অপহূত পাঁচ যুবকের গ্রেপ্তার হয়ে ফিরে আসা- ‘পুরো বিষয়টি রহস্যজনক’
সাভারে অপহূত হওয়ার ২১ দিন পর সেই পাঁচ যুবককে গত সোমবার টেলিভিশনের সংবাদে দেখতে পেল তাঁদের পরিবার। র্যাবের সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে হাজির করে তাঁদের বিরুদ্ধে তিন চিকিৎসককে হত্যার চক্রান্তে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়।
র্যাবের অভিযোগ কিছুতেই মানতে পারছে না তাঁদের পরিবারগুলো। তার পরও তাঁদের স্বস্তি ছেলেদের জীবিত দেখতে পেয়ে।
ভুক্তভোগী যুবকদের একজন তওফিকুল ইসলামের বাবা তাজুল ইসলাম প্রথম আলোকে এ কথা বলেন।
নিখোঁজ যুবকদের স্বজনেরা জানান, গত ১৩ আগস্ট সাভারের হেমায়েতপুরের সুগন্ধা হাউজিং প্রোপার্টি এলাকার সোহাগের চা-দোকানের সামনে থেকে অপহূত হন মিঠু ওরফে প্রশান্ত (২২), মহরম আলী ওরফে মোহর (৩৫), জয়নাল আবেদীন (২৪), মোস্তফা (২৬) ও তওফিকুল ইসলাম (২৩)। তখনই ওই সব পরিবার অভিযোগ করেছিল, র্যাব পরিচয় দিয়ে কিছু ব্যক্তি সবার সামনে থেকে হাতকড়া পরিয়ে এই পাঁচ যুবককে ধরে নিয়ে গেছেন।
এ ঘটনায় ১৭ আগস্ট সাভার থানায় একটি অপহরণ মামলা করেন তওফিকুলের বাবা তাজুল ইসলাম। মামলায় বলা হয়, ১৩ আগস্ট সন্ধ্যায় তাঁর ছেলে তওফিকুল ইসলামসহ পাঁচজন সুগন্ধা হাউজিংয়ের ভেতরে সততা এন্টারপ্রাইজে (ইটের ভাটার গদি, যার ব্যবস্থাপক তওফিকুল) ইফতার করেন। এরপর পাশের সোহাগের চায়ের দোকানে বসে তাঁরা চা-পান করছিলেন। এ সময় একটি কালো রঙের মাইক্রোবাসে করে অজ্ঞাতনামা ছয়-সাতজন ব্যক্তি এসে ওই পাঁচজনকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যান।
চা-দোকানদার সোহাগ প্রথম আলোকে বলেন, ওই দিন সন্ধ্যায় তাঁর সামনে র্যাব পরিচয় দিয়ে কয়েকজন ব্যক্তি ওই পাঁচজনকে হাতকড়া পরিয়ে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যান।
এরপর এসব যুবকের আর খোঁজ মেলেনি। ওই সব পরিবার র্যাবের কার্যালয়ে গিয়ে ধরনা দেয়। র্যাব তখন তাঁদের আটকের কথা অস্বীকার করে বলে জানান তাজুল ইসলাম।
এরপর ৩ সেপ্টেম্বর দুপুরে র্যাবের সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে ওই পাঁচ যুবকসহ ছয়জনকে হাজির করা হয়। অন্য ব্যক্তি হলেন দন্ত চিকিৎসক কামরুল হাসান। ওই রাতেই র্যাব মিরপুর থানায় ছয়জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করে। মামলায় বলা হয়, ওই পাঁচ যুবক দন্ত চিকিৎসক কামরুলের হয়ে তিন চিকিৎসককে হত্যা করবেন বলে চুক্তিবদ্ধ হন। তাঁদের মধ্যে মিঠু মিরপুর এলাকার কুখ্যাত সন্ত্রাসী। তাঁদের গতিবিধির বিষয়টি র্যাব তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে জানতে পারে। এরপর ২ সেপ্টেম্বর রাত ১২টার দিকে মিরপুরের ৬ নম্বর সেকশনের ৩ নম্বর সড়ক থেকে এ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
তাঁদের মধ্যে মিঠু ও জয়নালের তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। বাকিদের কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।
গ্রেপ্তার হওয়া মহরম আলীর ভাই নুরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, মহরম ঢাকা-মানিকগঞ্জ রুটে বাস চালাতেন। মহরম নিজেই ওই বাসের মালিক। আর মোস্তফা একটি বৈদ্যুতিক সরঞ্জামাদি বিক্রয়কেন্দ্রে চাকরি করেন। তাঁদের সঙ্গে মিঠু ও জয়নালের কীভাবে পরিচয় হলো, তা জানেন না বলে দাবি করেন নুরুল ইসলাম।
সাভার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান বলেন, ‘আমি নিশ্চিত ছিলাম, তাঁদের অপহরণ করা হয়নি। অপহূত হলে মুক্তিপণ দাবি বা মেরে ফেলা হতো।’ তাহলে নিখোঁজ হওয়ার দিন থেকেই তাঁরা কি র্যাবের হেফাজতে ছিলেন—এ প্রশ্নের জবাবে ওসি বলেন, ‘পুরো বিষয়টি রহস্যজনক।’
জানতে চাইলে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক এম সোহায়েল বলেন, ‘সাভারের ওসির সঙ্গে আমি একমত। তাঁরা অপহূত হননি। তাঁরা আসলে স্বেচ্ছায় গা ঢাকা দিয়েছিলেন।’ তাঁর দাবি, ১১ ও ১২ আগস্ট পর পর দুই দিন এই পাঁচজন চিকিৎসক মোফাখখারুলকে হত্যার চেষ্টা চালান। তখন র্যাবের তৎপরতায় বেঁচে যান মোফাখখারুল। এরপর সতর্ক হয়ে যান হামলাকারীরা। তাঁরা নিজেরা গা ঢাকা দিয়ে অপহরণের নাটক সাজিয়েছেন।
ভুক্তভোগী যুবকদের একজন তওফিকুল ইসলামের বাবা তাজুল ইসলাম প্রথম আলোকে এ কথা বলেন।
নিখোঁজ যুবকদের স্বজনেরা জানান, গত ১৩ আগস্ট সাভারের হেমায়েতপুরের সুগন্ধা হাউজিং প্রোপার্টি এলাকার সোহাগের চা-দোকানের সামনে থেকে অপহূত হন মিঠু ওরফে প্রশান্ত (২২), মহরম আলী ওরফে মোহর (৩৫), জয়নাল আবেদীন (২৪), মোস্তফা (২৬) ও তওফিকুল ইসলাম (২৩)। তখনই ওই সব পরিবার অভিযোগ করেছিল, র্যাব পরিচয় দিয়ে কিছু ব্যক্তি সবার সামনে থেকে হাতকড়া পরিয়ে এই পাঁচ যুবককে ধরে নিয়ে গেছেন।
এ ঘটনায় ১৭ আগস্ট সাভার থানায় একটি অপহরণ মামলা করেন তওফিকুলের বাবা তাজুল ইসলাম। মামলায় বলা হয়, ১৩ আগস্ট সন্ধ্যায় তাঁর ছেলে তওফিকুল ইসলামসহ পাঁচজন সুগন্ধা হাউজিংয়ের ভেতরে সততা এন্টারপ্রাইজে (ইটের ভাটার গদি, যার ব্যবস্থাপক তওফিকুল) ইফতার করেন। এরপর পাশের সোহাগের চায়ের দোকানে বসে তাঁরা চা-পান করছিলেন। এ সময় একটি কালো রঙের মাইক্রোবাসে করে অজ্ঞাতনামা ছয়-সাতজন ব্যক্তি এসে ওই পাঁচজনকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যান।
চা-দোকানদার সোহাগ প্রথম আলোকে বলেন, ওই দিন সন্ধ্যায় তাঁর সামনে র্যাব পরিচয় দিয়ে কয়েকজন ব্যক্তি ওই পাঁচজনকে হাতকড়া পরিয়ে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যান।
এরপর এসব যুবকের আর খোঁজ মেলেনি। ওই সব পরিবার র্যাবের কার্যালয়ে গিয়ে ধরনা দেয়। র্যাব তখন তাঁদের আটকের কথা অস্বীকার করে বলে জানান তাজুল ইসলাম।
এরপর ৩ সেপ্টেম্বর দুপুরে র্যাবের সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে ওই পাঁচ যুবকসহ ছয়জনকে হাজির করা হয়। অন্য ব্যক্তি হলেন দন্ত চিকিৎসক কামরুল হাসান। ওই রাতেই র্যাব মিরপুর থানায় ছয়জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করে। মামলায় বলা হয়, ওই পাঁচ যুবক দন্ত চিকিৎসক কামরুলের হয়ে তিন চিকিৎসককে হত্যা করবেন বলে চুক্তিবদ্ধ হন। তাঁদের মধ্যে মিঠু মিরপুর এলাকার কুখ্যাত সন্ত্রাসী। তাঁদের গতিবিধির বিষয়টি র্যাব তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে জানতে পারে। এরপর ২ সেপ্টেম্বর রাত ১২টার দিকে মিরপুরের ৬ নম্বর সেকশনের ৩ নম্বর সড়ক থেকে এ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
তাঁদের মধ্যে মিঠু ও জয়নালের তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। বাকিদের কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।
গ্রেপ্তার হওয়া মহরম আলীর ভাই নুরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, মহরম ঢাকা-মানিকগঞ্জ রুটে বাস চালাতেন। মহরম নিজেই ওই বাসের মালিক। আর মোস্তফা একটি বৈদ্যুতিক সরঞ্জামাদি বিক্রয়কেন্দ্রে চাকরি করেন। তাঁদের সঙ্গে মিঠু ও জয়নালের কীভাবে পরিচয় হলো, তা জানেন না বলে দাবি করেন নুরুল ইসলাম।
সাভার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান বলেন, ‘আমি নিশ্চিত ছিলাম, তাঁদের অপহরণ করা হয়নি। অপহূত হলে মুক্তিপণ দাবি বা মেরে ফেলা হতো।’ তাহলে নিখোঁজ হওয়ার দিন থেকেই তাঁরা কি র্যাবের হেফাজতে ছিলেন—এ প্রশ্নের জবাবে ওসি বলেন, ‘পুরো বিষয়টি রহস্যজনক।’
জানতে চাইলে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক এম সোহায়েল বলেন, ‘সাভারের ওসির সঙ্গে আমি একমত। তাঁরা অপহূত হননি। তাঁরা আসলে স্বেচ্ছায় গা ঢাকা দিয়েছিলেন।’ তাঁর দাবি, ১১ ও ১২ আগস্ট পর পর দুই দিন এই পাঁচজন চিকিৎসক মোফাখখারুলকে হত্যার চেষ্টা চালান। তখন র্যাবের তৎপরতায় বেঁচে যান মোফাখখারুল। এরপর সতর্ক হয়ে যান হামলাকারীরা। তাঁরা নিজেরা গা ঢাকা দিয়ে অপহরণের নাটক সাজিয়েছেন।
No comments