মতলবে খবির হত্যাকাণ্ড-স্বার্থের দ্বন্দ্ব থেকেই হত্যার পরিকল্পনা
চাঁদপুরের মতলবে সংসদ সদস্যের পিএস (ব্যক্তিগত সহকারী) ও যুবলীগ নেতা খবির হোসেন হত্যার ঘটনায় প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, মূলত সরকারি জমিতে দোকান বরাদ্দ না পেয়ে খবিরকে হত্যার পরিকল্পনা করে তিন যুবক। তারা বেশ কয়েক দিন ধরে খবিরের পেছনে লেগে ছিল।
গত ২৯ আগস্ট দুপুরে খবির এই তিনজনকে দোকান দেওয়া হবে বলে আশ্বস্ত করলেও ওই রাতেই খবিরের ওপর হামলা হয়, যার জের ধরে রাজধানীর একটি হাসপাতালে গত মঙ্গলবার তাঁর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তারকৃত এজাহারভুক্ত আসামি নজরুল ইসলাম পুলিশের কাছে এ রকম তথ্য দিয়েছে। খবির হত্যার মিশনে সেও অন্যদের সঙ্গে ছিল বলে স্বীকার করেছে। পুলিশ এরই মধ্যে নজরুলকে আদালতে হাজির করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি নিয়েছে। তবে এই মূহূর্তে সব তথ্য প্রকাশ সম্ভব নয় বলে গতকাল বৃহস্পতিবার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও মতলব দক্ষিণ থানার ওসি (তদন্ত) মিজানুর রহমান পাটোয়ারী জানিয়েছেন।
গতকাল সারা দিন মতলবের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ও অনেকের সঙ্গে কথা বলে খবির হত্যা সম্পর্কে বেশ কিছু নতুন তথ্য পাওয়া গেছে। তবে নিরাপত্তার ভয়ে তাদের কেউই পরিচয় প্রকাশ করতে চাননি।
জানা গেছে, মতলব বাজার ফেরিঘাট এলাকায় সরকারি জমিতে দোকান বরাদ্দ থেকে বঞ্চিত হওয়ায় ক্ষুব্ধ তিন যুবক অন্যদের সহায়তায় মতলব-পেন্নাই সড়কের টিঅ্যান্ডটি এলাকায় গত ২৯ আগস্ট রাত পৌনে ১২টায় মোটরসাইকেল থেকে ফেলে দিয়ে খবিরকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। কিন্তু আশপাশের লোকজন টের পেয়ে যাওয়ায় তারা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। গুরুতর আহত হওয়ার ছয় দিন পর মঙ্গলবার খবির হাসপাতালে মারা যান। খবির হোসেন মতলবে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকলেও পরিবার নিয়ে ঢাকায় থাকতেন। একসময় তিনি মতলব ডিগ্রি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি, উপজেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক এবং সর্বশেষ যুবলীগের সমাজসেবাবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে তিনি পরাজিত হন।
আরো জানা যায়, চাঁদপুর-২ (মতলব উত্তর ও দক্ষিণ) আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য, সাবেক বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) রফিকুল ইসলাম দলের ত্যাগী কর্মী এবং সততার জন্য খবিরকে পিএস পদে নিয়োগ দেন। এর আগে পারভেজ দেওয়ান নামে সংসদ সদস্যের এক নিকটাত্মীয় এই পদে ছিলেন। কিন্তু দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে দূরত্ব বেড়ে যাওয়ায় পারভেজকে ওই পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে খবিরকে নিয়োগ দেওয়া হয়। শুরু থেকে খবিরের সঙ্গে এমপির আত্মীয়স্বজনের সম্পর্ক ছিল বিরোধপূর্ণ। খবির দায়িত্ব পাওয়ার পর এমপির পক্ষে এলাকায় সবকিছু দেখাশোনা করতেন। দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যেও তিনি সমন্বয় করতেন। এতে তাঁর প্রভাব-প্রতিপত্তি বেড়ে যায়। অনেকেই বিষয়টি সহজভাবে মেনে নিতে পারেননি। তা ছাড়া সমপ্রতি মতলব বাজার ফেরিঘাট এলাকায় সরকারি জমিতে দোকান বরাদ্দের নামে অনেকের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়। সেখানে এমপির আত্মীয় হিসেবে পরিচিত তিনজন দোকান বরাদ্দ চায়। কিন্তু তারা টাকা দিতে অস্বীকার করে। এ নিয়ে খবিরে সঙ্গে তাদের বিরোধ বাধে। এর জের ধরে ২৯ আগস্ট সকালে তারা দলবেঁধে খবিরকে খুঁজতে থাকে। কিন্তু খবির চাঁদপুরে থাকায় ওই যাত্রায় রক্ষা পান। পরে দুপুরে এলাকায় ফিরে এলে ওই তিন যুবকের সঙ্গে ম্যাঙ্ িস্ট্যান্ডে তাঁর সমঝোতা হয়। তারপরও ওই রাতে খবিরের ওপর হামলা চালানো হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান পাটোয়ারী জানান, খবিরের ওপর হামলার পরের দিন তাঁর বড় ভাই মোশাররফ হোসেন বাদী হয়ে ৯ জন এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরো কয়েকজনকে অভিযুক্ত করে মতলব থানায় একটি মামলা করেন। পরে পুলিশ এজাহারভুক্ত ৪ নম্বর আসামি নজরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে। আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি দিয়ে নজরুল বলেছে, তারা ৯ জন মিলে খবিরের ওপর হামলা করে। এর সঙ্গে দিনেরবেলায় যারা খবিরের সঙ্গে কথা বলেছিল তারাও ছিল। মিজানুর রহমান পাটোয়ারী জানান, মামলার তদন্তের স্বার্থে এই মুহূর্তে খবির হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে থাকা গডফাদারদের পরিচয় দেওয়া যাচ্ছে না। তিনি আরো বলেন, অন্য আসামিদের গ্রেপ্তার করা গেলে, প্রকৃত তথ্য উদ্ঘাটন করা সম্ভব হবে।
মতলব থানার ওসি মো. এরফান জানিয়েছেন, খবির হোসেন হত্যা মামলার অনেক অগ্রগতি হয়েছে। পলাতক অন্য আসামিদের অল্প সময়ের মধ্যে আটক করা সম্ভব হবে। এরই মধ্যে মোবাইল ফোন ট্র্যাকিং করে তাদের গতিবিধির ওপর নজরদারি শুরু হয়েছে।
দোকান বরাদ্দ সম্পর্কে মতলব দক্ষিণ উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মো. জহির সরকার জানান, তিনি নিজেও দোকান বরাদ্দ পেতে এক লাখ ২৫ হাজার টাকা খবিরের হাতে তুলে দেন। তিনি এরকম আরো ১২ জনের নাম জানেন, যাঁরা একই পরিমাণ টাকা খবিরকে দিয়েছেন। তাঁরা হচ্ছেন দেওয়ান রেজাউল, আজিজ বাবুল, ফারুক আহম্মদ বাদল, চন্দন সাহা, সেলিম সরকার, কালাম মিয়াজী, শাহ গিয়াস, আনিস চৌধুরী, মোহন চৌধুরী, সোহাগ সরকার ও সাইফুল ইসলাম টিপু। এ ছাড়া টাকা না দিলেও আরো অনেকের নাম তালিকাভুক্ত করা হয়। তাঁদের মধ্যে বশির ও এমরান চৌধুরীর নাম রয়েছে।
সরকারি জমিতে দোকান বরাদ্দ সম্পর্কে মতলব দক্ষিণ উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. বজলুর রহমান বলেন, দোকান বরাদ্দ নিতে কোনো পক্ষই আবেদন করেনি। তিনি জানান, মতলব বাজারের ফেরিঘাট এলাকায় বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি এরই মধ্যে বেহাত হয়ে গেছে। এখন মাত্র ১৯ শতক জায়গা আছে। বাজারের মধ্যে হওয়ায় এসব জমি একসনা বন্দোবস্ত দেওয়া হয়ে থাকে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেকে বলেছেন, খবির হোসেন পিএস পদে নিয়োগ পাওয়ার পর এমপির পরিবারের অনেকের কর্তৃত্ব খর্ব হয়ে যায়। বিভিন্ন সময় এমপির নামে আসা টিআর, কাবিখা, কাবিটা, হাটবাজার, জলমহাল বরাদ্দ নিয়ে তাঁর ভাই তৌফিক, দুলাল ও বজলুর সঙ্গে খবিরের দূরত্ব বাড়তে থাকে। অনেকেই ধারণা করছেন, নতুন করে দোকান বরাদ্দ দেওয়া নিয়ে বিরোধের সুযোগে খবিরকে হত্যা করা হয়েছে।
এদিকে খবিরের গ্রামের বাড়িতে এখনো স্বজনদের মধ্যে শোকের মাতম চলছে। তাঁর মেজ ভাই হুমায়ুন কবির জানান, বাড়িতে পুলিশ মোতায়েন করা হলেও আসামিদের গ্রেপ্তার না করায় তাঁরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তিনি বলেন, এমপির ছোট ভাই তৌফিক ও ভাতিজা দুলালকে গ্রেপ্তার করা হলে প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে।
গতকাল সারা দিন মতলবের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ও অনেকের সঙ্গে কথা বলে খবির হত্যা সম্পর্কে বেশ কিছু নতুন তথ্য পাওয়া গেছে। তবে নিরাপত্তার ভয়ে তাদের কেউই পরিচয় প্রকাশ করতে চাননি।
জানা গেছে, মতলব বাজার ফেরিঘাট এলাকায় সরকারি জমিতে দোকান বরাদ্দ থেকে বঞ্চিত হওয়ায় ক্ষুব্ধ তিন যুবক অন্যদের সহায়তায় মতলব-পেন্নাই সড়কের টিঅ্যান্ডটি এলাকায় গত ২৯ আগস্ট রাত পৌনে ১২টায় মোটরসাইকেল থেকে ফেলে দিয়ে খবিরকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। কিন্তু আশপাশের লোকজন টের পেয়ে যাওয়ায় তারা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। গুরুতর আহত হওয়ার ছয় দিন পর মঙ্গলবার খবির হাসপাতালে মারা যান। খবির হোসেন মতলবে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকলেও পরিবার নিয়ে ঢাকায় থাকতেন। একসময় তিনি মতলব ডিগ্রি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি, উপজেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক এবং সর্বশেষ যুবলীগের সমাজসেবাবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে তিনি পরাজিত হন।
আরো জানা যায়, চাঁদপুর-২ (মতলব উত্তর ও দক্ষিণ) আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য, সাবেক বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) রফিকুল ইসলাম দলের ত্যাগী কর্মী এবং সততার জন্য খবিরকে পিএস পদে নিয়োগ দেন। এর আগে পারভেজ দেওয়ান নামে সংসদ সদস্যের এক নিকটাত্মীয় এই পদে ছিলেন। কিন্তু দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে দূরত্ব বেড়ে যাওয়ায় পারভেজকে ওই পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে খবিরকে নিয়োগ দেওয়া হয়। শুরু থেকে খবিরের সঙ্গে এমপির আত্মীয়স্বজনের সম্পর্ক ছিল বিরোধপূর্ণ। খবির দায়িত্ব পাওয়ার পর এমপির পক্ষে এলাকায় সবকিছু দেখাশোনা করতেন। দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যেও তিনি সমন্বয় করতেন। এতে তাঁর প্রভাব-প্রতিপত্তি বেড়ে যায়। অনেকেই বিষয়টি সহজভাবে মেনে নিতে পারেননি। তা ছাড়া সমপ্রতি মতলব বাজার ফেরিঘাট এলাকায় সরকারি জমিতে দোকান বরাদ্দের নামে অনেকের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়। সেখানে এমপির আত্মীয় হিসেবে পরিচিত তিনজন দোকান বরাদ্দ চায়। কিন্তু তারা টাকা দিতে অস্বীকার করে। এ নিয়ে খবিরে সঙ্গে তাদের বিরোধ বাধে। এর জের ধরে ২৯ আগস্ট সকালে তারা দলবেঁধে খবিরকে খুঁজতে থাকে। কিন্তু খবির চাঁদপুরে থাকায় ওই যাত্রায় রক্ষা পান। পরে দুপুরে এলাকায় ফিরে এলে ওই তিন যুবকের সঙ্গে ম্যাঙ্ িস্ট্যান্ডে তাঁর সমঝোতা হয়। তারপরও ওই রাতে খবিরের ওপর হামলা চালানো হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান পাটোয়ারী জানান, খবিরের ওপর হামলার পরের দিন তাঁর বড় ভাই মোশাররফ হোসেন বাদী হয়ে ৯ জন এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরো কয়েকজনকে অভিযুক্ত করে মতলব থানায় একটি মামলা করেন। পরে পুলিশ এজাহারভুক্ত ৪ নম্বর আসামি নজরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে। আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি দিয়ে নজরুল বলেছে, তারা ৯ জন মিলে খবিরের ওপর হামলা করে। এর সঙ্গে দিনেরবেলায় যারা খবিরের সঙ্গে কথা বলেছিল তারাও ছিল। মিজানুর রহমান পাটোয়ারী জানান, মামলার তদন্তের স্বার্থে এই মুহূর্তে খবির হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে থাকা গডফাদারদের পরিচয় দেওয়া যাচ্ছে না। তিনি আরো বলেন, অন্য আসামিদের গ্রেপ্তার করা গেলে, প্রকৃত তথ্য উদ্ঘাটন করা সম্ভব হবে।
মতলব থানার ওসি মো. এরফান জানিয়েছেন, খবির হোসেন হত্যা মামলার অনেক অগ্রগতি হয়েছে। পলাতক অন্য আসামিদের অল্প সময়ের মধ্যে আটক করা সম্ভব হবে। এরই মধ্যে মোবাইল ফোন ট্র্যাকিং করে তাদের গতিবিধির ওপর নজরদারি শুরু হয়েছে।
দোকান বরাদ্দ সম্পর্কে মতলব দক্ষিণ উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মো. জহির সরকার জানান, তিনি নিজেও দোকান বরাদ্দ পেতে এক লাখ ২৫ হাজার টাকা খবিরের হাতে তুলে দেন। তিনি এরকম আরো ১২ জনের নাম জানেন, যাঁরা একই পরিমাণ টাকা খবিরকে দিয়েছেন। তাঁরা হচ্ছেন দেওয়ান রেজাউল, আজিজ বাবুল, ফারুক আহম্মদ বাদল, চন্দন সাহা, সেলিম সরকার, কালাম মিয়াজী, শাহ গিয়াস, আনিস চৌধুরী, মোহন চৌধুরী, সোহাগ সরকার ও সাইফুল ইসলাম টিপু। এ ছাড়া টাকা না দিলেও আরো অনেকের নাম তালিকাভুক্ত করা হয়। তাঁদের মধ্যে বশির ও এমরান চৌধুরীর নাম রয়েছে।
সরকারি জমিতে দোকান বরাদ্দ সম্পর্কে মতলব দক্ষিণ উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. বজলুর রহমান বলেন, দোকান বরাদ্দ নিতে কোনো পক্ষই আবেদন করেনি। তিনি জানান, মতলব বাজারের ফেরিঘাট এলাকায় বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি এরই মধ্যে বেহাত হয়ে গেছে। এখন মাত্র ১৯ শতক জায়গা আছে। বাজারের মধ্যে হওয়ায় এসব জমি একসনা বন্দোবস্ত দেওয়া হয়ে থাকে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেকে বলেছেন, খবির হোসেন পিএস পদে নিয়োগ পাওয়ার পর এমপির পরিবারের অনেকের কর্তৃত্ব খর্ব হয়ে যায়। বিভিন্ন সময় এমপির নামে আসা টিআর, কাবিখা, কাবিটা, হাটবাজার, জলমহাল বরাদ্দ নিয়ে তাঁর ভাই তৌফিক, দুলাল ও বজলুর সঙ্গে খবিরের দূরত্ব বাড়তে থাকে। অনেকেই ধারণা করছেন, নতুন করে দোকান বরাদ্দ দেওয়া নিয়ে বিরোধের সুযোগে খবিরকে হত্যা করা হয়েছে।
এদিকে খবিরের গ্রামের বাড়িতে এখনো স্বজনদের মধ্যে শোকের মাতম চলছে। তাঁর মেজ ভাই হুমায়ুন কবির জানান, বাড়িতে পুলিশ মোতায়েন করা হলেও আসামিদের গ্রেপ্তার না করায় তাঁরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তিনি বলেন, এমপির ছোট ভাই তৌফিক ও ভাতিজা দুলালকে গ্রেপ্তার করা হলে প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে।
No comments