সোনালীসহ সাত ব্যাংকের চেয়ারম্যান পুনর্বহাল
রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান কাজী বাহারুল ইসলামকে আবার চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া বাণিজ্যিক, বিশেষায়িত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে আরো সাতটি রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যানদেরও পুনর্নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
এর মধ্যে শুধু সোনালী ব্যাংকের চেয়ারম্যানের মেয়াদকাল উল্লেখ না করে বলা হয়েছে, তাঁর নিয়োগের মেয়াদ অর্থ মন্ত্রণালয়ের পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত থাকবে। আর অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর চেয়ারম্যানদের পুনর্নিয়োগের মেয়াদ নির্ধারণ করা হয়েছে দুই বছর।
গতকাল বুধবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের পরিচালনা পর্ষদ ও সমন্বয় অধি শাখা থেকে জারি করা আটটি পৃথক প্রজ্ঞাপনে আট ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যানদের পুনর্নিয়োগের আদেশ দেওয়া হয়েছে। এসব আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।
হলমার্ক গ্রুপের দুই হাজার ৬০০ কোটিরও বেশি টাকাসহ নানা আর্থিক কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়েছে দেশের বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংক সোনালী ব্যাংক লিমিটেড। এসব কেলেঙ্কারির দায়ে অভিযুক্ত করে বাংলাদেশ ব্যাংক সোনালী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেওয়ার সুপারিশ করে অর্থমন্ত্রীর কাছে। তা নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে বিতর্কেও জড়িয়ে পড়েন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেওয়ার বদলে আগামী ৮ সেপ্টেম্বর মেয়াদ শেষ হতে যাওয়া ব্যাংকটির বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যানকে আবার চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দিল অর্থ মন্ত্রণালয়।
সোনালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান নিয়োগ প্রসঙ্গে জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, 'সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের মেমোরেন্ডাম অ্যান্ড আর্টিকেলস অব অ্যাসোসিয়েশনের বিধান অনুযায়ী জনাব কাজী বাহারুল ইসলামকে সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদে পরিচালক ও চেয়ারম্যান হিসেবে বর্তমান নিয়োগের মেয়াদ সমাপনান্তে পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত পুনর্নিয়োগ দেওয়া হলো। এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।'
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতও সাংবাদিকদের বলেছেন, সোনালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত বহাল থাকবেন। আর অন্যগুলোর চেয়ারম্যানদের দুই বছর মেয়াদে পুনর্নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা জানান, শিগগিরই রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের নিয়োগ ও পুনর্নিয়োগ দেওয়া হবে। তবে সেখানে কাদের নিয়োগ বা পুনর্নিয়োগ দেওয়া হবে তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
সোনালী ব্যাংকের বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের মধ্যে থেকে কোনো সদস্যকে পুনর্নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব মো. শফিকুর রহমান পাটোয়ারী কালের কণ্ঠকে জানান, দুই-তিনজনকে পুনর্নিয়োগ দেওয়া হতে পারে। অনেকের ব্যাপারেই প্রস্তাব আসছে। মন্ত্রণালয়ের নিজস্ব মতামতও রয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত কাদের পরিচালক হিসেবে নিয়োগ বা পুনর্নিয়োগ দেওয়া হবে তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
গতকাল প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব মেমোরেন্ডাম অ্যান্ড আর্টিকেলস অব অ্যাসোসিয়েশন অনুযায়ী চেয়ারম্যান পুনর্নিয়োগ দিয়ে আলাদা প্রজ্ঞাপন জারি করেছে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ। এর মধ্যে জনতা ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবুল বারকাত, অগ্রণী ব্যাংক লিমিডেটের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. খন্দকার বজলুল হক, রূপালী ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যান ড. আহমদ আল-কবির, বাংলাদেশ স্মল ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক লিমিটেডের (বেসিক) চেয়ারম্যান শেখ আবদুল হাই বাচ্চু, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেডের (বিডিবিএল) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শান্তি নারায়ণ ঘোষ ও পল্লীকর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদকে বর্তমান মেয়াদের পরে আরো দুই বছর মেয়াদের জন্য চেয়ারম্যান হিসেবে পুনর্নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আর আনসার-ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংক আইন-১৯৯৫ অনুযায়ী রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) এ তাহেরকে ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান হিসেবে বর্তমান মেয়াদের পরও দুই বছরের জন্য পুনর্নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
গতকাল বুধবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের পরিচালনা পর্ষদ ও সমন্বয় অধি শাখা থেকে জারি করা আটটি পৃথক প্রজ্ঞাপনে আট ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যানদের পুনর্নিয়োগের আদেশ দেওয়া হয়েছে। এসব আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।
হলমার্ক গ্রুপের দুই হাজার ৬০০ কোটিরও বেশি টাকাসহ নানা আর্থিক কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়েছে দেশের বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংক সোনালী ব্যাংক লিমিটেড। এসব কেলেঙ্কারির দায়ে অভিযুক্ত করে বাংলাদেশ ব্যাংক সোনালী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেওয়ার সুপারিশ করে অর্থমন্ত্রীর কাছে। তা নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে বিতর্কেও জড়িয়ে পড়েন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেওয়ার বদলে আগামী ৮ সেপ্টেম্বর মেয়াদ শেষ হতে যাওয়া ব্যাংকটির বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যানকে আবার চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দিল অর্থ মন্ত্রণালয়।
সোনালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান নিয়োগ প্রসঙ্গে জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, 'সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের মেমোরেন্ডাম অ্যান্ড আর্টিকেলস অব অ্যাসোসিয়েশনের বিধান অনুযায়ী জনাব কাজী বাহারুল ইসলামকে সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদে পরিচালক ও চেয়ারম্যান হিসেবে বর্তমান নিয়োগের মেয়াদ সমাপনান্তে পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত পুনর্নিয়োগ দেওয়া হলো। এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।'
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতও সাংবাদিকদের বলেছেন, সোনালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত বহাল থাকবেন। আর অন্যগুলোর চেয়ারম্যানদের দুই বছর মেয়াদে পুনর্নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা জানান, শিগগিরই রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের নিয়োগ ও পুনর্নিয়োগ দেওয়া হবে। তবে সেখানে কাদের নিয়োগ বা পুনর্নিয়োগ দেওয়া হবে তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
সোনালী ব্যাংকের বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের মধ্যে থেকে কোনো সদস্যকে পুনর্নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব মো. শফিকুর রহমান পাটোয়ারী কালের কণ্ঠকে জানান, দুই-তিনজনকে পুনর্নিয়োগ দেওয়া হতে পারে। অনেকের ব্যাপারেই প্রস্তাব আসছে। মন্ত্রণালয়ের নিজস্ব মতামতও রয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত কাদের পরিচালক হিসেবে নিয়োগ বা পুনর্নিয়োগ দেওয়া হবে তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
গতকাল প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব মেমোরেন্ডাম অ্যান্ড আর্টিকেলস অব অ্যাসোসিয়েশন অনুযায়ী চেয়ারম্যান পুনর্নিয়োগ দিয়ে আলাদা প্রজ্ঞাপন জারি করেছে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ। এর মধ্যে জনতা ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবুল বারকাত, অগ্রণী ব্যাংক লিমিডেটের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. খন্দকার বজলুল হক, রূপালী ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যান ড. আহমদ আল-কবির, বাংলাদেশ স্মল ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক লিমিটেডের (বেসিক) চেয়ারম্যান শেখ আবদুল হাই বাচ্চু, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেডের (বিডিবিএল) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শান্তি নারায়ণ ঘোষ ও পল্লীকর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদকে বর্তমান মেয়াদের পরে আরো দুই বছর মেয়াদের জন্য চেয়ারম্যান হিসেবে পুনর্নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আর আনসার-ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংক আইন-১৯৯৫ অনুযায়ী রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) এ তাহেরকে ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান হিসেবে বর্তমান মেয়াদের পরও দুই বছরের জন্য পুনর্নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
No comments