সার্জন নেই, সুইপারই ভরসা-উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বেহাল
দেশের সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোর কী করুণ অবস্থা, তা ফুটে উঠেছে শিবালয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে প্রকাশিত কালের কণ্ঠের এক সরেজমিন প্রতিবেদনে। সেখানে দীর্ঘদিনের অনিয়ম, দায়িত্ব পালনে অবহেলা এমন চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে যে সার্জনের কাজ করছে হাসপাতালের সুইপার, রোগীর ব্যবস্থাপত্র লিখে দিচ্ছে হাসপাতালের
অ্যাসিস্ট্যান্ট। জরুরি চিকিৎসার রুমটি খোলা, মাথার ওপর বৈদ্যুতিক পাখা ঘুরছে; কিন্তু জনশূন্য। সকাল ৯টা পর্যন্ত রোগীর ভিড় রয়েছে; কিন্তু চিকৎসক নেই। হাসপাতালের সামনে স্থানীয় ক্লিনিকের দালালদের ভিড়। ৩২ জন রোগীর জন্য দুই কেজি ওজনের একটি মুরগি। বলা বাহুল্য, এ চিত্র শুধু শিবালয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নয়- এটি গোটা বাংলাদেশের উপজেলা স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার চিত্র। এমন অভিযোগও রয়েছে যে চিকিৎসকরা উপজেলা কমপ্লেক্সে কদাচিৎ গিয়ে খাতায় স্বাক্ষর করে আসেন। দেশের বহু স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে গরু-ছাগল চরতে দেখা যায়। এ পরিস্থিতির অবসান প্রয়োজন। কেন দিনের পর দিন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলো থেকে প্রয়োজনীয় প্রত্যাশিত সেবা জনগণ পাচ্ছে না, কেন কারো কোনো জবাবদিহিতা নেই, তার কোনো উত্তর পাওয়া যাবে না। একদিকে কর্তব্যে অবহেলা, অন্যদিকে বাণিজ্যিক ক্লিনিকগুলোতে ডাক্তারদের সময় প্রদান- এসব অনিয়মের প্রধান কারণ বলে অনেকে মনে করেন। এর সঙ্গে রয়েছে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঠিক তদারকির অভাব।
বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ বাস করে গ্রামে। এই গ্রামের মানুষগুলো সব ধরনের শহুরে সুবিধা থেকে বঞ্চিত। তাদের জন্য আর কিছু না হোক, অন্তত চিকিৎসাসেবার মতো মৌলিক অধিকারটুকু কোনো নির্বাচিত সরকারের পৌঁছে দেওয়া একটি গুরুদায়িত্ব বলে আমরা মনে করি। দেশের বেশির ভাগ মানুষের কাছে এ সেবা পৌঁছে দিতে না পারলে সরকারের কোনো ভালো কাজের সঠিক মূল্যায়ন সম্ভব হবে না। তাই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে জনগণের স্বাস্থ্যসেবা যেকোনো মূল্যে নিশ্চিত করতেই হবে। যেসব চিকিৎসক ও কর্মকর্তা-কর্মচারী দীর্ঘকাল ধরে সাধারণ মানুষকে চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রয়োজনে বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন করে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে। যেসব চিকিৎসক প্রাইভেট ক্লিনিকে প্র্যাকটিস করেন, তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে যে তাঁরা সরকারি হাসপাতাল থেকে রোগী ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এই পরামর্শ প্রদানকে অপরাধ বলে চিহ্নিত করা যেতে পারে। এ ছাড়া স্থানীয় সরকার প্রতিনিধিদের হাসপাতালগুলোর ব্যাপারে সচেতন হওয়া প্রয়োজন। সর্বোপরি একজন চিকিৎসকের মনে রাখা দরকার, তাঁর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ ও দায়িত্ব হলো সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষের স্বাস্থ্যসেবা প্রদান। সে দায়িত্বে অবহেলা একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ বাস করে গ্রামে। এই গ্রামের মানুষগুলো সব ধরনের শহুরে সুবিধা থেকে বঞ্চিত। তাদের জন্য আর কিছু না হোক, অন্তত চিকিৎসাসেবার মতো মৌলিক অধিকারটুকু কোনো নির্বাচিত সরকারের পৌঁছে দেওয়া একটি গুরুদায়িত্ব বলে আমরা মনে করি। দেশের বেশির ভাগ মানুষের কাছে এ সেবা পৌঁছে দিতে না পারলে সরকারের কোনো ভালো কাজের সঠিক মূল্যায়ন সম্ভব হবে না। তাই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে জনগণের স্বাস্থ্যসেবা যেকোনো মূল্যে নিশ্চিত করতেই হবে। যেসব চিকিৎসক ও কর্মকর্তা-কর্মচারী দীর্ঘকাল ধরে সাধারণ মানুষকে চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রয়োজনে বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন করে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে। যেসব চিকিৎসক প্রাইভেট ক্লিনিকে প্র্যাকটিস করেন, তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে যে তাঁরা সরকারি হাসপাতাল থেকে রোগী ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এই পরামর্শ প্রদানকে অপরাধ বলে চিহ্নিত করা যেতে পারে। এ ছাড়া স্থানীয় সরকার প্রতিনিধিদের হাসপাতালগুলোর ব্যাপারে সচেতন হওয়া প্রয়োজন। সর্বোপরি একজন চিকিৎসকের মনে রাখা দরকার, তাঁর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ ও দায়িত্ব হলো সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষের স্বাস্থ্যসেবা প্রদান। সে দায়িত্বে অবহেলা একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
No comments