জাতিসংঘের প্রতিবেদন-রাসায়নিক ব্যবহার বৃদ্ধির মাসুল দিচ্ছে উন্নয়নশীল দেশগুলো
বিশ্বে বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলোয় রাসায়নিক দ্রব্যের ব্যবহার ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে এসব দেশের জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের ক্ষতিও বাড়ছে। গতকাল বুধবার প্রকাশিত জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে এ কথাবলাহয়েছেরাসায়নিকের ক্ষতিকর প্রভাবের ওপর জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচি (ইউএনইপি) গবেষণা করে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে।
'গ্লোবাল কেমিক্যাল আউটলুক' শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগে রাসায়নিক দ্রব্যের ভোক্তা ও উৎপাদনকারী কম ছিল। অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও কৃষিতে রাসায়নিক ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ায় এটি উৎপাদনের জন্য কারখানা তৈরি হচ্ছে। এ ছাড়া অন্য দেশ থেকে আমদানিও করা হচ্ছে। মোবাইল ফোন, কম্পিউটার ও গাড়ির প্লাস্টিকের যন্ত্রাংশ তৈরিতে রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা হয়। এ ছাড়া বস্ত্রশিল্পে কাপড় রং করা, কৃষিতে কীটনাশক হিসেবে এবং গৃহস্থালির কাজেও রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করা হয়। তবে চাহিদা বাড়লেও রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহারের ক্ষেত্রে যথাযথ সুরক্ষা ব্যবস্থা নেওয়া হয় না।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, শিল্পসমৃদ্ধ পশ্চিমা দেশগুলোর কারণেই রাসায়নিক দ্রব্যের উৎপাদন বেশি হচ্ছে। আর এ সুযোগটি লুফে নিয়েছে ব্রাজিল, চীন, ভারত ও রাশিয়ার মতো দেশগুলো। ২০০০ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত চীন ও ভারতে রাসায়নিক উৎপাদনের বার্ষিক হার ১৪ থেকে বেড়ে ২৪ শতাংশে দাঁড়ায়। উৎপাদনের এ হার যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও জার্মানি থেকে ৫-৮ শতাংশ বেশি। ২০৫০ সাল পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী রাসায়নিক বিক্রির হার প্রতিবছর ৩ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে বলেও এতে উল্লেখ করা হয়েছে। ২০২০ সাল নাগাদ আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোয় ৪০ শতাংশ পর্যন্ত এবং লাতিন আমেরিকার দেশগুলোয় ৩৩ শতাংশ পর্যন্ত রাসায়নিক উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। রাসায়নিকের ব্যবহার বৃদ্ধির ফলে ঝুঁকি আরো বাড়ছে।
ইউএনইপি বলেছে, 'জৈব যৌগের ব্যাপক উৎপাদন এবং তা বাজারজাতকরণে অব্যবস্থাপনার কারণে বছরে বিশ্ব অর্থনীতিতে ২৩ হাজার ৬৩০ কোটি ডলার লোকসান হচ্ছে। এর মধ্যে জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশগত ক্ষতির পরিমাণ দুই হাজার ২০০ কোটি ডলার।' এক বছরে রাসায়নিকের কারণে পানি দূষিত হয়ে চীনের বাণিজ্যিক মৎস্য খামারে ছয় হাজার ৩৪০ কোটি ডলার ক্ষতি হয়েছে। সাব-সাহারা আফ্রিকার দেশগুলোর ছোট ভোট কৃষি খামারে রাসায়নিক ব্যবহারজনিত অসুস্থতার কারণে ২০০৫ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ৯ হাজার কোটি ডলার খরচ হবে। এ কারণে কৃষি খামার ও অন্যান্য কাজে স্বল্পমাত্রার রাসায়নিক ব্যবহারের আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি। সূত্র : এএফপি।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, শিল্পসমৃদ্ধ পশ্চিমা দেশগুলোর কারণেই রাসায়নিক দ্রব্যের উৎপাদন বেশি হচ্ছে। আর এ সুযোগটি লুফে নিয়েছে ব্রাজিল, চীন, ভারত ও রাশিয়ার মতো দেশগুলো। ২০০০ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত চীন ও ভারতে রাসায়নিক উৎপাদনের বার্ষিক হার ১৪ থেকে বেড়ে ২৪ শতাংশে দাঁড়ায়। উৎপাদনের এ হার যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও জার্মানি থেকে ৫-৮ শতাংশ বেশি। ২০৫০ সাল পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী রাসায়নিক বিক্রির হার প্রতিবছর ৩ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে বলেও এতে উল্লেখ করা হয়েছে। ২০২০ সাল নাগাদ আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোয় ৪০ শতাংশ পর্যন্ত এবং লাতিন আমেরিকার দেশগুলোয় ৩৩ শতাংশ পর্যন্ত রাসায়নিক উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। রাসায়নিকের ব্যবহার বৃদ্ধির ফলে ঝুঁকি আরো বাড়ছে।
ইউএনইপি বলেছে, 'জৈব যৌগের ব্যাপক উৎপাদন এবং তা বাজারজাতকরণে অব্যবস্থাপনার কারণে বছরে বিশ্ব অর্থনীতিতে ২৩ হাজার ৬৩০ কোটি ডলার লোকসান হচ্ছে। এর মধ্যে জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশগত ক্ষতির পরিমাণ দুই হাজার ২০০ কোটি ডলার।' এক বছরে রাসায়নিকের কারণে পানি দূষিত হয়ে চীনের বাণিজ্যিক মৎস্য খামারে ছয় হাজার ৩৪০ কোটি ডলার ক্ষতি হয়েছে। সাব-সাহারা আফ্রিকার দেশগুলোর ছোট ভোট কৃষি খামারে রাসায়নিক ব্যবহারজনিত অসুস্থতার কারণে ২০০৫ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ৯ হাজার কোটি ডলার খরচ হবে। এ কারণে কৃষি খামার ও অন্যান্য কাজে স্বল্পমাত্রার রাসায়নিক ব্যবহারের আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি। সূত্র : এএফপি।
No comments