আরাফাত 'হত্যা তদন্ত'-দেহাবশেষ পরীক্ষায় রামাল্লায় যাচ্ছে ফরাসি তদন্তদল
ফিলিস্তিনের মুক্তি আন্দোলনের নেতা ইয়াসির আরাফাতের মৃত্যুর ঘটনায় শুরু করা হত্যার তদন্তের অংশ হিসেবে পশ্চিম তীরের রামাল্লায় যাবে ফরাসি তদন্তদল। তিন বিচারকের সমন্বয়ে গঠিত দলটি আরাফাতের দেহাবশেষ কবর থেকে তুলে তাঁর নমুনা পরীক্ষা করতে চায়।
ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ গতকাল বুধবার তদন্তদলের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে।
ফিলিস্তিনের সাবেক প্রেসিডেন্ট আরাফাতকে বিষপ্রয়োগে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে_তাঁর বিধবা স্ত্রী সুহার এমন আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্যারিসের উপকণ্ঠে নানতেরে আদালত গত মাসের শেষের দিকে বিচারবিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন। ২০০৪ সালের ১১ নভেম্বর গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ফ্রান্সের একটি সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ৭৫ বছর বয়সী আরাফাত।
তবে বিচারকদের রামাল্লায় যাওয়ার দিনক্ষণ নির্দিষ্ট করে জানানো হয়নি। গত মঙ্গলবার সুহা তদন্তদলকে রামাল্লায় প্রবেশের অনুমতি দিতে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান। পাশাপাশি ফরাসি তদন্তদলকে সহযোগিতা করতেও ফিলিস্তিনসহ আরব লিগের প্রতিও আহ্বান জানান।
আরাফাতের মৃত্যুর পর পরই এর কারণ উদ্ঘাটনে একটি তদন্ত কমিটি করে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ। ওই তদন্ত দলের প্রধান তৌফিক তিরাউয়ি গতকাল বুধবার এক বিবৃতিতে বলেন, 'আরাফাতের মৃত্যুর ঘটনায় গঠিত তদন্তদলকে আমরা স্বাগত জানাই।'
শান্তিতে নোবেলজয়ী আরাফাতের মৃত্যুর সঠিক কারণ নিয়ে অনেক জল্পনাকল্পনা রয়েছে। সম্ভাব্য যে কয়টি কারণের কথা আলোচনায় এসেছে, তার মধ্যে অন্যতম বিষপ্রয়োগ। ফিলিস্তিনিদের অনেকেই বিশ্বাস করে, আরাফাতকে বিষ দিয়ে হত্যা করেছে ইসরায়েল। রামাল্লার প্রেসিডেন্ট ভবনচত্বরে চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন তিনি।
গত ৩ জুলাই কাতারভিত্তিক টেলিশন চ্যানেল আল-জাজিরায় প্রচারিত এক তথ্যচিত্রে আরাফাতের মৃত্যু 'পলোনিয়াম' নামের তেজস্ক্রিয় উপাদানের কারণে হতে পারে বলে অনুমান করা হয়। কারণ মৃত্যুর আগে আরাফাতের ব্যবহার্য জিনিসপত্রে পলোনিয়ামের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। এতে বিষপ্রয়োগের পক্ষে গুঞ্জনের পালে আরো হাওয়া লাগে। আল-জাজিরার তথ্যচিত্রের পরিপ্রেক্ষিতে ৩১ জুলাই আদালতের দারস্থ হন সুহা। প্রসঙ্গত, সুইজারল্যান্ডের লসান বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব রেডিয়েশন ফিজিকসের সঙ্গে আল-জাজিরা যৌথভাবে অনুসন্ধানটি চালায়। সূত্র : বিবিসি, এএফপি।
ফিলিস্তিনের সাবেক প্রেসিডেন্ট আরাফাতকে বিষপ্রয়োগে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে_তাঁর বিধবা স্ত্রী সুহার এমন আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্যারিসের উপকণ্ঠে নানতেরে আদালত গত মাসের শেষের দিকে বিচারবিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন। ২০০৪ সালের ১১ নভেম্বর গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ফ্রান্সের একটি সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ৭৫ বছর বয়সী আরাফাত।
তবে বিচারকদের রামাল্লায় যাওয়ার দিনক্ষণ নির্দিষ্ট করে জানানো হয়নি। গত মঙ্গলবার সুহা তদন্তদলকে রামাল্লায় প্রবেশের অনুমতি দিতে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান। পাশাপাশি ফরাসি তদন্তদলকে সহযোগিতা করতেও ফিলিস্তিনসহ আরব লিগের প্রতিও আহ্বান জানান।
আরাফাতের মৃত্যুর পর পরই এর কারণ উদ্ঘাটনে একটি তদন্ত কমিটি করে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ। ওই তদন্ত দলের প্রধান তৌফিক তিরাউয়ি গতকাল বুধবার এক বিবৃতিতে বলেন, 'আরাফাতের মৃত্যুর ঘটনায় গঠিত তদন্তদলকে আমরা স্বাগত জানাই।'
শান্তিতে নোবেলজয়ী আরাফাতের মৃত্যুর সঠিক কারণ নিয়ে অনেক জল্পনাকল্পনা রয়েছে। সম্ভাব্য যে কয়টি কারণের কথা আলোচনায় এসেছে, তার মধ্যে অন্যতম বিষপ্রয়োগ। ফিলিস্তিনিদের অনেকেই বিশ্বাস করে, আরাফাতকে বিষ দিয়ে হত্যা করেছে ইসরায়েল। রামাল্লার প্রেসিডেন্ট ভবনচত্বরে চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন তিনি।
গত ৩ জুলাই কাতারভিত্তিক টেলিশন চ্যানেল আল-জাজিরায় প্রচারিত এক তথ্যচিত্রে আরাফাতের মৃত্যু 'পলোনিয়াম' নামের তেজস্ক্রিয় উপাদানের কারণে হতে পারে বলে অনুমান করা হয়। কারণ মৃত্যুর আগে আরাফাতের ব্যবহার্য জিনিসপত্রে পলোনিয়ামের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। এতে বিষপ্রয়োগের পক্ষে গুঞ্জনের পালে আরো হাওয়া লাগে। আল-জাজিরার তথ্যচিত্রের পরিপ্রেক্ষিতে ৩১ জুলাই আদালতের দারস্থ হন সুহা। প্রসঙ্গত, সুইজারল্যান্ডের লসান বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব রেডিয়েশন ফিজিকসের সঙ্গে আল-জাজিরা যৌথভাবে অনুসন্ধানটি চালায়। সূত্র : বিবিসি, এএফপি।
No comments