শুক্রাণু 'বৈবাহিক সম্পত্তি'-স্ত্রীর অনুমতি ছাড়া দান নয়!
নিঃসন্তান দম্পতিদের স্বামী শুক্রাণু দান করেন। উদ্দেশ্য একটু উপকার করা। তবে বিষয়টি নিয়ে নানা দুশ্চিন্তায় অস্থির স্ত্রী। ভবিষ্যতের কথা কে বলতে পারে! হয়তো ওই দান করা শুক্রাণু সন্তানই বড় হয়ে তাঁর সুখের সংসারে হানা দেবে। যুক্তি বলে, তাঁর নিজ সন্তানেরই সৎ ভাইবোন হবে ওই 'শুক্রাণু সন্তান'।
কাজেই সংসারের সুখ বা সম্পদে ওদের অধিকার অস্বীকার করার উপায় কী?
এমন সব উদ্বেগে অস্থির এক ব্রিটিশ নারী তাঁর স্বামীর শুক্রাণুর ওপর পূর্ণ অধিকার প্রতিষ্ঠায় সরকারের কাছে আবেদন করেছেন। স্বামীর শুক্রাণুকে 'বৈবাহিক সম্পদ' উল্লেখ করে তিনি দাবি করেন, শুক্রাণু দিতে চাইলে অবশ্যই তাঁর অনুমতি নিতে হবে। প্রয়োজনে এমন সিদ্ধান্ত নিতে বিদ্যমান আইনেও পরিবর্তন আনার পক্ষপাতী তিনি। ব্রিটিশ দৈনিক ডেইলি মেইল সম্প্রতি এ কথা জানায়।
ডেইলি মেইলে ওই নারীর নাম প্রকাশ করা হয়নি। তবে জানানো হয়েছে তিনি একজন ব্যবসায়ী। পত্রিকাটি জানায়, ব্রিটেনের 'হিউম্যান ফার্টিলাইজেশন অ্যান্ড এমব্রায়োলজি অথরিটির কাছে নিজের উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন ওই নারী। তিনি শুক্রাণু দানের ক্ষেত্রে একটি দিক নির্দেশনা তৈরির দাবি জানান। তিনি বলেন, শুক্রাণু হচ্ছে 'যৌথ বৈবাহিক সম্পত্তি'।
ব্রিটেনে ২০০৫ সালে দেওয়া এক বিতর্কিত রায়ে বলা হয়, দান করা শুক্রাণুতে জন্ম নেওয়া সন্তান প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর যে ব্যক্তির ঔরসে জন্ম তাঁর নাম পরিচয় জানতে পারবে।
ফার্টিলাইজেশন অথরিটির কাছে লেখা এক চিঠিতে ওই নারী ব্যবসায়ী বলেন, ভবিষ্যতে কোনো নিঃসন্তান দম্পতি তাঁর স্বামীর শুক্রাণু ব্যবহার করতে চাইলে তাঁর কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে। তিনি জানান, তাঁর স্বামী শুক্রাণু দিয়েছেন এমন ক্লিনিকগুলোর সঙ্গে তিনি যোগাযোগ করেছেন। কিন্তু তাঁর উদ্বেগের বিষয়ে কোনো সাড়া পাননি। তাঁর আশঙ্কা, ওই শুক্রাণু থেকে জন্ম নেওয়া সন্তান ভবিষ্যতে তাঁর সংসারে হানা দেবে এবং তাঁর ও তাঁর নিজ সন্তানের জীবন অতিষ্ঠ করে তুলবে। সূত্র : দ্য হিন্দুস্তান টাইমস।
এমন সব উদ্বেগে অস্থির এক ব্রিটিশ নারী তাঁর স্বামীর শুক্রাণুর ওপর পূর্ণ অধিকার প্রতিষ্ঠায় সরকারের কাছে আবেদন করেছেন। স্বামীর শুক্রাণুকে 'বৈবাহিক সম্পদ' উল্লেখ করে তিনি দাবি করেন, শুক্রাণু দিতে চাইলে অবশ্যই তাঁর অনুমতি নিতে হবে। প্রয়োজনে এমন সিদ্ধান্ত নিতে বিদ্যমান আইনেও পরিবর্তন আনার পক্ষপাতী তিনি। ব্রিটিশ দৈনিক ডেইলি মেইল সম্প্রতি এ কথা জানায়।
ডেইলি মেইলে ওই নারীর নাম প্রকাশ করা হয়নি। তবে জানানো হয়েছে তিনি একজন ব্যবসায়ী। পত্রিকাটি জানায়, ব্রিটেনের 'হিউম্যান ফার্টিলাইজেশন অ্যান্ড এমব্রায়োলজি অথরিটির কাছে নিজের উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন ওই নারী। তিনি শুক্রাণু দানের ক্ষেত্রে একটি দিক নির্দেশনা তৈরির দাবি জানান। তিনি বলেন, শুক্রাণু হচ্ছে 'যৌথ বৈবাহিক সম্পত্তি'।
ব্রিটেনে ২০০৫ সালে দেওয়া এক বিতর্কিত রায়ে বলা হয়, দান করা শুক্রাণুতে জন্ম নেওয়া সন্তান প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর যে ব্যক্তির ঔরসে জন্ম তাঁর নাম পরিচয় জানতে পারবে।
ফার্টিলাইজেশন অথরিটির কাছে লেখা এক চিঠিতে ওই নারী ব্যবসায়ী বলেন, ভবিষ্যতে কোনো নিঃসন্তান দম্পতি তাঁর স্বামীর শুক্রাণু ব্যবহার করতে চাইলে তাঁর কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে। তিনি জানান, তাঁর স্বামী শুক্রাণু দিয়েছেন এমন ক্লিনিকগুলোর সঙ্গে তিনি যোগাযোগ করেছেন। কিন্তু তাঁর উদ্বেগের বিষয়ে কোনো সাড়া পাননি। তাঁর আশঙ্কা, ওই শুক্রাণু থেকে জন্ম নেওয়া সন্তান ভবিষ্যতে তাঁর সংসারে হানা দেবে এবং তাঁর ও তাঁর নিজ সন্তানের জীবন অতিষ্ঠ করে তুলবে। সূত্র : দ্য হিন্দুস্তান টাইমস।
No comments