ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠী ও জাতীয়তাবাদ নিয়ে আলোচনা by মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, বীর প্রতীক

একটি দেশে কত মানুষ বাস করে, তাদের নৃতাত্ত্বিক পরিচয় কী, তাদের অভ্যাস কী, তাদের আর্থ-সামাজিক অবস্থান কী রকম ইত্যাদি প্রশ্নের উত্তর সচরাচর সহজে পাওয়া যায় না। সব মানুষ জানতেও চায় না। এটা শুধু বাংলাদেশের জন্য প্রযোজ্য নয়, অনেক দেশের জন্যই প্রযোজ্য। আমাদের প্রতিবেশী ভারতের জন্যও প্রযোজ্য।


এ বাস্তবতা স্বীকার করে নিয়েই প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতের একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান- যার নাম 'এনথ্রোপোলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া' ১৯৮৫ সালের ২ অক্টোবর একটি প্রকল্প চালু করে। এ প্রকল্পের উদ্দেশ্য ছিল, ভারতে বসবাসরত সব ধরনের জনগোষ্ঠীর নৃতাত্ত্বিক ও আর্থ-সামাজিক, সম্ভব হলে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের বর্ণনা করা। প্রকল্পের উদ্দেশ্য অবশ্যই প্রকল্প গ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্যের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ ছিল। এনথ্রোপোলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া (সংক্ষেপে এএসআই) নামের প্রতিষ্ঠানটির জন্ম হয়েছিল ১৯৪৫ সালের ডিসেম্বরে।
এএসআই প্রাথমিক পর্যায়ে ছোট-বড় ছয় হাজার ৭৪৮টি জনগোষ্ঠী বা কমিউনিটির নাম (ইংরেজিতে কমিউনিটি) তালিকাভুক্ত করলেও সঠিকভাবে চিহ্নিত ও পর্যবেক্ষণের বস্তু করতে পারে মাত্র চার হাজার ৬৩৫টি, যেগুলো ভারতের বিভিন্ন প্রদেশ ও ইউনিয়ন টেরিটরিতে বিন্যস্ত ছিল। প্রায় ৬০০ জন বিদগ্ধ ব্যক্তি এ-প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করেন, যার মধ্যে ২৬টি প্রতিষ্ঠান থেকে ১৯৭ জন শামিল ছিলেন। প্রায় ১০০টি ওয়ার্কশপ বা গোলটেবিল আলোচনার আয়োজন করা হয়েছিল, যেগুলোয় প্রায় তিন হাজার ব্যক্তি অংশগ্রহণ করেছিলেন। বিদগ্ধ ব্যক্তিরা সম্মিলিতভাবে ২৬ হাজার দিন (ম্যান-ডে) মাঠে-ময়দানে কাটান। প্রকল্পের অন্যান্য বিবরণ এখানে লিপিবদ্ধ করছি না। এ প্রকল্পটির নাম ছিল 'পিপল অব ইন্ডিয়া প্রজেক্ট'। এ প্রজেক্টের ফলাফল জনগণের উপকারার্থে উপস্থাপন করা হয়। উপস্থাপনের দুটি মাধ্যম ছিল। প্রথমটি হলো ১০ খণ্ডের জাতীয় সিরিজ। দ্বিতীয়টি প্রদেশ বা ইউনিয়ন টেরিটরি-ভিত্তিক। দ্বিতীয় মাধ্যমটির আওতায় অনেক খণ্ড বই প্রকাশ করা হয়েছে। আমি মাত্র কয়েকটির নাম উল্লেখ করছি যথাক্রমে খণ্ড ও এলাকার নাম নিয়ে। ভলিউম-১৪ : অরুণাচল প্রদেশ, ভলিউম-১৫ : আসাম, ভলিউম-৩১ : মনিপুর, ভলিউম-৩২ : মেঘালয়, ভলিউম-৩৩ : মিজোরাম, ভলিউম-৩৪ : নাগাল্যান্ড, ভলিউম-৩৯ : ত্রিপুরা। উদাহরণস্বরূপ উল্লেখ করলেও আমি মাত্র সাতটি খণ্ডের উল্লেখ করেছি। ২০০৫ সালের মধ্য ডিসেম্বরে আমি কলকাতায় ছিলাম, যথাসম্ভব ১৬ ডিসেম্বরের অনুষ্ঠানে একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে উপস্থিত থাকার জন্য ভারতীয় সেনাবাহিনীর ইস্টার্ন কমান্ড কর্তৃক দাওয়াতপ্রাপ্ত হয়ে। ২০০৫ সালের ১৫ ডিসেম্বর অপরাহ্নে কলকাতা মহানগরীর নিউ মার্কেটের গেটের বাইরে একটি প্রখ্যাত বইয়ের দোকান থেকে আমি এই সাত খণ্ড বই সংগ্রহ করেছিলাম।
নাম উলি্লখিত এ সাতটি অঞ্চল হচ্ছে সাতটি আলাদা প্রদেশ বা রাজ্য। এ প্রদেশ বা রাজ্যগুলো বাংলাদেশের উত্তর-পূর্ব দিকে অবস্থিত। ভারত নামের বৃহৎ রাষ্ট্রে দুই ডজনের বেশি রাজ্য বা প্রদেশ আছে। এর মধ্যে যে সাতটি উত্তর-পূর্ব দিকে অবস্থিত সেগুলোকে সম্মিলিতভাবে অনানুষ্ঠানিক পরিচয়ে 'সাত বোন' বা 'সেভেন সিস্টারস' বলা হয়। আমি কেন শুধু এ সেভেন সিস্টারসের উদাহরণই দিলাম সেটি প্রণিধানযোগ্য। এ সাতটি রাজ্যে যে ধরনের মানুষ বা নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠী বসবাস করে, তাদের সঙ্গে কিছু না কিছু মিল আছে এমন কিছু মানুষ বা নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠী আমাদের বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাংশেও বসবাস করে। বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাংশের সেই এলাকাটির প্রচলিত নাম পার্বত্য চট্টগ্রাম। ১৮৬০ খ্রিস্টাব্দে তৎকালীন চট্টগ্রাম জেলার পাহাড়ি বা পার্বত্য অংশকে আলাদা একটি জেলার মর্যাদা দেওয়া হয়েছিল এবং নাম দেওয়া হয়েছিল 'পার্বত্য চট্টগ্রাম'। তখন যেমন, এখনো তেমন। পার্বত্য চট্টগ্রাম হচ্ছে চট্টগ্রাম জেলার পূর্ব দিকে। ১৯৮৪ সালে যখন তৎকালীন বাংলাদেশের সব মহকুমাকে প্রশাসনিকভাবে জেলা পর্যায়ে উন্নীত করা হয়, তখন পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলার রাঙামাটি মহকুমা, খাগড়াছড়ি মহকুমা এবং বান্দরবান মহকুমা তিনটি স্বতন্ত্র জেলায় পরিণত হয়।
এখন ওপরে বর্ণিত ভারতীয় পরিপ্রেক্ষিতের আলোকে বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতটি অতি সংক্ষেপে বর্ণনা করছি। আমি সংশ্লিষ্ট বইয়ের পৃষ্ঠা থেকে উদ্ধৃত করছি। ২০০৪ সালে বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি, 'বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক সমীক্ষা' নামে তিন বছরমেয়াদি একটি গবেষণা প্রকল্প গ্রহণ করে। উদ্দেশ্য, বাংলাদেশের সংস্কৃতির নানা দিক নিয়ে একটি জরিপভিত্তিক গবেষণা পরিচালনা করা এবং গবেষণাগুলো সিরিজ আকারে প্রকাশ করা। ... এমন মনে করার কারণ রয়েছে যে অনেক পরিবর্তন ও সংযোজনের পরও বাঙালি সংস্কৃতির অনেক উপাদান এখনো পুরনো ঐতিহ্য বজায় রেখেছে। বর্তমান গবেষণার মাধ্যমে সংস্কৃতির অতীত ও বর্তমানকে জরিপ করে একটি মাইলফলক নির্মাণ করা দরকার, যা হবে ভবিষ্যতের সংস্কৃতি গবেষণার দিকনির্দেশক। সংস্কৃতির যেসব ক্ষেত্র আমরা বর্তমান সমীক্ষামালায় অন্তর্ভুক্ত করেছি, সেগুলো হলো- ১. প্রত্নতাত্ত্বিক ঐতিহ্য, ২. স্থাপত্য, ৩. রাষ্ট্র ও সংস্কৃতি, ৪. সাংস্কৃতিক ইতিহাস, ৫. আদিবাসী জনগোষ্ঠী ... ।" আমরা আদিবাসী জনগোষ্ঠী নিয়ে পরবর্তী অনুচ্ছেদে আলোচনা করছি।
এশিয়াটিক সোসাইটির আলোচ্য প্রকল্পের আওতায় ভলিউম-৫ প্রকাশিত হয়েছে, যার শিরোনাম 'আদিবাসী জনগোষ্ঠী'। এ ভলিউমের সম্পাদক হচ্ছেন তিনজন বিদগ্ধ ব্যক্তি যথা- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক মেসবাহ কামাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জাহিদুল ইসলাম এবং রাঙামাটিতে অবস্থিত উপজাতীয় সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটের পরিচালক সুগত চাকমা। এ বইটি অত্যন্ত তথ্যসমৃদ্ধ, যদিও বিভিন্ন স্থানে প্রদত্ত মতামত বা মূল্যায়নের সঙ্গে পাঠক দ্বিমত পোষণ করতেই পারেন। প্রফেসর মেসবাহ কামালের সঙ্গে আমার পরিচয় আজ থেকে প্রায় ১৩-১৪ বছর আগে নেপালে অনুষ্ঠিত একটি সেমিনারে অংশ নেওয়ার সময়। ২০১০ সালের ২৪ অক্টোবর আমি ঢাকায় পরীবাগে অবস্থিত তাঁর গবেষণা অফিসে অতিথি হয়েছিলাম, সেদিন এ পঞ্চম ভলিউমটি ক্রয় করি। এ ভলিউম মতে, বাংলাদেশের তিনটি অঞ্চলে বাঙালি ব্যতীত অন্যান্য নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠী বসবাস করে। এ ভলিউম মতে (যদিও আমি দ্বিমত পোষণ করি) তারা আদিবাসী জনগোষ্ঠী। এটির মতে, পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে বসবাস করে ১২টি আদিবাসী জনগোষ্ঠী, উত্তরবঙ্গ অঞ্চলে বসবাস করে ১৫টি আদিবাসী জনগোষ্ঠী এবং ময়মনসিংহ-সিলেট অঞ্চলে বসবাস করে ১৮টি আদিবাসী জনগোষ্ঠী।
বাংলাদেশের ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীগুলো সবচেয়ে বেশি ঘনীভূত পার্বত্য চট্টগ্রামে। কারো মতে ১২টি আবার কারো মতে ১৩টি ক্ষুদ্র জাতিসত্তা পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাস করে। তাদের মধ্যে সবচেয়ে বড়টি হচ্ছে চাকমা জনগোষ্ঠী। আলোচনার সুবিধার্থে আমি এ কলামে বা পরবর্তী কলামগুলোয় চাকমা জনগোষ্ঠীকে উপজাতি বলে সম্বোধন করব। আদতে তারা উপজাতি, নাকি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী, নাকি ক্ষুদ্র জাতিসত্তা, নাকি আদিবাসী- এ বিতর্কে আমি এই কলামের মাধ্যমে লিপ্ত হব না। প্রশ্ন থেকে যায়, যে পরিচয়েই হোক না কেন, তারা বাংলাদেশের নাগরিক তো বটেই। অতএব তাদের পরিচয় প্রয়োজন। তাদের আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিচয় সব মিলিয়েই তাদের আমরা চিনব। আমার জানামতে, পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত দ্বিতীয় বৃহত্তম উপজাতি হলো ত্রিপুরা উপজাতি এবং তৃতীয় বৃহত্তম মারমা। অন্য উপজাতিগুলোর জনসংখ্যা আসলেই খুব কম। পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীগুলোর মোট জনসংখ্যা বাংলাদেশের জনসংখ্যার শতকরা এক ভাগের অর্ধেক তথা ০.৫ শতাংশ। এই পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত উপজাতীয় জনগোষ্ঠী এ ভূমিতে কবে এসেছে, তার সঠিক তারিখ এবং কার আগে কে এসেছে সেই ক্রম নিয়ে আমি এখানে আলোচনা করছি না। এ অনুচ্ছেদ শেষ করব এইটুকু বলেই যে পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজাতীয় জনগোষ্ঠীর নেতা-সম্প্রদায়ের একটি অংশ দাবি করে যে তারাই সবচেয়ে পুরনো অধিবাসী বা আদিবাসী; অপরপক্ষে বাংলাদেশের পণ্ডিত সমাজের একটি বড় অংশ দাবি করে যে তারা কোনো অবস্থাতেই সবচেয়ে পুরনো অধিবাসী নয়।
১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে শুরু হওয়া ইংরেজ সরকারের শাসনের অন্যতম বৈশিষ্ট্য ছিল তৎকালীন ভারত উপমহাদেশের প্রান্তিক অঞ্চলগুলোকে করতলগত করা। যেটি বর্তমান ভারতের উত্তর-পূর্ব অংশ বা উত্তর-পশ্চিম অংশ, সেগুলো আজ থেকে ১০০ বা ১৫০ বছর আগে ছিল তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের প্রান্তিক অঞ্চল। আমাদের বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব অংশে অবস্থিত বর্তমানের চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রাম সম্মিলিতভাবেই প্রান্তিক অঞ্চল ছিল। ১৫০ বছর আগের চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রাম নামের প্রান্তিক অঞ্চলের ওপর নিজেদের শাসন পাকাপোক্ত করার নিমিত্তে ১৮৬০ খ্রিস্টাব্দে চট্টগ্রাম জেলার পার্বত্য অঞ্চলকে আলাদা করে একটি নতুন জেলার সৃষ্টি করা হয়েছিল। তৎকালীন ভারত উপমহাদেশের বিভিন্ন প্রান্তিক অঞ্চলের জনগোষ্ঠীর মতো, ২০০ বা ১৫০ বছরের পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজাতীয় জনগোষ্ঠী নিজেদের (স্বাধীনতা না হলেও) স্বাতন্ত্র্য রক্ষার জন্য ব্রিটিশ বা ইংরেজদের বিরুদ্ধে ছোট-বড় সংগ্রামে লিপ্ত হয়েছিল। যা হোক, বৃহৎ শক্তি ব্রিটিশের বিরুদ্ধে কোনো প্রান্তিক অঞ্চলের জনগোষ্ঠী চূড়ান্তভাবে নিজেদের আলাদা রাখতে পারেনি; পার্বত্য চট্টগ্রামের ক্ষেত্রেও তা-ই। ১৮৬০-এর পর পার্বত্য চট্টগ্রামে ছোটখাটো অনেক প্রশাসনিক সংস্কার হলেও সবচেয়ে বড় প্রশাসনিক সংস্কার হয় ১৯০০ সালে। ভারতবাসীর মতো পার্বত্য চট্টগ্রামের অধিবাসীরাও ব্রিটিশ শাসনের অধীনে প্রজা ছিল। কিন্তু তারা নিজেদের উপজাতীয় পরিচয়েই উপস্থাপন করত। যেমন- চাকমারা চাকমা, মারমারা মারমা, তংচইঙ্গারা তংচইঙ্গা ইত্যাদি হিসেবেই পরিচিত ছিল। তখনকার দিনে পুরো ভারত উপমহাদেশে একটি জাতীয় পরিচয়ের চেতনা মাত্র অংকুরোদগম হয়েছিল। সর্বভারতীয় কোনো জাতীয় পরিচয় তখনো সুস্পষ্টভাবে দানা বাঁধেনি। বর্তমান (২০১২) ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বা প্রদেশ, ভারতের উত্তর-পূর্ব অংশ এবং বাংলাদেশ- পুরোটাই একটি প্রদেশ ছিল। বাঙালি জাতীয়তাবাদও তখন কঠোরভাবে প্রচারিত বা উদ্ভাসিত হয়ে ওঠেনি। অতএব কোন প্রক্রিয়ায় বা ইতিহাসের কোন পর্যায়ে বাঙালি জাতীয়তাবাদ বা বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ সুসংহত হলো এবং কী কারণে বর্তমান বাংলাদেশের উপজাতীয় জনগোষ্ঠীর জাতীয় পরিচয়ের প্রশ্নটি নতুনভাবে উপস্থাপিত হচ্ছে, সেটি অবশ্যই আলোচনাযোগ্য। ওই আলোচনার ধারাবাহিকতায়ই যথাসম্ভব স্পষ্ট হবে আমাদের স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধানের বক্তব্য এবং বর্তমান উপজাতীয় জনগোষ্ঠীর বক্তব্যের পারস্পরিক সম্পৃক্ততা।

লেখক : চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি
www.kallyan-ibrahim.com

No comments

Powered by Blogger.