শান্তির দূতের অশান্তির শঙ্কা-সাক্ষাৎকারে ব্রাহিমির হতাশা- সিরিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠা 'প্রায় অসম্ভব'
সিরিয়ার চলমান সংকট থেকে উত্তরণের ব্যাপারে গভীর হতাশা ব্যক্ত করেছেন লাখদার ব্রাহিমি। সিরিয়াবিষয়ক আবর লিগের নবনিযুক্ত এই বিশেষ দূত শান্তি প্রতিষ্ঠায় তাঁর অভিযানের সফল পরিসমাপ্তির বিষয়টিকে 'প্রায় অসম্ভব' বলে মনে করেন। তিনি বলেছেন, এ ব্যাপারে যতদূর নজরে আসে তাতে তিনি পরিত্রাণের কোনো পথ দেখতে পাচ্ছেন না।
গত রবিবার বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ মন্তব্য করেন ব্রাহিমি। তবে সিরিয়ার রাজনৈতিক পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা 'মৌলিক ও জরুরি' বলে মত দেন তিনি।
সিরিয়াবিষয়ক সাবেক দূত কফি আনানের অস্ত্রবিরতির ব্যাপারে মধ্যস্থতা সত্ত্বেও সিরিয়ার পরিস্থিতি ক্রমশ গৃহযুদ্ধের দিকে গড়াচ্ছে। মানবাধিকারকর্মীদের দাবি, গত বছরের মার্চে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদবিরোধী আন্দোলন শুরুর হওয়ার পর ২০ হাজার মানুষ মারা গেছে। গৃহহারা হয়েছে প্রায় ১০ লাখ। সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস রবিবার জানিয়েছে, সরকারি বাহিনীর হাতে গত আগস্ট মাসেই মারা গেছে পাঁচ হাজারেরও বেশি মানুষ। এদিন রাজধানী দামেস্কের সেনাবাহিনীর জেনারেল স্টাফ সদরদপ্তরে বোমা পুঁতে রাখার দাবি করে বিদ্রোহীরা। এ ঘটনাকে 'সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড' আখ্যা দিয়ে রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন জানায়, এতে চারজন আহত হয়েছে।
সিরিয়ার সংকট নিরসনের লক্ষ্যে গত এপ্রিলে ছয় দফা শান্তি প্রস্তাব দেন আনান। এতে অস্ত্রবিরতির ব্যাপারটি অন্তর্ভুক্ত ছিল। সম্প্রতি দূতের পদ থেকে সরে দাঁড়ান জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব আনান। আলজেরিয়ার সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রাহিমি তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন। প্রসঙ্গত, অস্ত্রবিরতির ব্যাপারটি খতিয়ে দেখতে সিরিয়ায় নিযুক্ত পর্যবেক্ষক দলও গত মাসে তুলে নেয় জাতিসংঘ।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে বিবিসিকে ব্রাহিমি বলেন, 'আমি চোখ-কান খোলা রেখেই এ পদে (সিরিয়াবিষয়ক দূত) বসেছি। আমি জানি, এই কাজ কতটা কঠিন... তবে আমি বলব না, এটি অসম্ভব_বলব, প্রায় অসম্ভব।' নিজের দায়িত্বের গুরুত্ব নিয়ে ভীত উল্লেখ করে ব্রাহিমি বলেন, 'সিরিয়ায় মানুষ মারা যাচ্ছে। কিন্তু আমরা কি করতে পারছি? আমরা যা পারছি তা পর্যাপ্ত নয়। ফলে আমার দায়িত্বের ওজন অনেক।' সিরিয়ার সরকারের 'অনমনীয়' অবস্থানকে 'ইটের দেয়ালের' সঙ্গে তুলনা করে ব্রাহিমি বলেন, তাতে কোনো 'ফাটল' তিনি দেখতে পাচ্ছেন না। আনান এখানেই হার মেনেছেন। অন্যদিকে দামেস্কের ওপর চাপ প্রয়োগের প্রশ্নে দ্বিধাবিভক্ত নিরাপত্তা পরিষদ।
বাড়ছে বিদ্রোহীদের সহিংসতা। ব্রাহিমি বলেন, আনানের শান্তি প্রস্তাব ধরেই সামনে এগোবেন তিনি। যদিও এর অনেক কিছুই এখন অপ্রাসঙ্গিক হয়ে গেছে। তবে এ ব্যাপারে তাঁর 'অনেক ভাবনা থাকলেও এখনো কোনো পরিকল্পনা করেননি' বলেও স্বীকার করেন ব্রাহিমি। বলেন, 'পরিবর্তন উপর-উপর (কসমেটিক) হতে পারে না।' সূত্র : ইয়াহু নিউজ।
সিরিয়াবিষয়ক সাবেক দূত কফি আনানের অস্ত্রবিরতির ব্যাপারে মধ্যস্থতা সত্ত্বেও সিরিয়ার পরিস্থিতি ক্রমশ গৃহযুদ্ধের দিকে গড়াচ্ছে। মানবাধিকারকর্মীদের দাবি, গত বছরের মার্চে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদবিরোধী আন্দোলন শুরুর হওয়ার পর ২০ হাজার মানুষ মারা গেছে। গৃহহারা হয়েছে প্রায় ১০ লাখ। সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস রবিবার জানিয়েছে, সরকারি বাহিনীর হাতে গত আগস্ট মাসেই মারা গেছে পাঁচ হাজারেরও বেশি মানুষ। এদিন রাজধানী দামেস্কের সেনাবাহিনীর জেনারেল স্টাফ সদরদপ্তরে বোমা পুঁতে রাখার দাবি করে বিদ্রোহীরা। এ ঘটনাকে 'সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড' আখ্যা দিয়ে রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন জানায়, এতে চারজন আহত হয়েছে।
সিরিয়ার সংকট নিরসনের লক্ষ্যে গত এপ্রিলে ছয় দফা শান্তি প্রস্তাব দেন আনান। এতে অস্ত্রবিরতির ব্যাপারটি অন্তর্ভুক্ত ছিল। সম্প্রতি দূতের পদ থেকে সরে দাঁড়ান জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব আনান। আলজেরিয়ার সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রাহিমি তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন। প্রসঙ্গত, অস্ত্রবিরতির ব্যাপারটি খতিয়ে দেখতে সিরিয়ায় নিযুক্ত পর্যবেক্ষক দলও গত মাসে তুলে নেয় জাতিসংঘ।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে বিবিসিকে ব্রাহিমি বলেন, 'আমি চোখ-কান খোলা রেখেই এ পদে (সিরিয়াবিষয়ক দূত) বসেছি। আমি জানি, এই কাজ কতটা কঠিন... তবে আমি বলব না, এটি অসম্ভব_বলব, প্রায় অসম্ভব।' নিজের দায়িত্বের গুরুত্ব নিয়ে ভীত উল্লেখ করে ব্রাহিমি বলেন, 'সিরিয়ায় মানুষ মারা যাচ্ছে। কিন্তু আমরা কি করতে পারছি? আমরা যা পারছি তা পর্যাপ্ত নয়। ফলে আমার দায়িত্বের ওজন অনেক।' সিরিয়ার সরকারের 'অনমনীয়' অবস্থানকে 'ইটের দেয়ালের' সঙ্গে তুলনা করে ব্রাহিমি বলেন, তাতে কোনো 'ফাটল' তিনি দেখতে পাচ্ছেন না। আনান এখানেই হার মেনেছেন। অন্যদিকে দামেস্কের ওপর চাপ প্রয়োগের প্রশ্নে দ্বিধাবিভক্ত নিরাপত্তা পরিষদ।
বাড়ছে বিদ্রোহীদের সহিংসতা। ব্রাহিমি বলেন, আনানের শান্তি প্রস্তাব ধরেই সামনে এগোবেন তিনি। যদিও এর অনেক কিছুই এখন অপ্রাসঙ্গিক হয়ে গেছে। তবে এ ব্যাপারে তাঁর 'অনেক ভাবনা থাকলেও এখনো কোনো পরিকল্পনা করেননি' বলেও স্বীকার করেন ব্রাহিমি। বলেন, 'পরিবর্তন উপর-উপর (কসমেটিক) হতে পারে না।' সূত্র : ইয়াহু নিউজ।
No comments