামের ছোট ভাই তৌফিক, ভাতিজা দুলাল দেওয়ান, বজলু দেওয়ানসহ সন্ত্রাসীরা খবিরকে হত্যা করেছে।
স্থানীয় একটি সূত্র জানিয়েছে, গত সোমবার খবিরের স্ত্রীর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে এমপির কথা বলে বজলুর রহমান দেওয়ান ২০ লাখ ৪৪ হাজার টাকা তুলে নিয়ে যান। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মতলব ফেরিঘাটের কাছে সরকারি ভূমিতে দোকান বরাদ্দের জন্য বিভিন্নজনের কাছ থেকে যে টাকা তোলা হয়েছিল, তা খবিরের স্ত্রীর অ্যাকাউন্টে জমা রাখা হয়। এ নিয়ে এমপির ঘনিষ্ঠরা ক্ষুব্ধ ছিলেন। এ কারণেই খবিরকে প্রাণ দিতে হয়েছে বলে অনেকের ধারণা।
খবিরের বাবা শামছুল হক ও মা আফিয়া খাতুনের অভিযোগ, এমপি রফিকুল ইসলামের ছত্রচ্ছায়ায় তাঁর ছোট ভাই তৌফিক, ভাতিজা দুলাল দেওয়ান ও বজলু দেওয়ানসহ সন্ত্রাসীরা খবিরকে হত্যা করেছে। তাঁরা এ ঘটনায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
মতলব দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এরফান হোসেন জানান, খবির হোসেনের ওপর হামলার বিষয় প্রথমে যে মামলা হয়েছিল, তা এখন হত্যা মামলা হিসেবে গণ্য হবে। এরই মধ্যে আটক দুজনের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য পাওয়া গেছে।
চাঁদপুরের সহকারী পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন বলেন, হত্যাকারী যে-ই হোক, তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।
এ ব্যাপারে গতকাল বুধবার বিকেল থেকে এমপি রফিকুল ইসলামের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।
দাফন সম্পন্ন : গতকাল দুপুরে ঢাকা থেকে খবির হোসেনের মরদেহ মতলব নিউ হোস্টেল মাঠে নিয়ে আসা হয়। সেখানে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে এমপি মো. রফিকুল ইসলামসহ কয়েক হাজার মানুষ খবিরের জানাজায় অংশ নেন। জানাজার পরই এমপি পুলিশ প্রহরায় মতলব ত্যাগ করেন। বিকেলে খবিরের দাফন সম্পন্ন হয়।
No comments