যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়- বাস ও মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে দুই শিক্ষার্থী নিহত, অবরোধ-ভাঙচুর
বাস ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রছাত্রী নিহত হয়েছেন। তাঁরা ওই মোটরসাইকেলযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে গতকাল বুধবার সকালে যশোর সদর উপজেলার সানতলা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
এর প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা যশোর-ঝিনাইদহ সড়ক অবরোধ করে কমপক্ষে ১৫টি বাস ও ট্রাকের কাচ ভাঙচুর ও বিক্ষোভ করেন।
নিহত শিক্ষার্থীরা হলেন, পরিবেশবিজ্ঞান ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র মোহাম্মদ আলী ও দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী আশরাফুন সিদ্দিকা। আলী ঝিনাইদহের মহেশপুরের হুদাপাড়া গ্রামের অহেদ আলীর ছেলে। আশরাফুন খুলনার দৌলতপুরের মহেশ্বরপাশা নয়াপাড়া গ্রামের ঠিকাদার মোশারফ হোসেন ও মহেশ্বরপাশা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা আয়েশা সিদ্দিকার মেয়ে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্যমতে, সকাল সাড়ে নয়টার দিকে আলী ও আশরাফুন মোটরসাইকেলে করে যশোর শহর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে যাচ্ছিলেন। সদর উপজেলার সানতলা এলাকায় পৌঁছালে কুষ্টিয়া থেকে ছেড়ে আসা গড়াই পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন আশরাফুন। হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যু হয় আলীর।
পেট্রোলিয়াম ও মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র হাফিজুর রহমান বলেন, ‘সকাল সাড়ে নয়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস যশোর শহর থেকে ক্যাম্পাসের দিকে যাচ্ছিল। শহরের ধর্মতলা থেকে ওই বাসে ওঠেন আশরাফুন। কিন্তু তাড়াতাড়ি ক্যাম্পাসে পৌঁছানোর জন্য তিনি আরবপুর মোড়ে নেমে আলীর মোটরসাইকেলের পেছনে ওঠেন। পথে সানতলা এলাকায় লোকজনের জটলা দেখে বাস থেকে নেমে দেখি আলী ও আশরাফুন সড়কের পাশে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন।’
দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর খবরে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সকাল ১০টার দিকে তাঁরা শহরের পালবাড়ি মোড়ে অবস্থান নিয়ে যশোর-কুষ্টিয়া সড়ক অবরোধ করেন। এ সময় পালবাড়ি মোড়ে গড়াই পরিবহনের টিকিট কাউন্টারের আসবাবপত্র ভাঙচুর করে তাতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। লাঠিসোঁটাসহ শিক্ষার্থীদের একটি মিছিল দড়াটানা মোড়ে যাওয়ার সময় কমপক্ষে ১৫টি বাস ও ট্রাকের কাচ ভাঙচুর করা হয়।
যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুভাষ চন্দ্র সাহা বলেন, শিক্ষার্থীদের শান্ত করার চেষ্টা করলে তাঁরা আরও উত্তেজিত হয়ে পড়েন। পরে কাঁদানে গ্যাসের দুটি শেল ছুড়ে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
সব স্বপ্ন ভেঙে গেল: একমাত্র মেয়ে আশরাফুনকে হারিয়ে মুষড়ে পড়েছেন তাঁর প্রধান শিক্ষিকা মা আয়েশা সিদ্দিকা। যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে বসে বিলাপ করে বলছিলেন, ‘ওরে, আমার জান চলে গেল। আমাকে কেউ ওর মুখ দেখতে দিল না। আমার সব স্বপ্ন ভেঙে গেল।’
নিহত শিক্ষার্থীরা হলেন, পরিবেশবিজ্ঞান ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র মোহাম্মদ আলী ও দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী আশরাফুন সিদ্দিকা। আলী ঝিনাইদহের মহেশপুরের হুদাপাড়া গ্রামের অহেদ আলীর ছেলে। আশরাফুন খুলনার দৌলতপুরের মহেশ্বরপাশা নয়াপাড়া গ্রামের ঠিকাদার মোশারফ হোসেন ও মহেশ্বরপাশা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা আয়েশা সিদ্দিকার মেয়ে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্যমতে, সকাল সাড়ে নয়টার দিকে আলী ও আশরাফুন মোটরসাইকেলে করে যশোর শহর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে যাচ্ছিলেন। সদর উপজেলার সানতলা এলাকায় পৌঁছালে কুষ্টিয়া থেকে ছেড়ে আসা গড়াই পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন আশরাফুন। হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যু হয় আলীর।
পেট্রোলিয়াম ও মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র হাফিজুর রহমান বলেন, ‘সকাল সাড়ে নয়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস যশোর শহর থেকে ক্যাম্পাসের দিকে যাচ্ছিল। শহরের ধর্মতলা থেকে ওই বাসে ওঠেন আশরাফুন। কিন্তু তাড়াতাড়ি ক্যাম্পাসে পৌঁছানোর জন্য তিনি আরবপুর মোড়ে নেমে আলীর মোটরসাইকেলের পেছনে ওঠেন। পথে সানতলা এলাকায় লোকজনের জটলা দেখে বাস থেকে নেমে দেখি আলী ও আশরাফুন সড়কের পাশে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন।’
দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর খবরে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সকাল ১০টার দিকে তাঁরা শহরের পালবাড়ি মোড়ে অবস্থান নিয়ে যশোর-কুষ্টিয়া সড়ক অবরোধ করেন। এ সময় পালবাড়ি মোড়ে গড়াই পরিবহনের টিকিট কাউন্টারের আসবাবপত্র ভাঙচুর করে তাতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। লাঠিসোঁটাসহ শিক্ষার্থীদের একটি মিছিল দড়াটানা মোড়ে যাওয়ার সময় কমপক্ষে ১৫টি বাস ও ট্রাকের কাচ ভাঙচুর করা হয়।
যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুভাষ চন্দ্র সাহা বলেন, শিক্ষার্থীদের শান্ত করার চেষ্টা করলে তাঁরা আরও উত্তেজিত হয়ে পড়েন। পরে কাঁদানে গ্যাসের দুটি শেল ছুড়ে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
সব স্বপ্ন ভেঙে গেল: একমাত্র মেয়ে আশরাফুনকে হারিয়ে মুষড়ে পড়েছেন তাঁর প্রধান শিক্ষিকা মা আয়েশা সিদ্দিকা। যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে বসে বিলাপ করে বলছিলেন, ‘ওরে, আমার জান চলে গেল। আমাকে কেউ ওর মুখ দেখতে দিল না। আমার সব স্বপ্ন ভেঙে গেল।’
No comments