ন্যাটো বাহিনীর ওপর হামলার অভিযোগ-কয়েক শ আফগান সেনা গ্রেপ্তার ও বরখাস্ত
ন্যাটো সেনাদের ওপর হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে কয়েক শ আফগান সেনাকে গ্রেপ্তার বা চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। আফগানিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় গত বুধবার এ তথ্য জানায়। ন্যাটো সেনাদের ওপর হামলার ক্রমবর্ধমান ঘটনা বন্ধ করা এবং আফগানিস্তান থেকে ন্যাটো সেনা প্রত্যাহার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা রোধ করতেই এসব পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
আফগানিস্তানে চলতি বছর আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের হাতে ন্যাটো সেনাদের ওপর ৩০টিরও বেশি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসব হামলায় অন্তত ৪৫ জন মারা গেছে। নিহতদের অধিকাংশই আমেরিকান সেনা। এসব হামলার কারণে ২০১৪ সালের শেষ নাগাদ আফগানিস্তান থেকে ন্যাটো সেনা প্রত্যাহারের পরিকল্পনা বাধাগ্রস্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আফগানিস্তানে বর্তমানে ন্যাটোর প্রায় এক লাখ ৩০ হাজার সেনা আছে। মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লিওন প্যানেটা গত মাসে আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইয়ের প্রতি হামলাকারী আফগান সেনাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান। ন্যাটো প্রধান অ্যান্দারস ফগ রাসমুসেন গত বুধবার ফোনে প্রেসিডেন্ট কারজাইয়ের কাছে ন্যাটো বাহিনীর ওপর আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের হামলার ব্যাপারে 'গভীর উদ্বেগ' প্রকাশ করেছেন।
আফগান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জেনারেল জহির আজমি গত বুধবার বলেন, 'এখন পর্যন্ত সেনাবাহিনীর কয়েক শ সদস্যকে গ্রেপ্তার অথবা বরখাস্ত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে কিছু লোকের বিরুদ্ধে আমাদের কাছে প্রমাণাদি আছে। বাকিদের সন্দেহের কারণে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।' তবে আজমি গ্রেপ্তার ও বরখাস্ত হওয়া সেনাদের আসল সংখ্যা উল্লেখ করেননি। তিনি আরো বলেন, 'সেনা পোশাক ব্যবহার করে বিদেশি বাহিনীর ওপর হামলার বিষয়টি গুরুতর পরিস্থিতি তৈরি করেছে নিঃসন্দেহে। তবে এটা শুধু প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের জন্যই নয়, বরং আফগান সরকারের জন্যও উদ্বেগের বিষয়।'
গত রবিবার মার্কিন বাহিনী প্রায় এক হাজার আফগান সেনাকে প্রশিক্ষণের কর্মসূচি স্থগিত করে। ঠিক ওই দিনই প্রেসিডেন্ট কারজাইয়ের এক মুখপাত্র দাবি করেন, ন্যাটো সেনাদের ওপর হামলার ঘটনায় ন্যাটো ও আফগান সেনা_এই দুই পক্ষই দায়ী। প্রেসিডেন্ট কারজাই আফগান সেনাদের কাগজপত্র খুঁটিয়ে পরীক্ষা করারও নির্দেশ দেন।
এদিকে আফগানিস্তানে ন্যাটোর নেতৃত্বাধীন যৌথ বাহিনীর প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল জেমস টেরি বলেছেন, ন্যাটো সেনাদের ওপর আফগান সেনাদের হামলার ২৫ থেকে ২৬ শতাংশের সঙ্গে জঙ্গি সম্পৃক্ততা রয়েছে। এর মধ্যে ১০ শতাংশ হামলার সঙ্গে জঙ্গিরা সরাসরি জড়িত। বাকি ১৫ থেকে ১৬ শতাংশ হামলায় জঙ্গিদের সহযোগিতা আছে। তিনি বলেন, 'ন্যাটো সেনাদের ওপর হামলার নির্দিষ্ট কারণ জানা যায়নি। তবে অন্তত ২৫ শতাংশ হামলাই হয়েছে ব্যক্তিগত কারণে।' সূত্র : এএফপি।
আফগান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জেনারেল জহির আজমি গত বুধবার বলেন, 'এখন পর্যন্ত সেনাবাহিনীর কয়েক শ সদস্যকে গ্রেপ্তার অথবা বরখাস্ত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে কিছু লোকের বিরুদ্ধে আমাদের কাছে প্রমাণাদি আছে। বাকিদের সন্দেহের কারণে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।' তবে আজমি গ্রেপ্তার ও বরখাস্ত হওয়া সেনাদের আসল সংখ্যা উল্লেখ করেননি। তিনি আরো বলেন, 'সেনা পোশাক ব্যবহার করে বিদেশি বাহিনীর ওপর হামলার বিষয়টি গুরুতর পরিস্থিতি তৈরি করেছে নিঃসন্দেহে। তবে এটা শুধু প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের জন্যই নয়, বরং আফগান সরকারের জন্যও উদ্বেগের বিষয়।'
গত রবিবার মার্কিন বাহিনী প্রায় এক হাজার আফগান সেনাকে প্রশিক্ষণের কর্মসূচি স্থগিত করে। ঠিক ওই দিনই প্রেসিডেন্ট কারজাইয়ের এক মুখপাত্র দাবি করেন, ন্যাটো সেনাদের ওপর হামলার ঘটনায় ন্যাটো ও আফগান সেনা_এই দুই পক্ষই দায়ী। প্রেসিডেন্ট কারজাই আফগান সেনাদের কাগজপত্র খুঁটিয়ে পরীক্ষা করারও নির্দেশ দেন।
এদিকে আফগানিস্তানে ন্যাটোর নেতৃত্বাধীন যৌথ বাহিনীর প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল জেমস টেরি বলেছেন, ন্যাটো সেনাদের ওপর আফগান সেনাদের হামলার ২৫ থেকে ২৬ শতাংশের সঙ্গে জঙ্গি সম্পৃক্ততা রয়েছে। এর মধ্যে ১০ শতাংশ হামলার সঙ্গে জঙ্গিরা সরাসরি জড়িত। বাকি ১৫ থেকে ১৬ শতাংশ হামলায় জঙ্গিদের সহযোগিতা আছে। তিনি বলেন, 'ন্যাটো সেনাদের ওপর হামলার নির্দিষ্ট কারণ জানা যায়নি। তবে অন্তত ২৫ শতাংশ হামলাই হয়েছে ব্যক্তিগত কারণে।' সূত্র : এএফপি।
No comments