তৈরি পোশাক রপ্তানি-সম্ভাব্য বৃহত্তম বাজার চীন
বছরে প্রায় ২০ বিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি করছে বাংলাদেশ। সারা বিশ্বে রপ্তানির হিসাব এটি। আর এটাই হচ্ছে রপ্তানির বৃহত্তম খাত। বৃহত্তম এই খাত আরো সম্প্রসারণের সুযোগ তৈরি হয়েছে সম্প্রতি। ক্রমবর্ধমান আমদানিকারক দেশ হিসেবে নাম এসেছে চীনের।
শুরুতে বাজার সীমিত থাকলেও এই বাজার এখন বাংলাদেশের জন্য বর্ধিষ্ণু। বছরকালের মধ্যেই দ্বিগুণ হয়েছে রপ্তানির আকার। চীনের ২৫০ বিলিয়ন ডলারের অভ্যন্তরীণ বাজারের এক-দশমাংশও যদি বাংলাদেশের আয়ত্তে আসে, তাহলেও অনায়াসে বর্তমান মোট রপ্তানির দ্বিগুণেরও বেশি অর্জন করতে পারবে বাংলাদেশ। ফলে বর্তমান বাজারের পাশাপাশি চীনের দিকে অধিক নজর দেওয়া বাংলাদেশের জন্য অতি জরুরি। বিশেষ করে এককেন্দ্রিক বাজারব্যবস্থার ঝুঁকি হ্রাসের জন্যও এর প্রয়োজনীয়তা স্বীকার্য। ইউরোপ-আমেরিকার বাজারে বাংলাদেশের রপ্তানির পরিমাণ কম থাকা ও সে ক্ষেত্রে অসম প্রতিযোগিতা এবং বাজার সম্প্রসারণে কিছু প্রতিবন্ধকতা থাকায় সংগত কারণেই নতুন বাজার খোঁজা জরুরি হয়ে পড়েছিল। চীন আমাদের সেই আকাঙ্ক্ষা পূরণে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারে।
সম্প্রতি চীনের তৈরি পোশাক শিল্প সমিতির শীর্ষস্থানীয় নেতাদের বাংলাদেশ সফরের পর এই সম্ভাবনার দুয়ার আরো বেশি উন্মুক্ত হয়েছে। চীনের আগ্রহ আমদানি এবং বিনিয়োগ দুই দিকেই। বাংলাদেশে শ্রমব্যয় কম হওয়ায় তাদের এই আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। সে জন্য তৈরি পোশাক শিল্পে বিরাজমান সমস্যাগুলো যাতে আর বাড়তে না পারে, সেদিকে সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে গুরুত্ব প্রদান করতে হবে। বিশেষ করে সুষ্ঠু উৎপাদন পরিবেশ নিশ্চিত করতে না পারলে বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করা সম্ভব হবে না। সরকারকে অবকাঠামো সুবিধা প্রদান করতে হবে। এ ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ ও গ্যাস সুবিধার কথা আসবে সবার আগে। লাল ফিতার দৌরাত্ম্য কমিয়ে আনতে হবে। একই সঙ্গে দুর্নীতিমুক্ত সেবা প্রদান করতে না পারলে সেই অপার সম্ভাবনা বাস্তবায়িত করা সম্ভব হবে না।
চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের এই বাণিজ্যিক সম্পর্ক দেশটির সঙ্গে যে বাণিজ্যিক বৈষম্য আছে, তা দূর করে উভয়ের অর্থনৈতিক স্বার্থরক্ষায় ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে। বাংলাদেশ সে দেশে পোশাক রপ্তানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা পায়। যা বাংলাদেশের জন্য বাড়তি সুবিধা হিসেবে গণ্য। যেহেতু চীনে বাজারের আকার বড়, তাই চীনা উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের সুবিধা দিলেও তা বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের রপ্তানি সংকুচিত হওয়ার কারণ হবে না। বরং তাদের বিনিয়োগের সুবিধা দিলে দেশে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে অধিক হারে। তাই বিজিএমইএর উদ্যোগ সরকারি সহযোগিতার মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা দরকার। এ ক্ষেত্রে প্রতিযোগী দেশগুলোর কথাও মাথায় রাখতে হবে। উন্নয়নশীল দেশগুলোতে শ্রমব্যয় কম হওয়ার কারণে চীনের বাজারে প্রবেশ এবং বাজার আয়ত্তে আনার প্রতিযোগিতায় প্রত্যেকেই এগিয়ে আসতে চাইবে।
সম্প্রতি চীনের তৈরি পোশাক শিল্প সমিতির শীর্ষস্থানীয় নেতাদের বাংলাদেশ সফরের পর এই সম্ভাবনার দুয়ার আরো বেশি উন্মুক্ত হয়েছে। চীনের আগ্রহ আমদানি এবং বিনিয়োগ দুই দিকেই। বাংলাদেশে শ্রমব্যয় কম হওয়ায় তাদের এই আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। সে জন্য তৈরি পোশাক শিল্পে বিরাজমান সমস্যাগুলো যাতে আর বাড়তে না পারে, সেদিকে সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে গুরুত্ব প্রদান করতে হবে। বিশেষ করে সুষ্ঠু উৎপাদন পরিবেশ নিশ্চিত করতে না পারলে বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করা সম্ভব হবে না। সরকারকে অবকাঠামো সুবিধা প্রদান করতে হবে। এ ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ ও গ্যাস সুবিধার কথা আসবে সবার আগে। লাল ফিতার দৌরাত্ম্য কমিয়ে আনতে হবে। একই সঙ্গে দুর্নীতিমুক্ত সেবা প্রদান করতে না পারলে সেই অপার সম্ভাবনা বাস্তবায়িত করা সম্ভব হবে না।
চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের এই বাণিজ্যিক সম্পর্ক দেশটির সঙ্গে যে বাণিজ্যিক বৈষম্য আছে, তা দূর করে উভয়ের অর্থনৈতিক স্বার্থরক্ষায় ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে। বাংলাদেশ সে দেশে পোশাক রপ্তানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা পায়। যা বাংলাদেশের জন্য বাড়তি সুবিধা হিসেবে গণ্য। যেহেতু চীনে বাজারের আকার বড়, তাই চীনা উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের সুবিধা দিলেও তা বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের রপ্তানি সংকুচিত হওয়ার কারণ হবে না। বরং তাদের বিনিয়োগের সুবিধা দিলে দেশে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে অধিক হারে। তাই বিজিএমইএর উদ্যোগ সরকারি সহযোগিতার মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা দরকার। এ ক্ষেত্রে প্রতিযোগী দেশগুলোর কথাও মাথায় রাখতে হবে। উন্নয়নশীল দেশগুলোতে শ্রমব্যয় কম হওয়ার কারণে চীনের বাজারে প্রবেশ এবং বাজার আয়ত্তে আনার প্রতিযোগিতায় প্রত্যেকেই এগিয়ে আসতে চাইবে।
No comments