আবাসিক ভবনের বাণিজ্যিক ব্যবহার-কর্তৃপক্ষকেই অনিয়ম দূর করতে হবে
রাজধানীর ধানমণ্ডি এলাকা বরাবর অভিজাত আবাসিক এলাকা বলে বিবেচিত ছিল। কিন্তু তা এখন বিভিন্ন অনিয়মের কারণে বাজারে পরিণত হয়েছে। এই বিশেষ অনিয়মটি শুধু ধানমণ্ডি আবাসিক এলাকায়ই নয়, গোটা ঢাকা শহর, এমনকি সারা বাংলাদেশেই চলছে।
অনিয়মটি হলো, আবাসিক ভবন হিসেবে নির্মিত ভবনে বাণিজ্যিক কেন্দ্র গড়ে তোলা। কালের কণ্ঠে এ বিষয়ে যে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে, তা থেকে প্রকৃত অনিয়মের চিত্র স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। গত ১১ জুন উচ্চ আদালত রাজউককে তিন বছরের মধ্যে ধানমণ্ডি এলাকা থেকে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলো সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে রাজউক ধানমণ্ডি এলাকায় বাণিজ্যিক কার্যক্রম চলতে থাকা আবাসিক ভবনগুলোর তালিকা তৈরি করতে শুরু করে। চূড়ান্ত তালিকায় রাজউক কর্তৃপক্ষ দেখতে পায়, ৩৪১টি ভবনে এই অনিয়মের আশ্রয় নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৭৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে বাণিজ্য করছে। এ ছাড়া গার্মেন্ট, হাসপাতাল, শপিং মল ও বাজার তো রয়েছেই। রাজউক জানিয়েছে, বিভিন্ন সময়ে নোটিশ দিলেও মালিকরা তা আমলে নিচ্ছেন না। শুধু নোটিশের মধ্যে দায়িত্ব সীমাবদ্ধ থাকলে এ ধরনের অনিয়ম চলতেই থাকবে। ধানমণ্ডিতে শান্তিতে বসবাসের জন্য যে আবাসিক এলাকা গড়ে উঠেছিল, সামর্থ্যবান অনেকেই সে এলাকা ছেড়ে যেতে শুরু করেছেন বলে বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়।
এভাবে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ভাড়াই যদি দেওয়া হবে, তাহলে আবাসিক বলে ভবনগুলোর প্রতিশ্রুতি কেন দেওয়া হয়েছে? এ অনিয়ম কোনোক্রমেই গ্রহণযোগ্য নয়। আমাদের মনে রাখতে হবে, একটি অনিয়ম আরেকটি অনিয়মের জন্ম দেয়। এই আবাসিক ভবনগুলোর ব্যাপারে রাজউককে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করতে হবে। কোনো রাজনৈতিক প্রভাব বা কোনো অযৌক্তিক নিয়মের আশ্রয় নিয়ে কাউকে ছাড় দেওয়া যাবে না। শুধু একটি উদ্যোগ নিলেই অনিয়মকারীরা নিয়মের আওতায় চলে আসবেন না। রাজউককে নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দিয়ে সব ভবন মালিককে জানিয়ে দিতে হবে, ওই সময়ের মধ্যে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হলে ভবন সিল করে দেওয়া হবে। বাস্তবে আইনের পক্ষপাতহীন প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। যারা ওই অভিজাত এলাকায় ভবনের মালিক, তাঁদের হাত যথেষ্ট প্রসারিত- এ কথা নির্দ্বিধায় বলা যায়। আমাদের দেশে জনগণের জন্য সরাসরি কাজ করে এমন সেবামূলক প্রতিষ্ঠানগুলোতে বরাবরই রাজনৈতিক প্রভাব প্রবল। সে কারণে রাজউকের এ উদ্যোগ সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে সমর্থিত হতে হবে। সুতরাং রাজধানী ঢাকাকে বসবাসযোগ্য করতে এর ভবনগুলোকে নিয়ম-কানুনের আওতায় আনতে প্রয়োজনে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপও কাম্য।
এভাবে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ভাড়াই যদি দেওয়া হবে, তাহলে আবাসিক বলে ভবনগুলোর প্রতিশ্রুতি কেন দেওয়া হয়েছে? এ অনিয়ম কোনোক্রমেই গ্রহণযোগ্য নয়। আমাদের মনে রাখতে হবে, একটি অনিয়ম আরেকটি অনিয়মের জন্ম দেয়। এই আবাসিক ভবনগুলোর ব্যাপারে রাজউককে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করতে হবে। কোনো রাজনৈতিক প্রভাব বা কোনো অযৌক্তিক নিয়মের আশ্রয় নিয়ে কাউকে ছাড় দেওয়া যাবে না। শুধু একটি উদ্যোগ নিলেই অনিয়মকারীরা নিয়মের আওতায় চলে আসবেন না। রাজউককে নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দিয়ে সব ভবন মালিককে জানিয়ে দিতে হবে, ওই সময়ের মধ্যে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হলে ভবন সিল করে দেওয়া হবে। বাস্তবে আইনের পক্ষপাতহীন প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। যারা ওই অভিজাত এলাকায় ভবনের মালিক, তাঁদের হাত যথেষ্ট প্রসারিত- এ কথা নির্দ্বিধায় বলা যায়। আমাদের দেশে জনগণের জন্য সরাসরি কাজ করে এমন সেবামূলক প্রতিষ্ঠানগুলোতে বরাবরই রাজনৈতিক প্রভাব প্রবল। সে কারণে রাজউকের এ উদ্যোগ সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে সমর্থিত হতে হবে। সুতরাং রাজধানী ঢাকাকে বসবাসযোগ্য করতে এর ভবনগুলোকে নিয়ম-কানুনের আওতায় আনতে প্রয়োজনে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপও কাম্য।
No comments